মন্ত্রিসভার বৈঠকে সিদ্ধান্ত-বিশ্বব্যাংকে ধরনা আর না
পদ্মা সেতু প্রকল্পে ঋণচুক্তি বাতিলের সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার জন্য বিশ্বব্যাংককে আর অনুরোধ না জানিয়ে নিজস্ব অর্থায়নেই সেতু নির্মাণের সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। আগামী ফেব্রুয়ারির মধ্যে পদ্মা সেতুর কাজ শুরু করতে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়কে নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
তবে বিশ্বব্যাংক যদি নিজের ভুল বুঝতে পেরে নতুন ঋণচুক্তি করে, সে ক্ষেত্রে তাদের অর্থ সরকার নেবে। এ ছাড়াও প্রধানমন্ত্রী পদ্মা সেতুর পরামর্শক হিসেবে কানাডার এসএনসি-লাভালিনের পরিবর্তে দ্বিতীয় দরদাতা প্রতিষ্ঠান যুক্তরাজ্যভিত্তিক হেলক্রো লিমিটেডকে নিয়োগ দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন।
গতকাল সোমবার প্রধানমন্ত্রীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মন্ত্রিসভার নিয়মিত বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানা গেছে। সূত্র জানায়, বৈঠকে পদ্মা সেতু নির্মাণের কাজ শুরুর জন্য রিজার্ভ থেকে এক বিলিয়ন ডলার, বন্ড সংগ্রহ, উন্নয়ন বরাদ্দ, প্রবাসীদের পাঠানো রেমিট্যান্স থেকে অর্থ নিয়ে নির্মাণকাজ শুরুর সিদ্ধান্ত হয়। এ ছাড়া পদ্মা সেতু নিয়ে বিশ্বব্যাংকের সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার আবেদন না করলেও সরকার বিভিন্ন বৈদেশিক উৎস থেকে অর্থ সংগ্রহের চেষ্টা চালিয়ে যাবে।
উল্লেখ্য, পদ্মা সেতুর পরামর্শক নিয়োগের জন্য মূল্যায়ন কমিটি পাঁচটি নাম সুপারিশ করেছিল। এর মধ্যে এসএনসি-লাভালিনকে সর্বনিম্ন দরদাতা হিসেবে বিবেচনায় নিয়ে অনুমোদনের জন্য বিশ্বব্যাংকের কাছে পাঠানো হয়েছিল গত বছর। কিন্তু অনুমোদন না দিয়ে বিশ্বব্যাংক দুর্নীতির অভিযোগ তোলে। পাশাপাশি বিশ্বব্যাংক এই প্রতিষ্ঠানের যোগ্যতা ও অভিজ্ঞতা নিয়েও প্রশ্ন তোলে।
সর্বশেষ দুর্নীতির অভিযোগ তুলে গত ২৯ জুন পদ্মা সেতু প্রকল্পে তাদের ১২০ কোটি ডলারের ঋণচুক্তি বাতিল করে বিশ্বব্যাংক। তবে সরকারের পক্ষ থেকে বারবার এই প্রকল্পে কোনো দুর্নীতি হয়নি বলে দাবি করা হয়। উপরন্তু বিশ্বব্যাংককেই দুর্নীতিগ্রস্ত প্রতিষ্ঠান হিসেবে আখ্যায়িত করা হয়।
পরামর্শক নিয়োগের দৌড়ে হেলক্রো লিমিটেড ছিল দ্বিতীয় সর্বনিম্ন দরদাতা প্রতিষ্ঠান। এর আগে প্রতিষ্ঠানটি বঙ্গবন্ধু সেতু ও ভৈরব সেতুর পরামর্শক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছে।
