এশিয়ান হিউম্যান রাইটস কমিশনের বিবৃতিঃ সরকারকে ট্যাক্সের চেয়ে পুলিশকে বেশি ঘুষ দেয় বাংলাদেশীরা
নানা খাতে ট্যাক্স হিসেবে বাংলাদেশের নাগরিকরা সরকারকে যে পরিমাণ অর্থ দেয়, তার চেয়ে অনেক বেশি অর্থ তাদের খরচ হয় পুলিশকে ঘুষ দিতে। আর ক্ষমতাসীনদের রাজনৈতিক প্রতিপক্ষকে শায়েস্তা করার কাজ করে দেয়ার বিনিময়ে এই ঘুষ ও দুর্নীতির অপরাধের বিচার থেকে পুলিশের কর্তারা রেহাই পান।
এ কাজে পুলিশকে বাধ্য করার জন্যই সরকারগুলো তাদের বেতন-ভাতার পরিমাণ খুবই কমিয়ে রাখছে। বৃহস্পতিবার এক বিবৃতিতে এমন মূল্যায়ন জানিয়েছে এশিয়ান হিউম্যান রাইটস কমিশন (এএইচআরসি)।
হংকং ভিত্তিক এই অধিকার সংস্থাটি বলে, বাংলাদেশে দীর্ঘকাল ধরেই রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ ও সাধারণ মানুষের বিরুদ্ধে সাজানো অপরাধের অভিযোগ এবং নির্যাতনের কারখানা হয়ে আছে পুলিশ। পুলিশের ভেতরে চেইন অব কমান্ডের জায়গা নিয়েছে দুর্নীতি। দেশটিতে ফৌজদারি বিচার ব্যবস্থায় এককভাবে সবচেয়ে বড় বাধা হচ্ছে বিশ্বাসযোগ্যভাবে অপরাধ তদন্তে পুলিশের ধারাবাহিক ব্যর্থতা।
এএইচআরসি উল্লেখ করে, ‘‘শাসক শ্রেণীর অনুগত রাখতে সরকারগুলো পুলিশের বেতন খুবই নিম্নস্তরে রাখছে। এটা পুলিশকে ঘুষ দাবি করা ও গ্রহণ করার সুযোগ করে দিয়েছে। শাসক শ্রেণীর স্বার্থে তাদের রাজনৈতিক প্রতিপক্ষকে প্রায়ই শায়েস্তা করার মাধ্যমে এই পুলিশ কর্মকর্তারা তাদের দুর্নীতিসহ সব অপরাধের থেকে দায়মুক্তি পায়। পুলিশ কর্মকর্তাদের প্রকৃত আয় ও সম্পদের ফারাক থেকে এটা স্পষ্ট যে পুলিশ ও রাজনীতিকদের মধ্যে দুর্নীতি ও সুরক্ষার দুষ্টচক্র আছে।’’
বিশেষত গ্রামাঞ্চলে মানুষ পুলিশের দুর্নীতির শিকার হয় বেশি মাত্রায়- এ কথা উল্লেখ করে বলা হয়, ‘‘গ্রামে- যেখানে রাষ্ট্রের অস্তিত্ব সাধারণ মানুষের চোখে ধরা দেয় প্রধানত পুলিশের উপস্থিতির মাধ্যমেই- সেখানে নিত্যদিনই পুলিশকে ঘুষ দিতে হয়। সাধারণ ডায়েরি বা জিডি করতে, পুলিশি নির্যাতন ও অসদাচরণ থেকে রেহাই পেতে, অভিযুক্ত বা সাক্ষীর তালিকায় কারো নাম যুক্ত করা বা বাদ দেয়ার মতো সব কাজেই পুলিশকে ঘুষ দিতে হয়। সন্দেহভাজনকে গ্রেফতারে জন্যও পুলিশকে ঘুষ দিতে হয়। অন্যদিকে ওই সন্দেহভাজনও ঘুষ দেয় গ্রেফতার এড়াতে। তদন্তে যাতে আসামিকে অভিযুক্ত করা হয়, সেজন্য