ও বন্ধু আমার by সুগত সরকার
স্কুল পেরিয়ে কলেজে উঠলে অভিভাবক-শিক্ষকদের শাসনের লাগাম অনেকটা হাল্কা হয়ে নিজের ভালমন্দের ভারটা আস্তে আস্তে নিজের ঘাড়ে পড়া শুরু হয়। অনেকে এটা মানিয়ে নিতে পারে না, হয়ে পড়েন নিঃসঙ্গ। পড়াশোনায় আপনি নিখুঁত। নিজেকে ১০০ ভাগ উজাড় করে দেন। পড়াশোনার বিষয়ে আপনার ‘ভুল’ ধরাটা খুব কঠিন।
তবু সহপাঠীরা এড়িয়ে চলে আপনাকে। শিক্ষকদের চোখেও আপনার প্রতি বিরক্তির ছায়া। এমনকি ক্যান্টিনে খেতে গেলে আপনার টেবিলে বসতে চায় না কেউই। নিজেকে কি প্রশ্ন করেছেন, ‘কেন এমন হয়?’ ছাত্র হিসেবে আপনি অত্যন্ত ভাল। কিন্তু সহপাঠীদের কাছে আতঙ্ক। মানুষ হিসেবে আপনার মধ্যে জটিলতা কম, তবু কিভাবে অন্যের সঙ্গে কথা বলতে হয় বা মিশতে হয়, সেই আদব-কায়দাটাই আপনি জানেন না। অযথা অন্যকে বকাবকি করেন, অন্যের অসুবিধার কথা না ভেবেই চিৎকার করে কথা বলেন, আপনিই সেরা, অন্যরা কিছু না এ দাবিটা প্রকাশ্যে আনেন।
এবার একটু পাল্টান। দেখবেন অন্যরাও স্বতঃস্ফূর্তভাবে এগিয়ে আসছে আপনার কাছে। বাড়িয়ে দিচ্ছে সহযোগিতার হাত। একটু নম্র হন। শান্ত হয়ে অন্যের সঙ্গে কথা বলুন। ফোনেও যতদূর সম্ভব আস্তে কথা বলুন। মোবাইলের রিং টোনের ভলিউমটাও কমিয়ে রাখুন। ক্লাস চলাকালীন মোবাইল ফোন বন্ধ রাখুন। সহপাঠীরা পড়াশোনার ক্ষেত্রে সমস্যার পড়লে তাদের সাহায্য করার চেষ্টা করুন। সহপাঠীদের খুঁত ধরাটা বন্ধ করুন। ব্যক্তিগত আবেগকে সংযত রাখুন। অন্যের কথাও শুনুন, গুরুত্ব দেয়ার চেষ্টা করুন। সিনিয়রদের যোগ্য সম্মান দিন। পরনিন্দা-পরচর্চা থেকে দূরে থাকুন। মেয়ে সহপাঠীদের পোশাক-আশাক নিয়ে আলোচনা বন্ধ করুন। রাগ-ক্ষোভকে নিজের মধ্যে লুকিয়ে রাখুন। ঔদ্ধত্যকে আড়াল করুন। প্রতিষ্ঠানবিরোধী কথাবার্তা এড়িয়ে চলুন। তর্কবিতর্ক থেকে দূরে থাকুন। জুনিয়রদের সঙ্গে স্বাভাবিকভাবেই মিশুন। কলেজের যদি নিজস্ব ড্রেস কোড থাকে, তা হলে অবশ্যই সেটা মেনে চলা উচিত। আর না থাকলে এমন পোশাক পরা উচিত যা আপনার ব্যক্তিত্ব ও রুচির সঠিক প্রকাশ ঘটাবে।
আপনার আত্মবিশ্বাস আরও বাড়বে। সবার সঙ্গেই মিশুন, কিন্তু দূরত্ব বজায় রাখুন। ব্যক্তিগত কথাবার্তা এড়িয়ে চলুন। অন্যের ব্যক্তিগত বিষয়েও কৌতূহল দমন করুন। ‘সরি’, ‘থ্যাংক ইউ’, ‘প্লিজ’, ‘এক্সকিউজ মি’ শব্দগুলো ব্যবহার করতে শিখুন। অন্যকে সম্মান জানাতে বা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এগুলো জরুরী। শিক্ষক বা অন্য কারও কক্ষে প্রবেশ করার আগে অবশ্যই অনুমতি নিন। সঙ্গে সঙ্গে অনুমতি না মিললে (কক্ষে কেউ থাকলে) বাহিরে দাঁড়িয়ে অপেক্ষা করুন। নিজের কাজের স্বচ্ছতা বজায় রাখুন। আপনার পোশাক, ব্যবহার, হাঁটাচলায় যেন ভদ্রতা ও শালীনতার ছোঁয়া থাকে। সহপাঠী কথা বলছেন, তাঁকে থামিয়ে কথা বলবেন না। তাঁর কথা শেষ হলে আপনি বলবেন। এমনকি তাঁর সঙ্গে কোন বিষয়ে আপনি যদি সহমত নাও হন, তাহলেও তাঁর কথা শুনবেন।
কাজ করতে করতে ক্লান্তিবোধ করতেই পারেন, অসুস্থবোধ হতেই পারে। তখন একটু আরাম পাওয়ার জন্য এমন কোন আচরণ বা কাজ করবেন না, যা দৃষ্টিকটু হতে পারে। সময়ানুবর্তিতা খুব বড় বিষয়। বড় হতে গেলে সময়কে গুরুত্ব দিতেই হবে।
