প্রধানমন্ত্রী কি একটু খোঁজ নিয়ে দেখবেন?- ডিজিটাল বাংলাদেশের অ্যানালগ ইন্টারনেট
নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী, বর্তমান সরকার দায়িত্ব গ্রহণের পর বেশ সাড়ম্বরে ঘোষণা করেছিল, আমাদের এই প্রিয় দেশকে একুশ শতকের উপযোগী একটি অগ্রসরমাণ দেশে পরিণত করতে ডিজিটাল প্রযুক্তির সর্বাধুনিক সুবিধাগুলো সর্বোচ্চ মাত্রায় ব্যবহার করা হবে। ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ’ অত্যন্ত জনপ্রিয় একটি স্লোগানে পরিণত হয়েছিল।
ভবিষ্যৎমুখিন দৃষ্টিভঙ্গির অধিকারী মানুষেরা, বিশেষত তরুণসমাজ সরকারের এই ঘোষণায় বেশ উদ্দীপনা বোধ করেছিল। কারণ, ডিজিটাল প্রযুক্তি ব্যবহারের মধ্য দিয়ে পৃথিবীর অনেক অনুন্নত ও উন্নয়নশীল দেশে অল্প সময়ের মধ্যে উন্নয়নের পালে নতুন হাওয়া লেগেছে—এমন দৃষ্টান্ত আমাদের সামনেই রয়েছে।
তারপর অনেক সময় পেরিয়ে গেল। সরকারের চতুর্থ বছরের দ্বিতীয়ভাগে এসে দেখা যাচ্ছে, বাংলাদেশ ডিজিটাল হওয়ার প্রক্রিয়ায় পড়ে রয়েছে অনেক পেছনে। দক্ষিণ এশীয় অঞ্চলে নেপালের মতো দেশও আমাদের ছাড়িয়ে গেছে (৫২তম স্থানে)। অনেক এগিয়ে গেছে পাকিস্তান (৪৪), তার থেকেও অনেক এগিয়ে গেছে ভারত (৩৩)। সুইজারল্যান্ডভিত্তিক ওয়ার্ল্ডওয়াইড ওয়েব ফাউন্ডেশনের একটি জরিপে দেখা যাচ্ছে, ইন্টারনেট ব্যবহার এবং সমাজ-রাজনীতিতে এর প্রভাবের ক্ষেত্রে বাংলাদেশের অবস্থান ৬১টি দেশের মধ্যে ৫৫তম। আর এশিয়া-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে আমরাই এ ক্ষেত্রে সবচেয়ে পিছিয়ে থাকা দেশ।
এর কারণ কী? প্রথমত, আমাদের দেশে ইন্টারনেটের গতি খুব মন্থর। প্রচুর অর্থ খরচ করেও ব্যবহারকারীরা যথেষ্ট গতি পাচ্ছেন না। এর কারণ, উচ্চগতির প্রযুক্তি-অবকাঠামোর প্রসার যতটা সম্ভব, ততটা ঘটেনি। যথেষ্ট মাত্রার ব্যান্ডউইডথ অব্যবহূত পড়ে রয়েছে। বিটিআরসির অধিকতর মনোযোগ মোবাইল টেলিফোন খাতের দিকে; কিন্তু সেটিও পড়ে রয়েছে দ্বিতীয় প্রজন্মের প্রযুক্তি নিয়ে। নেপালের মতো দেশেও তৃতীয় প্রজন্মের ব্রডব্যান্ড (থ্রিজি) সেবা চালু হয়েছে, অথচ বাংলাদেশে থ্রিজি চালু করার উদ্যোগ নেই। কেন? কায়েমি গোষ্ঠীগত স্বার্থ? দুর্নীতি? রাজনৈতিক সদিচ্ছার অভাব?
খতিয়ে দেখা দরকার। এই দায়িত্ব সরকারের। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দায়িত্ব গ্রহণের পরপরই ডিজিটাল বাংলাদেশের কথা বেশ বলতেন। এখন কি অনুগ্রহ করে তিনি একটু খোঁজ নিয়ে দেখবেন, কেন আমরা এমন পিছিয়ে রয়েছি?
তারপর অনেক সময় পেরিয়ে গেল। সরকারের চতুর্থ বছরের দ্বিতীয়ভাগে এসে দেখা যাচ্ছে, বাংলাদেশ ডিজিটাল হওয়ার প্রক্রিয়ায় পড়ে রয়েছে অনেক পেছনে। দক্ষিণ এশীয় অঞ্চলে নেপালের মতো দেশও আমাদের ছাড়িয়ে গেছে (৫২তম স্থানে)। অনেক এগিয়ে গেছে পাকিস্তান (৪৪), তার থেকেও অনেক এগিয়ে গেছে ভারত (৩৩)। সুইজারল্যান্ডভিত্তিক ওয়ার্ল্ডওয়াইড ওয়েব ফাউন্ডেশনের একটি জরিপে দেখা যাচ্ছে, ইন্টারনেট ব্যবহার এবং সমাজ-রাজনীতিতে এর প্রভাবের ক্ষেত্রে বাংলাদেশের অবস্থান ৬১টি দেশের মধ্যে ৫৫তম। আর এশিয়া-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে আমরাই এ ক্ষেত্রে সবচেয়ে পিছিয়ে থাকা দেশ।
এর কারণ কী? প্রথমত, আমাদের দেশে ইন্টারনেটের গতি খুব মন্থর। প্রচুর অর্থ খরচ করেও ব্যবহারকারীরা যথেষ্ট গতি পাচ্ছেন না। এর কারণ, উচ্চগতির প্রযুক্তি-অবকাঠামোর প্রসার যতটা সম্ভব, ততটা ঘটেনি। যথেষ্ট মাত্রার ব্যান্ডউইডথ অব্যবহূত পড়ে রয়েছে। বিটিআরসির অধিকতর মনোযোগ মোবাইল টেলিফোন খাতের দিকে; কিন্তু সেটিও পড়ে রয়েছে দ্বিতীয় প্রজন্মের প্রযুক্তি নিয়ে। নেপালের মতো দেশেও তৃতীয় প্রজন্মের ব্রডব্যান্ড (থ্রিজি) সেবা চালু হয়েছে, অথচ বাংলাদেশে থ্রিজি চালু করার উদ্যোগ নেই। কেন? কায়েমি গোষ্ঠীগত স্বার্থ? দুর্নীতি? রাজনৈতিক সদিচ্ছার অভাব?
খতিয়ে দেখা দরকার। এই দায়িত্ব সরকারের। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দায়িত্ব গ্রহণের পরপরই ডিজিটাল বাংলাদেশের কথা বেশ বলতেন। এখন কি অনুগ্রহ করে তিনি একটু খোঁজ নিয়ে দেখবেন, কেন আমরা এমন পিছিয়ে রয়েছি?
No comments