বৈঠক শেষে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ মোশাররাফ হোসাইন ভূঁইয়া সাংবাদিকদের বলেন, সরকার বিশ্বব্যাংককে পদ্মা সেতু প্রকল্পে অর্থায়ন বা ঋণচুক্তি বাতিলের সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার অনুরোধ জানাবে না। কারণ এই প্রকল্পে সরকারের কোনো ত্রুটি নেই। এ দেশের মানুষ মনে করে, বিশ্বব্যাংকের সিদ্ধান্ত অন্যায্য ও অনৈতিক ছিল। তবে তারা নিজেরা ভুল বুঝতে পেরে টাকা দিতে আগ্রহ দেখালে সরকার তা বিবেচনা করবে বলে জানান তিনি।
বৈঠকে দ্রুততম সময়ের মধ্যে নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতুর নির্মাণকাজ শুরুর সিদ্ধান্ত হয়েছে বলে মন্ত্রিপরিষদ সচিব জানান।
এর এক দিন আগে রবিবার বাজেট অধিবেশনের সমাপনী ভাষণে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পদ্মা সেতু নির্মাণের রূপরেখা ঘোষণা করেন। পদ্মা সেতুর সম্ভাব্য নির্মাণ ব্যয় ২২ হাজার ৫৫৪ কোটি ২২ লাখ টাকা ধরে ২০১৫-১৬ অর্থবছর পর্যন্ত কোন্ বছরে কত টাকা অর্থায়ন হবে, সে পরিকল্পনাও তিনি তুলে ধরেন। উপরন্তু এই প্রকল্পে দেরি করানোর জন্য বিশ্বব্যাংকের কাছে ক্ষতিপূরণ চাওয়ার কথাও বলেন তিনি।
প্রেস বিফিংয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, সরকার নিজস্ব অর্থায়নে শিগগির পদ্মা সেতুর মূল অবকাঠামো নির্মাণকাজ শুরু করবে। পাশাপাশি বিকল্প অর্থায়নের উৎসও খোঁজা হবে। এসব কারণে দেশের অর্থনীতিতে যাতে নেতিবাচক প্রভাব না পড়ে, সেটাও বিবেচনায় রাখা হবে।
বিশ্বব্যাংকের কারণে পদ্মা সেতুর নির্মাণকাজ শুরু করতে অনেক বিলম্ব হয়েছে মন্তব্য করে মোশাররাফ হোসাইন ভূঁইয়া বলেন, এ ক্ষেত্রে আর কোনো বিলম্ব গ্রহণযোগ্য নয়।
নিজস্ব অর্থায়নের উৎসের প্রসঙ্গে তিনি বলেন, সরকার যে বাজেট ঘোষণা করেছে তার বিভিন্ন প্রকল্পের অগ্রাধিকার পর্যালোচনা করে বাস্তবায়নের পদক্ষেপ নেওয়া হবে। যেগুলো দ্রুত বাস্তবায়নের প্রয়োজন নেই অথবা যেসব প্রকল্পের অর্থ পরে ছাড় করলেও সমস্যা নেই, সেগুলো থেকে অর্থ নিয়ে পদ্মা সেতুর কাজ শুরু করা হবে।
পদ্মা সেতু প্রকল্পে কাজ শুরু করতে চলতি অর্থবছরে ২৭ কোটি ৫০ লাখ ডলার প্রয়োজন হবে জানিয়ে মোশাররাফ হোসাইন ভূঁইয়া বলেন, বর্তমানে বৈদেশিক মুদ্রার যে রিজার্ভ রয়েছে, তাতে এক বিলিয়ন ডলার ব্যয় হলেও কোনো সমস্যা হবে না। এর পরও দেশে রেমিটেন্স আসা অব্যাহত রয়েছে। অনেক প্রবাসীও এই প্রকল্পে অর্থের জোগান দেওয়ার আগ্রহ দেখিয়েছে।
বিশ্বব্যাংকের কাছে প্রধানমন্ত্রীর ক্ষতিপূরণ চাওয়ার ব্যাপারে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, বিশ্বব্যাংকের সিদ্ধান্তের কারণে শুধু আর্থিক ক্ষতিই নয়, দেশের ভাবমূর্তিরও ক্ষতি হয়েছে। এসব উদ্ধারে পদক্ষেপ নেওয়ার বিষয়ে মন্ত্রিসভায় সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে উল্লেখ করেন তিনি।
