যাহা চাই যেন জয় করে পাই গানে গানে নজরুল বন্দনা- সংস্কৃতি সংবাদ
সোমবার শরতের সন্ধ্যায় স্মরণ করা হয় জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামকে। তাঁর ৩৬তম প্রয়াণ দিবস উপলক্ষে এ স্মরণের আয়োজন করে বাংলাদেশ নজরুল সঙ্গীত সংস্থা। সুফিয়া কামাল জাতীয় গণগ্রন্থাগারের শওকত ওসমান মিলনায়তনে গানে গানে বন্দনা জানানো হয় কবিকে।
যাহা চাই যেন জয় করে পাই শীর্ষক এ সঙ্গীতানুষ্ঠান সাজানো হয় নজরুলের ভক্তিরসপ্রধান গান দিয়ে। আর নজরুলের গানের এমন আয়োজনে মিলনায়তন ছিল শ্রোতায় পরিপূর্ণ। নজরুলের সুরের খেলায় স্পন্দিত হয় শ্রোতার হৃদয়। সুরের অনুরণনে সিক্ত হয় অন্তর।
আয়োজনের শুরুতেই সংক্ষিপ্ত কথামালায় শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন সংস্থার সাধারণ সম্পাদক খায়রুল আনাম শাকিল, সহ-সভাপতি খিলখিল কাজী ও সভাপতি খালিদ হোসেন। সংক্ষিপ্ত এই কথামালা পর্ব শেষ হতেই ভেসে আসে গানের সুর। অনেক কণ্ঠ এক হয়ে ত্রিতালে গেয়ে যায় শুভ্র সমুজ্জ্বল হে চির নির্মল। আর এমন গানের পরিবেশনায় যেন নির্মল আনন্দে অবগাহন করে সঙ্গীতপিপাসুর অনুরাগী মন। সমবেত গানের পরিবেশনা শেষ হতেই আসে একক গানের পালা। খালিদ হোসেনের সুরেলা কণ্ঠে গীত হয় তোমার মনে ফুটবে প্রথম আমারও মুকুল। এরপর ওগো অন্তরযামী ভক্তের তব শোনো শোনো নিবেদন গানটি নিবেদন করেন সুস্মিতা দেবনাথ। ঘুমিয়ে গেছে শ্রান্ত হয়ে আমার গানের বুলবুলি গানটি পরিবেশন করেন সালাউদ্দিন আহমেদ। এটিএম শামসুজ্জামান গেয়ে শোনান হে পার্থ সারথী। খিলখিল কাজীর পরিবেশনাটি শ্রোতার মনে বুনে যায় মুগ্ধতার বীজ। তিনি গেয়ে শোনান করুণ কেন অরুণ আঁখি/দাও গো সখি দাও শরাব। আফরোজা খান মিতার কণ্ঠে গীত হয় সাঝের পাখিরা শিরোনামের গানখানি। সে চলে গেছে বলে কিগো/স্মৃতিও হয়ে যায় ভোলা গানটি পরিবেশন করেন কাওসার বেগম নিশি। যারে হাত দিয়ে মালা দিতে পারো নাই/ কেন মনে রাখো তারে গেয়ে শোনান শারমীন সাথী ইসলাম। ড. লীনা তাপসী খানের কণ্ঠে উঠে আসে নজরুলের রাগপ্রধান সঙ্গীত। গেয়ে শোনান গগনও সঘনে চমকিছে দামিনি। যোসেফ কমল রড্রিক্স পরিবেশন করেন কাঁদাবো না আর সচি দুলাল। অরুণ রাঙা গোলাপ গানটি উচ্চারিত হয় শরীফা শিরিনের কণ্ঠে। হে প্রিয় আমারে দেবো না ভুলিতে গানটি পরিশেন করেন বিজন চন্দ্র মিস্ত্রি। বৃথা তুই কাহার পরে গেয়ে শোনান সুলতানা আফরোজ। ফুলের জলসায় নীরব কেন কবি গানটি পরিবেশন করেন মাহমুদুল হাসান।
শুরু হচ্ছে ভিট-চ্যানেল আই টপ মডেল
সেরা মডেল খুঁজে নিতে আবারও শুরু হলো ভিট- চ্যানেল টপ মডেল। প্রথম আসরের সফলতার পথ বেয়ে দ্বিতীয়বারের মতো এ আয়োজন করেছে যুক্তরাজ্যভিত্তিক বহুজাতিক কোম্পানি রেকিট বেনকিজার লিমিটেডের হেয়ার রিমুভার ব্রান্ড ‘ভিট’ ও বেসরকারী টেলিভিশন চ্যানেল ‘চ্যানেল আই।’ সোমবার সন্ধ্যায় তেজগাঁওয়ের চ্যানেল আই কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ ঘোষণা দেয়া হয়।
সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন চ্যানেল আইয়ের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ফরিদুর রেজা সাগর, রেকিট বেনকিজারের ব্যবস্থাপনা পরিচালক রিয়াজুল হক চৌধুরী ও এসএমজি গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক কামরুল ইসলাম।
শিল্পকলার এক্সপেরিমেন্টালে থিয়েটারে মঞ্চস্থ বারামখানা
সোমবার সন্ধ্যায় শিল্পকলা একাডেমীর জাতীয় নাট্যশালায় মঞ্চস্থ হলো থিয়েটার প্রযোজনা বারামখানা। সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়ের মনের উপন্যাসের ছায়া নাটকটি রচনা করেছেন পান্থ শাহ্রিয়ার। নির্দেশনা দিয়েছেন ত্রপা মজুমদার। বাউল সম্রাট লালনের জীবনাদর্শ, গান ও দর্শনের ওপর ভিত্তি করে নাটকের কাহিনী রচিত হয়েছে।
প্রাকৃতিক রং বিষয়ক কর্মশালা
প্রায় দুই যুগ ধরে প্রাকৃতিক রঙের ঐতিহ্য পুনরুদ্ধার, উন্নয়ন এবং প্রচারণায় কাজ করে চলেছে ওয়ার্ল্ড ক্রাফটস কাউন্সিল (বিশ্ব কারুশিল্প পরিষদ)। অন্যদিকে বেঙ্গল ফাউন্ডেশন গত চব্বিশ বছর যাবৎ শিল্প সংস্কৃতির পরিচর্যা করে আসছে। বেঙ্গল ফাউন্ডেশন ও ওয়ার্ল্ড ক্রাফটস কাউন্সিলের এশিয়া প্যাসিফিক শাখা যৌথভাবে শনিবার থেকে খিলক্ষেতের বেঙ্গল সেন্টার ভবনে ‘প্রশিক্ষকদের প্রশিক্ষণ/ ট্রেইনিং অব দ্যা ট্রেইনার্স’ শিরোনামে সাত দিনব্যাপী প্রাকৃতিক রং ব্যবহারের ওপর কর্মশালার আয়োজন করেছে। থাইল্যান্ড, নেপাল, লাওস, মালয়েশিয়া, ওমান, ভারত, পাকিস্তান, ভুটান এবং বাংলাদেশের ১২ জন বিশেষজ্ঞ এবং বাংলাদেশের ৬ জন কারুশিল্পী এই কর্মশালায় তাঁদের অভিজ্ঞতালদ্ধ জ্ঞান ও প্রাকৃতিক রং ব্যবহারের করণকৌশল উপস্থাপন করবেন এবং পরস্পরকে শিক্ষা দেবেন। নিজ নিজ দেশের মৌলিক রং তৈরির পদ্ধতি নিয়ে আলোচনা হবে এবং তা করে দেখানো হবে। এ কর্মশালা আগামী ১৪ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত প্রতিদিন সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত চলবে।
জাতীয় ঐক্যের আহ্বান বি চৌধুরীর
জাতীয় ঐক্যের আহ্বান জানিয়ে বি.চৌধুরী বলেন, চলমান ধারায় রাজনীতি চলতে পারে না। যুবসমাজ রাস্তায় না নামলে রাজনীতিতে পরিবর্তন আসবে না।
তিনি প্রধানমন্ত্রীর উদ্দেশ্যে বলেন, আপনি ক্ষমতা না দেখিয়ে দায়িত্ব গ্রহণ করুন। অন্যায়কে অন্যায় বলতে শিখুন। অগ্রহণযোগ্য ব্যক্তিকে বুয়েটের মতো শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ভিসি হিসেবে বসিয়ে রাখা ঠিক নয়। গোপালগঞ্জের লোক বলে ভিসিকে সরানো হচ্ছে না, এই অন্যায় আল্লাহ সহ্য করবে না। পদ্মা সেতু প্রসঙ্গে তিনি বলেন, পদ্মা সেতু নিয়ে দুর্নীতির পক্ষে আপনার সাফাইয়ের বিশ্ববাসী অবাক হয়েছে। পদ্মা সেতু নিয়ে দুদকের তদন্ত ও বিশ্বব্যাংকের বক্তব্য প্রকাশের জন্য সরকারের কাছে দাবি জানান তিনি।
