সমন্বিত ব্যবস্থাপনার উদ্যোগ নিতে হবে- বিপন্ন সুন্দরবন
আমাদের অবহেলা, দায়িত্বজ্ঞানহীনতা আর লোভ-লালসার শিকার হয়ে পৃথিবীর অমূল্য প্রাকৃতিক সম্পদ সুন্দরবনের এখন বিপর্যস্ত অবস্থা। সর্বশেষ খবর হলো, এই বনের পরিবেশের ওপর এবার বড় ধরনের আঘাত এসেছে একটি সরকারি সংস্থার দিক থেকে।
অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ) কীভাবে সুন্দরবনের ইকোসিস্টেমের ক্ষতির কারণ ঘটাচ্ছে, বিবরণ পাওয়া যাবে গত বুধবার প্রথম আলোয় প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে। জেলে ও পর্যটকদের কারণেও সুন্দরবনের জীববৈচিত্র্য ও প্রতিবেশ ভীষণভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।
বিআইডব্লিউটিএ সুন্দরবনের ভেতর দিয়ে যে নৌপথ চালু করেছে, সেই পথে প্রতিদিন চলাচল করছে এক শ থেকে দেড় শ ভারী নৌযান: তেল ট্যাংকার, পণ্যবাহী কার্গো ও যাত্রীবাহী জাহাজ। মংলা বন্দর থেকে বঙ্গোপসাগরে যাওয়া-আসার এই পথেই রয়েছে বাঘ ও হরিণের বিচরণের এলাকা, অনন্য প্রজাতির ডলফিনের অভয়াশ্রম। এ নৌপথ বিআইডব্লিউটিএ চালু করেছে আইন লঙ্ঘন করে। পরিবেশ ও বন মন্ত্রণালয় থেকে নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়কে একাধিকবার চিঠি দিয়ে নৌপথটি বন্ধ করার অনুরোধ জানানো হয়েছে। এমনকি স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী নৌপথটি বন্ধ করার নির্দেশ দিয়েছিলেন কিন্তু সুফল মেলেনি। বরং এই নৌপথে নৌযান চলাচল আরও বেড়েছে। গত বছর প্রতিদিন চলাচল করত গড়ে ২৫টি নৌযান, আর এ বছর তা বেড়ে হয়েছে ১৩০। এক বছর আগেই বিশেষজ্ঞরা বলেছেন, সুন্দরবনের ভেতরের নৌপথটি দিয়ে যেভাবে ভারী নৌযান চলাচল করছে, তার ফলে সুন্দরবনের জীববৈচিত্র্য ও প্রতিবেশ ধ্বংস হতে পারে।
মংলা বন্দর ও বঙ্গোপসাগরের মধ্যে চলাচলের আগের নৌপথটি ছিল সুন্দরবনের পাশ দিয়ে প্রবাহিত ঘসিয়াখালী খাল। খালটির নাব্যতা কমে যাওয়ায় বিকল্প হিসেবে বেছে নেওয়া হয়েছে সুন্দরবনের একদম ভেতর দিয়ে বয়ে যাওয়া পশুর নদকে। এই নদ দিয়ে যান্ত্রিক শব্দ তুলে, হর্ন বাজিয়ে চলাচল করছে ভারী ভারী নৌযান—বনের জীবকুলকে ভীত-সন্ত্রস্ত করে। বনের ভেতরেই কোথাও কোথাও নোঙর ফেলছে বড় বড় জাহাজ। বন আইন, বন্য প্রাণী সংরক্ষণ আইন—কোনো কিছুরই যেন অর্থ নেই।
এভাবে আর চলতে দেওয়া উচিত নয়। সুন্দরবনের প্রতিবেশ ও জীববৈচিত্র্যের ব্যাপক ক্ষতি অবিলম্বে বন্ধ করার উদ্যোগ নেওয়া জরুরি। সে জন্য যত দ্রুত সম্ভব ঘসিয়াখালী খাল খনন করে নাব্যতা ফিরিয়ে আনা প্রয়োজন। আর সে সময় পর্যন্ত নৌযান চলাচলের অন্য বিকল্প পথ বেছে নেওয়া উচিত; এ বিষয়ে পরিবেশ ও বন মন্ত্রণালয়ের পরামর্শ দেওয়াই আছে, অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষ যা মানছে না।
