শিক্ষাঙ্গনে অস্থিরতা
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বুয়েটসহ অন্যান্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে বিশৃঙ্খলা ও অস্থিরতার বিষয়ে বলেছেন, ‘কঠোর পদক্ষেপের বদলে আমরা আলাপ আলোচনার মাধ্যমে সমস্যার সমাধান চাই। তবে কিভাবে কঠোর হতে হয় তাও আমাদের জানা আছে।’ প্রধানমন্ত্রীর এ বক্তব্যে বর্তমান মহাজোট সরকারের গণতান্ত্রিক ও যুক্তিবাদী মানসিকতা প্রতিফলিত হয়েছে।
বস্তুত কিছুকাল ধরে বুয়েটসহ দেশের কয়েকটি শিক্ষাঙ্গনে এত বেশি নৈরাজ্য ও বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হয়েছে যে, এসব প্রতিষ্ঠানে শিক্ষার ন্যূনতম পরিবেশ ব্যাহত করা হয়েছে। শিক্ষকরা যেখানে সততা ও বিচক্ষণতার মধ্য দিয়ে আদর্শ দৃষ্টান্ত স্থাপন করবেন, সেখানে অনেক ক্ষেত্রেই তাঁরা নিরপেক্ষভাবে দায়িত্ব পালনে ব্যর্থ হয়েছেন। এ ক্ষেত্রে দেশের কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে বিশৃঙ্খলার জন্য কাদের দায়ী করা যায়? এই প্রশ্ন ইতোমধ্যে সংশ্লিষ্ট অনেকের মনেই জাগ্রত হয়েছে। তবে একটি বিষয়ে সবাই একমত, এই নৈরাজ্যের কারণে বুয়েটসহ কয়েকটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষার্থীদের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে।
জুলাই মাসে আন্দোলনরত শিক্ষকদের সঙ্গে শিক্ষার্থীদের একটি অংশ একাত্মতা ঘোষণা করায় পরিস্থিতি জটিল রূপ নিয়েছিল। এরপরও অনেকেরই প্রত্যাশা ছিল, দেশ ও জাতির বৃহত্তর স্বার্থে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিবর্গের মধ্যে শুভবুদ্ধির উদয় হবে; কিন্তু তার লক্ষণ স্পষ্ট নয়। কিন্তু দীর্ঘদিন বন্ধ থাকার পর আগস্ট মাসে বুয়েট খুললেও সেখানে শিক্ষার সুস্থ পরিবেশ ফিরে আসেনি। এখনও সেখানে শিক্ষার যথাযথ কার্যক্রম বন্ধ। এভাবে আর কতকাল?
তবে বুয়েটসহ শিক্ষাঙ্গনে এই বিশৃঙ্খলা ও নৈরাজ্যের ক্ষেত্রে সরকার প্রথম থেকেই আন্দোলনরত শিক্ষকদের সঙ্গে যথেষ্ট নমনীয় আচরণ করেছে, সর্বদা আলাপ-আলোচনার মধ্য দিয়ে সমস্যার সমাধান খুঁজতে চেয়েছে। কিন্তু বিশৃঙ্খলা অব্যাহত থেকেছে। তবু সরকার এ ক্ষেত্রে ধৈর্য ও বিচক্ষণতার সঙ্গে অগ্রসর হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা স্বয়ং সমস্যার সমাধানের লক্ষ্যে শিক্ষক নেতৃবৃন্দের সঙ্গে আলোচনায় বসেছিলেন। কিন্তু এ ক্ষেত্রে শিক্ষক নেতৃবৃন্দ প্রধানমন্ত্রীর কাছে যে ওয়াদা করেছিলেন, তা পূরণ হয়নি। প্রধানমন্ত্রী সাংবাদিকদের সঙ্গে আলোচনাকালে বলেছেন, ‘আমার সঙ্গে শিক্ষকরা বসেছিলেন। কিন্তু দুর্ভাগ্য, আমার সঙ্গে বসে যে কথা দেয়া হয়েছিলÑ সে কথা রাখা হয়নি।’ প্রধানমন্ত্রীর এ বক্তব্যের মধ্য দিয়ে প্রমাণিত হয়, এমন কেউ কেউ আছেন, যাঁরা শিক্ষাঙ্গনে স্থিতিশীলতা চান না। এঁরা হয়ত শিক্ষাঙ্গনে নৈরাজ্যের মাধ্যমে সারাদেশেই স্থিতিশীলতা নষ্ট করতে চান। এঁদের সঙ্গে দেশের স্বাধীনতার শত্রু কট্টরবাদী মৌলবাদী চক্রের ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক আছে কিনা তা অবশ্যই খুঁজে বের করতে হবে।
