নিঃসঙ্গতা মৃত্যুও ডেকে আনে
নিঃসঙ্গতা! শব্দটির মধ্যে রয়েছে সীমাহীন শূন্যতা। এই শূন্যতার মধ্যে সুপ্ত গভীর বেদনা ও কষ্ট যুগ যুগ ধরে নানা রূপে মূর্ত হয়েছে গল্প, কবিতা, নাটক, গান বা চিত্রকর্মে। এই নিঃসঙ্গতা আরও ভয়াবহ হয়ে ওঠে, যখন গবেষকেরা বলেন, এটি শুধু মানুষকে অসুখীই করে না, মৃত্যুর মুখেও ঠেলে দেয়।
নিঃসঙ্গতা মানুষকে যেমন মানসিকভাবে অসুস্থ করে তোলে, তেমনি হূদরোগ, উচ্চ রক্তচাপ ও স্মৃতিভ্রষ্ট হওয়ার মতো নানা রোগে আক্রান্ত করে। নানা গবেষণার তথ্য বিশ্লেষণ করে বিবিসি অনলাইনে প্রকাশিত প্রতিবেদনে এমন দাবিই করা হয়েছে।
যুক্তরাজ্যে নিঃসঙ্গতা সমস্যার সমাধানে কাজ করছে, এমন কর্মসূচি ক্যাম্পেইন টু এন্ড লোনলিনেসের পরিচালক লরা ফার্গুসন বলেন, নিঃসঙ্গতা একটি জনস্বাস্থ্য-সম্পর্কিত সমস্যা। দ্রুত এই সমস্যার সমাধানে উদ্যোগ নেওয়া উচিত। তিনি বলেন, নিঃসঙ্গতার সঙ্গে অল্প বয়সে মৃত্যুর বিষয়টি যুক্ত। আর এটি মুটিয়ে যাওয়া সমস্যার চেয়েও খারাপ বলে অভিমত তাঁর।
দিন দিন বয়স্ক মানুষের সংখ্যা বাড়ায় নিঃসঙ্গতা আগের চেয়ে আরও ভয়াবহ সমস্যা হিসেবে হাজির হচ্ছে বলে দাবি ডেভিড ম্যাককাললাফের। তিনি উইমেনস রয়্যাল ভলান্টারি সার্ভিসের প্রধান নির্বাহী। এটি এমন একটি প্রতিষ্ঠান, যারা যুক্তরাজ্যে ৪০ হাজারেরও বেশি প্রবীণ ব্যক্তির কল্যাণে কাজ করছে।
বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়, কয়েক দশক ধরে চালানো বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গেছে, বয়স্কদের ১০ শতাংশ সব সময় একাকিত্ব বা খুব নিঃসঙ্গ বোধ করে। যুক্তরাজ্যে ৬৫ বছরের বেশি বয়সীদের মধ্যে নিঃসঙ্গতায় ভোগা মানুষের সংখ্যা ১০ লাখের বেশি।
তবে নিঃসঙ্গতার সঙ্গে শুধু বয়সের বিষয়টি জড়িত—এ ধারণার সঙ্গে দ্বিমত পোষণ করেন ব্রুনেল বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ক্রিস্টিনা ভিক্টোর। নিঃসঙ্গতা নিয়ে অনেক গবেষণা করা ক্রিস্টিনা মনে করেন, নিঃসঙ্গতা শুধু বয়স্ক মানুষকেই ভোগায় না, তরুণেরা, বিশেষ করে ১৮ থেকে ২৪ বছর বয়সীরাও এতে ভুগছে। তাঁর মতে, বয়স্ক ব্যক্তি হয়তো নানা শারীরিক সমস্যা, স্বামী বা স্ত্রীকে হারিয়ে নিঃসঙ্গ বোধ করেন। আর তরুণ প্রজন্ম বেকারত্ব বা বাড়ি ছেড়ে চলে গিয়ে নিঃসঙ্গ বোধ করে।
সানসী বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ভেনেসা বুরহল্ড নিঃসঙ্গতার সঙ্গে সামাজিক সম্পর্কের বিষয়টি যুক্ত বলে মনে করেন। তাঁর মতে, কাঙ্ক্ষিত ব্যক্তির সঙ্গে প্রত্যাশিত সম্পর্ক তৈরি না হলে অনেকেই নিঃসঙ্গ বোধ করেন। এ কারণে অনেকের অনেক বন্ধু থাকার পরও তাঁরা নিঃসঙ্গ বোধ করেন। এটি একটি মনোগত বিষয়। সামাজিক সম্পর্কের ধারণার ওপর ব্যক্তির পরিবেশগত ও মানসিক স্বাস্থ্যের অনেক প্রভাব আছে বলে তিনি মন্তব্য করেন।
