পদ্মা সেতু, এক সপ্তাহে সমস্যার সমাধান ॥ মুহিতের আশা- বিশ্বব্যাংকের সঙ্গে সমঝোতা চূড়ান্ত পর্যায়ে
পদ্মা সেতু প্রকল্পে ফিরিয়ে আনতে বিশ্বব্যাংকের সঙ্গে সমঝোতা চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে জানিয়ে আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে তাতে সফলতা আশা করছেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত।তিনি শনিবার তাঁর মিন্টো রোডের বাড়িতে বার্তা সংস্থাকে বলেন, ‘সমঝোতার সব বাধাবিপত্তি কেটে যাচ্ছে। আশা করছি, এক সপ্তাহের মধ্যে সমাধান হবে।’
গত বছরের সেপ্টেম্বরে দুর্নীতির অভিযোগ তোলার পর কয়েকটি শর্ত সরকারকে দিয়েছিল বিশ্বব্যাংক। তা পালন হয়নি বলে অভিযোগ জানিয়ে গত জুনে অর্থায়ন বাতিল করে তারা।
তবে অর্থায়ন বাতিলের পর এই প্রকল্প নিয়ে অভিযোগের মুখে থাকা মন্ত্রী সৈয়দ আবুল হোসেন পদত্যাগ করেন। সেতু বিভাগের সাবেক সচিব মোশাররফ হোসাইনও ছুটিতে যান।
পদ্মা সেতু প্রকল্পের ইন্টিগ্রিটি এ্যাডভাইজর ও প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা মশিউর রহমানও সরে যাচ্ছেন বলে শনিবার বেশ কয়েকটি জাতীয় দৈনিকে সংবাদ ছাপা হয়েছে।
অর্থমন্ত্রী বলেছেন, বিশ্বব্যাংক প্রকল্পে ফিরে এলে আগামী নবেম্বরে দরপত্র আহ্বান করা হবে। আর আগামী বছরের এপ্রিলের দিকে শুরু হবে সেতু নির্মাণের কাজ।
দুর্নীতির অভিযোগ তুলে গত জুন মাসে পদ্মা সেতু প্রকল্প থেকে বিশ্বব্যাংক সরে যাওয়ার পর সরকার নিজস্ব অর্থায়নে এই সেতু নির্মাণের ঘোষণা দিলেও আন্তর্জাতিক এই সংস্থাটির সঙ্গেও আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছিল।
বিশ্বব্যাংক ঋণচুক্তি বাতিল করলেও এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি) ও জাপানী উন্নয়ন সংস্থা জাইকার চুক্তির মেয়াদ ৩১ আগস্ট পর্যন্ত রয়েছে। ফলে এর মধ্যেই বিশ্বব্যাংকের সঙ্গে ফয়সালা করতে হবে সরকারকে।
বিশ্বব্যাংক সমঝোতার কিছুদিন পর দরপত্র আহ্বানের পক্ষে অবস্থান নিলেও সরকার দেরি করতে চাচ্ছে না বলে জানান অর্থমন্ত্রী। আর এক্ষেত্রেও বিশ্বব্যাংকের ইতিবাচক সাড়া পাওয়া গেছে, বলেন তিনি।
সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার জন্য বিশ্বব্যাংককে চিঠি দেয়া হচ্ছে কি নাÑ জানতে চাইলে মুহিত বলেন, ‘চিঠির ড্রাফট তো আমার রেডিই আছে। ওই দিক (বিশ্বব্যাংক) থেকে ইতিবাচক সাড়া পেলে তা দেয়া হবে।’
গত ২২ আগস্টও অর্থমন্ত্রী বলেছিলেন, বিশ্বব্যাংকের কাছে প্রত্যাখ্যাত না হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত হলে সংস্থাটিকে চিঠি দেয়া হবে।
মুহিতের ভাষ্য অনুযায়ী, বাংলাদেশের পক্ষে বিশ্বব্যাংকের সঙ্গে আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছেন সংস্থার ভারত-বাংলাদেশ-নেপালের নির্বাহী পরিচালক এমএন প্রসাদ। বিশ্বব্যাংক সদর দফতরে বাংলাদেশের বিকল্প পরিচালক মোহাম্মদ তারেকও আলোচনা চালাচ্ছেন।
