বিশ্বজিৎ দাস হত্যাকাণ্ড-প্রভাবশালীদের ছত্রচ্ছায়ায় থাকায় গ্রেপ্তার-বহিষ্কার হচ্ছে না ওরা
বিশ্বজিতের ওপর হামলা এবং হত্যাকাণ্ডে অভিযুক্ত সবাইকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ। চাঞ্চল্যকর এ হত্যা মামলায় 'শনাক্ত হওয়া' মাত্র ছয় আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)।
আর অভিযুক্ত ২০ ছাত্রের তালিকা করলেও জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ মাত্র ৯ জনের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নিয়েছে। কালের কণ্ঠের অনুসন্ধানকালে কয়েকটি সূত্র জানিয়েছে, প্রভাবশালী মহলের তদবিরের কারণে শনাক্ত হওয়ার পরও এইচ এম কিবরিয়া, ইউনুস আলীসহ অন্যদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না। তবে পুলিশ ও বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ এসব অভিযোগ অস্বীকার করছে।
বিশ্বজিৎ হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় পুলিশের অবহেলা এবং তদন্তে গাফিলতি খতিয়ে দেখতে গত বৃহস্পতিবার পুলিশ সদর দপ্তর থেকে তিন সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠনের জন্য ঢাকা মহানগর পুলিশ কমিশনারকে চিঠি দেওয়া হয়। কিন্তু গতকাল শুক্রবার পর্যন্ত ওই কমিটি গঠিত হয়নি বলে জানা গেছে।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ড. মহীউদ্দীন খান আলমগীর সাংবাদিকদের আবারও বলেন, 'এখন পর্যন্ত এ হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত আটজন গ্রেপ্তার হয়েছে। তাদের মধ্যে পত্রিকায় যাদের ছবি ছাপা হয়েছে তারাও রয়েছে।' গতকাল রাজধানীর শ্যামলীতে ইউরোপিয়ান ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির এক অনুষ্ঠানে যোগ দেওয়ার পর স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে বলেন, 'এ নির্মম হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে যারা জড়িত, তাদের সবাইকে আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করা হবে।'
'খুঁটির জোরে' ওরা গ্রেপ্তার-বহিষ্কার হয়নি : জানা গেছে, ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের শনাক্ত ও ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য গত ১২ ডিসেম্বর বিজ্ঞান অনুষদভুক্ত পিওর সায়েন্সের ডিন অধ্যাপক কামরুল ইসলামকে প্রধান করে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ চার সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে। ওই দিনই কমিটি পাঁচজনকে শনাক্ত করে এবং কর্তৃপক্ষ তাদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থাও নেয়। এদের মধ্যে ছাত্রলীগকর্মী মোহাম্মাদ মাহফুজুর রহমান (নাহিদ) ও ইমদাদুল হকের সনদ বাতিল করা হয়। রফিকুল ইসলাম (শাকিল), মীর নূরে আলম ও ওবাইদুল কাদের (তাহসিন) নামের তিন ছাত্রকে স্থায়ী বহিষ্কার করা হয়।
গত বুধবার পর্যন্ত সন্দেহভাজন আরো ১৫ জনের তালিকা তৈরি করে উপাচার্যের দপ্তরে পাঠায় ওই কমিটি। সে তালিকা থেকে বৃহস্পতিবার চারজনকে বহিষ্কার করা হয়। বহিষ্কৃতরা হলো কাইয়ূম মিয়া টিপু, রাজন তালুকদার, সাইফুল ইসলাম ও জি এম রাশেদুজ্জামান শাওন।