অভিযোগকারী ঘুষ দেয়, অন্যদিকে অভিযোগ বাদ দিতে ঘুষ দেয় আসামি। ফৌজদারি তদন্তে যাতে আদালতের কাছে হস্তান্তর করার আগ পর্যন্ত প্রমাণাদি বা আলামত সুরক্ষিত রাখে পুলিশ- তা নিশ্চিত করতেও ঘুষ দিতে হয়। অস্বাভাবিক মৃত্যুর ক্ষেত্রে যদি ময়নাতদন্তের জন্য লাশ কোনো সরকারি হাসপাতালে পাঠাতে হয়, তবে পুলিশকে ঘুষ দিতে হয়। যানবাহন দুর্ঘটনার ক্ষেত্রে অভিযোগ করতে গেলেও পুলিশকে ঘুষ দিতে হয়। দুপক্ষের মধ্যে কোনো পক্ষ বেশি ঘুষ দেয়, তার ওপর নির্ভর করে অভিযোগের ধরন ও কে অভিযুক্ত হবে।’’
অধিকার সংস্থাটির মতে, ‘‘অধিকাংশ পুলিশ কর্মকর্তারই আয়ের চেয়ে সম্পদ অনেক বেশি। ‘সমস্যা’ এড়াতে অনেক কর্মকর্তা নিজের বদলে স্বজনদের নামে সম্পত্তি নিবন্ধন করেন।
দুর্ভাগ্যজনকভাবে, সরকার জনগণের এই পুলিশি দুর্ভোগের ব্যাপারে গা করে না। অধিকাংশ ক্ষেত্রেই পুলিশ কর্মকর্তাদের পরিবারের সদস্যরা এটা খেয়ালে আনেন না যে, তাদের জীবনের অধিকাংশ আরাম-আয়েশের পেছনেই সাধারণ মানুষের দুঃখগাথা, দুর্ভোগ ও রক্তমাখা একেকটা কাহিনী আছে।’’
বিবৃতিতে বলা হয়, ‘‘বাংলাদেশকে অবশ্যই এই বিষয়টিতে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিতে হবে। পুলিশ সংস্কার করে যদি একে একটি পেশাদার বাহিনী হিসেবে আধুনিক গণতন্ত্রে জনগণকে সেবা দেয়ার মতো সরঞ্জাম ও প্রশিক্ষণ দিয়ে উপযোগী করে গড়ে না তোলে বাংলাদেশ; তবে জনগণের সামনে কোনো আশা নেই। ইনসাফ ও সুষ্ঠু বিচার দেশটিতে অধরাই থেকে যাবে।’’
হংকং ভিত্তিক এই অধিকার সংস্থাটি বলে, বাংলাদেশে দীর্ঘকাল ধরেই রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ ও সাধারণ মানুষের বিরুদ্ধে সাজানো অপরাধের অভিযোগ এবং নির্যাতনের কারখানা হয়ে আছে পুলিশ। পুলিশের ভেতরে চেইন অব কমান্ডের জায়গা নিয়েছে দুর্নীতি। দেশটিতে ফৌজদারি বিচার ব্যবস্থায় এককভাবে সবচেয়ে বড় বাধা হচ্ছে বিশ্বাসযোগ্যভাবে অপরাধ তদন্তে পুলিশের ধারাবাহিক ব্যর্থতা।
এএইচআরসি উল্লেখ করে, ‘‘শাসক শ্রেণীর অনুগত রাখতে সরকারগুলো পুলিশের বেতন খুবই নিম্নস্তরে রাখছে। এটা পুলিশকে ঘুষ দাবি করা ও গ্রহণ করার সুযোগ করে দিয়েছে। শাসক শ্রেণীর স্বার্থে তাদের রাজনৈতিক প্রতিপক্ষকে প্রায়ই শায়েস্তা করার মাধ্যমে এই পুলিশ কর্মকর্তারা তাদের দুর্নীতিসহ সব অপরাধের থেকে দায়মুক্তি পায়। পুলিশ কর্মকর্তাদের প্রকৃত আয় ও সম্পদের ফারাক থেকে এটা স্পষ্ট যে পুলিশ ও রাজনীতিকদের মধ্যে দুর্নীতি ও সুরক্ষার দুষ্টচক্র আছে।’’
