যুক্তরাষ্ট্রে অস্ত্রের বিনিময়ে অর্থ কর্মসূচি, ব্যাপক সাড়া by ইব্রাহীম চৌধুরী
অস্ত্রের বিনিময়ে অর্থ কর্মসূচি শুরু হয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন নগরে। বৈধ-অবৈধ অস্ত্র ফেরত দেওয়ার বিনিময়ে নগদ অর্থ দেওয়া হচ্ছে। অস্ত্র জমাদানকারীকে কোনো প্রশ্ন করা হচ্ছে না, পরিচয় খোঁজা হচ্ছে না। খুঁজে দেখা হচ্ছে না জমা পড়া অস্ত্রটি বৈধ, না অবৈধ।
জনসাধারণের কাছে ব্যাপক হারে ছড়িয়ে থাকা অস্ত্র উদ্ধারের এ কর্মসূচিতে ব্যাপক সাড়া মিলেছে।
গত শুক্রবার কানেটিকাট অঙ্গরাজ্যে গুলি চালিয়ে ২০ শিশুসহ ২৬ জনকে হত্যা করা হয়। হত্যাকারী নিজেও বন্দুকের গুলিতে আত্মহত্যা করে। কানেটিকাট ট্র্যাজেডির পর অবাধ অস্ত্রের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সর্বত্র এখন আলোচনা-সমালোচনা তুঙ্গে। প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা থেকে শুরু করে গুরুত্বপূর্ণ আইনপ্রণেতারা সোচ্চার হয়ে উঠেছেন অস্ত্র আইনের গুরুত্বপূর্ণ পরিবর্তনের জন্য। জাতীয়ভাবে অস্ত্র নিয়ন্ত্রণ আইন নিয়ে নতুন বিতর্ক শুরু হয়েছে। স্বার্থসংশ্লিষ্ট সব পক্ষকে সামাল দিয়ে অস্ত্র নিয়ন্ত্রণ আইন প্রণয়ন এখন ওবামার জন্য নতুন রাজনৈতিক চ্যালেঞ্জ।
রাজ্য সরকারগুলো এরই মধ্যে পুরোনো একটি কর্মসূচি নিয়ে অস্ত্র উদ্ধারে ব্যাপকভাবে মাঠে নেমেছে। নগর ভবন, গির্জাসহ চিহ্নিত স্থাপনায় স্বেচ্ছায় অস্ত্র জমা দেওয়ার আহ্বান জানানো হচ্ছে। বৈধ ও অবৈধ অস্ত্রের জন্য নির্দিষ্ট হারে অর্থ দেওয়া হচ্ছে। নিউ জার্সি অঙ্গরাজ্যের ক্যামডেন শহরে ইতিমধ্যে এক হাজার ১৩৭টি আগ্নেয়াস্ত্র জমা পড়েছে। রাজ্যের অ্যাটর্নি জেনারেল জেফরি চেইমা বলেছেন, কানেটিকাট ট্র্যাজেডির কারণে জনসাধারণের মধ্যে এক ধরনের তাড়না সৃষ্টি হয়েছে।
জেফরি চেইমা জানিয়েছেন, জমা পড়া অস্ত্রের ৯০ ভাগই সচল ও ব্যবহারযোগ্য। প্রতিটি আগ্নেয়াস্ত্রের জন্য ২৫০ ডলার করে দেওয়া হয়েছে। ব্যাপক সাড়া পড়ায় ‘অস্ত্রের বিনিময়ে অর্থ’ কর্মসূচির সমুদয় তহবিল গত বুধবার দুপুরেই শেষ হয়ে যায়।
প্রভাবশালী দৈনিক সিয়াটল টাইমস-এ গত বুধবারের সংখ্যায় এক সম্পাদকীয়তে জাতীয়ভাবে অর্থের বিনিময়ে অস্ত্র কর্মসূচি জোরদার করার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। সিয়াটল টাইমস বলেছে, ব্যাপক অর্থ বরাদ্দ দিয়ে এ কর্মসূচি চালু করলে জনগণের মধ্যে ছড়িয়ে থাকা উল্লেখযোগ্যসংখ্যক আগ্নেয়াস্ত্র কর্তৃপক্ষের সংগ্রহে চলে আসবে। চলমান অর্থনৈতিক বাস্তবতায় টানাপোড়েনে থাকা লোকজন অস্ত্র জমা দিয়ে অর্থ সংগ্রহ করবে। জনগণের কাছে যাওয়া এ অর্থ যুক্তরাষ্ট্রের বর্তমান অর্থনীতির জন্যও ইতিবাচক হবে বলে সিয়াটল টাইমস জানায়।