তবে আশার কথা হচ্ছে, মানুষ চাইলেই নিঃসঙ্গতা কাটিয়ে উঠতে পারে। এটি জীবনের দীর্ঘমেয়াদি কোনো সমস্যা নয়। জীবনের নানা পর্যায়ে মানুষ নানাভাবে নিঃসঙ্গ বোধ করে। এ সময় বন্ধু বাড়িয়ে এই সমস্যা থেকে বেরিয়ে আসা যায়। প্রতিবেশীর সঙ্গে বন্ধুত্ব বা সবাই মিলে উদ্যোগী হয়ে স্বেচ্ছাসেবী কোনো কাজের মাধ্যমে নিঃসঙ্গতা দূর করা যায়।
যুক্তরাজ্যে নিঃসঙ্গতা সমস্যার সমাধানে কাজ করছে, এমন কর্মসূচি ক্যাম্পেইন টু এন্ড লোনলিনেসের পরিচালক লরা ফার্গুসন বলেন, নিঃসঙ্গতা একটি জনস্বাস্থ্য-সম্পর্কিত সমস্যা। দ্রুত এই সমস্যার সমাধানে উদ্যোগ নেওয়া উচিত। তিনি বলেন, নিঃসঙ্গতার সঙ্গে অল্প বয়সে মৃত্যুর বিষয়টি যুক্ত। আর এটি মুটিয়ে যাওয়া সমস্যার চেয়েও খারাপ বলে অভিমত তাঁর।
দিন দিন বয়স্ক মানুষের সংখ্যা বাড়ায় নিঃসঙ্গতা আগের চেয়ে আরও ভয়াবহ সমস্যা হিসেবে হাজির হচ্ছে বলে দাবি ডেভিড ম্যাককাললাফের। তিনি উইমেনস রয়্যাল ভলান্টারি সার্ভিসের প্রধান নির্বাহী। এটি এমন একটি প্রতিষ্ঠান, যারা যুক্তরাজ্যে ৪০ হাজারেরও বেশি প্রবীণ ব্যক্তির কল্যাণে কাজ করছে।
বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়, কয়েক দশক ধরে চালানো বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গেছে, বয়স্কদের ১০ শতাংশ সব সময় একাকিত্ব বা খুব নিঃসঙ্গ বোধ করে। যুক্তরাজ্যে ৬৫ বছরের বেশি বয়সীদের মধ্যে নিঃসঙ্গতায় ভোগা মানুষের সংখ্যা ১০ লাখের বেশি।
তবে নিঃসঙ্গতার সঙ্গে শুধু বয়সের বিষয়টি জড়িত—এ ধারণার সঙ্গে দ্বিমত পোষণ করেন ব্রুনেল বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ক্রিস্টিনা ভিক্টোর। নিঃসঙ্গতা নিয়ে অনেক গবেষণা করা ক্রিস্টিনা মনে করেন, নিঃসঙ্গতা শুধু বয়স্ক মানুষকেই ভোগায় না, তরুণেরা, বিশেষ করে ১৮ থেকে ২৪ বছর বয়সীরাও এতে ভুগছে। তাঁর মতে, বয়স্ক ব্যক্তি হয়তো নানা শারীরিক সমস্যা, স্বামী বা স্ত্রীকে হারিয়ে নিঃসঙ্গ বোধ করেন। আর তরুণ প্রজন্ম বেকারত্ব বা বাড়ি ছেড়ে চলে গিয়ে নিঃসঙ্গ বোধ করে।
সানসী বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ভেনেসা বুরহল্ড নিঃসঙ্গতার সঙ্গে সামাজিক সম্পর্কের বিষয়টি যুক্ত বলে মনে করেন। তাঁর মতে, কাঙ্ক্ষিত ব্যক্তির সঙ্গে প্রত্যাশিত সম্পর্ক তৈরি না হলে অনেকেই নিঃসঙ্গ বোধ করেন। এ কারণে অনেকের অনেক বন্ধু থাকার পরও তাঁরা নিঃসঙ্গ বোধ করেন। এটি একটি মনোগত বিষয়। সামাজিক সম্পর্কের ধারণার ওপর ব্যক্তির পরিবেশগত ও মানসিক স্বাস্থ্যের অনেক প্রভাব আছে বলে তিনি মন্তব্য করেন।
তবে আশার কথা হচ্ছে, মানুষ চাইলেই নিঃসঙ্গতা কাটিয়ে উঠতে পারে। এটি জীবনের দীর্ঘমেয়াদি কোনো সমস্যা নয়। জীবনের নানা পর্যায়ে মানুষ নানাভাবে নিঃসঙ্গ বোধ করে। এ সময় বন্ধু বাড়িয়ে এই সমস্যা থেকে বেরিয়ে আসা যায়। প্রতিবেশীর সঙ্গে বন্ধুত্ব বা সবাই মিলে উদ্যোগী হয়ে স্বেচ্ছাসেবী কোনো কাজের মাধ্যমে নিঃসঙ্গতা দূর করা যায়।
No comments