এক কিশোরের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রীয় হীনম্মন্যতা-পঙ্গু লিমন অভিযুক্ত
র্যাবের অভিযোগে পুলিশের সাফাই আমাদের অবাক করল। র্যাবের বিরুদ্ধে মানবাধিকার লঙ্ঘনের গুরুতর অভিযোগ নিয়ে দেশ-বিদেশে যখন তর্কবিতর্ক চলছে, র্যাবের গুলিতে পঙ্গু হয়ে আলোচিত কিশোর লিমন হোসেনের বিরুদ্ধে তখন পুলিশ নতুন করে অভিযোগপত্র দাখিল করেছে।
এ ঘটনা আরেকবার চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিল যে দেশে আইনের শাসন কোন অবস্থায় রয়েছে। লিমনের মতো এক কিশোরের বিরুদ্ধে আমাদের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী যেন রীতিমতো যুদ্ধ ঘোষণা করেছে।
স্বরাষ্ট্র ও আইন মন্ত্রণালয় মনে হচ্ছে এ ক্ষেত্রে এক হয়ে কাজ করছে। লিমনের মায়ের অভিযোগ, র্যাবের চাপের কারণেই সাজানো অভিযোগপত্র তৈরি করেছে রাজাপুর থানার পুলিশ। আর তাতে সম্মতি দিয়েছেন আইন মন্ত্রণালয়ের নিয়ন্ত্রণে থাকা সরকারি আইনজীবী। এই বাস্তবতায় এখন আমরা লিমনকে বাঁচাতে উপযুক্ত বিচার বিভাগীয় ব্যবস্থা নিতে নিম্ন আদালত ও উচ্চ আদালতের কাছে যথাযথ ভূমিকা আশা করতে পারি।
১৬ বছরের নিরীহ কিশোর লিমনকে নিয়ে যখন র্যাব-পুলিশ ছিনিমিনি খেলছিল, তখন হাইকোর্ট বিভাগের একটি বেঞ্চ তার পাশে দাঁড়ান। বিচারপতি নজরুল ইসলাম চৌধুরী ও বিচারপতি আনোয়ারুল হকের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ ২০১১ সালের ৫ মে আইন ও সালিশ কেন্দ্রের এক আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে যে আদেশ জারি করেছিলেন, আমরা তার দ্রুত বাস্তবায়ন দেখতে চাই। এ জন্য প্রয়োজনে প্রধান বিচারপতিকে তাঁর সাংবিধানিক ও প্রশাসনিক এখতিয়ারের যথাযথ প্রয়োগ নিশ্চিত করতে হবে। হাইকোর্ট তখন দুই সপ্তাহের রুল জারি করে সরকারকে কারণ দর্শাতে বলেন যে লিমনকে গুলি করার কারণ খতিয়ে দেখতে কেন একটি তদন্ত কমিশন গঠন করা হবে না। এর উত্তর তারা দেয়নি। এমনকি হাইকোর্টের নির্দেশমতে শ্রেষ্ঠ হাসপাতালে চিকিৎসা ও তার খরচ বহনের নির্দেশও তারা তামিল করেনি, যা আদালত অবমাননার শামিল। প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে লিমনের সাক্ষাতের চেষ্টাও ভেস্তে যায়।
আমরা আশা করেছিলাম, লিমনের জীবনের ওপর যে ঝড় বয়ে গেছে এবং তা নিয়ে সারা দেশে যেভাবে প্রতিবাদ হয়েছে, এরপর সংশ্লিষ্ট মহল আর বাড়াবাড়ি না করে সংযত হবে। কিন্তু আমাদের আশাবাদের কোনো বাস্তব ভিত্তি দেখা যাচ্ছে না। আমরা উদ্বেগের সঙ্গে ধারণা করতে পারি, নিরপরাধ কিশোর লিমনকে দোষী সাব্যস্ত করে কোনো কোনো শক্তিশালী মহল তাদের তথাকথিত মর্যাদা কিংবা একগুঁয়েমি বজায় রাখতে চাইছে। র্যাব কীভাবে পুলিশকে প্রভাবিত করতে পারে, এ ঘটনা তারও হয়তো একটি জ্বলন্ত নমুনা। কারণ, গরু আনতে মাঠে যাওয়া লিমনকে সন্ত্রাসী ঠাওরানো এবং তার ‘পাশে পড়া’ আমেরিকান পিস্তলের আবিষ্কর্তা র্যাব কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে লিমনের মায়ের দায়ের করা মামলা পুলিশের কাছে অগ্রাধিকার পায়নি।
