লকারবি-সংক্রান্ত তথ্য প্রকাশ করবে লিবিয়া
লকারবি বিমান হামলা-সংক্রান্ত সব নথিপত্র নতুন করে খোলার প্রস্তুতি নিচ্ছে লিবিয়ার নতুন সরকার। তাদের কাছে থাকা তথ্য প্রকাশেরও প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে। ব্রিটেনে নিযুক্ত লিবিয়ার রাষ্ট্রদূত মাহমুদ নাকুয়া এ তথ্য জানিয়েছেন।
এদিকে বেনগাজিতে মার্কিন কনস্যুলেটে হামলা-সংক্রান্ত তদন্ত প্রতিবেদন গ্রহণ করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা। আগামী বছরের শুরুতে নতুন পররাষ্ট্রমন্ত্রী দায়িত্ব নেওয়ার পরপরই অ্যাকাউন্টিবিলিটি রিভিউ বোর্ডের (এআরবি) ২৯টি সুপারিশের সবই বাস্তবায়নের আশ্বাস দিয়েছেন তিনি।
১৯৮৮ সালের ২১ ডিসেম্বর লন্ডন থেকে যুক্তরাষ্ট্রগামী একটি বিমান স্কটল্যান্ডের লকারবির আকাশে বিস্ফোরিত হয় এবং ২৭০ জন মারা যায়। বিমানে বোমা পাতার অভিযোগে ২০০১ সালে লিবিয়ার গুপ্তচর আবদেল বাসেত আল-মেগরাহিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়। তিনিই ছিলেন বোমা বিস্ফোরণের একমাত্র অভিযুক্ত। কিন্তু প্রোস্টেট ক্যান্সারের কারণে মেগরাহি আর মাত্র কয়েক মাস বাঁচবেন_এ রকম তথ্য পাওয়ার পর করুণা দেখিয়ে ২০০৯ সালের আগস্টে তাঁকে মুক্তি দেয় স্কটল্যান্ড সরকার। গত মে মাসে লিবিয়ায় মৃত্যু হয় মেগরাহির।
মাহমুদ নাকুয়া জানান, স্কটল্যান্ডের প্রধান আইনজীবী লকারবি হামলা-সংক্রান্ত তথ্যের জন্য লিবীয় সরকারের কাছে লিখিত অনুরোধ জানিয়েছেন। স্কটল্যান্ডের লর্ড অ্যাডভোকেট ফ্রাংক মুলহল্যান্ড যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় তদন্ত ব্যুরো এফবিআইয়ের পরিচালক রবার্ট মুলারকে সঙ্গে নিয়ে এ ব্যাপারে গত এপ্রিলে ত্রিপোলি সফর করেন। মে মাসে লকারবি তদন্ত-সংক্রান্ত এক বৈঠকেও যোগ দেন লিবিয়ার তৎকালীন অন্তর্বর্তী প্রধানমন্ত্রী। ব্রিটিশ সরকারও লকারবি বিস্ফোরণের মামলায় লিবিয়াকে সহযোগিতার ও দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে। নাকুয়া জানান, এ-সংক্রান্ত যেসব তথ্য তাঁদের কাছে আছে, এর সবই প্রকাশের প্রস্তুতি নিচ্ছে সরকার। দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়ার পর এসব নথি প্রকাশিত হতে পারে এবং এর জন্য আরো প্রায় এক বছর লেগে যেতে পারে বলেও জানান নাকুয়া।
এদিকে গত ১১ সেপ্টেম্বর বেনগাজিতে মার্কিন কনস্যুলেটে হামলা-সংক্রান্ত তদন্ত প্রতিবেদন গ্রহণ করেছেন প্রেসিডেন্ট ওবামা। সূত্র : বিবিসি, জিনিউজ।
১৯৮৮ সালের ২১ ডিসেম্বর লন্ডন থেকে যুক্তরাষ্ট্রগামী একটি বিমান স্কটল্যান্ডের লকারবির আকাশে বিস্ফোরিত হয় এবং ২৭০ জন মারা যায়। বিমানে বোমা পাতার অভিযোগে ২০০১ সালে লিবিয়ার গুপ্তচর আবদেল বাসেত আল-মেগরাহিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়। তিনিই ছিলেন বোমা বিস্ফোরণের একমাত্র অভিযুক্ত। কিন্তু প্রোস্টেট ক্যান্সারের কারণে মেগরাহি আর মাত্র কয়েক মাস বাঁচবেন_এ রকম তথ্য পাওয়ার পর করুণা দেখিয়ে ২০০৯ সালের আগস্টে তাঁকে মুক্তি দেয় স্কটল্যান্ড সরকার। গত মে মাসে লিবিয়ায় মৃত্যু হয় মেগরাহির।
মাহমুদ নাকুয়া জানান, স্কটল্যান্ডের প্রধান আইনজীবী লকারবি হামলা-সংক্রান্ত তথ্যের জন্য লিবীয় সরকারের কাছে লিখিত অনুরোধ জানিয়েছেন। স্কটল্যান্ডের লর্ড অ্যাডভোকেট ফ্রাংক মুলহল্যান্ড যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় তদন্ত ব্যুরো এফবিআইয়ের পরিচালক রবার্ট মুলারকে সঙ্গে নিয়ে এ ব্যাপারে গত এপ্রিলে ত্রিপোলি সফর করেন। মে মাসে লকারবি তদন্ত-সংক্রান্ত এক বৈঠকেও যোগ দেন লিবিয়ার তৎকালীন অন্তর্বর্তী প্রধানমন্ত্রী। ব্রিটিশ সরকারও লকারবি বিস্ফোরণের মামলায় লিবিয়াকে সহযোগিতার ও দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে। নাকুয়া জানান, এ-সংক্রান্ত যেসব তথ্য তাঁদের কাছে আছে, এর সবই প্রকাশের প্রস্তুতি নিচ্ছে সরকার। দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়ার পর এসব নথি প্রকাশিত হতে পারে এবং এর জন্য আরো প্রায় এক বছর লেগে যেতে পারে বলেও জানান নাকুয়া।
এদিকে গত ১১ সেপ্টেম্বর বেনগাজিতে মার্কিন কনস্যুলেটে হামলা-সংক্রান্ত তদন্ত প্রতিবেদন গ্রহণ করেছেন প্রেসিডেন্ট ওবামা। সূত্র : বিবিসি, জিনিউজ।
No comments