ফ্যাশনে-গানে পাঁচ কবিকে স্মরণ by জিয়াউর রহমান চৌধুরী
‘এ পথ দিয়ে একলা মনে চলছিল ওই গাঁয়ে, ও গাঁর মেয়ে আসছিল সে নূপুর পরা পায়ে’ জসীমউদ্দীনের নকসী কাঁথার মাঠ-এর পঙিক্ত উচ্চারিত হচ্ছে কণ্ঠে। অনেকেই তখন চোখ বুজে মনে মনে রুপা আর সাজুর কথা ভাবতে শুরু করেছেন। চোখ খুলে বেশ অবাক হতে হলো। কারণ মঞ্চে যে সাজু-রুপা হাজির।
পরনে লাল শাড়ি, কানে রুপার গয়না, পায়ে নূপুর, হাতে রঙিন চুড়ি, দুই পাশে দোলানো বেণিতে লাল ফিতা, কোমরে বিছা আর নাকে নথ—এই ছিল রুপার বেশ। আর সাজু যেন সেই চিরযুবক। পেশিবহুল কর্মঠ শরীর। দুই হাতের বাজুতে আর গলায় তাবিজ, পরনে লুঙ্গি।
এভাবেই গানে আর সাজসজ্জায় এক টুকরো নকশী কাঁথার মাঠ উঠে এল ঢাকার উত্তরায় স্কলাসটিকা স্কুলের এসটিএম মিলনায়তনে।
ছিল রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, কাজী নজরুল ইসলাম, অতুলপ্রসাদ সেন আর দ্বিজেন্দ্রলাল রায়ের সৃষ্টিগুলোও। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের শেষের কবিতার চরিত্র শার্ট-প্যান্ট পরা অমিত রায় আর কপালে টিপ পরা শাড়ি পরিহিত লাবণ্যও হাজির ছিল।
বাংলা সাহিত্যের এই পাঁচ দিকপালের উপন্যাসের চরিত্র বা গান-কবিতার অনুপ্রেরণায় করা হয় পোশাক আর সাজসজ্জা। ‘ড্রিম মার্চেন্টস’ নামে এই ফ্যাশন শোর আয়োজন করেন ডিজাইনার তুতলি রহমান ও লন্ডনপ্রবাসী গবেষক আনন্দ গুপ্ত। এ আয়োজন সম্পর্কে তুতলি রহমান বলেন, ‘তরুণদের এই পাঁচজন কবি সম্পর্কে জানাতে পোশাক আর সাজসজ্জায় তাঁদের সৃষ্টকর্ম ও তাঁদের সৃষ্ট চরিত্রগুলো তুলে আনার চেষ্টা করেছি।’
অনুষ্ঠানের পোশাক পরিকল্পনা আর কোরিওগ্রাফি করেছেন তুতলি রহমান, গবেষণা ও সংগীত পরিচালনা করেছেন আনন্দ গুপ্ত। গানে কণ্ঠ দিয়েছেন সংগীতশিল্পী সালমা আকবর ও ডালিয়া নওশীন। তবলায় ছিলেন ভারতের বিপ্লব মণ্ডল। মডেলদের সাজসজ্জায় সহযোগিতা করেন কানিজ আলমাস খান। আর চরিত্রগুলোকে মঞ্চে উপস্থাপন করেন রুমা, হিরা, বুবলি, পিয়া, ফারদিন, জনি, তানজিম, রনিসহ আরও অনেকে।
No comments