২শ’ ৯০ কোটি ডলারে ৬ কিলোমিটার দীর্ঘ পদ্মা সেতু নির্মাণে বিশ্বব্যাংকের ১শ’ ২০ কোটি ডলার দেয়ার কথা ছিল। বাকি অর্থের বেশিরভাগ দেয়ার কথা এডিবি, আইডিবি ও জাইকার।
বিশ্বব্যাংকে ফেরানোর চেষ্টার বিষয়ে মুহিত এর আগে বলেছিলেন, ‘তারা অর্থায়ন করলে এ নিয়ে আমাদের যে ভাবমূর্তি ও মর্যাদা ক্ষুণœœ হয়েছে, তা পুনরুদ্ধার হবে।’
তবে অর্থায়ন বাতিলের পর এই প্রকল্প নিয়ে অভিযোগের মুখে থাকা মন্ত্রী সৈয়দ আবুল হোসেন পদত্যাগ করেন। সেতু বিভাগের সাবেক সচিব মোশাররফ হোসাইনও ছুটিতে যান।
পদ্মা সেতু প্রকল্পের ইন্টিগ্রিটি এ্যাডভাইজর ও প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা মশিউর রহমানও সরে যাচ্ছেন বলে শনিবার বেশ কয়েকটি জাতীয় দৈনিকে সংবাদ ছাপা হয়েছে।
অর্থমন্ত্রী বলেছেন, বিশ্বব্যাংক প্রকল্পে ফিরে এলে আগামী নবেম্বরে দরপত্র আহ্বান করা হবে। আর আগামী বছরের এপ্রিলের দিকে শুরু হবে সেতু নির্মাণের কাজ।
দুর্নীতির অভিযোগ তুলে গত জুন মাসে পদ্মা সেতু প্রকল্প থেকে বিশ্বব্যাংক সরে যাওয়ার পর সরকার নিজস্ব অর্থায়নে এই সেতু নির্মাণের ঘোষণা দিলেও আন্তর্জাতিক এই সংস্থাটির সঙ্গেও আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছিল।
বিশ্বব্যাংক ঋণচুক্তি বাতিল করলেও এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি) ও জাপানী উন্নয়ন সংস্থা জাইকার চুক্তির মেয়াদ ৩১ আগস্ট পর্যন্ত রয়েছে। ফলে এর মধ্যেই বিশ্বব্যাংকের সঙ্গে ফয়সালা করতে হবে সরকারকে।
বিশ্বব্যাংক সমঝোতার কিছুদিন পর দরপত্র আহ্বানের পক্ষে অবস্থান নিলেও সরকার দেরি করতে চাচ্ছে না বলে জানান অর্থমন্ত্রী। আর এক্ষেত্রেও বিশ্বব্যাংকের ইতিবাচক সাড়া পাওয়া গেছে, বলেন তিনি।
সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার জন্য বিশ্বব্যাংককে চিঠি দেয়া হচ্ছে কি নাÑ জানতে চাইলে মুহিত বলেন, ‘চিঠির ড্রাফট তো আমার রেডিই আছে। ওই দিক (বিশ্বব্যাংক) থেকে ইতিবাচক সাড়া পেলে তা দেয়া হবে।’
গত ২২ আগস্টও অর্থমন্ত্রী বলেছিলেন, বিশ্বব্যাংকের কাছে প্রত্যাখ্যাত না হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত হলে সংস্থাটিকে চিঠি দেয়া হবে।
মুহিতের ভাষ্য অনুযায়ী, বাংলাদেশের পক্ষে বিশ্বব্যাংকের সঙ্গে আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছেন সংস্থার ভারত-বাংলাদেশ-নেপালের নির্বাহী পরিচালক এমএন প্রসাদ। বিশ্বব্যাংক সদর দফতরে বাংলাদেশের বিকল্প পরিচালক মোহাম্মদ তারেকও আলোচনা চালাচ্ছেন।
২শ’ ৯০ কোটি ডলারে ৬ কিলোমিটার দীর্ঘ পদ্মা সেতু নির্মাণে বিশ্বব্যাংকের ১শ’ ২০ কোটি ডলার দেয়ার কথা ছিল। বাকি অর্থের বেশিরভাগ দেয়ার কথা এডিবি, আইডিবি ও জাইকার।
বিশ্বব্যাংকে ফেরানোর চেষ্টার বিষয়ে মুহিত এর আগে বলেছিলেন, ‘তারা অর্থায়ন করলে এ নিয়ে আমাদের যে ভাবমূর্তি ও মর্যাদা ক্ষুণœœ হয়েছে, তা পুনরুদ্ধার হবে।’
No comments