এ পর্যন্ত ডিবি পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার হয়েছে রফিকুল ইসলাম শাকিল, মাহফুজুর রহমান নাহিদ, রাশেদুজ্জামান শাওন, সাইফুল ইসলাম, এইচ এম কিবরিয়া ও কাইয়ূম মিয়া টিপু। সূত্র জানায়, গ্রেপ্তার হওয়া আসামিদের সবাইকে বহিষ্কার করা হলেও কিবরিয়াকে এখনো বহিষ্কার করেনি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। বরিশাল অঞ্চলের প্রভাবশালী এক আওয়ামী লীগ নেতা কিবরিয়াকে বহিষ্কারের হাত থেকে বাঁচাতে চেষ্টা করে যাচ্ছেন বলে জানা গেছে। আর ইউনুস আলীকে বাঁচাতে মাগুরার এক ক্ষমতাধর ব্যক্তি তদবির করছেন।
গণমাধ্যমে প্রকাশিত ছবি ও বিভিন্ন সূত্রের তথ্যের ভিত্তিতে হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার ব্যাপারে অভিযুক্ত ২০ জনের তালিকা করা হলেও বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ১১ জনের বিরুদ্ধে এখনো কোনো ব্যবস্থা নেয়নি। এরা হলো আজিজুল হক, ইউনুস আলী, আবদুল্লাহ আল মামুন, আলাউদ্দিন, মোশারফ, কালা সুমন, সজীব, সোহেল, শিপলু, আলআমিন ও সঞ্জীব বসাক।
এদিকে গ্রেপ্তার হওয়ার পর পুলিশের কাছে ছয় আসামির দেওয়া তথ্য ও তদন্তে ঘটনার সঙ্গে জড়িত অন্তত ৩৩ জনের নাম উঠে আসে। এদের মধ্যে হামলায় অংশগ্রহণকারী ১৪ জনকে আলাদাভাবে শনাক্তও করেছে ডিবি পুলিশ। তবে এসব আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়নি। সূত্র জানায়, জগন্নাথের ছাত্রলীগের ২৭ কর্মী এখনো পলাতক আছে।
তদন্ত কমিটির সদস্যসচিব ও বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. অশোক কুমার সাহা এ বিষয়ে কালের কণ্ঠকে বলেন, 'তথ্য-প্রমাণের মাধ্যমে নিশ্চিত হওয়া গেলে অবশ্যই অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এখন পর্যন্ত ৯ জনের ব্যাপারেই নিশ্চিত হওয়া গেছে। ভবিষ্যতে প্রমাণ পাওয়া গেলে অন্যদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেওয়া হবে।'
ওদের বিরুদ্ধে অভিযোগ : বিশ্বজিৎ হত্যাকাণ্ডে গ্রেপ্তার হওয়া এইচ এম কিবরিয়া রিমান্ডে ঘটনাস্থলে উপস্থিত থাকার কথা অস্বীকার করেছে। তবে ভিডিও ফুটেজে তার সক্রিয় অংশগ্রহণের ব্যাপারে পুলিশ নিশ্চিত হয়েছে।
ছাত্রলীগের অভ্যন্তরীণ সংঘর্ষে জড়িত থাকার দায়ে তাকে ছাত্রলীগ থেকে বহিষ্কার করা হলেও সে নিয়মিতই দলের বিভিন্ন কর্মসূচি ও মিছিল-সমাবেশে অংশ নিত। কিবরিয়া ২০০৬-০৭ শিক্ষাবর্ষে বিশ্ববিদ্যালয়ের মনোবিজ্ঞান বিভাগে ভর্তি হয়। তার গ্রামের বাড়ি বরিশালের আগৈলঝাড়ায়। বাবা আতিকুর হাওলাদার সেনাবাহিনীর একজন অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তা। বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির পর কিবরিয়া প্রথমে এক নেতার হাত ধরে ছাত্রলীগের রাজনীতি শুরু করে। সর্বশেষ সাংগঠনিক সম্পাদক হওয়ার জন্য সে জীবনবৃত্তান্ত জমা দিয়েছিল। তার বিরুদ্ধে ক্যাম্পাসে সংঘর্ষ, আশপাশ এলাকায় চাঁদাবাজি ও হোটেলে ফাও খাওয়ার অভিযোগ রয়েছে।
পলাতক ইউনুস ঘটনার দিন প্রথম দিকেই বিশ্বজিতকে আঘাত করে। তার হাতে ছোট আকারের লাঠি ছিল। গ্রেপ্তার হওয়া শাকিল জিজ্ঞাসাবাদে পুলিশকে জানায়, ইউনুস ছুরি দিয়ে বিশ্বজিতকে আঘাত করেছিল। আরেক হামলাকারী নাহিদের পাশেই রড হাতে ফুলহাতা গেঞ্জি পরা আল-আমিনও বিশ্বজিৎকে বেধড়ক পেটাতে থাকে। নাহিদ ও সাইফুলের মাঝখানে যে বিশ্বজিতকে আঘাত করে সে হচ্ছে মিরাজ।