হলমার্ক কেলেঙ্কারিতে অর্থমন্ত্রীর পদত্যাগ করা উচিত ছিল এমন মন্তব্য করে বি. চৌধুরী বলেন, এই ঘটনায় তিনি অগ্রহণযোগ্য কথা বলেছেন। দেশে এখন অসহনীয় পরিস্থিতি বিরাজ করছে। মানুষ গুম হচ্ছে। বেড়েছে হত্যাকা-ের ঘটনা আর কোন অন্যায় অত্যাচার সহ্য করব না। এ জন্য তিনি জাতীয় ঐক্যের আহ্বান জানান।
আগামীতে বিএনপি ক্ষমতায় এলে বিরোধী দল সংসদে যাবে তার কি নিশ্চয়তা আছেÑএমন প্রশ্ন রেখে তিনি বলেন, সংসদ সদস্যরা সদসদে যা বলেন তা সত্য। আর বিরোধী দল যা বলে তা মিথ্য। এই সংস্কৃতি বাদ দিতে হবে। সংসদে যে ভাষায় কথা বলা হয় তা ঠিক নয়। এভাবে চলতে দেয়া যায়।
ভিসিকে বিতাড়িত করা না হলে আন্দোলন ॥ ড. কামাল হোসেন বলেন, অবিলম্বে বুয়েটের ভিসিকে বাদ দেয়া না হলে এক দফা আন্দোলনে নামব। আমি সবাইকে জানিয়ে যাব, গুম হতে যাচ্ছি। লাশ পেলে জানবেন কেন লাশ হলাম। বুয়েট প্রসঙ্গে তিনি প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যের সমালোচনা করে তিনি বলেন, আমি আপনার বাসার সামনে প্রতিবাদ করব। আপনি নির্দেশ দেন আমাকে গুম করতে, গুলি করতে। তবুও বুয়েটের মেয়েদের নিয়ে কটূক্তি করার অধিকার আপনার নেই। আমার চোখের সামনে বুয়েটকে ধ্বংস হতে দিতে পারি না। বঙ্গবন্ধু আমার শিক্ষাগুরু। ন্যায় প্রতিষ্ঠার জন্য গুম হলে হব। তবুও তাঁর শিক্ষা থেকে দূরে সরে যাব না।
এই দেশ কোন ব্যক্তি বা দলের নয়Ñএমন মন্তব্য করে ড. কামাল হোসেন বলেন, তথাকথিত বড় দুই দল মনে করে দেশে অন্য কোন দল নেই, মানুষ নেই। আমরা এতিম। দুই জমিদার দল আমাদের পাত্তা দেবে কিনা মানুষ এ নিয়ে আমাদের প্রশ্ন করে। টেন্ডার ও চাঁদাবাজির জন্য মুক্তিযুদ্ধ হয়নি। স্বাধীনতা আসেনি। রাজনীতিতে রোগ ঢুকেছে। মন্ত্রীদের বিরুদ্ধে চুরির অভিযোগ উঠলে তাঁরা দফতরবিহীন মন্ত্রী থেকে যায়। হটাৎ পদত্যাগ করলে দেশপ্রেমিক হয়ে যায়।
বিএনপির হাওয়া ভবন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, সরকারের প্রশ্রয়ে হাওয়া ভবন টিকে ছিল। বিএনপিকে হাওয়া ভবনের সকল তথ্য ফাঁস করতে হবে। এই ভবনের বিরুদ্ধে জনগণ রায় দিয়েছে বিগত নির্বাচনে।
শিক্ষামন্ত্রীর উদ্দেশ্যে কামাল হোসেন বলেন, দেশের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে অরাজক অবস্থা বিরাজ করতে থাকলে আপনি পরিবারের কাছেও মন্ত্রী হিসেবে মুখ দেখাতে পারবেন না। ভিসিকে না সরালে আপনি যেখানেই থাকেন না কেন ভবিষ্যতে হলেও আপনার বিচার করা হবে। ঐতিহ্যবাহী শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে ধ্বংস করার অধিকার কারও নেই।
অশ্রদ্ধা পাওয়ার যোগ্যতা নেই অর্থমন্ত্রীর
