মালিতে সেনা পাঠানোর প্রস্তাবে নিরাপত্তা পরিষদের অনুমোদন
মালির উত্তরাঞ্চলে ইসলামপন্থী জঙ্গিদের দমনে আফ্রিকার দেশগুলোর নেতৃত্বে সেনা পাঠানোর প্রস্তাব সর্বসম্মতিক্রমে গ্রহণ করেছে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদ। তবে সামরিক অভিযান চালানোর আগে রাজনৈতিক উপায়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের সর্বোচ্চ চেষ্টার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
যেকোনো ধরনের সামরিক অভিযানের পরিকল্পনা নিরাপত্তা পরিষদ থেকে অনুমোদন করিয়ে নেওয়ারও বাধ্যবাধকতা আরোপ করা হয়েছে।
গত বৃহস্পতিবার নিরাপত্তা পরিষদের ১৫ সদস্য রাষ্ট্রের সবাই মালিতে আফ্রিকার দেশগুলোর নেতৃত্বে সামরিক বাহিনী পাঠানোর প্রস্তাব অনুমোদন করে। এতে বলা হয়, 'সন্ত্রাসবাদ, চরমপন্থা ও সশস্ত্র সংগঠনগুলোকে নিয়ন্ত্রণে মালির সরকারকে সাহায্যের জন্য আগামী এক বছরে প্রয়োজনীয় সব পদক্ষেপ নেওয়ার অনুমোদন দেওয়া হচ্ছে এই বাহিনীকে।' পশ্চিম আফ্রিকার দেশগুলোর অর্থনৈতিক সংগঠন ইকোয়াস (ইকোনমিক কমিউনিটি অব ওয়েস্ট আফ্রিকান স্টেটস) জানায়, মালি সরকারকে সাহায্যের জন্য তিন হাজার ৩০০ সেনার একটি দল তৈরি রেখেছে তারা। এই দল সামরিক অভিযানে মালির সেনাদের সাহায্য করবে। তবে আগামী সেপ্টেম্বরের আগে সামরিক অভিযানের সম্ভাবনা নেই বলেও জানায় তারা।
গত মার্চে মালিতে সেনা অভ্যুত্থানের পরপরই দেশটির উত্তরাঞ্চলের নিয়ন্ত্রণ নেয় ইসলামী জঙ্গি ও তুয়ারেগ বিদ্রোহীরা। জাতিসংঘ অভিযোগ করে, জঙ্গিরা নিয়ন্ত্রিত এলাকায় ইসলামী শরিয়াহ আইন চালুর নামে লোকজনের ওপর নির্যাতন চালাচ্ছে। ওই এলাকায় নিষ্ঠুরতা দিনদিন বেড়েই চলছে। গত কয়েক মাসে সেখানে চার লাখেরও বেশি মানুষ আশ্রয়হীন হয়। সেনা অভ্যুত্থানের পর অন্তর্বর্তী সরকার ক্ষমতায় এসেও জঙ্গিদের দমনের উদ্যোগ নিতে ব্যর্থ হয়েছে। ইকোওয়াস সেনা পাঠানোর প্রস্তাব দিলে ফ্রান্স ও যুক্তরাষ্ট্র এ ব্যাপারে আলোচনা করে এবং এ-সংক্রান্ত প্রস্তাব নিরাপত্তা পরিষদে উত্থাপন করে।
প্রস্তাবে মালির উত্তরাঞ্চলে সক্রিয় অন্য ইসলামপন্থী দলগুলোর বিরুদ্ধে তুয়ারেগ বিদ্রোহীদের নিয়ে জোট গঠনের কথা বলা হয়েছে। পাশাপাশি ইউরোপীয় দেশগুলোসহ আন্তর্জাতিক বাহিনী ও আফ্রিকার দেশগুলোর নেতৃত্বাধীন বাহিনীকে মালির সেনাবাহিনীকে প্রশিক্ষণ দেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। সামরিক অভিযান চালানোর প্রয়োজন হলে নিরাপত্তা পরিষদের অনুমতি লাগবে এবং জাতিসংঘ মহাসচিব বান কি-মুন, ইকোওয়াস, আফ্রিকান ইউনিয়ন ও সংশ্লিষ্ট দেশগুলোকে এ ব্যাপারে সতর্ক থাকতে হবে বলেও উল্লেখ করা হয়েছে। মালিতে বিদেশি বাহিনীকে সাহায্যের জন্য নতুন তহবিল গঠনের কথা বিবেচনা করছে নিরাপত্তা পরিষদ। সূত্র : এএফপি।