পুলিশের তদন্ত কমিটি নিয়ে লুকোচুরি : গত বৃহস্পতিবার বিশ্বজিৎ হত্যার সময় ঘটনাস্থলে দায়িত্বরত পুলিশের অবহেলা তদন্তে সদর দপ্তর থেকে একটি চিঠি পাঠিয়ে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনারকে তিন সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি করতে বলা হয়। এ আদেশের এক দিন পরও গতকাল পর্যন্ত তদন্ত কমিটি গঠিত হয়নি। এ ব্যাপারে ডিএমপির উপকমিশনার মাসুদুর রহমান কালের কণ্ঠকে বলেন, 'চিঠি পাওয়া গেছে, তবে এখনো কমিটি হয়নি।'
বিশ্বজিৎ হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় পুলিশের অবহেলা এবং তদন্তে গাফিলতি খতিয়ে দেখতে গত বৃহস্পতিবার পুলিশ সদর দপ্তর থেকে তিন সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠনের জন্য ঢাকা মহানগর পুলিশ কমিশনারকে চিঠি দেওয়া হয়। কিন্তু গতকাল শুক্রবার পর্যন্ত ওই কমিটি গঠিত হয়নি বলে জানা গেছে।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ড. মহীউদ্দীন খান আলমগীর সাংবাদিকদের আবারও বলেন, 'এখন পর্যন্ত এ হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত আটজন গ্রেপ্তার হয়েছে। তাদের মধ্যে পত্রিকায় যাদের ছবি ছাপা হয়েছে তারাও রয়েছে।' গতকাল রাজধানীর শ্যামলীতে ইউরোপিয়ান ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির এক অনুষ্ঠানে যোগ দেওয়ার পর স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে বলেন, 'এ নির্মম হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে যারা জড়িত, তাদের সবাইকে আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করা হবে।'
'খুঁটির জোরে' ওরা গ্রেপ্তার-বহিষ্কার হয়নি : জানা গেছে, ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের শনাক্ত ও ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য গত ১২ ডিসেম্বর বিজ্ঞান অনুষদভুক্ত পিওর সায়েন্সের ডিন অধ্যাপক কামরুল ইসলামকে প্রধান করে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ চার সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে। ওই দিনই কমিটি পাঁচজনকে শনাক্ত করে এবং কর্তৃপক্ষ তাদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থাও নেয়। এদের মধ্যে ছাত্রলীগকর্মী মোহাম্মাদ মাহফুজুর রহমান (নাহিদ) ও ইমদাদুল হকের সনদ বাতিল করা হয়। রফিকুল ইসলাম (শাকিল), মীর নূরে আলম ও ওবাইদুল কাদের (তাহসিন) নামের তিন ছাত্রকে স্থায়ী বহিষ্কার করা হয়।
গত বুধবার পর্যন্ত সন্দেহভাজন আরো ১৫ জনের তালিকা তৈরি করে উপাচার্যের দপ্তরে পাঠায় ওই কমিটি। সে তালিকা থেকে বৃহস্পতিবার চারজনকে বহিষ্কার করা হয়। বহিষ্কৃতরা হলো কাইয়ূম মিয়া টিপু, রাজন তালুকদার, সাইফুল ইসলাম ও জি এম রাশেদুজ্জামান শাওন।
এ পর্যন্ত ডিবি পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার হয়েছে রফিকুল ইসলাম শাকিল, মাহফুজুর রহমান নাহিদ, রাশেদুজ্জামান শাওন, সাইফুল ইসলাম, এইচ এম কিবরিয়া ও কাইয়ূম মিয়া টিপু। সূত্র জানায়, গ্রেপ্তার হওয়া আসামিদের সবাইকে বহিষ্কার করা হলেও কিবরিয়াকে এখনো বহিষ্কার করেনি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। বরিশাল অঞ্চলের প্রভাবশালী এক আওয়ামী লীগ নেতা কিবরিয়াকে বহিষ্কারের হাত থেকে বাঁচাতে চেষ্টা করে যাচ্ছেন বলে জানা গেছে। আর ইউনুস আলীকে বাঁচাতে মাগুরার এক ক্ষমতাধর ব্যক্তি তদবির করছেন।