শেয়ার কেলেঙ্কারি, হলমার্কসহ বিভিন্ন ইস্যুতে অর্থমন্ত্রীর বক্তব্যের সমালোচনা করে বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী বলেন, অশ্রদ্ধা পাওয়ার যোগ্যতাও নেই তাঁর। কয়েকদিন পর শেখ হাসিনা আর বাপের ধনে পোদ্দারি করতে পারবে না। তিনি বড় দুই রাজনৈতিক দলের সমালোচনা করে বলেন, মহাজোট অসুস্থ রাজনীতির ধারক ও বাহক। বিরোধী দল বিএনপি সুস্থ রাজনীতি করে না। মানুষ বিএনপি ও আওয়ামী লীগকে চায় না। বিএনপি সংশোধিত হয়নি বলে আওয়ামী লীগের শত ব্যর্থতার পরেও রাজপথে মানুষের প্রতিবাদ নেই। বিএনপি কার্যালয়ে যাওয়ার সময় কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের কর্মীদের আটকের প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেন, এমন অসভ্য সরকার আমি জীবনে দেখিনি।
বিএনপি প্রসঙ্গে তিনি বলেন, রাস্তায় না নেমে শুধু ঘরে বসে কৌশল করলে এ সরকারকে ক্ষমতা থেকে নামানো যাবে না। সরকারকে মনে রাখতে হবে বাংলাদেশে কোন রক্তই বৃথা যায়নি। তিনি এরশাদের সমালোচনা করে বলেন, মুক্তিযুদ্ধের সময় তিনি পাকিস্তানে থাকা সত্ত্বেও দেশ স্বাধীন হওয়ার পর নয় বছর রাষ্ট্র পরিচালনা করেন। সম্প্রতি তিনি ভারত সফর শেষে দেশে ফিরে নানা কথা বলছেন। ভাবছেন ভারত তাঁকে ক্ষমতায় নিয়ে আসবে। তাঁকে ভারত কেন আমেরিকাও ক্ষমতায় আনতে পারবে না। দেশ কে চালাবে তা নির্ধারণ করবে জনগণ। বাস্তবতা হলো বাংলাদেশের মানুষ ভারতের দালাল দেখতে চায় না।
তিনি ড. কামাল ও বি.চৌধুরীকে উদ্দেশ্য করে বলেন, রাজনীতির মাঠে আপনারা পথে থাকেন না। আমাকে অপবাদ দেন। কথা দিলাম আমি সামনে পেছনে সবখানে আপনাদের সঙ্গে আছি। পরিবর্তনের লক্ষ্য নিয়ে আপনারা এগিয়ে চলুন।
আয়োজনের শুরুতেই সংক্ষিপ্ত কথামালায় শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন সংস্থার সাধারণ সম্পাদক খায়রুল আনাম শাকিল, সহ-সভাপতি খিলখিল কাজী ও সভাপতি খালিদ হোসেন। সংক্ষিপ্ত এই কথামালা পর্ব শেষ হতেই ভেসে আসে গানের সুর। অনেক কণ্ঠ এক হয়ে ত্রিতালে গেয়ে যায় শুভ্র সমুজ্জ্বল হে চির নির্মল। আর এমন গানের পরিবেশনায় যেন নির্মল আনন্দে অবগাহন করে সঙ্গীতপিপাসুর অনুরাগী মন। সমবেত গানের পরিবেশনা শেষ হতেই আসে একক গানের পালা। খালিদ হোসেনের সুরেলা কণ্ঠে গীত হয় তোমার মনে ফুটবে প্রথম আমারও মুকুল। এরপর ওগো অন্তরযামী ভক্তের তব শোনো শোনো নিবেদন গানটি নিবেদন করেন সুস্মিতা দেবনাথ। ঘুমিয়ে গেছে শ্রান্ত হয়ে আমার গানের বুলবুলি গানটি পরিবেশন করেন সালাউদ্দিন আহমেদ। এটিএম শামসুজ্জামান গেয়ে শোনান হে পার্থ সারথী। খিলখিল কাজীর পরিবেশনাটি শ্রোতার মনে বুনে যায় মুগ্ধতার বীজ। তিনি গেয়ে শোনান করুণ কেন অরুণ আঁখি/দাও গো সখি দাও শরাব। আফরোজা খান মিতার কণ্ঠে গীত