৫ হাজার ডিলারের উত্তোলন বন্ধ ॥ রোজায় চিনির মূল্যবৃদ্ধির আশঙ্কা!-০ কর্পোরেশনের চিনির দাম খুচরা, এমনকি টিসিবির চেয়ে বেশি, ন্যায্যমূল্যের চিনি -কিনছেন না ভোক্তারা -০ শিল্পমন্ত্রী বিষয়টিকে চক্রান্ত হিসেবে দেখছেন by মিজান চৌধুরী
খুচরা বাজারের চেয়ে বেশি দাম নির্ধারণের কারণে পাঁচ হাজার ডিলার মিল থেকে চিনি উত্তোলন বন্ধ করে দিয়েছে। চিনি ও খাদ্যশিল্প কর্পোরেশনের (বিএসএফসি) এসব ডিলার আসন্ন রোজা উপলক্ষে বিক্রিও বন্ধ রেখেছে। এতে রোজার বাজার স্থিতিশীল রাখতে রাষ্ট্রায়ত্ত এই প্রতিষ্ঠান কোন ভূমিকা রাখতে পারছে না।
যদিও বাজার স্থিতিশীল রাখার পরিকল্পনা হিসেবে ১ লাখ ৮৬ হাজার টন চিনি মজুদ করে চিনি ও খাদ্যশিল্প কর্পোরেশন।
এদিকে ন্যায্যমূল্যের নামে ৬০ টাকা দরে রাজধানীর বিভিন্ন পয়েন্টে চিনি বিক্রি করছে কর্পোরেশন। খুচরা বাজারে ৫২ থেকে ৫৩ টাকায় চিনি পাওয়া যাওয়ায় সরকারের চিনি কেজিতে সাত থেকে আট টাকা বেশি দিয়ে ক্রেতারা কিনছেন না।
শিল্পমন্ত্রী দিলীপ বড়ুয়ার কাছে এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি জনকণ্ঠকে বলেন, কৃত্রিমভাবে দাম কমিয়ে কতিপয় রিফাইনারি মালিক বাজারে চিনি সরবরাহ করছে। একচেটিয়া বাজার দখলে নেয়ার চক্রান্ত হিসেবে তারা এটি করছে। চিনি ও খাদ্যশিল্প কর্পোরেশনের চিনি বিক্রিতে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করতে সরকারের চেয়ে কম দামে ব্যবসায়ীরা বিক্রি করছে। শিল্পমন্ত্রী আরও বলেন, এই মুহূর্তে চট্টগ্রাম বন্দরে এককেজি চিনির আমদানি মূল্য হচ্ছে ৬২ টাকা। কিভাবে ওসব মিল মালিক ৫২ টাকা দরে চিনি বিক্রি করছে?
চিনি ও খাদ্যশিল্প কর্পোরেশনের অধীনে ৫ হাজার ডিলার রয়েছে। তাদের জামানত রয়েছে ৫০ কোটি টাকা। ডিলার ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমান বাবুল জনকণ্ঠকে বলেন, প্রতিমাসে তিন টন চিনি বরাদ্দ দেয়া হচ্ছে। প্রতিকেজি চিনির মূল্য ধরা হয়েছে ৫৫ টাকা। কিন্তু বাজারে বিক্রি হচ্ছে ৫২ টাকা। ডিলাররা এই চিনি উত্তোলন করলে প্রতি বরাদ্দে ২০ হাজার টাকা লোকসান গুনতে হবে। যে কারণে কোন ডিলার চিনি উত্তোলন করছে না। তিনি আরও বলেন, চিনি উত্তোলন না করায় প্রতিমাসে ডিলারদের কাছ থেকে ৬শ’ টাকা কর্তন করা হচ্ছে। মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, আমরা চিনি বিক্রি করতে চাই। কিন্তু যেখানে বাজারে চিনির দাম কমছে সেখানে চিনির মূল্য কেন বাড়িয়ে রাখা হচ্ছে তা আমাদের বোধগম্য নয়। তিনি বলেন, বিষয়টি লিখিত আকারে অর্থমন্ত্রীকে জানানো হয়েছে। সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক দেয়োন জিন্না বলেন, চিনির দাম কমাতে একাধিকবার শিল্পমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করে দাবি জানিয়েছি। কিন্তু আমাদের কথা তিনি আমলে নেননি। জানা গেছে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে চিনি ও খাদ্যশিল্প কর্পোরেশন রমজান উপলক্ষে উৎপাদনের পাশাপাশি বিদেশ থেকে চিনি আমদানি করেছে। এ বছর দেশের মিলগুলোতে ৭০ হাজার টন উৎপাদন হয়েছে। ২০১১-১২ অর্থ বছরের শেষ দিকে ৭৫ হাজার টন আমদানি করা হয়। বিগত আমদানির আরও ৩২ হাজার টন মিলে এখন কর্পোরেশনের কাছে ১ লাখ ৮৬ হাজার টন মজুদ রয়েছে।
