অকারণে সেতু-সরকারি অর্থ অপচয় কেন
মানুষের শখের অন্ত নেই। শখ পূরণের জন্য মানুষ অনেক কিছুই করে থাকে। রাজনৈতিক নেতাদের থাকে প্রতিশ্রুতি। সাধারণভাবে ধরে নেওয়া হয় প্রতিশ্রুতি ভঙ্গ করার জন্য বা পূরণ না করার জন্য প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়। কিন্তু প্রতিশ্রুতি পূরণ করতে গিয়ে অকারণ অপচয়ের এমন উদাহরণ বোধ হয় দ্বিতীয়টি পাওয়া যাবে না।
সোমবার কালের কণ্ঠে প্রকাশিত খবর যেন অকারণ অপচয়েরই সাক্ষ্য দিচ্ছে।
সরকারি মাল দরিয়াতে ঢেলে দেওয়ার একটা কথা প্রচলিত আছে। প্রভাব খাটিয়ে সরকারি অর্থ অপচয়ের এমন নজির বোধ হয় কোথাও নেই। সরকারি অর্থ তছরুপের নানা কাহিনী সংবাদপত্রে বিভিন্ন সময়ে প্রকাশিত হয়। কিন্তু প্রয়োজন ছাড়াই যত্রতত্র ব্রিজ নির্মাণের অভিনব খবর বোধ হয় এটাই প্রথম। প্রকাশিত খবরে বলা হয়েছে, বগুড়ার ধুনট উপজেলার ২৭টি গ্রাম নিয়ে গঠিত মাত্র ১৩ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের গোপালনগর ইউনিয়নে গেলেই চোখে পড়বে নানা আকারের সেতুর সমারোহ। প্রায় প্রতিটি গ্রামেই রয়েছে কমপক্ষে একটি করে সেতু। চেয়ারম্যান আনোয়ারুল ইসলামের নিজের গ্রাম সাতটিকুরিতে সেতুর পরিমাণ একটু বেশিই। এ গ্রামে একটি মসজিদের সামনে দুই বছর আগে নির্মাণ করা হয়েছে ৪০ মিটার দীর্ঘ একটি সেতু। এটি নির্মাণে ব্যয় হয়েছে প্রায় ৪০ লাখ টাকা। প্রকাশিত খবর অনুযায়ী, ইউপি চেয়ারম্যান তাঁর নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি রক্ষা এবং নিজের প্রভাব জাহির করতেই এলাকায় একের পর এক সেতু ও কালভার্ট নির্মাণের উৎসবে মেতেছেন। বদ্ধপুকুর থেকে খেলার মাঠ কিংবা ধানি জমি, কোনো স্থানই এ 'ব্রিজ চেয়ারম্যানের' নজর এড়াতে পারেনি। তবে দেখা গেছে, প্রয়োজনীয়তা যাচাই না করে যত্রতত্র সেতু বা কালভার্ট নির্মাণের কারণে মানুষের বিড়ম্বনাও কম নয়। কোথাও কোথাও সদ্য নির্মিত কালভার্ট বন্ধ করে বাড়ি বানানো হয়েছে। সেতুর সদ্ব্যবহার হচ্ছে- এমন জায়গা খুব একটা চোখে পড়ে না।
সরকারের নানা প্রকল্প থাকে। সেসব প্রকল্প বাস্তবায়িত হয় স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের মাধ্যমে। এসব প্রকল্প এমন হওয়া উচিত, যাতে এলাকার উন্নয়ন হয়। এলাকায় যেকোনো অবকাঠামো নির্মিত হওয়া মানেই সে এলাকার উন্নয়ন সাধন। কিন্তু যখন দেখা যায়, নির্মিত সেতুগুলোর অনেকগুলোর কোনো সংযোগ সড়ক নেই বা সংযোগ সড়ক নির্মাণ করা হয়নি, তখন ধরে নিতে হবে এসব সেতু নির্মাণের ক্ষেত্রে প্রয়োজনের চেয়ে প্রভাবই প্রাধান্য পেয়েছে।
আমরা মনে করি প্রভাব নয়, প্রয়োজনই হোক যেকোনো উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ডের মূল লক্ষ্য। যেখানে প্রয়োজন নেই, সেখানে সেতু নির্মাণ যে অহেতুক অপচয়, সেটা সবাইকে বুঝতে হবে। একজন জনপ্রতিনিধিকে এটা বেশি বুঝতে হবে। সুযোগ থাকলেই সরকারি অর্থ বরাদ্দ নিয়ে এভাবে একের পর এক সেতু নির্মাণ দেশ তো দূরের কথা, তাঁর এলাকার জন্যও কোনো উন্নতি বয়ে আনবে না। কাজেই সরকারি অর্থের অপচয় থেকে সবারই বিরত থাকা উচিত। বগুড়ার ধুনটে যে অপচয় হয়েছে তার সঠিক তদন্ত এবং প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া উচিত বলে আমরা মনে করি।