সূত্র জানায়, বৈঠকে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত বিশ্বব্যাংকের চিঠির প্রসঙ্গ নিয়ে আলোচনা করেন। তিনি বলেন, সরকারকে দেওয়া চিঠির মধ্যে তিনটি চিঠিতে বিশ্বব্যাংক চীনের একটি অযোগ্য প্রতিষ্ঠানকে পদ্মা সেতুর কাজ দেওয়ার অনুরোধ জানায়।
গতকাল সোমবার প্রধানমন্ত্রীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মন্ত্রিসভার নিয়মিত বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানা গেছে। সূত্র জানায়, বৈঠকে পদ্মা সেতু নির্মাণের কাজ শুরুর জন্য রিজার্ভ থেকে এক বিলিয়ন ডলার, বন্ড সংগ্রহ, উন্নয়ন বরাদ্দ, প্রবাসীদের পাঠানো রেমিট্যান্স থেকে অর্থ নিয়ে নির্মাণকাজ শুরুর সিদ্ধান্ত হয়। এ ছাড়া পদ্মা সেতু নিয়ে বিশ্বব্যাংকের সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার আবেদন না করলেও সরকার বিভিন্ন বৈদেশিক উৎস থেকে অর্থ সংগ্রহের চেষ্টা চালিয়ে যাবে।
উল্লেখ্য, পদ্মা সেতুর পরামর্শক নিয়োগের জন্য মূল্যায়ন কমিটি পাঁচটি নাম সুপারিশ করেছিল। এর মধ্যে এসএনসি-লাভালিনকে সর্বনিম্ন দরদাতা হিসেবে বিবেচনায় নিয়ে অনুমোদনের জন্য বিশ্বব্যাংকের কাছে পাঠানো হয়েছিল গত বছর। কিন্তু অনুমোদন না দিয়ে বিশ্বব্যাংক দুর্নীতির অভিযোগ তোলে। পাশাপাশি বিশ্বব্যাংক এই প্রতিষ্ঠানের যোগ্যতা ও অভিজ্ঞতা নিয়েও প্রশ্ন তোলে।
সর্বশেষ দুর্নীতির অভিযোগ তুলে গত ২৯ জুন পদ্মা সেতু প্রকল্পে তাদের ১২০ কোটি ডলারের ঋণচুক্তি বাতিল করে বিশ্বব্যাংক। তবে সরকারের পক্ষ থেকে বারবার এই প্রকল্পে কোনো দুর্নীতি হয়নি বলে দাবি করা হয়। উপরন্তু বিশ্বব্যাংককেই দুর্নীতিগ্রস্ত প্রতিষ্ঠান হিসেবে আখ্যায়িত করা হয়।
পরামর্শক নিয়োগের দৌড়ে হেলক্রো লিমিটেড ছিল দ্বিতীয় সর্বনিম্ন দরদাতা প্রতিষ্ঠান। এর আগে প্রতিষ্ঠানটি বঙ্গবন্ধু সেতু ও ভৈরব সেতুর পরামর্শক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছে।
বৈঠক শেষে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ মোশাররাফ হোসাইন ভূঁইয়া সাংবাদিকদের বলেন, সরকার বিশ্বব্যাংককে পদ্মা সেতু প্রকল্পে অর্থায়ন বা ঋণচুক্তি বাতিলের সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার অনুরোধ জানাবে না। কারণ এই প্রকল্পে সরকারের কোনো ত্রুটি নেই। এ দেশের মানুষ মনে করে, বিশ্বব্যাংকের সিদ্ধান্ত অন্যায্য ও অনৈতিক ছিল। তবে তারা নিজেরা ভুল বুঝতে পেরে টাকা দিতে আগ্রহ দেখালে সরকার তা বিবেচনা করবে বলে জানান তিনি।