কিন্তু বিএসএফসি থেকে ডিলারদের জন্য প্রতিকেজি চিনির মূল্য ৫৫ টাকা এবং রোজা উপলক্ষে খুচরা বাজারে বিক্রির জন্য ৬০ টাকা নির্ধারণ করা হয়। খুচরা বাজারের তুলনায় মিলের চিনির মূল্য বেশি হওয়ার প্রতিবাদে ১ কেজি চিনিও উত্তোলন করেনি ডিলাররা। ফলে কর্পোরেশনের চিনি চট্টগ্রাম গুদামে রাখার ফলে এ পর্যন্ত ১০ কোটি টাকা ভাড়া বাবদ গুনতে হয়েছে। অপর দিকে ব্যাংক থেকে নেয়া ঋণের সুদও বাড়ছে।
এদিকে খুচরা বাজারে ৫২ টাকা, টিসিবির চিনি ৫০ টাকা হলেও চিনি ও খাদ্যশিল্প কর্পোরেশনের দাম বেশির কারণে খোলা বাজারেও আশানুরূপ বিক্রি হচ্ছে না। যদিও টিসিবি বিএসএফসি থেকে চিনি কিনে খোলা বাজারে ন্যায্যমূল্যে বিক্রি করছে। এদিকে সরকারের চিনির মূল্য বেশি থাকায় বেসরকারী কোম্পানিগুলো দাম বাড়ানোর প্রস্তুতি নিচ্ছে। এ প্রসঙ্গে শিল্পমন্ত্রী দিলীপ বড়ুয়া জনকণ্ঠকে বলেন, চিনি উৎপাদন খরচ হয়েছে প্রতিকেজি ৮৫ টাকা। কেজিতে ২৫ টাকা ভর্তুকি দিয়ে বিক্রি করা হচ্ছে। আপনি বেশি মূল্য নির্ধারণের ফলে বেসরকারী কোম্পানিগুলো মূল্য বাড়াতে পারে। এতে বাজার পরিস্থিতি আরও খারাপ হবেÑ এ বিষয়ে তিনি বলেন, বেসরকারী কোম্পানিগুলো বর্তমান লোকসান দিয়ে চিনি বিক্রি করছে। মূলত আমার চিনি বিক্রি বন্ধ করতে তারা এ কাজ করছে।
ডিলার সমিতির পক্ষ থেকে বলা হয় চিনির দাম না কমানোর ব্যাপারে অর্থমন্ত্রী শিল্পমন্ত্রীকে বলেছেন। শিল্পমন্ত্রী এ কথা ডিলারদের বলেছেন। এ প্রেক্ষাপটে গত ২৬ জুন ডিলার সমিতির পক্ষ থেকে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আব্দুল মুহিতের সঙ্গে দেখা করে লিখিত পত্র দিয়ে আসে। তবে এখন পর্যন্ত বিষয়টির কোন সুরাহা হয়নি বলে ডিলার সমিতি নেতৃবৃন্দ জানান। তাঁদের মতে, কর্পোরেশনের ইতিহাসে এমন ঘটনা আর ঘটেনি যে বাজার মূল্যের থেকে দাম বেশি হওয়ায় ডিলাররা চিনি উত্তোলন বন্ধ রেখেছেন।
এদিকে ন্যায্যমূল্যের নামে ৬০ টাকা দরে রাজধানীর বিভিন্ন পয়েন্টে চিনি বিক্রি করছে কর্পোরেশন। খুচরা বাজারে ৫২ থেকে ৫৩ টাকায় চিনি পাওয়া যাওয়ায় সরকারের চিনি কেজিতে সাত থেকে আট টাকা বেশি দিয়ে ক্রেতারা কিনছেন না।
শিল্পমন্ত্রী দিলীপ বড়ুয়ার কাছে এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি জনকণ্ঠকে বলেন, কৃত্রিমভাবে দাম কমিয়ে কতিপয় রিফাইনারি মালিক বাজারে চিনি সরবরাহ করছে। একচেটিয়া বাজার দখলে নেয়ার চক্রান্ত হিসেবে তারা এটি করছে। চিনি ও খাদ্যশিল্প কর্পোরেশনের চিনি বিক্রিতে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করতে সরকারের চেয়ে কম দামে ব্যবসায়ীরা বিক্রি করছে। শিল্পমন্ত্রী আরও বলেন, এই মুহূর্তে চট্টগ্রাম বন্দরে এককেজি চিনির আমদানি মূল্য হচ্ছে ৬২ টাকা। কিভাবে ওসব মিল মালিক ৫২ টাকা দরে চিনি বিক্রি করছে?
