অর্থমন্ত্রীকে বিএনপি নেতারা-পালানোর পথ নেই, দেশের স্বার্থে পদত্যাগ করুন
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর অর্থমন্ত্রীর উদ্দেশে বলেছেন, 'আপনি পালিয়ে যেতে পারবেন না। সেই পথ নেই। পুঁজিবাজার, ডেসটিনি, কুইক রেন্টাল পাওয়ার প্লান্ট থেকে হাজার হাজার কোটি টাকা লুট করা হয়েছে। হলমার্কের মাধ্যমে সোনালী ব্যাংকের অর্থ লুট হয়েছে। পদ্মা সেতু প্রকল্পে ঘটে গেছে বিশাল দুর্নীতি।
জনগণের এসব টাকার জবাব দিয়ে যেতে হবে।'
গতকাল সোমবার সকালে জাতীয় প্রেসক্লাবে তারেক রহমানের চতুর্থ কারামুক্তি দিবস উপলক্ষে '৯০-এর ছাত্রনেতাদের ব্যানারে আয়োজিত আলোচনা সভায় দেওয়া প্রধান অতিথির বক্তব্যে মির্জা ফখরুল এ হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেন।
এদিকে পৃথক অনুষ্ঠানে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য এম কে আনোয়ার বলেছেন, অর্থমন্ত্রী এ মুহূর্তে স্বেচ্ছায় পদত্যাগ করলে দেশের উপকার হবে। তিনি বলেন, অর্থমন্ত্রী নিজেই বলেছেন তিনি সবচেয়ে ঘৃণিত ব্যক্তি। একজন আত্মস্বীকৃত ঘৃণিত ব্যক্তি যদি রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ পর্যায়ে থাকেন তাহলে দেশের কী অবস্থা হবে। তাই এ মুহূর্তে তিনি স্বেচ্ছায় পদত্যাগ করলে দেশের উপকার হবে। গতকাল দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবে কনফারেন্স রুমে স্বাধীনতা ফোরাম আয়োজিত 'দেশনেত্রীর কারামুক্তি দিবস, গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠায় বেগম জিয়ার অবদান' শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এম কে আনোয়ার এ মন্তব্য করেন।
এর আগে সকালে তারেক রহমানের কারামুক্তি দিবসের অনুষ্ঠানে মির্জা ফখরুল বলেন, 'উনি (অর্থমন্ত্রী) বলেছেন, ৯ মাস ধরে চলে যাওয়ার চেষ্টা করছেন। আমরা তাঁকে বলতে চাই, বাংলাদেশের উত্তরে পর্বতমালা, দক্ষিণে বঙ্গোপসাগর আর এর মাঝে ১৬ কোটি জনগণ। এসব কেলেঙ্কারির জবাব না দিয়ে আপনাকে পালিয়ে যেতে দেওয়া হবে না। আপনার সরকারেরও পালানোর কোনো পথ নেই।'
বুয়েটের শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের চলমান আন্দোলন সম্পর্কে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বক্তব্যেরও সমালোচনা করেন মির্জা ফখরুল। তিনি বলেন, 'প্রধানমন্ত্রীর বাবাও একদিন সংসদে লাল ঘোড়া দাবড়ানোর কথা বলেছিলেন। আজ তাঁর মেয়ে বুয়েটের আন্দোলন সম্পর্কে বলেছেন, কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। যখন স্বৈরাচারী শাসকের পতন ঘনিয়ে আসে, তখন এ রকম হুঙ্কার দিয়ে থাকে।'
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব ও দলটির মুখপাত্র মির্জা ফখরুল আরো বলেন, যারা শহীদ জিয়াকে হত্যা করেছিল, সেই ষড়যন্ত্রকারীরাই তারেক রহমানকে হত্যার চেষ্টা করেছে। তাঁর বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দিয়ে রাজনীতি থেকে দূরে সরিয়ে রেখেছে। তারেক রহমান আমাদের মাঝে ফিরে এসে যেন রাজনীতি করতে না পারেন সে জন্য গভীর ষড়যন্ত্র চলছে। মুফতি হান্নানকে নির্যাতন করে তারেক রহমানের নাম বলানো হয়েছে। সেই মুফতি হান্নান আদালতে গিয়ে বলেছে সে তারেক রহমানকে চেনে না।
তারেক রহমানের বিরুদ্ধে সরকার একের পর এক 'মিথ্যা' মামলা দায়ের করেছে অভিযোগ করে ফখরুল বলেন, রাজনীতি থেকে দূরে রাখতে এবং দেশে ফেরার পথ রুদ্ধ করতেই সরকার এভাবে মিথ্যা মামলা দিচ্ছে। তিনি আরো বলেন, ভারতের একটি পত্রিকা বলেছে, শেখ হাসিনা সরকারের জনপ্রিয়তায় ধস নেমেছে। এ কারণেই এসব ষড়যন্ত্র শুরু হয়েছে।
