ইটভাটার মধ্যে করাতকল
নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে ঠাকুরগাঁওয়ের পীরগঞ্জ উপজেলায় তিনটি ইটভাটার মাঝখানে করাতকল বসানো হয়েছে। ‘সেভেন বি’ নামের ইটভাটার মালিক জাহিদুল ইসলাম ওই করাতকল বসিয়েছেন।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, ইটভাটায় জ্বালানি কাঠ পোড়ানোর জন্য গাছ চেরাই করতে চার বছর আগে এ করাতকল বসানো হয়। তবে এর জন্য বন বিভাগ এবং পরিবেশ অধিদপ্তর থেকে কোনো অনুমতি নেওয়া হয়নি।
গত বুধবার সরেজমিনে দেখা গেছে, উপজেলা সদর থেকে দুই কিলোমিটার পূর্বে পীরগঞ্জ-বীরগঞ্জ সড়কের পাশে পীরগঞ্জ টেকনিক্যাল ও বিএম কলেজের শ্রেণীকক্ষের দেয়ালঘেঁষে বড় বড় কাঠের স্তূপ। কাঠের স্তূপের দক্ষিণ পাশেই একটি করাতকল। এর ৫০ গজ পশ্চিমে গুয়াগাঁও গ্রামে মো. শাহজাহানের ‘এমবি ব্রিকস’, ১৫০ গজ উত্তরে গুয়াগাঁও-ভেমটিয়া গ্রামে মিজানুর রহমানের ‘এসবি ব্রিকস’ ও প্রায় ৩০০ গজ দক্ষিণে করাতকলের মালিক জাহিদুল ইসলামের ‘সেভেন বি ব্রিকস’ নামের ইটভাটা অবস্থিত।
ইটভাটার একাধিক মালিকের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, একটি ইটভাটায় একবারে সাড়ে চার থেকে পাঁচ লাখ ইট পোড়াতে ২০-২২ দিন সময় লাগে। এই সময় কমপক্ষে পাঁচ হাজার মণ জ্বালানির প্রয়োজন হয়। আবহাওয়া ভালো থাকলে এক মৌসুমে নয়-দশবারে ৪৫-৪৮ লাখ ইট পোড়ানো সম্ভব। এই পরিমাণ ইট পোড়াতে ৪৫ থেকে ৫০ হাজার মণ (প্রায় দুই হাজার মেট্রিক টন) জ্বালানি কাঠ পোড়াতে হয়।
জাহিদুল ইসলাম বলেন, ‘আমি কাঠের ব্যবসা করি। আমার ভাটায় সব সময় কয়লা জ্বালাই, তবে বিশেষ দরকারে ভাটায় কাঠ পোড়াতে হয়। এসব কাঠ চেরাই করতেই আমি নিজের জায়গায় করাতকল বসিয়েছি।’
ঠাকুরগাঁও সহকারী বন সংরক্ষক মতিউর রহমান জানান, সংরক্ষিত বনাঞ্চল থেকে ১০ কিলোমিটার এবং সীমান্ত এলাকা থেকে পাঁচ কিলোমিটারের মধ্যে কোনো করাতকল স্থাপন করা যাবে না। পীরগঞ্জের থুমনিয়া সংরক্ষিত বনাঞ্চল থেকে এ করাতকলের দূরত্ব দুই কিলোমিটারের বেশি হবে না। উপজেলা প্রশাসন এ ব্যাপারে আইনগত ব্যবস্থা নেবে।
পীরগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সাব্বির আহমেদ বলেন, ‘এ ধরনের কোনো ঘটনা আমার জানা নেই। বিষয়টি সরেজমিনে তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
