উসকানিমূলক বলছে যুক্তরাষ্ট্র- পূর্ব জেরুজালেমে ২৫০০ বাড়ি বানাচ্ছে ইসরায়েল
ইসরায়েল অধিকৃত পূর্ব জেরুজালেমে আড়াই হাজারের বেশি বাড়ি নির্মাণের অনুমোদন দিয়েছে। ১৯৯৭ সালের পর গত বুধবারই প্রথম এ ধরনের অনুমোদন দেওয়া হলো।
জাতিসংঘ ইসরায়েলের এ উদ্যোগের বিরুদ্ধে চাপ বাড়ানোর কৌশল নিয়েছে। জাতিসংঘের মহাসচিব বান কি মুন ও যুক্তরাষ্ট্র ছাড়া নিরাপত্তা পরিষদের সব সদস্য নতুন বসতি স্থাপন শিগগিরই বন্ধ করার আহ্বান জানিয়েছে।
জাতিসংঘে যুক্তরাষ্ট্র ইসরায়েলকে সমর্থন দিলেও মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর অধিকৃত ভূখণ্ডে নতুন করে বসতি নির্মাণের অনুমোদনকে ‘উসকানিমূলক আচরণ’ বলে অভিহিত করেছে।
ইসরায়েলের জেরুজালেমবিষয়ক পরিকল্পনা কমিটি বুধবার দুই হাজার ৬১০টি নতুন বাড়ি নির্মাণের অনুমোদন দেয়। গিভাদ হামাটোস এলাকায় এসব বাড়ি নির্মাণ করা হবে। এদিকে অধিকৃত পশ্চিম তীরে এক হাজারের বেশি বাড়ি নির্মাণের দরপত্র ঘোষণা করা হয়েছে।
পশ্চিম তীরের গুস এতজিয়ন এলাকার আঞ্চলিক কাউন্সিলের প্রধান ডেভিড পেরেল বলেন, ‘কয়েক বছর পর আমরা এ ঘোষণা দিতে পেরে খুশি, ইসরায়েল সরকার গুস এতজিয়ন এলাকায় একটি শহর নির্মাণের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এটা বিশাল এক অর্জন।’
তিনি জানান, গুস এতজিয়নের গেভাউত এলাকায় ৫২৩টি বাড়ি নির্মাণের অনুমোদন দিয়েছে ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়। পেরেল বলেন, এসব বাড়িতে মোট ছয় হাজার ইউনিট নির্মিত হবে। এখানে সব মিলিয়ে ২৫ হাজার ইসরায়েলি বাস করতে পারবে। পেরেল আরও বলেন, ‘পূর্ব জেরুজালেম ও পশ্চিম তীরে ইসরায়েল সরকারের নতুন করে বাড়ি তৈরির অনুমোদন এই বার্তাই দিল, ইসরায়েল ফিলিস্তিনের সঙ্গে সমস্যা সমাধানের বিষয়টি বিবেচনা করছে না।’
নিরাপত্তা পরিষদের চার ইউরোপীয় সদস্য রাষ্ট্র ফ্রান্স, জার্মানি, যুক্তরাজ্য ও পর্তুগাল এক বিবৃতিতে বলেছে, ইসরায়েলের এই উদ্যোগ ‘সত্যিকার অর্থেই উদ্বেগজনক’। বিবৃতিতে বলা হয়, নতুন করে অনুমোদন হওয়ায় বসতি স্থাপন বাস্তবায়িত হলে স্বাধীন ও সার্বভৌম ফিলিস্তিনি রাষ্ট্র গঠনের বিষয়টি ঝুঁকির মধ্যে পড়বে। ইসরায়েলের এ সিদ্ধান্ত বিশ্ব সম্প্রদায়কে নেতিবাচক বার্তা দিচ্ছে। একই সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে সমাধানের ওপর ইসরায়েল আস্থাহীনতা প্রকাশ করছে।
জাতিসংঘে নিযুক্ত ইসরায়েলের রাষ্ট্রদূত রন প্রসর বলেন, নতুন করে বসতি স্থাপন শান্তিপ্রক্রিয়ার ক্ষেত্রে কোনো বাধার সৃষ্টি করবে না।
সম্প্রতি বিপুল সমর্থন পেয়ে সাধারণ পরিষদে পর্যবেক্ষক রাষ্ট্রের মর্যাদা পায় ফিলিস্তিন। যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েল এর তীব্র বিরোধিতা করে। এরপর ইসরায়েল অধিকৃত ভূখণ্ডে নতুন বসতি স্থাপনের অনুমোদন দিল।
