ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়- ছাত্রদল কর্মীদের বেধড়ক পিটিয়েছে ছাত্রলীগ
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে গতকাল সোমবার জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের বেশ কয়েকজন কর্মীকে ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা বেধড়ক পিটিয়েছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় অন্তত নয়জন আহত হয়েছেন। ঘটনার প্রতিবাদে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিকের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ বর্জন করেছেন ছাত্রদলের নবগঠিত কেন্দ্রীয় ও বিশ্ববিদ্যালয় কমিটির নেতারা।
বিকেলে জাতীয় প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে এ ঘটনায় জড়িত ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীদের বিচার দাবি করেছে ছাত্রদল। পুলিশের সামনে হামলা হলেও তারা নিষ্ক্রিয় ভূমিকা পালন করে বলে অভিযোগ করা হয়। একই সঙ্গে ক্যাম্পাসে রাজনৈতিক সহাবস্থান নিশ্চিত না করলে কঠোর কর্মসূচিতে যাওয়ার হুমকিও দিয়েছে তারা।
ছাত্রদলের আহত কর্মীরা হলেন: আব্বাস আলী, সোহাগ খান, রুহুল আমিন, মিজানুর রহমান, মাহমুদুল হক, আবু বকর সিদ্দিকী, মাহফুজুর রহমান, রওনাকুল ইসলাম ও সাফায়েত হোসেন। তাঁদের কয়েকজন ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছেন।
এ ঘটনায় ছাত্রদলের তিনজনকে আটক করেছে শাহবাগ থানার পুলিশ। তাঁরা হলেন: রাশেদুজ্জামান, মিরাজ ও আল আমিন। শহীদ মিনার এলাকা থেকে আটক হওয়া এই তিনজনই জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র।
গত রোববার বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের দাবি অনুযায়ী, উপাচার্যের সঙ্গে সাক্ষাতের জন্য কেন্দ্রীয় ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কমিটির ১০ জন নেতার একটি তালিকা পাঠায় ছাত্রদল। এরপর গতকাল বেলা দুইটায় সৌজন্য সাক্ষাতের সময় দেন উপাচার্য।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ছাত্রদলের নেতারা উপাচার্যের সঙ্গে দেখা করতে আসবেন—এ খবর পাওয়ার পর সকাল থেকেই ক্যাম্পাসে উত্তেজনা বিরাজ করছিল। ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় ও বিশ্ববিদ্যালয় শাখার নেতা-কর্মীরা মধুর ক্যানটিনে জড়ো হন। দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে ছাত্রলীগের কয়েক শ নেতা-কর্মী অবস্থান নেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের কার্যালয়ের সামনে মল চত্বরে। এ সময় সেখানে ছাত্রদলের কর্মীদের মারধর করেন ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা। কয়েকজন কর্মীকে নিচে ফেলে এলোপাতাড়ি কিল-ঘুষি ও লাথি মারেন ছাত্রলীগের কর্মীরা। ছাত্রলীগের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আল আমিন, কবি জসীমউদ্দীন হল ছাত্রলীগের কর্মী মেহেদী, মাস্টারদা সূর্য সেন হলের আবদুল বাতেন, সার্জেন্ট জহুরুল হক হলের তানভীর ও নয়ন, হাজী মুহম্মদ মুহসীন হলের বিপ্লব প্রমুখ হামলা ও মারধরে অংশ নেন।
ছাত্রদলের কর্মীদের ওপর ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীদের হামলার খবর পেয়ে উপাচার্যের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে আসা ছাত্রদলের নেতারা আর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে প্রবেশ করেননি। তাঁরা ক্যাম্পাসসংলগ্ন হাইকোর্টের সামনে থেকেই ফিরে যান। বিকেলে তাঁরা জাতীয় প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করেন।
সংবাদ সম্মেলনে ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি আবদুল কাদের ভূঁইয়া বলেন, সাক্ষাৎ করতে যাওয়ার আগেই ছাত্রদলের নেতা-কর্মী যাঁরা ক্যাম্পাসে ক্লাস ও পরীক্ষা দেওয়ার জন্য গিয়েছিলেন, ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা তাঁদের ওপর অতর্কিতে হামলা করেন। এ ঘটনায় কমপক্ষে ৫০ জন নেতা-কর্মী আহত হয়েছেন বলে দাবি করেন তিনি। তিনি ছাত্রলীগ ও উপাচার্যের বিরুদ্ধে রাজনৈতিক সৌজন্যবোধ ভঙ্গ করার অভিযোগ এনে সৌজন্য সাক্ষাৎ বর্জনের ঘোষণা দেন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক বলেন, ‘নির্ধারিত সময় পেরিয়ে যাওয়ার পরও ছাত্রদলের নেতাদের সাক্ষাৎ করার জন্য ডেকেছি। কিন্তু নিরাপত্তার আশ্বাস দেওয়ার পরও তারা আসেনি।’ ঘটনা তদন্তে শিগগিরই একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হবে বলে জানান তিনি।
হামলার অভিযোগ প্রসঙ্গে ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি এইচ এম বদিউজ্জামান প্রথম আলোকে বলেন, ‘এটি একটি বিচ্ছিন্ন ঘটনা। ছাত্রদল বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের আশপাশে অছাত্রদের নিয়ে জড়ো হচ্ছিল। ঘটনার সঙ্গে কর্মী পর্যায়ের কেউ জড়িত থাকতে পারে।’
