ঢাকা এখন অবৈধ বিলবোর্ড ব্যানার ফেস্টুনের নগরী by অমিতোষ পাল
রাজধানীর বিজয় সরণিতে সড়কদ্বীপ বিমান চত্বরের পাশে দাঁড়িয়ে খোলা চোখে তাকালে চারদিকে কেবলই নজরে আসে ব্যানার, ফেস্টুন আর বিলবোর্ড। কোনোটি বাঁশের খুঁটির ওপর লাগানো, কোনোটি তার দিয়ে বাঁধা, কোনোটি আবার বিদ্যুতের খুঁটিতে সেঁটে দেওয়া।
বিমানের গায়েও অসংখ্য পোস্টার। অবস্থা এমন যে দৃষ্টিনন্দন বিমানটিই আড়াল হতে চলেছে।
রাজধানীর মোড়ে মোড়ে লাগানো হয়েছে বিশাল আকৃতির নানা বিলবোর্ড। এগুলোতে শোভা পাচ্ছে যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ ও শ্রমিক লীগের নেতা-কর্মীদের ছবি। ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের ভ্রাতৃপ্রতিম এসব সংগঠনের কাউন্সিল সামনে রেখে নগরীজুড়ে দেদার টানানো হয়েছে এসব অবৈধ বিলবোর্ড, ফেস্টুন ও ব্যানার।
তবে বিজয় সরণির চিত্র যেন নগরীর অন্য সব এলাকাকে হার মানিয়েছে। কারণটাও অনুমেয়। এই বিজয় সরণি হয়েই আওয়ামী লীগ সভানেত্রী ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রতিদিন যাতায়াত করেন। তাঁর দৃষ্টি আকর্ষণের জন্য এবং নিজেকে প্রধানমন্ত্রীর কাছে পরিচিত করে তুলতে দলীয় নেতা-কর্মীরা এই পয়েন্টে যেন হামলে পড়েছেন।
এতে নগরীর সৌন্দর্যহানির পাশাপাশি দুর্ঘটনার ঝুঁকিও বাড়ছে। অবৈধ এসব বিলবোর্ড-ব্যানার এমনভাবে বসানো হয়েছে যে সামান্য বাতাসেই ভেঙে পড়তে পারে। ঘটতে পারে প্রাণহানির মতো ঘটনা।
কেবল বিমান চত্বর এলাকাই নয়, পুরো রাজধানীই ঢেকে গেছে সরকার সমর্থক সংগঠনগুলোর নেতা-কর্মীদের অবৈধ বিলবোর্ড, ব্যানার আর ফেস্টুনে। সংসদ ভবন এলাকা, ভিআইপি রোড, সোনারগাঁও হোটেল, বাংলা মোটর, রূপসী বাংলা হোটেল, মৎস্য ভবন, কাকরাইল ও গুলিস্তান এলাকায় বৈধ ব্যানার-ফেস্টুন বা নিয়ন সাইনও ঢাকা পড়ে গেছে।
তেজগাঁওয়ে খোদ প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সামনে লিংক রোডের মোড়ে সাঁটানো হয়েছে ২০ ফুট বাই ১০ ফুট আয়তনের বিশাল এক বিলবোর্ড। তাতে লেখা- 'বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের ত্রিবার্ষিক ষষ্ঠ কংগ্রেস সফল হোক'। বিলবোর্ডে শোভা পাচ্ছে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, শেখ ফজলুল হক মনি, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছবি ছাড়াও যুবলীগের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান ওমর ফারুক চৌধুরী, আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর কবির নানক, যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মীর্জা আজম এমপির ছবি। সঙ্গে বেশ বড় করে রয়েছে ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সাংগঠনিক সম্পাদক ইসমাইল চৌধুরী সম্রাটের রঙিন ছবি।
রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা ঘুরে যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ, কৃষক লীগের ব্যানারে বসানো এ ধরনের অসংখ্য বিলবোর্ড চোখে পড়েছে। যুবলীগের বিলবোর্ডের সংখ্যাই বেশি। আর এগুলোর বেশির ভাগেই স্থান পেয়েছে ইসমাইল চৌধুরী সম্রাটের ছবি ও নাম। নিজের বিভিন্ন আঙ্গিকের ছবি ছাড়াও মহানগর যুবলীগের সভাপতি মহিউদ্দিন মহি এবং সাধারণ সম্পাদক নুরুন্নবী চৌধুরী শাওন ও যুবলীগের কেন্দ্রীয় নেতাদের ছবিও আছে।
এ প্রসঙ্গে ইসমাইল চৌধুরী সম্রাট কালের কণ্ঠকে বলেন, 'রাজধানীতে যেসব বিলবোর্ড, ব্যানার, পোস্টার দেখছেন তার একটাও আমি ছাপাইনি। দলীয় কর্মীরা এগুলো করেছে। এ জন্য তারা সিটি করপোরেশনের কোনো অনুমতি নিয়েছে কি না আমি জানি না।'
