রয়টার্সের বিশ্লেষণ- সিরিয়ায় আল-কায়েদার প্রভাব বাড়ছে
ইরাকে আল-কায়েদার প্রভাব ক্রমশ কমে আসছে। কিন্তু প্রতিবেশী দেশ সিরিয়ায় তাদের অবস্থান ধীরে ধীরে জোরালো হচ্ছে। দেশটিতে জাতিগত বিরোধ এবং প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদের বিরুদ্ধে লড়াইকে কাজে লাগিয়ে তারা নিজেদের অবস্থান জোরালো করছে।
সিরিয়ায় আল-কায়েদার সহযোগী সংগঠন আল-নুসরা ফ্রন্ট। গত সপ্তাহে তাদের সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে তালিকাভুক্ত করেছে যুক্তরাষ্ট্র। পশ্চিমা বিশ্ব, বিশেষ করে ইসরায়েলবিরোধী মনোভাবকে কাজে লাগাচ্ছে আল-নুসরা ফ্রন্ট।
সিরিয়ায় শিয়া-সুন্নি বিরোধকে কাজে লাগিয়ে সুন্নিদের দলে ভেড়াচ্ছে আল-নুসরা ফ্রন্ট। সম্প্রতি রাজধানী দামেস্ক ও আলেপ্পো শহরে বড় বড় বোমা হামলার ঘটনায় দায় স্বীকার করেছে আল-নুসরা ফ্রন্ট। সরকারি গোয়েন্দাদের হিসাবমতে, দামেস্ক, দেরা, হামা ও হোমস প্রদেশে গত মাসের ৪৫টির বেশি হামলার দায় স্বীকার করেছে আল-নুসরা ফ্রন্ট।
আল-নুসরা ফ্রন্টের সদস্যরা জানিয়েছেন, তাঁরা সিরিয়ায় ইসলামি খেলাফত প্রতিষ্ঠা করতে চান। তাঁদের উদ্দেশ্য শঙ্কিত করে তুলেছে দেশের খ্রিষ্টধর্মাবলম্বীসহ সংখ্যালঘু শিয়া ও সুন্নিদের তুলনামূলক উদারপন্থীদের।
এ ছাড়া সিরিয়ার বাশারবিরোধী নতুন জোটের জন্য হুমকি আল-নুসরা। আসাদকে ক্ষমতা থেকে সরিয়ে দেশে একটি গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা দাঁড় করাতে চাইছে ওই জোট। গত সপ্তাহে তাদের স্বীকৃতি দিয়েছে কয়েকটি দেশ।
২৫ বছর বয়সী বিশ্ববিদ্যালয় স্নাতক ওমরকে জোর করে সেনাবাহিনীতে নিয়োগ দিয়েছিল বাশার বাহিনী। সুন্নি সম্প্রদায়ের হওয়ায় সেনাবাহিনীতে তাঁকে অনেক দমন-পীড়ন সইতে হয়েছে। সেনাবাহিনীর শীর্ষ পদগুলো শিয়া সম্প্রদায়ের দখলে।
ওমর জানান, তিনি সেনাবাহিনী ছেড়ে আল-নুসরা ফ্রন্টে যোগ দিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘আমাদের উদ্দেশ্য আসাদকে ক্ষমতাচ্যুত এবং সেনাবাহিনীর হাত থেকে দেশের জনগণকে রক্ষা করা। আমরা চাই ইসলামি খেলাফত প্রতিষ্ঠা করতে। ফ্রি সিরিয়ান আর্মির (বিদ্রোহীদের সেনা শাখা) অনেকেও আমাদের এই আদর্শের সঙ্গে একমত এবং ইসলামি রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করতে চায়।’
সিরিয়ায় শিয়া-সুন্নি বিরোধকে কাজে লাগিয়ে সুন্নিদের দলে ভেড়াচ্ছে আল-নুসরা ফ্রন্ট। সম্প্রতি রাজধানী দামেস্ক ও আলেপ্পো শহরে বড় বড় বোমা হামলার ঘটনায় দায় স্বীকার করেছে আল-নুসরা ফ্রন্ট। সরকারি গোয়েন্দাদের হিসাবমতে, দামেস্ক, দেরা, হামা ও হোমস প্রদেশে গত মাসের ৪৫টির বেশি হামলার দায় স্বীকার করেছে আল-নুসরা ফ্রন্ট।
আল-নুসরা ফ্রন্টের সদস্যরা জানিয়েছেন, তাঁরা সিরিয়ায় ইসলামি খেলাফত প্রতিষ্ঠা করতে চান। তাঁদের উদ্দেশ্য শঙ্কিত করে তুলেছে দেশের খ্রিষ্টধর্মাবলম্বীসহ সংখ্যালঘু শিয়া ও সুন্নিদের তুলনামূলক উদারপন্থীদের।
এ ছাড়া সিরিয়ার বাশারবিরোধী নতুন জোটের জন্য হুমকি আল-নুসরা। আসাদকে ক্ষমতা থেকে সরিয়ে দেশে একটি গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা দাঁড় করাতে চাইছে ওই জোট। গত সপ্তাহে তাদের স্বীকৃতি দিয়েছে কয়েকটি দেশ।
২৫ বছর বয়সী বিশ্ববিদ্যালয় স্নাতক ওমরকে জোর করে সেনাবাহিনীতে নিয়োগ দিয়েছিল বাশার বাহিনী। সুন্নি সম্প্রদায়ের হওয়ায় সেনাবাহিনীতে তাঁকে অনেক দমন-পীড়ন সইতে হয়েছে। সেনাবাহিনীর শীর্ষ পদগুলো শিয়া সম্প্রদায়ের দখলে।
ওমর জানান, তিনি সেনাবাহিনী ছেড়ে আল-নুসরা ফ্রন্টে যোগ দিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘আমাদের উদ্দেশ্য আসাদকে ক্ষমতাচ্যুত এবং সেনাবাহিনীর হাত থেকে দেশের জনগণকে রক্ষা করা। আমরা চাই ইসলামি খেলাফত প্রতিষ্ঠা করতে। ফ্রি সিরিয়ান আর্মির (বিদ্রোহীদের সেনা শাখা) অনেকেও আমাদের এই আদর্শের সঙ্গে একমত এবং ইসলামি রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করতে চায়।’
No comments