হয় সাঝের পাখিরা শিরোনামের গানখানি। সে চলে গেছে বলে কিগো/স্মৃতিও হয়ে যায় ভোলা গানটি পরিবেশন করেন কাওসার বেগম নিশি। যারে হাত দিয়ে মালা দিতে পারো নাই/ কেন মনে রাখো তারে গেয়ে শোনান শারমীন সাথী ইসলাম। ড. লীনা তাপসী খানের কণ্ঠে উঠে আসে নজরুলের রাগপ্রধান সঙ্গীত। গেয়ে শোনান গগনও সঘনে চমকিছে দামিনি। যোসেফ কমল রড্রিক্স পরিবেশন করেন কাঁদাবো না আর সচি দুলাল। অরুণ রাঙা গোলাপ গানটি উচ্চারিত হয় শরীফা শিরিনের কণ্ঠে। হে প্রিয় আমারে দেবো না ভুলিতে গানটি পরিশেন করেন বিজন চন্দ্র মিস্ত্রি। বৃথা তুই কাহার পরে গেয়ে শোনান সুলতানা আফরোজ। ফুলের জলসায় নীরব কেন কবি গানটি পরিবেশন করেন মাহমুদুল হাসান।
শুরু হচ্ছে ভিট-চ্যানেল আই টপ মডেল
সেরা মডেল খুঁজে নিতে আবারও শুরু হলো ভিট- চ্যানেল টপ মডেল। প্রথম আসরের সফলতার পথ বেয়ে দ্বিতীয়বারের মতো এ আয়োজন করেছে যুক্তরাজ্যভিত্তিক বহুজাতিক কোম্পানি রেকিট বেনকিজার লিমিটেডের হেয়ার রিমুভার ব্রান্ড ‘ভিট’ ও বেসরকারী টেলিভিশন চ্যানেল ‘চ্যানেল আই।’ সোমবার সন্ধ্যায় তেজগাঁওয়ের চ্যানেল আই কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ ঘোষণা দেয়া হয়।
সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন চ্যানেল আইয়ের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ফরিদুর রেজা সাগর, রেকিট বেনকিজারের ব্যবস্থাপনা পরিচালক রিয়াজুল হক চৌধুরী ও এসএমজি গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক কামরুল ইসলাম।
শিল্পকলার এক্সপেরিমেন্টালে থিয়েটারে মঞ্চস্থ বারামখানা
সোমবার সন্ধ্যায় শিল্পকলা একাডেমীর জাতীয় নাট্যশালায় মঞ্চস্থ হলো থিয়েটার প্রযোজনা বারামখানা। সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়ের মনের উপন্যাসের ছায়া নাটকটি রচনা করেছেন পান্থ শাহ্রিয়ার। নির্দেশনা দিয়েছেন ত্রপা মজুমদার। বাউল সম্রাট লালনের জীবনাদর্শ, গান ও দর্শনের ওপর ভিত্তি করে নাটকের কাহিনী রচিত হয়েছে।
প্রাকৃতিক রং বিষয়ক কর্মশালা
প্রায় দুই যুগ ধরে প্রাকৃতিক রঙের ঐতিহ্য পুনরুদ্ধার, উন্নয়ন এবং প্রচারণায় কাজ করে চলেছে ওয়ার্ল্ড ক্রাফটস কাউন্সিল (বিশ্ব কারুশিল্প পরিষদ)। অন্যদিকে বেঙ্গল ফাউন্ডেশন গত চব্বিশ বছর যাবৎ শিল্প সংস্কৃতির পরিচর্যা করে আসছে। বেঙ্গল ফাউন্ডেশন ও ওয়ার্ল্ড ক্রাফটস কাউন্সিলের এশিয়া প্যাসিফিক শাখা যৌথভাবে শনিবার থেকে খিলক্ষেতের বেঙ্গল সেন্টার ভবনে ‘প্রশিক্ষকদের প্রশিক্ষণ/ ট্রেইনিং অব দ্যা ট্রেইনার্স’ শিরোনামে সাত দিনব্যাপী প্রাকৃতিক রং ব্যবহারের ওপর কর্মশালার আয়োজন করেছে। থাইল্যান্ড, নেপাল, লাওস, মালয়েশিয়া, ওমান, ভারত, পাকিস্তান, ভুটান এবং বাংলাদেশের ১২ জন বিশেষজ্ঞ এবং বাংলাদেশের ৬ জন কারুশিল্পী এই কর্মশালায় তাঁদের অভিজ্ঞতালদ্ধ জ্ঞান ও প্রাকৃতিক রং ব্যবহারের করণকৌশল উপস্থাপন করবেন এবং পরস্পরকে শিক্ষা দেবেন। নিজ নিজ দেশের মৌলিক রং তৈরির পদ্ধতি নিয়ে আলোচনা হবে এবং তা করে দেখানো হবে। এ কর্মশালা আগামী ১৪ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত প্রতিদিন সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত চলবে।