লিমনের বিরুদ্ধে দায়ের করা অভিযোগপত্রে বর্ণিত কাহিনী বানোয়াট প্রতীয়মান হওয়ার কথা। বিচারিক আদালতের সামনে এই অভিযোগপত্র নাকচ কিংবা ত্রুটিপূর্ণ বিবেচনায় পুনরায় তদন্তের জন্য সিআইডির কাছে পাঠানোর সুযোগ থাকবে। আমরা বিচারিক আদালতের কাছ থেকে বিচারিক প্রজ্ঞা আশা করি।
স্বরাষ্ট্র ও আইন মন্ত্রণালয় মনে হচ্ছে এ ক্ষেত্রে এক হয়ে কাজ করছে। লিমনের মায়ের অভিযোগ, র্যাবের চাপের কারণেই সাজানো অভিযোগপত্র তৈরি করেছে রাজাপুর থানার পুলিশ। আর তাতে সম্মতি দিয়েছেন আইন মন্ত্রণালয়ের নিয়ন্ত্রণে থাকা সরকারি আইনজীবী। এই বাস্তবতায় এখন আমরা লিমনকে বাঁচাতে উপযুক্ত বিচার বিভাগীয় ব্যবস্থা নিতে নিম্ন আদালত ও উচ্চ আদালতের কাছে যথাযথ ভূমিকা আশা করতে পারি।
১৬ বছরের নিরীহ কিশোর লিমনকে নিয়ে যখন র্যাব-পুলিশ ছিনিমিনি খেলছিল, তখন হাইকোর্ট বিভাগের একটি বেঞ্চ তার পাশে দাঁড়ান। বিচারপতি নজরুল ইসলাম চৌধুরী ও বিচারপতি আনোয়ারুল হকের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ ২০১১ সালের ৫ মে আইন ও সালিশ কেন্দ্রের এক আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে যে আদেশ জারি করেছিলেন, আমরা তার দ্রুত বাস্তবায়ন দেখতে চাই। এ জন্য প্রয়োজনে প্রধান বিচারপতিকে তাঁর সাংবিধানিক ও প্রশাসনিক এখতিয়ারের যথাযথ প্রয়োগ নিশ্চিত করতে হবে। হাইকোর্ট তখন দুই সপ্তাহের রুল জারি করে সরকারকে কারণ দর্শাতে বলেন যে লিমনকে গুলি করার কারণ খতিয়ে দেখতে কেন একটি তদন্ত কমিশন গঠন করা হবে না। এর উত্তর তারা দেয়নি। এমনকি হাইকোর্টের নির্দেশমতে শ্রেষ্ঠ হাসপাতালে চিকিৎসা ও তার খরচ বহনের নির্দেশও তারা তামিল করেনি, যা আদালত অবমাননার শামিল। প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে লিমনের সাক্ষাতের চেষ্টাও ভেস্তে যায়।
আমরা আশা করেছিলাম, লিমনের জীবনের ওপর যে ঝড় বয়ে গেছে এবং তা নিয়ে সারা দেশে যেভাবে প্রতিবাদ হয়েছে, এরপর সংশ্লিষ্ট মহল আর বাড়াবাড়ি না করে সংযত হবে। কিন্তু আমাদের আশাবাদের কোনো বাস্তব ভিত্তি দেখা যাচ্ছে না। আমরা উদ্বেগের সঙ্গে ধারণা করতে পারি, নিরপরাধ কিশোর লিমনকে দোষী সাব্যস্ত করে কোনো কোনো শক্তিশালী মহল তাদের তথাকথিত মর্যাদা কিংবা একগুঁয়েমি বজায় রাখতে চাইছে। র্যাব কীভাবে পুলিশকে প্রভাবিত করতে পারে, এ ঘটনা তারও হয়তো একটি জ্বলন্ত নমুনা। কারণ, গরু আনতে মাঠে যাওয়া লিমনকে সন্ত্রাসী ঠাওরানো এবং তার ‘পাশে পড়া’ আমেরিকান পিস্তলের আবিষ্কর্তা র্যাব কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে লিমনের মায়ের দায়ের করা মামলা পুলিশের কাছে অগ্রাধিকার পায়নি।
লিমনের বিরুদ্ধে দায়ের করা অভিযোগপত্রে বর্ণিত কাহিনী বানোয়াট প্রতীয়মান হওয়ার কথা। বিচারিক আদালতের সামনে এই অভিযোগপত্র নাকচ কিংবা ত্রুটিপূর্ণ বিবেচনায় পুনরায় তদন্তের জন্য সিআইডির কাছে পাঠানোর সুযোগ থাকবে। আমরা বিচারিক আদালতের কাছ থেকে বিচারিক প্রজ্ঞা আশা করি।
No comments