১৯৬৭ সালে আরব-ইসরায়েল যুদ্ধের ইসরায়েলি বাহিনী পশ্চিম তীর ও পূর্ব জেরুজালেম দখল করে নেয়। এর পর থেকে এটি নিজের ভূখণ্ড বলে দাবি করে আসছে ইসরায়েল। যদিও আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় এর স্বীকৃতি দেয়নি। বিবিসি ও এএফপি।
জাতিসংঘে যুক্তরাষ্ট্র ইসরায়েলকে সমর্থন দিলেও মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর অধিকৃত ভূখণ্ডে নতুন করে বসতি নির্মাণের অনুমোদনকে ‘উসকানিমূলক আচরণ’ বলে অভিহিত করেছে।
ইসরায়েলের জেরুজালেমবিষয়ক পরিকল্পনা কমিটি বুধবার দুই হাজার ৬১০টি নতুন বাড়ি নির্মাণের অনুমোদন দেয়। গিভাদ হামাটোস এলাকায় এসব বাড়ি নির্মাণ করা হবে। এদিকে অধিকৃত পশ্চিম তীরে এক হাজারের বেশি বাড়ি নির্মাণের দরপত্র ঘোষণা করা হয়েছে।
পশ্চিম তীরের গুস এতজিয়ন এলাকার আঞ্চলিক কাউন্সিলের প্রধান ডেভিড পেরেল বলেন, ‘কয়েক বছর পর আমরা এ ঘোষণা দিতে পেরে খুশি, ইসরায়েল সরকার গুস এতজিয়ন এলাকায় একটি শহর নির্মাণের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এটা বিশাল এক অর্জন।’
তিনি জানান, গুস এতজিয়নের গেভাউত এলাকায় ৫২৩টি বাড়ি নির্মাণের অনুমোদন দিয়েছে ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়। পেরেল বলেন, এসব বাড়িতে মোট ছয় হাজার ইউনিট নির্মিত হবে। এখানে সব মিলিয়ে ২৫ হাজার ইসরায়েলি বাস করতে পারবে। পেরেল আরও বলেন, ‘পূর্ব জেরুজালেম ও পশ্চিম তীরে ইসরায়েল সরকারের নতুন করে বাড়ি তৈরির অনুমোদন এই বার্তাই দিল, ইসরায়েল ফিলিস্তিনের সঙ্গে সমস্যা সমাধানের বিষয়টি বিবেচনা করছে না।’
নিরাপত্তা পরিষদের চার ইউরোপীয় সদস্য রাষ্ট্র ফ্রান্স, জার্মানি, যুক্তরাজ্য ও পর্তুগাল এক বিবৃতিতে বলেছে, ইসরায়েলের এই উদ্যোগ ‘সত্যিকার অর্থেই উদ্বেগজনক’। বিবৃতিতে বলা হয়, নতুন করে অনুমোদন হওয়ায় বসতি স্থাপন বাস্তবায়িত হলে স্বাধীন ও সার্বভৌম ফিলিস্তিনি রাষ্ট্র গঠনের বিষয়টি ঝুঁকির মধ্যে পড়বে। ইসরায়েলের এ সিদ্ধান্ত বিশ্ব সম্প্রদায়কে নেতিবাচক বার্তা দিচ্ছে। একই সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে সমাধানের ওপর ইসরায়েল আস্থাহীনতা প্রকাশ করছে।
জাতিসংঘে নিযুক্ত ইসরায়েলের রাষ্ট্রদূত রন প্রসর বলেন, নতুন করে বসতি স্থাপন শান্তিপ্রক্রিয়ার ক্ষেত্রে কোনো বাধার সৃষ্টি করবে না।
সম্প্রতি বিপুল সমর্থন পেয়ে সাধারণ পরিষদে পর্যবেক্ষক রাষ্ট্রের মর্যাদা পায় ফিলিস্তিন। যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েল এর তীব্র বিরোধিতা করে। এরপর ইসরায়েল অধিকৃত ভূখণ্ডে নতুন বসতি স্থাপনের অনুমোদন দিল।
১৯৬৭ সালে আরব-ইসরায়েল যুদ্ধের ইসরায়েলি বাহিনী পশ্চিম তীর ও পূর্ব জেরুজালেম দখল করে নেয়। এর পর থেকে এটি নিজের ভূখণ্ড বলে দাবি করে আসছে ইসরায়েল। যদিও আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় এর স্বীকৃতি দেয়নি। বিবিসি ও এএফপি।
No comments