পুলিশের নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ প্রসঙ্গে ওই সময় ঘটনাস্থলে দায়িত্ব পালন করা শাহবাগ থানার পরিদর্শক (টহল) শহিদুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ের অভ্যন্তরে কোনো ঘটনা ঘটলে কর্তৃপক্ষের অনুমতি ছাড়া কোনো কিছু করা যায় না। নির্দেশনা না থাকায় পুলিশ ব্যবস্থা নিতে পারেনি।’
ছাত্রদলের আহত কর্মীরা হলেন: আব্বাস আলী, সোহাগ খান, রুহুল আমিন, মিজানুর রহমান, মাহমুদুল হক, আবু বকর সিদ্দিকী, মাহফুজুর রহমান, রওনাকুল ইসলাম ও সাফায়েত হোসেন। তাঁদের কয়েকজন ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছেন।
এ ঘটনায় ছাত্রদলের তিনজনকে আটক করেছে শাহবাগ থানার পুলিশ। তাঁরা হলেন: রাশেদুজ্জামান, মিরাজ ও আল আমিন। শহীদ মিনার এলাকা থেকে আটক হওয়া এই তিনজনই জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র।
গত রোববার বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের দাবি অনুযায়ী, উপাচার্যের সঙ্গে সাক্ষাতের জন্য কেন্দ্রীয় ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কমিটির ১০ জন নেতার একটি তালিকা পাঠায় ছাত্রদল। এরপর গতকাল বেলা দুইটায় সৌজন্য সাক্ষাতের সময় দেন উপাচার্য।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ছাত্রদলের নেতারা উপাচার্যের সঙ্গে দেখা করতে আসবেন—এ খবর পাওয়ার পর সকাল থেকেই ক্যাম্পাসে উত্তেজনা বিরাজ করছিল। ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় ও বিশ্ববিদ্যালয় শাখার নেতা-কর্মীরা মধুর ক্যানটিনে জড়ো হন। দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে ছাত্রলীগের কয়েক শ নেতা-কর্মী অবস্থান নেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের কার্যালয়ের সামনে মল চত্বরে। এ সময় সেখানে ছাত্রদলের কর্মীদের মারধর করেন ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা। কয়েকজন কর্মীকে নিচে ফেলে এলোপাতাড়ি কিল-ঘুষি ও লাথি মারেন ছাত্রলীগের কর্মীরা। ছাত্রলীগের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আল আমিন, কবি জসীমউদ্দীন হল ছাত্রলীগের কর্মী মেহেদী, মাস্টারদা সূর্য সেন হলের আবদুল বাতেন, সার্জেন্ট জহুরুল হক হলের তানভীর ও নয়ন, হাজী মুহম্মদ মুহসীন হলের বিপ্লব প্রমুখ হামলা ও মারধরে অংশ নেন।
ছাত্রদলের কর্মীদের ওপর ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীদের হামলার খবর পেয়ে উপাচার্যের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে আসা ছাত্রদলের নেতারা আর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে প্রবেশ করেননি। তাঁরা ক্যাম্পাসসংলগ্ন হাইকোর্টের সামনে থেকেই ফিরে যান। বিকেলে তাঁরা জাতীয় প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করেন।
সংবাদ সম্মেলনে ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি আবদুল কাদের ভূঁইয়া বলেন, সাক্ষাৎ করতে যাওয়ার আগেই ছাত্রদলের নেতা-কর্মী যাঁরা ক্যাম্পাসে ক্লাস ও পরীক্ষা দেওয়ার জন্য গিয়েছিলেন, ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা তাঁদের ওপর অতর্কিতে হামলা করেন। এ ঘটনায় কমপক্ষে ৫০ জন নেতা-কর্মী আহত হয়েছেন বলে দাবি করেন তিনি। তিনি ছাত্রলীগ ও উপাচার্যের বিরুদ্ধে রাজনৈতিক সৌজন্যবোধ ভঙ্গ করার অভিযোগ এনে সৌজন্য সাক্ষাৎ বর্জনের ঘোষণা দেন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক বলেন, ‘নির্ধারিত সময় পেরিয়ে যাওয়ার পরও ছাত্রদলের নেতাদের সাক্ষাৎ করার জন্য ডেকেছি। কিন্তু নিরাপত্তার আশ্বাস দেওয়ার পরও তারা আসেনি।’ ঘটনা তদন্তে শিগগিরই একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হবে বলে জানান তিনি।
হামলার অভিযোগ প্রসঙ্গে ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি এইচ এম বদিউজ্জামান প্রথম আলোকে বলেন, ‘এটি একটি বিচ্ছিন্ন ঘটনা। ছাত্রদল বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের আশপাশে অছাত্রদের নিয়ে জড়ো হচ্ছিল। ঘটনার সঙ্গে কর্মী পর্যায়ের কেউ জড়িত থাকতে পারে।’
পুলিশের নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ প্রসঙ্গে ওই সময় ঘটনাস্থলে দায়িত্ব পালন করা শাহবাগ থানার পরিদর্শক (টহল) শহিদুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ের অভ্যন্তরে কোনো ঘটনা ঘটলে কর্তৃপক্ষের অনুমতি ছাড়া কোনো কিছু করা যায় না। নির্দেশনা না থাকায় পুলিশ ব্যবস্থা নিতে পারেনি।’
No comments