সরকারি মাল দরিয়াতে ঢেলে দেওয়ার একটা কথা প্রচলিত আছে। প্রভাব খাটিয়ে সরকারি অর্থ অপচয়ের এমন নজির বোধ হয় কোথাও নেই। সরকারি অর্থ তছরুপের নানা কাহিনী সংবাদপত্রে বিভিন্ন সময়ে প্রকাশিত হয়। কিন্তু প্রয়োজন ছাড়াই যত্রতত্র ব্রিজ নির্মাণের অভিনব খবর বোধ হয় এটাই প্রথম। প্রকাশিত খবরে বলা হয়েছে, বগুড়ার ধুনট উপজেলার ২৭টি গ্রাম নিয়ে গঠিত মাত্র ১৩ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের গোপালনগর ইউনিয়নে গেলেই চোখে পড়বে নানা আকারের সেতুর সমারোহ। প্রায় প্রতিটি গ্রামেই রয়েছে কমপক্ষে একটি করে সেতু। চেয়ারম্যান আনোয়ারুল ইসলামের নিজের গ্রাম সাতটিকুরিতে সেতুর পরিমাণ একটু বেশিই। এ গ্রামে একটি মসজিদের সামনে দুই বছর আগে নির্মাণ করা হয়েছে ৪০ মিটার দীর্ঘ একটি সেতু। এটি নির্মাণে ব্যয় হয়েছে প্রায় ৪০ লাখ টাকা। প্রকাশিত খবর অনুযায়ী, ইউপি চেয়ারম্যান তাঁর নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি রক্ষা এবং নিজের প্রভাব জাহির করতেই এলাকায় একের পর এক সেতু ও কালভার্ট নির্মাণের উৎসবে মেতেছেন। বদ্ধপুকুর থেকে খেলার মাঠ কিংবা ধানি জমি, কোনো স্থানই এ 'ব্রিজ চেয়ারম্যানের' নজর এড়াতে পারেনি। তবে দেখা গেছে, প্রয়োজনীয়তা যাচাই না করে যত্রতত্র সেতু বা কালভার্ট নির্মাণের কারণে মানুষের বিড়ম্বনাও কম নয়। কোথাও কোথাও সদ্য নির্মিত কালভার্ট বন্ধ করে বাড়ি বানানো হয়েছে। সেতুর সদ্ব্যবহার হচ্ছে- এমন জায়গা খুব একটা চোখে পড়ে না।
সরকারের নানা প্রকল্প থাকে। সেসব প্রকল্প বাস্তবায়িত হয় স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের মাধ্যমে। এসব প্রকল্প এমন হওয়া উচিত, যাতে এলাকার উন্নয়ন হয়। এলাকায় যেকোনো অবকাঠামো নির্মিত হওয়া মানেই সে এলাকার উন্নয়ন সাধন। কিন্তু যখন দেখা যায়, নির্মিত সেতুগুলোর অনেকগুলোর কোনো সংযোগ সড়ক নেই বা সংযোগ সড়ক নির্মাণ করা হয়নি, তখন ধরে নিতে হবে এসব সেতু নির্মাণের ক্ষেত্রে প্রয়োজনের চেয়ে প্রভাবই প্রাধান্য পেয়েছে।
আমরা মনে করি প্রভাব নয়, প্রয়োজনই হোক যেকোনো উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ডের মূল লক্ষ্য। যেখানে প্রয়োজন নেই, সেখানে সেতু নির্মাণ যে অহেতুক অপচয়, সেটা সবাইকে বুঝতে হবে। একজন জনপ্রতিনিধিকে এটা বেশি বুঝতে হবে। সুযোগ থাকলেই সরকারি অর্থ বরাদ্দ নিয়ে এভাবে একের পর এক সেতু নির্মাণ দেশ তো দূরের কথা, তাঁর এলাকার জন্যও কোনো উন্নতি বয়ে আনবে না। কাজেই সরকারি অর্থের অপচয় থেকে সবারই বিরত থাকা উচিত। বগুড়ার ধুনটে যে অপচয় হয়েছে তার সঠিক তদন্ত এবং প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া উচিত বলে আমরা মনে করি।
No comments