খালেদা জিয়াকে হত্যার পরিকল্পনা চলছে বলেও অনুষ্ঠানে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব। তিনি বলেন, কানাডিয়ান একটি অনলাইন পত্রিকায় গোমেজ নামে একজন লিখেছেন, বাংলাদেশের বিরোধীদলীয় নেতা খালেদা জিয়াকে হত্যার পরিকল্পনা হচ্ছে। এ বিষয়টি ছোট করে দেখার কোনো অবকাশ নেই।
নব্বইয়ের স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনের সময় গঠিত ছাত্র সংগ্রাম পরিষদের আহ্বায়ক বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব আমান উল্লাহ আমানের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় সাবেক ছাত্রনেতা শামসুজ্জামান দুদু, ফজলুল হক মিলন, নাজিম উদ্দিন আলম, কামরুজ্জামান রতন, খন্দকার লুৎফর রহমান, আসাদুজ্জামান আসাদ, সাইফুদ্দিন মনি, হেলেন জেরিন খান, আজিজুল বারী হেলাল, এ বি এম মোশাররফ হোসেন, রফিক সিকদার, সুলতান সালাহউদ্দিন টুকু, আমিরুল ইসলাম খান আলীম প্রমুখ বক্তব্য দেন।
পদত্যাগে কল্যাণ হবে : এদিকে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য এম কে আনোয়ার বলেছেন, অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত এখন স্বেচ্ছায় পদত্যাগ করলে দেশের কল্যাণ হবে। তিনি বলেন, ডেসটিনি তাদের সময়ের সৃষ্টি। এ প্রতিষ্ঠানের অর্থ লুটের সঙ্গে বর্তমান সরকারের কয়েকজন মন্ত্রী, উপদেষ্টা ও সাবেক কয়েকজন সেনা কর্মকর্তা জড়িত। ১৯৭২-৭৫ সালে যারা ব্যাংক লুট করেছিল তারাই এখন লুটপাট করছে। হলমার্ক কেলেঙ্কারির বিষয়ে অর্থমন্ত্রী সামান্য টাকা বলার পর তার দলের লোকেরাই যখন টুঁটি টিপে ধরলো তখন তিনি (অর্থমন্ত্রী) আবার বললেন, না, হলমার্কে অনেক টাকা লুট হয়েছে। অথচ এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত একজনকেও গ্রেপ্তার করা হলো না। তিনি অভিযোগ করেন, পিতার হত্যাকাণ্ডের পর শেখ হাসিনা যখন দেশে ফিরলেন, এর ১৩ দিনের মাথায় জিয়াউর রহমান নিহত হলেন। এর সঙ্গে কোনো যোগসূত্র আছে কি না তাও ভেবে দেখা উচিত।
গতকাল দুপুরে প্রেসক্লাবে স্বাধীনতা ফোরাম আয়োজিত অনুষ্ঠানে ফোরাম সভাপতি আবু নাসের মুহাম্মদ রহমাতুল্লাহ সভাপতিত্ব করেন। বক্তব্য দেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু, যুবদল সভাপতি মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য খালেদা ইয়াসমিন প্রমুখ।
তত্ত্বাবধায়ক বিল চান ফারুক : বিরোধীদলীয় চিফ হুইপ জয়নুল আবদিন ফারুক আজ মঙ্গলবার সংসদে তত্ত্বাবধায়ক বিল উত্থাপনের জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন। গতকাল জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে জিয়া ব্রিগেড কেন্দ্রীয় কমিটি আয়োজিত 'সাংবাদিক সাগর-রুনিসহ সব হত্যাকাণ্ডের সুষ্ঠু বিচারের' দাবিতে আয়োজিত অবস্থান ধর্মঘটে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি সরকারের উদ্দেশে বলেন, 'আপনারা যদি জনগণের কাছে আবারও ভোট চাইতে যেতে চান, ভোট পেতে চান, তাহলে আগামীকাল তত্ত্বাবধায়ক সরকারের বিল সংসদে আনুন। এই বিল এনে দেশকে বাঁচান। 'সরকারের এখন পড়ন্ত বেলা' মন্তব্য করে প্রধানমন্ত্রী ও মন্ত্রিপরিষদকে জনগণের কাছে ক্ষমা চেয়ে পদত্যাগের আহ্বান জানান তিনি। ফারুক অভিযোগ করেন, সাগর-রুনি হত্যাকারীরা এখনো সরকারের আশ্রয়ে আছে। বিদ্যুৎ ও জ্বালানি রহস্য প্রকাশ করতে পারে- এ আশঙ্কায় তাঁদের মেরে ফেলা হয়েছে।
