খাদ্যে বিষক্রিয়া ঠেকাবে রসুন
হৃদরোগ ও অন্ত্রের ক্যানসার প্রতিরোধে রসুনের খাদ্যগুণের কথা বহুল প্রচারিত।কিন্তু ওয়াশিংটন স্টেট ইউনিভার্সিটির এক দল গবেষকের এ বার দাবি, শুধু রোগ প্রতিরোধই নয় বরং খাদ্যে বিষক্রিয়া রোধেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিতে পারে রসুন।
সম্প্রতি ‘জার্নাল অফ অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল কেমোথেরাপি’তে প্রকাশিত গবেষণাপত্রে তারা দেখিয়েছেন, খাদ্যে বিষক্রিয়ার জন্য মূলত দায়ি যে ব্যাক্টেরিয়া, সেই ‘ক্যাম্পাইলোব্যাক্টার’কে কত দ্রুততায় নষ্ট করে দিতে পারে রসুনের ‘ডাই-অ্যালাইল সালফাইড’।
এক সাক্ষাৎকারে গবেষকদলের পক্ষে জিয়াওনান লু জানিয়েছেন, ‘ক্যাম্পাইলোব্যাক্টার’ খাদ্যের উপরে পিচ্ছিল আস্তরণ (বায়োফিল্ম) তৈরি করে খাদ্যে বিষক্রিয়া প্রতিরোধী উপাদানগুলিকে খাদ্যে মিশতে দেয় না।সাধারণত অ্যান্টিবায়োটিক ব্যবহার করে ওই আস্তরণ ভাঙ্গা হয়।দেখা গিয়েছে, ‘ক্যাম্পাইলোব্যাক্টার’-এর আস্তরণ তৈরি হয়ে যাওয়ার পর তা সাধারণের তুলনায় এক হাজার গুণ অ্যান্টিবায়োটিক প্রতিরোধী হয়ে যায়।
গবেষণায় বিজ্ঞানীরা দেখেছেন, ‘ডাই-অ্যালাইল সালফাইড’ এই ব্যাপারে বহুল ব্যবহৃত দুটি অ্যান্টিবায়োটিক, ‘এরিথ্রোমাইসিন’ ও ‘সিপ্রোফ্লক্সাসিন’-এর থেকে শত গুণ বেশি কার্যকর।‘এরিথ্রোমাইসিন’ ও ‘সিপ্রোফ্লক্সাসিন’ যেখানে ‘ক্যাম্পাইলোব্যাক্টার’-এর আস্তরণ ২৪ ঘণ্টায় ভাঙ্গতে পারে, সেখানে ‘ডাই-অ্যালাইল সালফাইড’ এর লাগে মাত্র পাঁচ ঘণ্টা।
সাধারণত, ডিম ও দুগ্ধজাত খাবার ঠিক মতো ফোটানো না হলে তাতে ‘ক্যাম্পাইলোব্যাক্টার’-এর সংক্রমণ ঘটে।একই ভাবে, নোংরা পাত্রে রাখা খাবারে থাবা বসায় ওই ব্যাকটেরিয়া।
লু’র দাবি, ‘ডাই-অ্যালাইল সালফাইড’ এর ঠিকমতো ব্যবহার করা গেলে এই সংক্রমণ উল্লেখযোগ্য ভাবে কমানো সম্ভব হবে।তবে শুধু ‘ক্যাম্পাইলোব্যাক্টার’ই নয়, ‘ডাই-অ্যালাইল সালফাইড’ যে ‘ইশ্চেরিশিয়া কোলি’র মতো ব্যাক্টেরিয়ার সংক্রমণও রুখতে যথেষ্ট সক্ষম, তা-ও গবেষণাপত্রে জানিয়েছেন বিজ্ঞানীরা।সূত্র: আ.বা
এক সাক্ষাৎকারে গবেষকদলের পক্ষে জিয়াওনান লু জানিয়েছেন, ‘ক্যাম্পাইলোব্যাক্টার’ খাদ্যের উপরে পিচ্ছিল আস্তরণ (বায়োফিল্ম) তৈরি করে খাদ্যে বিষক্রিয়া প্রতিরোধী উপাদানগুলিকে খাদ্যে মিশতে দেয় না।সাধারণত অ্যান্টিবায়োটিক ব্যবহার করে ওই আস্তরণ ভাঙ্গা হয়।দেখা গিয়েছে, ‘ক্যাম্পাইলোব্যাক্টার’-এর আস্তরণ তৈরি হয়ে যাওয়ার পর তা সাধারণের তুলনায় এক হাজার গুণ অ্যান্টিবায়োটিক প্রতিরোধী হয়ে যায়।
গবেষণায় বিজ্ঞানীরা দেখেছেন, ‘ডাই-অ্যালাইল সালফাইড’ এই ব্যাপারে বহুল ব্যবহৃত দুটি অ্যান্টিবায়োটিক, ‘এরিথ্রোমাইসিন’ ও ‘সিপ্রোফ্লক্সাসিন’-এর থেকে শত গুণ বেশি কার্যকর।‘এরিথ্রোমাইসিন’ ও ‘সিপ্রোফ্লক্সাসিন’ যেখানে ‘ক্যাম্পাইলোব্যাক্টার’-এর আস্তরণ ২৪ ঘণ্টায় ভাঙ্গতে পারে, সেখানে ‘ডাই-অ্যালাইল সালফাইড’ এর লাগে মাত্র পাঁচ ঘণ্টা।
সাধারণত, ডিম ও দুগ্ধজাত খাবার ঠিক মতো ফোটানো না হলে তাতে ‘ক্যাম্পাইলোব্যাক্টার’-এর সংক্রমণ ঘটে।একই ভাবে, নোংরা পাত্রে রাখা খাবারে থাবা বসায় ওই ব্যাকটেরিয়া।
লু’র দাবি, ‘ডাই-অ্যালাইল সালফাইড’ এর ঠিকমতো ব্যবহার করা গেলে এই সংক্রমণ উল্লেখযোগ্য ভাবে কমানো সম্ভব হবে।তবে শুধু ‘ক্যাম্পাইলোব্যাক্টার’ই নয়, ‘ডাই-অ্যালাইল সালফাইড’ যে ‘ইশ্চেরিশিয়া কোলি’র মতো ব্যাক্টেরিয়ার সংক্রমণও রুখতে যথেষ্ট সক্ষম, তা-ও গবেষণাপত্রে জানিয়েছেন বিজ্ঞানীরা।সূত্র: আ.বা
No comments