পরিবেশ অধিদপ্তরের রংপুর আঞ্চলিক কর্মকর্তা সুকুমার সাহা জানান, ইটভাটায় যেকোনো ধরনের উদ্ভিজ্জ বস্তু (কাঠ, বাঁশের মুড়া ইত্যাদি) জ্বালানি হিসেবে ব্যবহার নিষিদ্ধ। আর ইটভাটার পাশে করাতকল বসানো সম্পূর্ণ অবৈধ। তাই পরিবেশ অধিদপ্তর থেকে এ ব্যাপারে কোনো অনুমতি দেওয়া হয় না।
গত বুধবার সরেজমিনে দেখা গেছে, উপজেলা সদর থেকে দুই কিলোমিটার পূর্বে পীরগঞ্জ-বীরগঞ্জ সড়কের পাশে পীরগঞ্জ টেকনিক্যাল ও বিএম কলেজের শ্রেণীকক্ষের দেয়ালঘেঁষে বড় বড় কাঠের স্তূপ। কাঠের স্তূপের দক্ষিণ পাশেই একটি করাতকল। এর ৫০ গজ পশ্চিমে গুয়াগাঁও গ্রামে মো. শাহজাহানের ‘এমবি ব্রিকস’, ১৫০ গজ উত্তরে গুয়াগাঁও-ভেমটিয়া গ্রামে মিজানুর রহমানের ‘এসবি ব্রিকস’ ও প্রায় ৩০০ গজ দক্ষিণে করাতকলের মালিক জাহিদুল ইসলামের ‘সেভেন বি ব্রিকস’ নামের ইটভাটা অবস্থিত।
ইটভাটার একাধিক মালিকের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, একটি ইটভাটায় একবারে সাড়ে চার থেকে পাঁচ লাখ ইট পোড়াতে ২০-২২ দিন সময় লাগে। এই সময় কমপক্ষে পাঁচ হাজার মণ জ্বালানির প্রয়োজন হয়। আবহাওয়া ভালো থাকলে এক মৌসুমে নয়-দশবারে ৪৫-৪৮ লাখ ইট পোড়ানো সম্ভব। এই পরিমাণ ইট পোড়াতে ৪৫ থেকে ৫০ হাজার মণ (প্রায় দুই হাজার মেট্রিক টন) জ্বালানি কাঠ পোড়াতে হয়।
জাহিদুল ইসলাম বলেন, ‘আমি কাঠের ব্যবসা করি। আমার ভাটায় সব সময় কয়লা জ্বালাই, তবে বিশেষ দরকারে ভাটায় কাঠ পোড়াতে হয়। এসব কাঠ চেরাই করতেই আমি নিজের জায়গায় করাতকল বসিয়েছি।’
ঠাকুরগাঁও সহকারী বন সংরক্ষক মতিউর রহমান জানান, সংরক্ষিত বনাঞ্চল থেকে ১০ কিলোমিটার এবং সীমান্ত এলাকা থেকে পাঁচ কিলোমিটারের মধ্যে কোনো করাতকল স্থাপন করা যাবে না। পীরগঞ্জের থুমনিয়া সংরক্ষিত বনাঞ্চল থেকে এ করাতকলের দূরত্ব দুই কিলোমিটারের বেশি হবে না। উপজেলা প্রশাসন এ ব্যাপারে আইনগত ব্যবস্থা নেবে।
পীরগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সাব্বির আহমেদ বলেন, ‘এ ধরনের কোনো ঘটনা আমার জানা নেই। বিষয়টি সরেজমিনে তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
পরিবেশ অধিদপ্তরের রংপুর আঞ্চলিক কর্মকর্তা সুকুমার সাহা জানান, ইটভাটায় যেকোনো ধরনের উদ্ভিজ্জ বস্তু (কাঠ, বাঁশের মুড়া ইত্যাদি) জ্বালানি হিসেবে ব্যবহার নিষিদ্ধ। আর ইটভাটার পাশে করাতকল বসানো সম্পূর্ণ অবৈধ। তাই পরিবেশ অধিদপ্তর থেকে এ ব্যাপারে কোনো অনুমতি দেওয়া হয় না।
No comments