এখন দেশের স্বার্থেই দেশের ‘কিছু চিহ্নিত শত্রুর’ বিরুদ্ধে কঠোর হওয়ার সময় এসেছে। প্রধানমন্ত্রী সুস্পষ্টভাবে বলেছেন, ‘কিভাবে কঠোর হতে হয় তা আমাদের জানা আছে।’ দেশের স্বাধীনতা, উন্নয়ন ও গণতান্ত্রিক স্থিতিশীলতার স্বার্থে সরকারকে কঠোর হতে হবে। তবে এক্ষেত্রে সর্বাধিক গুরুত্ব দিতে হবে সমস্যার সুষ্ঠু, গ্রহণযোগ্য সমাধানের বিষয়ে।
জুলাই মাসে আন্দোলনরত শিক্ষকদের সঙ্গে শিক্ষার্থীদের একটি অংশ একাত্মতা ঘোষণা করায় পরিস্থিতি জটিল রূপ নিয়েছিল। এরপরও অনেকেরই প্রত্যাশা ছিল, দেশ ও জাতির বৃহত্তর স্বার্থে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিবর্গের মধ্যে শুভবুদ্ধির উদয় হবে; কিন্তু তার লক্ষণ স্পষ্ট নয়। কিন্তু দীর্ঘদিন বন্ধ থাকার পর আগস্ট মাসে বুয়েট খুললেও সেখানে শিক্ষার সুস্থ পরিবেশ ফিরে আসেনি। এখনও সেখানে শিক্ষার যথাযথ কার্যক্রম বন্ধ। এভাবে আর কতকাল?
তবে বুয়েটসহ শিক্ষাঙ্গনে এই বিশৃঙ্খলা ও নৈরাজ্যের ক্ষেত্রে সরকার প্রথম থেকেই আন্দোলনরত শিক্ষকদের সঙ্গে যথেষ্ট নমনীয় আচরণ করেছে, সর্বদা আলাপ-আলোচনার মধ্য দিয়ে সমস্যার সমাধান খুঁজতে চেয়েছে। কিন্তু বিশৃঙ্খলা অব্যাহত থেকেছে। তবু সরকার এ ক্ষেত্রে ধৈর্য ও বিচক্ষণতার সঙ্গে অগ্রসর হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা স্বয়ং সমস্যার সমাধানের লক্ষ্যে শিক্ষক নেতৃবৃন্দের সঙ্গে আলোচনায় বসেছিলেন। কিন্তু এ ক্ষেত্রে শিক্ষক নেতৃবৃন্দ প্রধানমন্ত্রীর কাছে যে ওয়াদা করেছিলেন, তা পূরণ হয়নি। প্রধানমন্ত্রী সাংবাদিকদের সঙ্গে আলোচনাকালে বলেছেন, ‘আমার সঙ্গে শিক্ষকরা বসেছিলেন। কিন্তু দুর্ভাগ্য, আমার সঙ্গে বসে যে কথা দেয়া হয়েছিলÑ সে কথা রাখা হয়নি।’ প্রধানমন্ত্রীর এ বক্তব্যের মধ্য দিয়ে প্রমাণিত হয়, এমন কেউ কেউ আছেন, যাঁরা শিক্ষাঙ্গনে স্থিতিশীলতা চান না। এঁরা হয়ত শিক্ষাঙ্গনে নৈরাজ্যের মাধ্যমে সারাদেশেই স্থিতিশীলতা নষ্ট করতে চান। এঁদের সঙ্গে দেশের স্বাধীনতার শত্রু কট্টরবাদী মৌলবাদী চক্রের ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক আছে কিনা তা অবশ্যই খুঁজে বের করতে হবে।
এখন দেশের স্বার্থেই দেশের ‘কিছু চিহ্নিত শত্রুর’ বিরুদ্ধে কঠোর হওয়ার সময় এসেছে। প্রধানমন্ত্রী সুস্পষ্টভাবে বলেছেন, ‘কিভাবে কঠোর হতে হয় তা আমাদের জানা আছে।’ দেশের স্বাধীনতা, উন্নয়ন ও গণতান্ত্রিক স্থিতিশীলতার স্বার্থে সরকারকে কঠোর হতে হবে। তবে এক্ষেত্রে সর্বাধিক গুরুত্ব দিতে হবে সমস্যার সুষ্ঠু, গ্রহণযোগ্য সমাধানের বিষয়ে।
No comments