গণমাধ্যমে প্রকাশিত ছবি ও বিভিন্ন সূত্রের তথ্যের ভিত্তিতে হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার ব্যাপারে অভিযুক্ত ২০ জনের তালিকা করা হলেও বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ১১ জনের বিরুদ্ধে এখনো কোনো ব্যবস্থা নেয়নি। এরা হলো আজিজুল হক, ইউনুস আলী, আবদুল্লাহ আল মামুন, আলাউদ্দিন, মোশারফ, কালা সুমন, সজীব, সোহেল, শিপলু, আলআমিন ও সঞ্জীব বসাক।
এদিকে গ্রেপ্তার হওয়ার পর পুলিশের কাছে ছয় আসামির দেওয়া তথ্য ও তদন্তে ঘটনার সঙ্গে জড়িত অন্তত ৩৩ জনের নাম উঠে আসে। এদের মধ্যে হামলায় অংশগ্রহণকারী ১৪ জনকে আলাদাভাবে শনাক্তও করেছে ডিবি পুলিশ। তবে এসব আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়নি। সূত্র জানায়, জগন্নাথের ছাত্রলীগের ২৭ কর্মী এখনো পলাতক আছে।
তদন্ত কমিটির সদস্যসচিব ও বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. অশোক কুমার সাহা এ বিষয়ে কালের কণ্ঠকে বলেন, 'তথ্য-প্রমাণের মাধ্যমে নিশ্চিত হওয়া গেলে অবশ্যই অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এখন পর্যন্ত ৯ জনের ব্যাপারেই নিশ্চিত হওয়া গেছে। ভবিষ্যতে প্রমাণ পাওয়া গেলে অন্যদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেওয়া হবে।'
ওদের বিরুদ্ধে অভিযোগ : বিশ্বজিৎ হত্যাকাণ্ডে গ্রেপ্তার হওয়া এইচ এম কিবরিয়া রিমান্ডে ঘটনাস্থলে উপস্থিত থাকার কথা অস্বীকার করেছে। তবে ভিডিও ফুটেজে তার সক্রিয় অংশগ্রহণের ব্যাপারে পুলিশ নিশ্চিত হয়েছে।
ছাত্রলীগের অভ্যন্তরীণ সংঘর্ষে জড়িত থাকার দায়ে তাকে ছাত্রলীগ থেকে বহিষ্কার করা হলেও সে নিয়মিতই দলের বিভিন্ন কর্মসূচি ও মিছিল-সমাবেশে অংশ নিত। কিবরিয়া ২০০৬-০৭ শিক্ষাবর্ষে বিশ্ববিদ্যালয়ের মনোবিজ্ঞান বিভাগে ভর্তি হয়। তার গ্রামের বাড়ি বরিশালের আগৈলঝাড়ায়। বাবা আতিকুর হাওলাদার সেনাবাহিনীর একজন অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তা। বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির পর কিবরিয়া প্রথমে এক নেতার হাত ধরে ছাত্রলীগের রাজনীতি শুরু করে। সর্বশেষ সাংগঠনিক সম্পাদক হওয়ার জন্য সে জীবনবৃত্তান্ত জমা দিয়েছিল। তার বিরুদ্ধে ক্যাম্পাসে সংঘর্ষ, আশপাশ এলাকায় চাঁদাবাজি ও হোটেলে ফাও খাওয়ার অভিযোগ রয়েছে।
পলাতক ইউনুস ঘটনার দিন প্রথম দিকেই বিশ্বজিতকে আঘাত করে। তার হাতে ছোট আকারের লাঠি ছিল। গ্রেপ্তার হওয়া শাকিল জিজ্ঞাসাবাদে পুলিশকে জানায়, ইউনুস ছুরি দিয়ে বিশ্বজিতকে আঘাত করেছিল। আরেক হামলাকারী নাহিদের পাশেই রড হাতে ফুলহাতা গেঞ্জি পরা আল-আমিনও বিশ্বজিৎকে বেধড়ক পেটাতে থাকে। নাহিদ ও সাইফুলের মাঝখানে যে বিশ্বজিতকে আঘাত করে সে হচ্ছে মিরাজ।
পুলিশের তদন্ত কমিটি নিয়ে লুকোচুরি : গত বৃহস্পতিবার বিশ্বজিৎ হত্যার সময় ঘটনাস্থলে দায়িত্বরত পুলিশের অবহেলা তদন্তে সদর দপ্তর থেকে একটি চিঠি পাঠিয়ে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনারকে তিন সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি করতে বলা হয়। এ আদেশের এক দিন পরও গতকাল পর্যন্ত তদন্ত কমিটি গঠিত হয়নি। এ ব্যাপারে ডিএমপির উপকমিশনার মাসুদুর রহমান কালের কণ্ঠকে বলেন, 'চিঠি পাওয়া গেছে, তবে এখনো কমিটি হয়নি।'
No comments