ছয় বাংলাদেশির একজনের পালিয়ে রক্ষা- প্রেম-বিয়ে নিয়ে সীমান্ত জটিলতা
বাংলাদেশ ও ভারতের দুই তরুণ-তরুণীর প্রেম-বিয়ে সামীন্তে জটিলতার সৃষ্টি করেছে। তাঁরা দুজন রয়েছেন বাংলাদেশের জেলে। আর তাঁদের কারণে ভারতে আটকা রয়েছেন পাঁচজন। এ নিয়ে দুই দেশের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী তৎপর হয়ে উঠেছে।
ভারতের তরুণী বাংলাদেশের ওই তরুণের জন্য সীমান্ত পাড়ি দিয়ে চলে আসেন। ব্যবসায়িক খাতিরে আগে থেকেই তরুণের সঙ্গে তাঁর জানাশোনা ছিল। মেয়ের বাবা এতে রাজি নন। এ কারণে সবার অজান্তে ভিন দেশে পাড়ি জমান। কিন্তু তাঁর বাবা নাছোড়বান্দা। কৌশলে পাল্টা প্রতিশোধ নিতে ছয় তরুণকে সীমান্তের ওপারে আটকে ফেলেন।
ভারতে আটকে থাকা ছয় বাংলাদেশির একজন পালিয়ে এসেছেন। তাঁর নাম রাসেল (২০)। তিনি লালমনিরহাটের পাটগ্রাম উপজেলার আউলিয়ার হাটের বছির মুন্সির ছেলে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, বাংলাদেশি এক যুবকের হাত ধরে পালিয়ে আসা ভারতীয় তরুণীর বাবার জিম্মিদশা থেকে গতকাল শুক্রবার পালিয়ে এসেছেন রাসেল। গত রোববার সকালে বিএসএফ পাটগ্রামের শ্রীরামপুরের হামিদুল হক (২৭) ও সায়েদ (২০), ঝালঙ্গী এলাকার সুজন (২২) ও শরিফুল (১৮) এবং ইসলামপুর এলাকার আবেদ আলীর (২২) সঙ্গে রাসেলকে সীমান্তের ভেতর থেকে ধরে নিয়ে যায়।
এদিকে গতকাল রাতে বিবিসি বাংলার খবরে বলা হয়েছে, ‘ভারতে আটক অপর পাঁচ বাংলাদেশিকে সে দেশের পুলিশ শুক্রবার আদালতে তুলেছে। আদালত তাঁদের বিচার বিভাগীয় হেফাজতে রাখার নির্দেশ দিয়েছেন।’
ভারতের কোচবিহার জেলার মেখলিগঞ্জ থানার কর্মকর্তা বিশ্বাস রায় সরকারকে উদ্ধৃত করে বিবিসির খবরে আরও বলা হয়, ‘বাংলাদেশি ওই ব্যক্তিরা অবৈধভাবে ভারতে ঢোকেন। খবর পেয়ে পুলিশ তাঁদের আটক করে।’
গতকাল প্রথম আলোয় ‘বাংলাদেশি প্রেমিকসহ ভারতীয় তরুণী কারাগারে ও ছয় বাংলাদেশিকে চার দিনেও ফেরত দেয়নি বিএসএফ’ শিরোনামে খবর প্রকাশিত হয়।
পাটগ্রামের শ্রীরামপুর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) ৪ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য আহম্মদ আলী ও ৬ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য আবদুর রহমান বলেন, তরুণীর বাবার কবল থেকে কৌশলে রাসেল পালিয়ে বাড়িতে এসেছেন। কয়েক দিন ধরে ছয় বাংলাদেশিকে একাধিক বাড়িতে আটকে রাখা হয় বলে রাসেল ওই ইউপি সদস্যদের জানান।
দুই ভারতীয় আটক: অন্যদিকে হাতীবান্ধা উপজেলার আমঝোল সীমান্তের ভেতরে ঢুকে গতকাল বিএসএফ আরেক বাংলাদেশি কৃষককে ধরে নিয়ে গেছে। ওই ব্যক্তি হলেন আমঝোল গ্রামের নয়নউদ্দিনের ছেলে বাছেদ আলী (৩৮)। এর আগে গত মঙ্গলবার উপজেলার দইখাওয়া সীমান্ত থেকে সৈয়দ আলীর ছেলে শওকত আলীকে (৪৮) ভারতের মরিচাবাড়ী বিএসএফ ক্যাম্পের সদস্যরা ধরে নিয়ে যান। এখন পর্যন্ত তাঁকে ফেরত দেওয়া হয়নি।