চিনি ও খাদ্যশিল্প কর্পোরেশনের অধীনে ৫ হাজার ডিলার রয়েছে। তাদের জামানত রয়েছে ৫০ কোটি টাকা। ডিলার ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমান বাবুল জনকণ্ঠকে বলেন, প্রতিমাসে তিন টন চিনি বরাদ্দ দেয়া হচ্ছে। প্রতিকেজি চিনির মূল্য ধরা হয়েছে ৫৫ টাকা। কিন্তু বাজারে বিক্রি হচ্ছে ৫২ টাকা। ডিলাররা এই চিনি উত্তোলন করলে প্রতি বরাদ্দে ২০ হাজার টাকা লোকসান গুনতে হবে। যে কারণে কোন ডিলার চিনি উত্তোলন করছে না। তিনি আরও বলেন, চিনি উত্তোলন না করায় প্রতিমাসে ডিলারদের কাছ থেকে ৬শ’ টাকা কর্তন করা হচ্ছে। মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, আমরা চিনি বিক্রি করতে চাই। কিন্তু যেখানে বাজারে চিনির দাম কমছে সেখানে চিনির মূল্য কেন বাড়িয়ে রাখা হচ্ছে তা আমাদের বোধগম্য নয়। তিনি বলেন, বিষয়টি লিখিত আকারে অর্থমন্ত্রীকে জানানো হয়েছে। সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক দেয়োন জিন্না বলেন, চিনির দাম কমাতে একাধিকবার শিল্পমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করে দাবি জানিয়েছি। কিন্তু আমাদের কথা তিনি আমলে নেননি। জানা গেছে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে চিনি ও খাদ্যশিল্প কর্পোরেশন রমজান উপলক্ষে উৎপাদনের পাশাপাশি বিদেশ থেকে চিনি আমদানি করেছে। এ বছর দেশের মিলগুলোতে ৭০ হাজার টন উৎপাদন হয়েছে। ২০১১-১২ অর্থ বছরের শেষ দিকে ৭৫ হাজার টন আমদানি করা হয়। বিগত আমদানির আরও ৩২ হাজার টন মিলে এখন কর্পোরেশনের কাছে ১ লাখ ৮৬ হাজার টন মজুদ রয়েছে।
কিন্তু বিএসএফসি থেকে ডিলারদের জন্য প্রতিকেজি চিনির মূল্য ৫৫ টাকা এবং রোজা উপলক্ষে খুচরা বাজারে বিক্রির জন্য ৬০ টাকা নির্ধারণ করা হয়। খুচরা বাজারের তুলনায় মিলের চিনির মূল্য বেশি হওয়ার প্রতিবাদে ১ কেজি চিনিও উত্তোলন করেনি ডিলাররা। ফলে কর্পোরেশনের চিনি চট্টগ্রাম গুদামে রাখার ফলে এ পর্যন্ত ১০ কোটি টাকা ভাড়া বাবদ গুনতে হয়েছে। অপর দিকে ব্যাংক থেকে নেয়া ঋণের সুদও বাড়ছে।
এদিকে খুচরা বাজারে ৫২ টাকা, টিসিবির চিনি ৫০ টাকা হলেও চিনি ও খাদ্যশিল্প কর্পোরেশনের দাম বেশির কারণে খোলা বাজারেও আশানুরূপ বিক্রি হচ্ছে না। যদিও টিসিবি বিএসএফসি থেকে চিনি কিনে খোলা বাজারে ন্যায্যমূল্যে বিক্রি করছে। এদিকে সরকারের চিনির মূল্য বেশি থাকায় বেসরকারী কোম্পানিগুলো দাম বাড়ানোর প্রস্তুতি নিচ্ছে। এ প্রসঙ্গে শিল্পমন্ত্রী দিলীপ বড়ুয়া জনকণ্ঠকে বলেন, চিনি উৎপাদন খরচ হয়েছে প্রতিকেজি ৮৫ টাকা। কেজিতে ২৫ টাকা ভর্তুকি দিয়ে বিক্রি করা হচ্ছে। আপনি বেশি মূল্য নির্ধারণের ফলে বেসরকারী কোম্পানিগুলো মূল্য বাড়াতে পারে। এতে বাজার পরিস্থিতি আরও খারাপ হবেÑ এ বিষয়ে তিনি বলেন, বেসরকারী কোম্পানিগুলো বর্তমান লোকসান দিয়ে চিনি বিক্রি করছে। মূলত আমার চিনি বিক্রি বন্ধ করতে তারা এ কাজ করছে।
ডিলার সমিতির পক্ষ থেকে বলা হয় চিনির দাম না কমানোর ব্যাপারে অর্থমন্ত্রী শিল্পমন্ত্রীকে বলেছেন। শিল্পমন্ত্রী এ কথা ডিলারদের বলেছেন। এ প্রেক্ষাপটে গত ২৬ জুন ডিলার সমিতির পক্ষ থেকে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আব্দুল মুহিতের সঙ্গে দেখা করে লিখিত পত্র দিয়ে আসে। তবে এখন পর্যন্ত বিষয়টির কোন সুরাহা হয়নি বলে ডিলার সমিতি নেতৃবৃন্দ জানান। তাঁদের মতে, কর্পোরেশনের ইতিহাসে এমন ঘটনা আর ঘটেনি যে বাজার মূল্যের থেকে দাম বেশি হওয়ায় ডিলাররা চিনি উত্তোলন বন্ধ রেখেছেন।
No comments