ভিসির নিয়োগ বাণিজ্য-শিক্ষকের মর্যাদা প্রশ্নবিদ্ধ
পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য চাকরির মেয়াদ শেষ হওয়ার প্রাক্কালে নিয়োগদানকালে অনিয়ম করে প্রশ্নবিদ্ধ হয়েছেন। দীর্ঘদিন তিনি উপাচার্য পদে বহাল থাকার পরও কোন কারণে বিদায়ের প্রাক্কালে মাত্র দুই দিনে তড়িঘড়ি করে এই নিয়োগ দিলেন- এমন প্রশ্নের বাইরে টাকার খেলা চলেছে বলেও অভিযোগ উত্থাপিত হয়েছে।
এ অভিযোগ যদি সত্য হয়, তাহলে এটা হবে একটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের জন্য অত্যন্ত কলঙ্কজনক ঘটনা। তাঁর এই নিয়োগ কার্যক্রমকে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের চেয়ারম্যানও অস্বাভাবিক বলে মন্তব্য করেছেন এবং তা খতিয়ে দেখার জন্য তদন্ত কমিটি গঠনের কথাও ব্যক্ত করেছেন। মতবিনিময় সভায় ভিসির এ উদ্যোগের স্বচ্ছতা নিয়ে প্রশ্ন করায় সাংবাদিককে নাজেহাল করার যে সংবাদ প্রকাশ করা হয়েছে, তাকে অবশ্যই স্বাভাবিক বলে মনে করা যায় না। দেশের উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানের একজন প্রধান এই দায় থেকে মুক্তি পেতে পারেন না। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক অত্যন্ত সম্মানিত ব্যক্তি; তাঁর কর্মকাণ্ড ও আচরণ হওয়া উচিত একই রকম। বলা হয়েছে, উপাচার্যের পক্ষের কিছু লোক সাংবাদিককে নাজেহাল করেছে। কিন্তু পরে যেহেতু তিনি এ বিষয়ে কোনো বক্তব্য দেননি, তাই স্পষ্টতই মনে করার কারণ আছে, এ কাজে তাঁর সমর্থন রয়েছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো প্রতিষ্ঠানে যদি এমন দুর্নীতি, অনিয়ম এবং সাংবাদিক লাঞ্ছনার ঘটনা ঘটে, তাহলে ওই বিশ্ববিদ্যালয় থেকে শিক্ষার্থীরা কী শিখে বের হবে তাও ভাবনার বিষয়। স্বজনপ্রীতি ও দুর্নীতি যদি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানেও সংক্রমিত হয়, তাহলে মানুষ আশার আলো দেখবে কোথায়? এর আগে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়েও নিয়োগ নিয়ে ব্যাপক তোলপাড় হয়েছিল। পটুয়াখালী বিশ্ববিদ্যালয়েও যদি একই অবস্থা চলে তাহলে ভবিষ্যতে অন্য প্রতিষ্ঠানেও তা সংক্রমিত হবে, যা কোনো মতেই কাম্য হতে পারে না। মানুষ যদি সর্বোচ্চ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে দুর্নীতিমুক্ত পরিবেশ প্রত্যাশা না করতে পারে, তাহলে নীতিবোধ বলতে আর কিছু অবশিষ্ট থাকবে না। অবশ্যই বিশ্ববিদ্যালয় সমাজের আর দশটা প্রতিষ্ঠান থেকে ভিন্ন। কারণ এখান থেকে আলো ছড়ানো হবে। সুতরাং অন্ধকার দূর করতে হলে এ ধরনের অনিয়মকে বিদায় করার কোনো বিকল্প নেই। বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের চেয়ারম্যানের বক্তব্য অনুযায়ী পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়োগ-দুর্নীতি বিষয়ে তদন্ত কমিটি গঠন করা হোক। প্রয়োজনে নিয়োগ বাতিল করার মাধ্যমে স্বচ্ছতা আনয়নের ব্যবস্থা নেওয়া হোক। সাংবাদিকদের পেশাগত দায়িত্ব পালনকালে যে দুরাচার হয়েছে তার নিন্দা জানাই।
বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো প্রতিষ্ঠানে যদি এমন দুর্নীতি, অনিয়ম এবং সাংবাদিক লাঞ্ছনার ঘটনা ঘটে, তাহলে ওই বিশ্ববিদ্যালয় থেকে শিক্ষার্থীরা কী শিখে বের হবে তাও ভাবনার বিষয়। স্বজনপ্রীতি ও দুর্নীতি যদি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানেও সংক্রমিত হয়, তাহলে মানুষ আশার আলো দেখবে কোথায়? এর আগে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়েও নিয়োগ নিয়ে ব্যাপক তোলপাড় হয়েছিল। পটুয়াখালী বিশ্ববিদ্যালয়েও যদি একই অবস্থা চলে তাহলে ভবিষ্যতে অন্য প্রতিষ্ঠানেও তা সংক্রমিত হবে, যা কোনো মতেই কাম্য হতে পারে না। মানুষ যদি সর্বোচ্চ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে দুর্নীতিমুক্ত পরিবেশ প্রত্যাশা না করতে পারে, তাহলে নীতিবোধ বলতে আর কিছু অবশিষ্ট থাকবে না। অবশ্যই বিশ্ববিদ্যালয় সমাজের আর দশটা প্রতিষ্ঠান থেকে ভিন্ন। কারণ এখান থেকে আলো ছড়ানো হবে। সুতরাং অন্ধকার দূর করতে হলে এ ধরনের অনিয়মকে বিদায় করার কোনো বিকল্প নেই। বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের চেয়ারম্যানের বক্তব্য অনুযায়ী পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়োগ-দুর্নীতি বিষয়ে তদন্ত কমিটি গঠন করা হোক। প্রয়োজনে নিয়োগ বাতিল করার মাধ্যমে স্বচ্ছতা আনয়নের ব্যবস্থা নেওয়া হোক। সাংবাদিকদের পেশাগত দায়িত্ব পালনকালে যে দুরাচার হয়েছে তার নিন্দা জানাই।
No comments