সুন্দরবনের এই সমস্যার মধ্য দিয়ে নৌপরিবহন মন্ত্রণালয় এবং পরিবেশ ও বন মন্ত্রণালয়ের মধ্যে বোঝাপড়া এবং কাজের সমন্বয়ের অভাব ফুটে উঠেছে। আরও অনেক সমস্যা আছে এবং ভবিষ্যতে অনেক সমস্যার উদ্ভব ঘটবে। সে জন্য সুন্দরবনের সার্বিক ও সমন্বিত ব্যবস্থাপনার কথা ভাবা প্রয়োজন, যে ব্যবস্থাপনা-কাঠামোতে সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রণালয়, বিভাগ ছাড়াও বিশেষজ্ঞরা থাকবেন।
বিআইডব্লিউটিএ সুন্দরবনের ভেতর দিয়ে যে নৌপথ চালু করেছে, সেই পথে প্রতিদিন চলাচল করছে এক শ থেকে দেড় শ ভারী নৌযান: তেল ট্যাংকার, পণ্যবাহী কার্গো ও যাত্রীবাহী জাহাজ। মংলা বন্দর থেকে বঙ্গোপসাগরে যাওয়া-আসার এই পথেই রয়েছে বাঘ ও হরিণের বিচরণের এলাকা, অনন্য প্রজাতির ডলফিনের অভয়াশ্রম। এ নৌপথ বিআইডব্লিউটিএ চালু করেছে আইন লঙ্ঘন করে। পরিবেশ ও বন মন্ত্রণালয় থেকে নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়কে একাধিকবার চিঠি দিয়ে নৌপথটি বন্ধ করার অনুরোধ জানানো হয়েছে। এমনকি স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী নৌপথটি বন্ধ করার নির্দেশ দিয়েছিলেন কিন্তু সুফল মেলেনি। বরং এই নৌপথে নৌযান চলাচল আরও বেড়েছে। গত বছর প্রতিদিন চলাচল করত গড়ে ২৫টি নৌযান, আর এ বছর তা বেড়ে হয়েছে ১৩০। এক বছর আগেই বিশেষজ্ঞরা বলেছেন, সুন্দরবনের ভেতরের নৌপথটি দিয়ে যেভাবে ভারী নৌযান চলাচল করছে, তার ফলে সুন্দরবনের জীববৈচিত্র্য ও প্রতিবেশ ধ্বংস হতে পারে।
মংলা বন্দর ও বঙ্গোপসাগরের মধ্যে চলাচলের আগের নৌপথটি ছিল সুন্দরবনের পাশ দিয়ে প্রবাহিত ঘসিয়াখালী খাল। খালটির নাব্যতা কমে যাওয়ায় বিকল্প হিসেবে বেছে নেওয়া হয়েছে সুন্দরবনের একদম ভেতর দিয়ে বয়ে যাওয়া পশুর নদকে। এই নদ দিয়ে যান্ত্রিক শব্দ তুলে, হর্ন বাজিয়ে চলাচল করছে ভারী ভারী নৌযান—বনের জীবকুলকে ভীত-সন্ত্রস্ত করে। বনের ভেতরেই কোথাও কোথাও নোঙর ফেলছে বড় বড় জাহাজ। বন আইন, বন্য প্রাণী সংরক্ষণ আইন—কোনো কিছুরই যেন অর্থ নেই।
এভাবে আর চলতে দেওয়া উচিত নয়। সুন্দরবনের প্রতিবেশ ও জীববৈচিত্র্যের ব্যাপক ক্ষতি অবিলম্বে বন্ধ করার উদ্যোগ নেওয়া জরুরি। সে জন্য যত দ্রুত সম্ভব ঘসিয়াখালী খাল খনন করে নাব্যতা ফিরিয়ে আনা প্রয়োজন। আর সে সময় পর্যন্ত নৌযান চলাচলের অন্য বিকল্প পথ বেছে নেওয়া উচিত; এ বিষয়ে পরিবেশ ও বন মন্ত্রণালয়ের পরামর্শ দেওয়াই আছে, অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষ যা মানছে না।
সুন্দরবনের এই সমস্যার মধ্য দিয়ে নৌপরিবহন মন্ত্রণালয় এবং পরিবেশ ও বন মন্ত্রণালয়ের মধ্যে বোঝাপড়া এবং কাজের সমন্বয়ের অভাব ফুটে উঠেছে। আরও অনেক সমস্যা আছে এবং ভবিষ্যতে অনেক সমস্যার উদ্ভব ঘটবে। সে জন্য সুন্দরবনের সার্বিক ও সমন্বিত ব্যবস্থাপনার কথা ভাবা প্রয়োজন, যে ব্যবস্থাপনা-কাঠামোতে সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রণালয়, বিভাগ ছাড়াও বিশেষজ্ঞরা থাকবেন।
No comments