হবিগঞ্জের দু’দল গ্রামবাসীর সংঘর্ষে হত ২ আহত ১৫০- দুই শিশুর ঝগড়ার জের

পূর্ব বিরোধসহ শিশুদের ঝগড়াকে কেন্দ্র করে শনিবার বিকেলে হবিগঞ্জের উপজেলা বানিয়াচঙ্গের নিভৃত পল্লী কাউড়াকান্দিতে দু’দল গ্রামবাসীর রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে আব্দুল হক (৬০) ও আব্দুল আওয়াল (৪০) নামে দু’জন নিহত এবং আহত হয়েছে দেড় শতাধিক লোক।


পুলিশী ধরপাকড়ের ভয়ে ভীত হয়ে সংশ্লিষ্ট আত্মীয়-স্বজনরা গুরুতর আহত বেশকিছু লোককে হবিগঞ্জ সদর আধুনিক হাসপাতালসহ নানান স্থানের হাসপাতাল ও বাড়িঘরে চিকিৎসা দেয়ার চেষ্টায় রয়েছে। এদিকে সংঘর্ষকে কেন্দ্র করে সংশ্লিষ্ট এলাকায় পুলিশী তৎপরতা বৃদ্ধির পাশাপাশি উভয় দলের লোকজনের মধ্যে এখনও বিরাজ করছে তীব্র উত্তেজনা। যে কোন সময় আবারও বড় ধরনের সংঘর্ষের আশঙ্কা করছে স্থানীয় বাসিন্দারা।
পুলিশ জানায়, ওই গ্রামের বাসিন্দা সিরাজউদ্দিনের সঙ্গে একই গ্রামের আসকির মিয়ার পূর্ব বিরোধ চলছিল। কিন্তু শনিবার দুপুরে জোহর নামাজের পর ওই দু’ব্যক্তির নিকটজন দুই শিশুর মধ্যে ঝগড়া হয়। ফলে এ ঝগড়ার সুযোগ নিয়ে ওই দু’ব্যক্তি তাদের পক্ষাবলম্বনকারী লোকজনকে জড়ো করে একে অপরকে দেখে নেয়ার প্রস্তুতি গ্রহণ ও সংঘর্ষের আহ্বান জানায়। এর জের ধরে শনিবার বিকেল পৌনে ৪টার দিকে উভয় পক্ষাবলম্বনকারী শত শত লোক একে অপরের বিরুদ্ধে তুমুল সংর্ঘষে লিপ্ত হয়। এ সময় উভয় পক্ষ টেটা ও ফিকলসহ দেশীয় মারাত্মক অস্ত্রশস্ত্র ব্যবহার করে। প্রায় দেড় ঘন্টাব্যাপী এ সংর্ঘর্ষ চলাকালে প্রতিপক্ষের আঘাতে আব্দুল হক ঘটনাস্থলে মারা যায়। অপরদিকে সংঘর্ষের পর নিজ বাড়িতে মারা যায় আব্দুল আওয়াল। তবে আব্দুল আওয়ালের মৃত্যু নিয়ে সংশ্লিষ্ট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা নির্মলেন্দু চক্রবর্তী ভিন্ন বক্তব্য প্রদান করে বলেছেন, উক্ত সংঘর্ষের ঘটনায় নাকি শুধুমাত্র আব্দুল হক মারা গেছে। আর আব্দুল আওয়াল হার্ট এ্যাটাকে নিজ বাড়িতে মারা যায়। তবে আওয়ালের মুত্যু নাকি সংশ্লিষ্ট ঘটনার সঙ্গে সম্পৃক্ততা নেই। যদিও সংঘর্ষে লিপ্ত পক্ষ আব্দুল আওয়ালের মৃত্যু সংঘর্ষে হয়েছে দাবি করলেও তাৎক্ষণিক এ বক্তব্যের সত্যতা নিরূপণ করা সম্ভব হয়নি।

No comments

Powered by Blogger.