বিজিবি দইখাওয়া ক্যাম্পের কোম্পানি কমান্ডার সুবেদার রুহুল আমিন বলেন, ‘বাংলাদেশিদের ধরে নিয়ে যাওয়ার প্রতিবাদ জানিয়ে ও তাঁদের ফেরত দেওয়ার দাবিতে ওই পতাকা বৈঠকের আহ্বান করা হয়।’
ভারতে আটকে থাকা ছয় বাংলাদেশির একজন পালিয়ে এসেছেন। তাঁর নাম রাসেল (২০)। তিনি লালমনিরহাটের পাটগ্রাম উপজেলার আউলিয়ার হাটের বছির মুন্সির ছেলে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, বাংলাদেশি এক যুবকের হাত ধরে পালিয়ে আসা ভারতীয় তরুণীর বাবার জিম্মিদশা থেকে গতকাল শুক্রবার পালিয়ে এসেছেন রাসেল। গত রোববার সকালে বিএসএফ পাটগ্রামের শ্রীরামপুরের হামিদুল হক (২৭) ও সায়েদ (২০), ঝালঙ্গী এলাকার সুজন (২২) ও শরিফুল (১৮) এবং ইসলামপুর এলাকার আবেদ আলীর (২২) সঙ্গে রাসেলকে সীমান্তের ভেতর থেকে ধরে নিয়ে যায়।
এদিকে গতকাল রাতে বিবিসি বাংলার খবরে বলা হয়েছে, ‘ভারতে আটক অপর পাঁচ বাংলাদেশিকে সে দেশের পুলিশ শুক্রবার আদালতে তুলেছে। আদালত তাঁদের বিচার বিভাগীয় হেফাজতে রাখার নির্দেশ দিয়েছেন।’
ভারতের কোচবিহার জেলার মেখলিগঞ্জ থানার কর্মকর্তা বিশ্বাস রায় সরকারকে উদ্ধৃত করে বিবিসির খবরে আরও বলা হয়, ‘বাংলাদেশি ওই ব্যক্তিরা অবৈধভাবে ভারতে ঢোকেন। খবর পেয়ে পুলিশ তাঁদের আটক করে।’
গতকাল প্রথম আলোয় ‘বাংলাদেশি প্রেমিকসহ ভারতীয় তরুণী কারাগারে ও ছয় বাংলাদেশিকে চার দিনেও ফেরত দেয়নি বিএসএফ’ শিরোনামে খবর প্রকাশিত হয়।
পাটগ্রামের শ্রীরামপুর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) ৪ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য আহম্মদ আলী ও ৬ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য আবদুর রহমান বলেন, তরুণীর বাবার কবল থেকে কৌশলে রাসেল পালিয়ে বাড়িতে এসেছেন। কয়েক দিন ধরে ছয় বাংলাদেশিকে একাধিক বাড়িতে আটকে রাখা হয় বলে রাসেল ওই ইউপি সদস্যদের জানান।
দুই ভারতীয় আটক: অন্যদিকে হাতীবান্ধা উপজেলার আমঝোল সীমান্তের ভেতরে ঢুকে গতকাল বিএসএফ আরেক বাংলাদেশি কৃষককে ধরে নিয়ে গেছে। ওই ব্যক্তি হলেন আমঝোল গ্রামের নয়নউদ্দিনের ছেলে বাছেদ আলী (৩৮)। এর আগে গত মঙ্গলবার উপজেলার দইখাওয়া সীমান্ত থেকে সৈয়দ আলীর ছেলে শওকত আলীকে (৪৮) ভারতের মরিচাবাড়ী বিএসএফ ক্যাম্পের সদস্যরা ধরে নিয়ে যান। এখন পর্যন্ত তাঁকে ফেরত দেওয়া হয়নি।
বিজিবি দইখাওয়া ক্যাম্পের কোম্পানি কমান্ডার সুবেদার রুহুল আমিন বলেন, ‘বাংলাদেশিদের ধরে নিয়ে যাওয়ার প্রতিবাদ জানিয়ে ও তাঁদের ফেরত দেওয়ার দাবিতে ওই পতাকা বৈঠকের আহ্বান করা হয়।’
No comments