বিশেষত গ্রামাঞ্চলে মানুষ পুলিশের দুর্নীতির শিকার হয় বেশি মাত্রায়- এ কথা উল্লেখ করে বলা হয়, ‘‘গ্রামে- যেখানে রাষ্ট্রের অস্তিত্ব সাধারণ মানুষের চোখে ধরা দেয় প্রধানত পুলিশের উপস্থিতির মাধ্যমেই- সেখানে নিত্যদিনই পুলিশকে ঘুষ দিতে হয়। সাধারণ ডায়েরি বা জিডি করতে, পুলিশি নির্যাতন ও অসদাচরণ থেকে রেহাই পেতে, অভিযুক্ত বা সাক্ষীর তালিকায় কারো নাম যুক্ত করা বা বাদ দেয়ার মতো সব কাজেই পুলিশকে ঘুষ দিতে হয়। সন্দেহভাজনকে গ্রেফতারে জন্যও পুলিশকে ঘুষ দিতে হয়। অন্যদিকে ওই সন্দেহভাজনও ঘুষ দেয় গ্রেফতার এড়াতে। তদন্তে যাতে আসামিকে অভিযুক্ত করা হয়, সেজন্য অভিযোগকারী ঘুষ দেয়, অন্যদিকে অভিযোগ বাদ দিতে ঘুষ দেয় আসামি। ফৌজদারি তদন্তে যাতে আদালতের কাছে হস্তান্তর করার আগ পর্যন্ত প্রমাণাদি বা আলামত সুরক্ষিত রাখে পুলিশ- তা নিশ্চিত করতেও ঘুষ দিতে হয়। অস্বাভাবিক মৃত্যুর ক্ষেত্রে যদি ময়নাতদন্তের জন্য লাশ কোনো সরকারি হাসপাতালে পাঠাতে হয়, তবে পুলিশকে ঘুষ দিতে হয়। যানবাহন দুর্ঘটনার ক্ষেত্রে অভিযোগ করতে গেলেও পুলিশকে ঘুষ দিতে হয়। দুপক্ষের মধ্যে কোনো পক্ষ বেশি ঘুষ দেয়, তার ওপর নির্ভর করে অভিযোগের ধরন ও কে অভিযুক্ত হবে।’’
অধিকার সংস্থাটির মতে, ‘‘অধিকাংশ পুলিশ কর্মকর্তারই আয়ের চেয়ে সম্পদ অনেক বেশি। ‘সমস্যা’ এড়াতে অনেক কর্মকর্তা নিজের বদলে স্বজনদের নামে সম্পত্তি নিবন্ধন করেন।
দুর্ভাগ্যজনকভাবে, সরকার জনগণের এই পুলিশি দুর্ভোগের ব্যাপারে গা করে না। অধিকাংশ ক্ষেত্রেই পুলিশ কর্মকর্তাদের পরিবারের সদস্যরা এটা খেয়ালে আনেন না যে, তাদের জীবনের অধিকাংশ আরাম-আয়েশের পেছনেই সাধারণ মানুষের দুঃখগাথা, দুর্ভোগ ও রক্তমাখা একেকটা কাহিনী আছে।’’
বিবৃতিতে বলা হয়, ‘‘বাংলাদেশকে অবশ্যই এই বিষয়টিতে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিতে হবে। পুলিশ সংস্কার করে যদি একে একটি পেশাদার বাহিনী হিসেবে আধুনিক গণতন্ত্রে জনগণকে সেবা দেয়ার মতো সরঞ্জাম ও প্রশিক্ষণ দিয়ে উপযোগী করে গড়ে না তোলে বাংলাদেশ; তবে জনগণের সামনে কোনো আশা নেই। ইনসাফ ও সুষ্ঠু বিচার দেশটিতে অধরাই থেকে যাবে।’’
No comments