আয়োজক সংগঠনের সভাপতি জাহিদ ইকবালের সভাপতিত্বে এতে আরো বক্তব্য দেন যুবদল সভাপতি মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য আজিজুল বারী হেলাল প্রমুখ।
গতকাল সোমবার সকালে জাতীয় প্রেসক্লাবে তারেক রহমানের চতুর্থ কারামুক্তি দিবস উপলক্ষে '৯০-এর ছাত্রনেতাদের ব্যানারে আয়োজিত আলোচনা সভায় দেওয়া প্রধান অতিথির বক্তব্যে মির্জা ফখরুল এ হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেন।
এদিকে পৃথক অনুষ্ঠানে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য এম কে আনোয়ার বলেছেন, অর্থমন্ত্রী এ মুহূর্তে স্বেচ্ছায় পদত্যাগ করলে দেশের উপকার হবে। তিনি বলেন, অর্থমন্ত্রী নিজেই বলেছেন তিনি সবচেয়ে ঘৃণিত ব্যক্তি। একজন আত্মস্বীকৃত ঘৃণিত ব্যক্তি যদি রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ পর্যায়ে থাকেন তাহলে দেশের কী অবস্থা হবে। তাই এ মুহূর্তে তিনি স্বেচ্ছায় পদত্যাগ করলে দেশের উপকার হবে। গতকাল দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবে কনফারেন্স রুমে স্বাধীনতা ফোরাম আয়োজিত 'দেশনেত্রীর কারামুক্তি দিবস, গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠায় বেগম জিয়ার অবদান' শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এম কে আনোয়ার এ মন্তব্য করেন।
এর আগে সকালে তারেক রহমানের কারামুক্তি দিবসের অনুষ্ঠানে মির্জা ফখরুল বলেন, 'উনি (অর্থমন্ত্রী) বলেছেন, ৯ মাস ধরে চলে যাওয়ার চেষ্টা করছেন। আমরা তাঁকে বলতে চাই, বাংলাদেশের উত্তরে পর্বতমালা, দক্ষিণে বঙ্গোপসাগর আর এর মাঝে ১৬ কোটি জনগণ। এসব কেলেঙ্কারির জবাব না দিয়ে আপনাকে পালিয়ে যেতে দেওয়া হবে না। আপনার সরকারেরও পালানোর কোনো পথ নেই।'
বুয়েটের শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের চলমান আন্দোলন সম্পর্কে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বক্তব্যেরও সমালোচনা করেন মির্জা ফখরুল। তিনি বলেন, 'প্রধানমন্ত্রীর বাবাও একদিন সংসদে লাল ঘোড়া দাবড়ানোর কথা বলেছিলেন। আজ তাঁর মেয়ে বুয়েটের আন্দোলন সম্পর্কে বলেছেন, কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। যখন স্বৈরাচারী শাসকের পতন ঘনিয়ে আসে, তখন এ রকম হুঙ্কার দিয়ে থাকে।'
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব ও দলটির মুখপাত্র মির্জা ফখরুল আরো বলেন, যারা শহীদ জিয়াকে হত্যা করেছিল, সেই ষড়যন্ত্রকারীরাই তারেক রহমানকে হত্যার চেষ্টা করেছে। তাঁর বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দিয়ে রাজনীতি থেকে দূরে সরিয়ে রেখেছে। তারেক রহমান আমাদের মাঝে ফিরে এসে যেন রাজনীতি করতে না পারেন সে জন্য গভীর ষড়যন্ত্র চলছে। মুফতি হান্নানকে নির্যাতন করে তারেক রহমানের নাম বলানো হয়েছে। সেই মুফতি হান্নান আদালতে গিয়ে বলেছে সে তারেক রহমানকে চেনে না।
তারেক রহমানের বিরুদ্ধে সরকার একের পর এক 'মিথ্যা' মামলা দায়ের করেছে অভিযোগ করে ফখরুল বলেন, রাজনীতি থেকে দূরে রাখতে এবং দেশে ফেরার পথ রুদ্ধ করতেই সরকার এভাবে মিথ্যা মামলা দিচ্ছে। তিনি আরো বলেন, ভারতের একটি পত্রিকা বলেছে, শেখ হাসিনা সরকারের জনপ্রিয়তায় ধস নেমেছে। এ কারণেই এসব ষড়যন্ত্র শুরু হয়েছে।