গত বৃহস্পতিবার নিরাপত্তা পরিষদের ১৫ সদস্য রাষ্ট্রের সবাই মালিতে আফ্রিকার দেশগুলোর নেতৃত্বে সামরিক বাহিনী পাঠানোর প্রস্তাব অনুমোদন করে। এতে বলা হয়, 'সন্ত্রাসবাদ, চরমপন্থা ও সশস্ত্র সংগঠনগুলোকে নিয়ন্ত্রণে মালির সরকারকে সাহায্যের জন্য আগামী এক বছরে প্রয়োজনীয় সব পদক্ষেপ নেওয়ার অনুমোদন দেওয়া হচ্ছে এই বাহিনীকে।' পশ্চিম আফ্রিকার দেশগুলোর অর্থনৈতিক সংগঠন ইকোয়াস (ইকোনমিক কমিউনিটি অব ওয়েস্ট আফ্রিকান স্টেটস) জানায়, মালি সরকারকে সাহায্যের জন্য তিন হাজার ৩০০ সেনার একটি দল তৈরি রেখেছে তারা। এই দল সামরিক অভিযানে মালির সেনাদের সাহায্য করবে। তবে আগামী সেপ্টেম্বরের আগে সামরিক অভিযানের সম্ভাবনা নেই বলেও জানায় তারা।
গত মার্চে মালিতে সেনা অভ্যুত্থানের পরপরই দেশটির উত্তরাঞ্চলের নিয়ন্ত্রণ নেয় ইসলামী জঙ্গি ও তুয়ারেগ বিদ্রোহীরা। জাতিসংঘ অভিযোগ করে, জঙ্গিরা নিয়ন্ত্রিত এলাকায় ইসলামী শরিয়াহ আইন চালুর নামে লোকজনের ওপর নির্যাতন চালাচ্ছে। ওই এলাকায় নিষ্ঠুরতা দিনদিন বেড়েই চলছে। গত কয়েক মাসে সেখানে চার লাখেরও বেশি মানুষ আশ্রয়হীন হয়। সেনা অভ্যুত্থানের পর অন্তর্বর্তী সরকার ক্ষমতায় এসেও জঙ্গিদের দমনের উদ্যোগ নিতে ব্যর্থ হয়েছে। ইকোওয়াস সেনা পাঠানোর প্রস্তাব দিলে ফ্রান্স ও যুক্তরাষ্ট্র এ ব্যাপারে আলোচনা করে এবং এ-সংক্রান্ত প্রস্তাব নিরাপত্তা পরিষদে উত্থাপন করে।
প্রস্তাবে মালির উত্তরাঞ্চলে সক্রিয় অন্য ইসলামপন্থী দলগুলোর বিরুদ্ধে তুয়ারেগ বিদ্রোহীদের নিয়ে জোট গঠনের কথা বলা হয়েছে। পাশাপাশি ইউরোপীয় দেশগুলোসহ আন্তর্জাতিক বাহিনী ও আফ্রিকার দেশগুলোর নেতৃত্বাধীন বাহিনীকে মালির সেনাবাহিনীকে প্রশিক্ষণ দেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। সামরিক অভিযান চালানোর প্রয়োজন হলে নিরাপত্তা পরিষদের অনুমতি লাগবে এবং জাতিসংঘ মহাসচিব বান কি-মুন, ইকোওয়াস, আফ্রিকান ইউনিয়ন ও সংশ্লিষ্ট দেশগুলোকে এ ব্যাপারে সতর্ক থাকতে হবে বলেও উল্লেখ করা হয়েছে। মালিতে বিদেশি বাহিনীকে সাহায্যের জন্য নতুন তহবিল গঠনের কথা বিবেচনা করছে নিরাপত্তা পরিষদ। সূত্র : এএফপি।
No comments