বৈঠকে দ্রুততম সময়ের মধ্যে নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতুর নির্মাণকাজ শুরুর সিদ্ধান্ত হয়েছে বলে মন্ত্রিপরিষদ সচিব জানান।
এর এক দিন আগে রবিবার বাজেট অধিবেশনের সমাপনী ভাষণে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পদ্মা সেতু নির্মাণের রূপরেখা ঘোষণা করেন। পদ্মা সেতুর সম্ভাব্য নির্মাণ ব্যয় ২২ হাজার ৫৫৪ কোটি ২২ লাখ টাকা ধরে ২০১৫-১৬ অর্থবছর পর্যন্ত কোন্ বছরে কত টাকা অর্থায়ন হবে, সে পরিকল্পনাও তিনি তুলে ধরেন। উপরন্তু এই প্রকল্পে দেরি করানোর জন্য বিশ্বব্যাংকের কাছে ক্ষতিপূরণ চাওয়ার কথাও বলেন তিনি।
প্রেস বিফিংয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, সরকার নিজস্ব অর্থায়নে শিগগির পদ্মা সেতুর মূল অবকাঠামো নির্মাণকাজ শুরু করবে। পাশাপাশি বিকল্প অর্থায়নের উৎসও খোঁজা হবে। এসব কারণে দেশের অর্থনীতিতে যাতে নেতিবাচক প্রভাব না পড়ে, সেটাও বিবেচনায় রাখা হবে।
বিশ্বব্যাংকের কারণে পদ্মা সেতুর নির্মাণকাজ শুরু করতে অনেক বিলম্ব হয়েছে মন্তব্য করে মোশাররাফ হোসাইন ভূঁইয়া বলেন, এ ক্ষেত্রে আর কোনো বিলম্ব গ্রহণযোগ্য নয়।
নিজস্ব অর্থায়নের উৎসের প্রসঙ্গে তিনি বলেন, সরকার যে বাজেট ঘোষণা করেছে তার বিভিন্ন প্রকল্পের অগ্রাধিকার পর্যালোচনা করে বাস্তবায়নের পদক্ষেপ নেওয়া হবে। যেগুলো দ্রুত বাস্তবায়নের প্রয়োজন নেই অথবা যেসব প্রকল্পের অর্থ পরে ছাড় করলেও সমস্যা নেই, সেগুলো থেকে অর্থ নিয়ে পদ্মা সেতুর কাজ শুরু করা হবে।
পদ্মা সেতু প্রকল্পে কাজ শুরু করতে চলতি অর্থবছরে ২৭ কোটি ৫০ লাখ ডলার প্রয়োজন হবে জানিয়ে মোশাররাফ হোসাইন ভূঁইয়া বলেন, বর্তমানে বৈদেশিক মুদ্রার যে রিজার্ভ রয়েছে, তাতে এক বিলিয়ন ডলার ব্যয় হলেও কোনো সমস্যা হবে না। এর পরও দেশে রেমিটেন্স আসা অব্যাহত রয়েছে। অনেক প্রবাসীও এই প্রকল্পে অর্থের জোগান দেওয়ার আগ্রহ দেখিয়েছে।
বিশ্বব্যাংকের কাছে প্রধানমন্ত্রীর ক্ষতিপূরণ চাওয়ার ব্যাপারে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, বিশ্বব্যাংকের সিদ্ধান্তের কারণে শুধু আর্থিক ক্ষতিই নয়, দেশের ভাবমূর্তিরও ক্ষতি হয়েছে। এসব উদ্ধারে পদক্ষেপ নেওয়ার বিষয়ে মন্ত্রিসভায় সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে উল্লেখ করেন তিনি।
সূত্র জানায়, বৈঠকে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত বিশ্বব্যাংকের চিঠির প্রসঙ্গ নিয়ে আলোচনা করেন। তিনি বলেন, সরকারকে দেওয়া চিঠির মধ্যে তিনটি চিঠিতে বিশ্বব্যাংক চীনের একটি অযোগ্য প্রতিষ্ঠানকে পদ্মা সেতুর কাজ দেওয়ার অনুরোধ জানায়।
No comments