মার্কিনদের অস্ত্র ব্যবহারে বিধিনিষেধ আরোপে ইতিমধ্যে প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা তাঁর দলের সিনেটরদের আগামী কংগ্রেস অধিবেশনে অস্ত্র নিয়ন্ত্রণআইনসংক্রান্ত একটি বিল উত্থাপন করার প্রস্তুতি নিতে নির্দেশ দিয়েছেন। ওই বিলে তিনি ‘সক্রিয়ভাবে সমর্থন’ দেবেন বলেও প্রেসিডেন্টের মুখপাত্র জে কার্নে গত মঙ্গলবার জানান।
গত শুক্রবার কানেটিকাট অঙ্গরাজ্যে গুলি চালিয়ে ২০ শিশুসহ ২৬ জনকে হত্যা করা হয়। হত্যাকারী নিজেও বন্দুকের গুলিতে আত্মহত্যা করে। কানেটিকাট ট্র্যাজেডির পর অবাধ অস্ত্রের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সর্বত্র এখন আলোচনা-সমালোচনা তুঙ্গে। প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা থেকে শুরু করে গুরুত্বপূর্ণ আইনপ্রণেতারা সোচ্চার হয়ে উঠেছেন অস্ত্র আইনের গুরুত্বপূর্ণ পরিবর্তনের জন্য। জাতীয়ভাবে অস্ত্র নিয়ন্ত্রণ আইন নিয়ে নতুন বিতর্ক শুরু হয়েছে। স্বার্থসংশ্লিষ্ট সব পক্ষকে সামাল দিয়ে অস্ত্র নিয়ন্ত্রণ আইন প্রণয়ন এখন ওবামার জন্য নতুন রাজনৈতিক চ্যালেঞ্জ।
রাজ্য সরকারগুলো এরই মধ্যে পুরোনো একটি কর্মসূচি নিয়ে অস্ত্র উদ্ধারে ব্যাপকভাবে মাঠে নেমেছে। নগর ভবন, গির্জাসহ চিহ্নিত স্থাপনায় স্বেচ্ছায় অস্ত্র জমা দেওয়ার আহ্বান জানানো হচ্ছে। বৈধ ও অবৈধ অস্ত্রের জন্য নির্দিষ্ট হারে অর্থ দেওয়া হচ্ছে। নিউ জার্সি অঙ্গরাজ্যের ক্যামডেন শহরে ইতিমধ্যে এক হাজার ১৩৭টি আগ্নেয়াস্ত্র জমা পড়েছে। রাজ্যের অ্যাটর্নি জেনারেল জেফরি চেইমা বলেছেন, কানেটিকাট ট্র্যাজেডির কারণে জনসাধারণের মধ্যে এক ধরনের তাড়না সৃষ্টি হয়েছে।
জেফরি চেইমা জানিয়েছেন, জমা পড়া অস্ত্রের ৯০ ভাগই সচল ও ব্যবহারযোগ্য। প্রতিটি আগ্নেয়াস্ত্রের জন্য ২৫০ ডলার করে দেওয়া হয়েছে। ব্যাপক সাড়া পড়ায় ‘অস্ত্রের বিনিময়ে অর্থ’ কর্মসূচির সমুদয় তহবিল গত বুধবার দুপুরেই শেষ হয়ে যায়।
প্রভাবশালী দৈনিক সিয়াটল টাইমস-এ গত বুধবারের সংখ্যায় এক সম্পাদকীয়তে জাতীয়ভাবে অর্থের বিনিময়ে অস্ত্র কর্মসূচি জোরদার করার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। সিয়াটল টাইমস বলেছে, ব্যাপক অর্থ বরাদ্দ দিয়ে এ কর্মসূচি চালু করলে জনগণের মধ্যে ছড়িয়ে থাকা উল্লেখযোগ্যসংখ্যক আগ্নেয়াস্ত্র কর্তৃপক্ষের সংগ্রহে চলে আসবে। চলমান অর্থনৈতিক বাস্তবতায় টানাপোড়েনে থাকা লোকজন অস্ত্র জমা দিয়ে অর্থ সংগ্রহ করবে। জনগণের কাছে যাওয়া এ অর্থ যুক্তরাষ্ট্রের বর্তমান অর্থনীতির জন্যও ইতিবাচক হবে বলে সিয়াটল টাইমস জানায়।
মার্কিনদের অস্ত্র ব্যবহারে বিধিনিষেধ আরোপে ইতিমধ্যে প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা তাঁর দলের সিনেটরদের আগামী কংগ্রেস অধিবেশনে অস্ত্র নিয়ন্ত্রণআইনসংক্রান্ত একটি বিল উত্থাপন করার প্রস্তুতি নিতে নির্দেশ দিয়েছেন। ওই বিলে তিনি ‘সক্রিয়ভাবে সমর্থন’ দেবেন বলেও প্রেসিডেন্টের মুখপাত্র জে কার্নে গত মঙ্গলবার জানান।
No comments