খালেদা জিয়াকে হত্যার পরিকল্পনা চলছে বলেও অনুষ্ঠানে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব। তিনি বলেন, কানাডিয়ান একটি অনলাইন পত্রিকায় গোমেজ নামে একজন লিখেছেন, বাংলাদেশের বিরোধীদলীয় নেতা খালেদা জিয়াকে হত্যার পরিকল্পনা হচ্ছে। এ বিষয়টি ছোট করে দেখার কোনো অবকাশ নেই।
নব্বইয়ের স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনের সময় গঠিত ছাত্র সংগ্রাম পরিষদের আহ্বায়ক বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব আমান উল্লাহ আমানের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় সাবেক ছাত্রনেতা শামসুজ্জামান দুদু, ফজলুল হক মিলন, নাজিম উদ্দিন আলম, কামরুজ্জামান রতন, খন্দকার লুৎফর রহমান, আসাদুজ্জামান আসাদ, সাইফুদ্দিন মনি, হেলেন জেরিন খান, আজিজুল বারী হেলাল, এ বি এম মোশাররফ হোসেন, রফিক সিকদার, সুলতান সালাহউদ্দিন টুকু, আমিরুল ইসলাম খান আলীম প্রমুখ বক্তব্য দেন।
পদত্যাগে কল্যাণ হবে : এদিকে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য এম কে আনোয়ার বলেছেন, অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত এখন স্বেচ্ছায় পদত্যাগ করলে দেশের কল্যাণ হবে। তিনি বলেন, ডেসটিনি তাদের সময়ের সৃষ্টি। এ প্রতিষ্ঠানের অর্থ লুটের সঙ্গে বর্তমান সরকারের কয়েকজন মন্ত্রী, উপদেষ্টা ও সাবেক কয়েকজন সেনা কর্মকর্তা জড়িত। ১৯৭২-৭৫ সালে যারা ব্যাংক লুট করেছিল তারাই এখন লুটপাট করছে। হলমার্ক কেলেঙ্কারির বিষয়ে অর্থমন্ত্রী সামান্য টাকা বলার পর তার দলের লোকেরাই যখন টুঁটি টিপে ধরলো তখন তিনি (অর্থমন্ত্রী) আবার বললেন, না, হলমার্কে অনেক টাকা লুট হয়েছে। অথচ এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত একজনকেও গ্রেপ্তার করা হলো না। তিনি অভিযোগ করেন, পিতার হত্যাকাণ্ডের পর শেখ হাসিনা যখন দেশে ফিরলেন, এর ১৩ দিনের মাথায় জিয়াউর রহমান নিহত হলেন। এর সঙ্গে কোনো যোগসূত্র আছে কি না তাও ভেবে দেখা উচিত।
গতকাল দুপুরে প্রেসক্লাবে স্বাধীনতা ফোরাম আয়োজিত অনুষ্ঠানে ফোরাম সভাপতি আবু নাসের মুহাম্মদ রহমাতুল্লাহ সভাপতিত্ব করেন। বক্তব্য দেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু, যুবদল সভাপতি মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য খালেদা ইয়াসমিন প্রমুখ।
তত্ত্বাবধায়ক বিল চান ফারুক : বিরোধীদলীয় চিফ হুইপ জয়নুল আবদিন ফারুক আজ মঙ্গলবার সংসদে তত্ত্বাবধায়ক বিল উত্থাপনের জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন। গতকাল জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে জিয়া ব্রিগেড কেন্দ্রীয় কমিটি আয়োজিত 'সাংবাদিক সাগর-রুনিসহ সব হত্যাকাণ্ডের সুষ্ঠু বিচারের' দাবিতে আয়োজিত অবস্থান ধর্মঘটে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি সরকারের উদ্দেশে বলেন, 'আপনারা যদি জনগণের কাছে আবারও ভোট চাইতে যেতে চান, ভোট পেতে চান, তাহলে আগামীকাল তত্ত্বাবধায়ক সরকারের বিল সংসদে আনুন। এই বিল এনে দেশকে বাঁচান। 'সরকারের এখন পড়ন্ত বেলা' মন্তব্য করে প্রধানমন্ত্রী ও মন্ত্রিপরিষদকে জনগণের কাছে ক্ষমা চেয়ে পদত্যাগের আহ্বান জানান তিনি। ফারুক অভিযোগ করেন, সাগর-রুনি হত্যাকারীরা এখনো সরকারের আশ্রয়ে আছে। বিদ্যুৎ ও জ্বালানি রহস্য প্রকাশ করতে পারে- এ আশঙ্কায় তাঁদের মেরে ফেলা হয়েছে।
আয়োজক সংগঠনের সভাপতি জাহিদ ইকবালের সভাপতিত্বে এতে আরো বক্তব্য দেন যুবদল সভাপতি মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য আজিজুল বারী হেলাল প্রমুখ।
No comments