জাতীয় ঐক্যের আহ্বান বি চৌধুরীর
জাতীয় ঐক্যের আহ্বান জানিয়ে বি.চৌধুরী বলেন, চলমান ধারায় রাজনীতি চলতে পারে না। যুবসমাজ রাস্তায় না নামলে রাজনীতিতে পরিবর্তন আসবে না।
তিনি প্রধানমন্ত্রীর উদ্দেশ্যে বলেন, আপনি ক্ষমতা না দেখিয়ে দায়িত্ব গ্রহণ করুন। অন্যায়কে অন্যায় বলতে শিখুন। অগ্রহণযোগ্য ব্যক্তিকে বুয়েটের মতো শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ভিসি হিসেবে বসিয়ে রাখা ঠিক নয়। গোপালগঞ্জের লোক বলে ভিসিকে সরানো হচ্ছে না, এই অন্যায় আল্লাহ সহ্য করবে না। পদ্মা সেতু প্রসঙ্গে তিনি বলেন, পদ্মা সেতু নিয়ে দুর্নীতির পক্ষে আপনার সাফাইয়ের বিশ্ববাসী অবাক হয়েছে। পদ্মা সেতু নিয়ে দুদকের তদন্ত ও বিশ্বব্যাংকের বক্তব্য প্রকাশের জন্য সরকারের কাছে দাবি জানান তিনি।
হলমার্ক কেলেঙ্কারিতে অর্থমন্ত্রীর পদত্যাগ করা উচিত ছিল এমন মন্তব্য করে বি. চৌধুরী বলেন, এই ঘটনায় তিনি অগ্রহণযোগ্য কথা বলেছেন। দেশে এখন অসহনীয় পরিস্থিতি বিরাজ করছে। মানুষ গুম হচ্ছে। বেড়েছে হত্যাকা-ের ঘটনা আর কোন অন্যায় অত্যাচার সহ্য করব না। এ জন্য তিনি জাতীয় ঐক্যের আহ্বান জানান।
আগামীতে বিএনপি ক্ষমতায় এলে বিরোধী দল সংসদে যাবে তার কি নিশ্চয়তা আছেÑএমন প্রশ্ন রেখে তিনি বলেন, সংসদ সদস্যরা সদসদে যা বলেন তা সত্য। আর বিরোধী দল যা বলে তা মিথ্য। এই সংস্কৃতি বাদ দিতে হবে। সংসদে যে ভাষায় কথা বলা হয় তা ঠিক নয়। এভাবে চলতে দেয়া যায়।
ভিসিকে বিতাড়িত করা না হলে আন্দোলন ॥ ড. কামাল হোসেন বলেন, অবিলম্বে বুয়েটের ভিসিকে বাদ দেয়া না হলে এক দফা আন্দোলনে নামব। আমি সবাইকে জানিয়ে যাব, গুম হতে যাচ্ছি। লাশ পেলে জানবেন কেন লাশ হলাম। বুয়েট প্রসঙ্গে তিনি প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যের সমালোচনা করে তিনি বলেন, আমি আপনার বাসার সামনে প্রতিবাদ করব। আপনি নির্দেশ দেন আমাকে গুম করতে, গুলি করতে। তবুও বুয়েটের মেয়েদের নিয়ে কটূক্তি করার অধিকার আপনার নেই। আমার চোখের সামনে বুয়েটকে ধ্বংস হতে দিতে পারি না। বঙ্গবন্ধু আমার শিক্ষাগুরু। ন্যায় প্রতিষ্ঠার জন্য গুম হলে হব। তবুও তাঁর শিক্ষা থেকে দূরে সরে যাব না।
