গ্রামীণফোন থেকে ২১৭ কর্মী চাকরিচ্যুত

মোবাইল ফোন অপারেটর কোম্পানি গ্রামীণফোন থেকে এ পর্যন্ত ২১৭ কর্মীকে চাকরিচ্যুত করা হয়েছে। এর মধ্যে ৪১ নারী কর্মী রয়েছেন। এদের তিনজন মাতৃকালীন ছুটিতে ছিলেন। কেন কি কারণে তাদের চাকরিচ্যুত করা হয় সে বিষয়ে গ্রামীণফোন সোমবার বিকেলে রাজধানীর সোনারগাঁওয়ে এক সংবাদ সম্মেলন করে ব্যাখ্যা দিয়েছে।


মোবাইল ফোন সেক্টর একটি পরিবর্তনশীল প্রযুক্তি। এই প্রযুক্তির সঙ্গে যারা তাল মেলাতে না পারবে তাদের কোম্পানি অযোগ্য হিসেবে বিবেচনা করেই এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছে। সংবাদ সম্মেলনে গ্রামীণফোনের প্রধান যোগাযোগ কর্মকর্তা কাজী মনিরুল কবির এ তথ্য জানান। অন্যদিকে, গ্রামীণফোন কার্যালয় দুই দিন বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। গ্রামীনফোন কার্যালয়ে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে বলে খবর মিলেছে।
সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, যাদের চাকরিচ্যুত করা হয়েছে তাদের সব ধরনের সুযোগ-সুবিধা দিয়েই কোম্পানি থেকে বিদায় করা হয়েছে। মাতৃত্বকালীন ছুটিতে থাকা অবস্থায় ডেকে এনে যে পরীক্ষা নেয়া হয়েছে তা মানবিক কিনা জানতে চাইলে প্রধান তথ্য কর্মকর্তা বলেন, ‘এটা (ছাঁটাই) প্রক্রিয়ার অংশ। আমাদের (গ্রামীণফোন) সময় মতো ডাকা হয়নি। বরং যাঁরা পরীক্ষা দিতে এসেছিলেন তাঁদের সুবিধা মতোই ডাকা হয়েছে।’ কাউকেই চাকরিচ্যুতির আগাম নোটিস দেয়া হয়নি। এটা ‘ইভালিউশনের’ ভিত্তিতে চাকরিচ্যুত করা হয়েছে। তাছাড়া কোম্পানি বর্তমানে বড় ধরনের ‘রিফর্মের’ দিকে যাচ্ছে। তিনি বলেন, ‘আমাদের হাতে পর্যাপ্ত সময় ছিল না। তাই অনেককে নোটিস দিতে পারিনি। তবে এজন্য তাদের যথাযথ ক্ষতিপূরণ দেয়া হয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে, গ্রামীণফোনের প্রধান কর্পোরেট অফিসার মাহবুবুর রহমানও বক্তব্য রাখেন। যতজনকে চাকরিচ্যুত করা হয়েছে, তার চেয়ে বেশি নতুন নিয়োগ দেয়া হয়েছে। এটি কোম্পানির পুনর্গঠন প্রক্রিয়ার একটি অংশ। প্রথম দফায় ৭১ জনকে চাকরিচ্যুত করা হয়েছে। দ্বিতীয় দফায় বাকিদের। প্রথম দফায় নারী ছিলেন ১৪ জন।
সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন গ্রামীণফোনের হেড অব কর্পোরেট কমিউনিকেশন তাহামিদ আজিজুল হক।

No comments

Powered by Blogger.