কলেজে অন্যের সঙ্গে যোগাযোগ রাখাটা খুবই জরুরী। এতে অন্যের সাহায্য পাওয়া যায়, অনেক ক্ষেত্রে কাজ দ্রুত হয়। আর পারস্পরিক বোঝাপড়ায় অনেক জটিল সমস্যাও সমাধান হয়ে যায়।
সবশেষে আপনার ব্যবহার, পরিচয়, নম্র, ভদ্র, বিনয় আপনাকে অন্যদের থেকে একটু এগিয়ে দেবে। এছাড়া আপনার ব্যবহার যেন অন্যের বিরক্তির কারণ না হয়, সেদিকে নজর দেবেন। ‘আমিই সব জানি’ভাবটা দেখানো বন্ধ করুন। ব্যস, কেল্লাফতে। কলেজে আপনার জনপ্রিয়তার পারদ চড়তে শুরু করবেই।
এবার একটু পাল্টান। দেখবেন অন্যরাও স্বতঃস্ফূর্তভাবে এগিয়ে আসছে আপনার কাছে। বাড়িয়ে দিচ্ছে সহযোগিতার হাত। একটু নম্র হন। শান্ত হয়ে অন্যের সঙ্গে কথা বলুন। ফোনেও যতদূর সম্ভব আস্তে কথা বলুন। মোবাইলের রিং টোনের ভলিউমটাও কমিয়ে রাখুন। ক্লাস চলাকালীন মোবাইল ফোন বন্ধ রাখুন। সহপাঠীরা পড়াশোনার ক্ষেত্রে সমস্যার পড়লে তাদের সাহায্য করার চেষ্টা করুন। সহপাঠীদের খুঁত ধরাটা বন্ধ করুন। ব্যক্তিগত আবেগকে সংযত রাখুন। অন্যের কথাও শুনুন, গুরুত্ব দেয়ার চেষ্টা করুন। সিনিয়রদের যোগ্য সম্মান দিন। পরনিন্দা-পরচর্চা থেকে দূরে থাকুন। মেয়ে সহপাঠীদের পোশাক-আশাক নিয়ে আলোচনা বন্ধ করুন। রাগ-ক্ষোভকে নিজের মধ্যে লুকিয়ে রাখুন। ঔদ্ধত্যকে আড়াল করুন। প্রতিষ্ঠানবিরোধী কথাবার্তা এড়িয়ে চলুন। তর্কবিতর্ক থেকে দূরে থাকুন। জুনিয়রদের সঙ্গে স্বাভাবিকভাবেই মিশুন। কলেজের যদি নিজস্ব ড্রেস কোড থাকে, তা হলে অবশ্যই সেটা মেনে চলা উচিত। আর না থাকলে এমন পোশাক পরা উচিত যা আপনার ব্যক্তিত্ব ও রুচির সঠিক প্রকাশ ঘটাবে।
আপনার আত্মবিশ্বাস আরও বাড়বে। সবার সঙ্গেই মিশুন, কিন্তু দূরত্ব বজায় রাখুন। ব্যক্তিগত কথাবার্তা এড়িয়ে চলুন। অন্যের ব্যক্তিগত বিষয়েও কৌতূহল দমন করুন। ‘সরি’, ‘থ্যাংক ইউ’, ‘প্লিজ’, ‘এক্সকিউজ মি’ শব্দগুলো ব্যবহার করতে শিখুন। অন্যকে সম্মান জানাতে বা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এগুলো জরুরী। শিক্ষক বা অন্য কারও কক্ষে প্রবেশ করার আগে অবশ্যই অনুমতি নিন। সঙ্গে সঙ্গে অনুমতি না মিললে (কক্ষে কেউ থাকলে) বাহিরে দাঁড়িয়ে অপেক্ষা করুন। নিজের কাজের স্বচ্ছতা বজায় রাখুন। আপনার পোশাক, ব্যবহার, হাঁটাচলায় যেন ভদ্রতা ও শালীনতার ছোঁয়া থাকে। সহপাঠী কথা বলছেন, তাঁকে থামিয়ে কথা বলবেন না। তাঁর কথা শেষ হলে আপনি বলবেন। এমনকি তাঁর সঙ্গে কোন বিষয়ে আপনি যদি সহমত নাও হন, তাহলেও তাঁর কথা শুনবেন।
কাজ করতে করতে ক্লান্তিবোধ করতেই পারেন, অসুস্থবোধ হতেই পারে। তখন একটু আরাম পাওয়ার জন্য এমন কোন আচরণ বা কাজ করবেন না, যা দৃষ্টিকটু হতে পারে। সময়ানুবর্তিতা খুব বড় বিষয়। বড় হতে গেলে সময়কে গুরুত্ব দিতেই হবে।
কলেজে অন্যের সঙ্গে যোগাযোগ রাখাটা খুবই জরুরী। এতে অন্যের সাহায্য পাওয়া যায়, অনেক ক্ষেত্রে কাজ দ্রুত হয়। আর পারস্পরিক বোঝাপড়ায় অনেক জটিল সমস্যাও সমাধান হয়ে যায়।
সবশেষে আপনার ব্যবহার, পরিচয়, নম্র, ভদ্র, বিনয় আপনাকে অন্যদের থেকে একটু এগিয়ে দেবে। এছাড়া আপনার ব্যবহার যেন অন্যের বিরক্তির কারণ না হয়, সেদিকে নজর দেবেন। ‘আমিই সব জানি’ভাবটা দেখানো বন্ধ করুন। ব্যস, কেল্লাফতে। কলেজে আপনার জনপ্রিয়তার পারদ চড়তে শুরু করবেই।
No comments