এই দেশ কোন ব্যক্তি বা দলের নয়Ñএমন মন্তব্য করে ড. কামাল হোসেন বলেন, তথাকথিত বড় দুই দল মনে করে দেশে অন্য কোন দল নেই, মানুষ নেই। আমরা এতিম। দুই জমিদার দল আমাদের পাত্তা দেবে কিনা মানুষ এ নিয়ে আমাদের প্রশ্ন করে। টেন্ডার ও চাঁদাবাজির জন্য মুক্তিযুদ্ধ হয়নি। স্বাধীনতা আসেনি। রাজনীতিতে রোগ ঢুকেছে। মন্ত্রীদের বিরুদ্ধে চুরির অভিযোগ উঠলে তাঁরা দফতরবিহীন মন্ত্রী থেকে যায়। হটাৎ পদত্যাগ করলে দেশপ্রেমিক হয়ে যায়।
বিএনপির হাওয়া ভবন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, সরকারের প্রশ্রয়ে হাওয়া ভবন টিকে ছিল। বিএনপিকে হাওয়া ভবনের সকল তথ্য ফাঁস করতে হবে। এই ভবনের বিরুদ্ধে জনগণ রায় দিয়েছে বিগত নির্বাচনে।
শিক্ষামন্ত্রীর উদ্দেশ্যে কামাল হোসেন বলেন, দেশের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে অরাজক অবস্থা বিরাজ করতে থাকলে আপনি পরিবারের কাছেও মন্ত্রী হিসেবে মুখ দেখাতে পারবেন না। ভিসিকে না সরালে আপনি যেখানেই থাকেন না কেন ভবিষ্যতে হলেও আপনার বিচার করা হবে। ঐতিহ্যবাহী শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে ধ্বংস করার অধিকার কারও নেই।
অশ্রদ্ধা পাওয়ার যোগ্যতা নেই অর্থমন্ত্রীর
শেয়ার কেলেঙ্কারি, হলমার্কসহ বিভিন্ন ইস্যুতে অর্থমন্ত্রীর বক্তব্যের সমালোচনা করে বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী বলেন, অশ্রদ্ধা পাওয়ার যোগ্যতাও নেই তাঁর। কয়েকদিন পর শেখ হাসিনা আর বাপের ধনে পোদ্দারি করতে পারবে না। তিনি বড় দুই রাজনৈতিক দলের সমালোচনা করে বলেন, মহাজোট অসুস্থ রাজনীতির ধারক ও বাহক। বিরোধী দল বিএনপি সুস্থ রাজনীতি করে না। মানুষ বিএনপি ও আওয়ামী লীগকে চায় না। বিএনপি সংশোধিত হয়নি বলে আওয়ামী লীগের শত ব্যর্থতার পরেও রাজপথে মানুষের প্রতিবাদ নেই। বিএনপি কার্যালয়ে যাওয়ার সময় কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের কর্মীদের আটকের প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেন, এমন অসভ্য সরকার আমি জীবনে দেখিনি।
বিএনপি প্রসঙ্গে তিনি বলেন, রাস্তায় না নেমে শুধু ঘরে বসে কৌশল করলে এ সরকারকে ক্ষমতা থেকে নামানো যাবে না। সরকারকে মনে রাখতে হবে বাংলাদেশে কোন রক্তই বৃথা যায়নি। তিনি এরশাদের সমালোচনা করে বলেন, মুক্তিযুদ্ধের সময় তিনি পাকিস্তানে থাকা সত্ত্বেও দেশ স্বাধীন হওয়ার পর নয় বছর রাষ্ট্র পরিচালনা করেন। সম্প্রতি তিনি ভারত সফর শেষে দেশে ফিরে নানা কথা বলছেন। ভাবছেন ভারত তাঁকে ক্ষমতায় নিয়ে আসবে। তাঁকে ভারত কেন আমেরিকাও ক্ষমতায় আনতে পারবে না। দেশ কে চালাবে তা নির্ধারণ করবে জনগণ। বাস্তবতা হলো বাংলাদেশের মানুষ ভারতের দালাল দেখতে চায় না।
তিনি ড. কামাল ও বি.চৌধুরীকে উদ্দেশ্য করে বলেন, রাজনীতির মাঠে আপনারা পথে থাকেন না। আমাকে অপবাদ দেন। কথা দিলাম আমি সামনে পেছনে সবখানে আপনাদের সঙ্গে আছি। পরিবর্তনের লক্ষ্য নিয়ে আপনারা এগিয়ে চলুন।
No comments