মহানগর যুবলীগের (দক্ষিণ) সভাপতি মহিউদ্দিন মহি কালের কণ্ঠকে বলেন, 'এসবের সঙ্গে আমার কোনো সম্পৃক্ততা নেই। আমি মহানগর যুবলীগের একটা শীর্ষ পদে থাকায় সংগঠনের কর্মীরা ছোট আঙ্গিকে আমার ছবি ব্যবহার করেছে। কিন্তু আমি কাউকে পোস্টার লাগাতে বলিনি।'
মহানগর যুবলীগের (দক্ষিণ) সাধারণ সম্পাদক নুরুন্নবী চৌধুরী শাওন বলেন, 'দীর্ঘদিন পর সংগঠনের কাউন্সিল হচ্ছে। যেকোনো কাউন্সিল উপলক্ষেই দলীয় নেতা-কর্মীদের মধ্যে একটা উৎসবমুখর পরিবেশ বিরাজ করে। কয়েকটা দিনের জন্য কর্মীরা ব্যানার-পোস্টার লাগিয়েছে। আমাদের পক্ষেও এগুলো চেষ্টা করে ঠেকানো কঠিন।'
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, শেরে বাংলানগরে বঙ্গবন্ধু সম্মেলন কেন্দ্রের সামনের রাস্তার দুই পাশ ব্যানার-পোস্টারে সয়লাব। মূল সড়কে নির্মাণ করা হয়েছে একটি তোরণ। আর পুরো রোকেয়া সরণির প্রতিটি লাইটপোস্টে সাঁটানো হয়েছে ফেস্টুন। সোনারগাঁও হোটেলের ঠিক সামনেই লাগানো হয়েছে বিশাল বিলবোর্ড। একই অবস্থা শাহবাগে হোটেল রূপসী বাংলার সামনে। বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের ফটকের পাশে রয়েছে আরো দুটি বিশাল আকৃতির বিলবোর্ড। আশপাশে রমনা পার্কের দিকটার পুরো অংশ ভরে গেছে। কাকরাইলে আর্চবিশপের সামনে ভাস্কর্যটি ঢাকা পড়েছে বিলবোর্ড-ব্যানারে। একই অবস্থা তেজগাঁও সাতরাস্তা মোড়ে বর্ষারানী ময়ূর ভাস্কর্যের। মহাখালী ফ্লাইওভারের প্রতিটি লাইটপোস্টে সাঁটানো রয়েছে ফেস্টুন। বনানী ফুটওভার ব্রিজে সাঁটানো ব্যানারটি ওভারব্রিজ ঢেকে ফেলেছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক যুবলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির এক নেতা বলেন, 'ইসমাইল চৌধুরী সম্রাট নামের যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদকের চেহারা ঢাকার সবাই চিনে গেছে। শেখ হাসিনার সমুদ্র বিজয়ের পর তিনি পুরো ঢাকা শহর ব্যানার-পোস্টারে ছেয়ে ফেলেছিলেন। তখন যাঁরা তাঁকে চিনতে পারেননি তাঁরাও এবার চিনেছেন।'
আরেকজন যুবলীগ নেতা বলেন, 'বর্তমানে ১০০ মিটারের মধ্যে এক হাজার বিলবোর্ড, ব্যানার ও ফেস্টুন চোখে পড়ে। তিনটি সহযোগী সংগঠনের এই সম্মেলনকে কেন্দ্র করে অন্তত তিন কোটি টাকা এ খাতে খরচ করা হয়েছে। ওয়ার্ড পর্যায় থেকে শুরু করে কেন্দ্রীয় নেতা পর্যন্ত এই কাজে শামিল হয়েছেন। এখন বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে দলীয় কার্যালয়ের সামনে ও আশপাশে তো ভুঁইফোড় নেতাদের পোস্টার-ব্যানারের শেষ নেই। এসব ব্যানার-ফেস্টুনের কারণে ট্রাফিক সিগন্যাল বাতিও চালকরা দেখতে পারছেন না।'
অথচ এসব বিলবোর্ড, ব্যানার আর ফেস্টুন সাঁটাতে সিটি করপোরেশনের অনুমোদন নেওয়া হয়নি। অনুমোদন নিয়ে এগুলো করলে সিটি করপোরেশনের বড় একটা আয় হতো। এ প্রসঙ্গে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা কমান্ডার এম এনামুল হক কালের কণ্ঠকে বলেন, 'আমারও মনে হয় তারা অনুমতি নেয়নি। বিষয়টি খোঁজ নিয়ে দেখব। আর অবৈধ বিলবোর্ড, ব্যানার ও ফেস্টুন আমরা নিয়মিত উচ্ছেদ করে যাচ্ছি।'
ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা ক্যাপ্টেন বিপন কুমার সাহা কালের কণ্ঠকে বলেন, এ ধরনের অবৈধ বিলবোর্ড-ব্যানার উচ্ছেদ করা আমাদের রুটিন ওয়ার্ক। তা ছাড়া স্থানীয় সরকার প্রতিমন্ত্রী জাহাঙ্গীর কবির নানকের নির্দেশে আমরা এখন বিশেষ অভিযান চালাচ্ছি। ইতিমধ্যে মোহাম্মদপুর ও সংসদ ভবনের আশপাশের এলাকায় অভিযান চালানো হয়েছে।
রাজধানীর মোড়ে মোড়ে লাগানো হয়েছে বিশাল আকৃতির নানা বিলবোর্ড। এগুলোতে শোভা পাচ্ছে যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ ও শ্রমিক লীগের নেতা-কর্মীদের ছবি। ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের ভ্রাতৃপ্রতিম এসব সংগঠনের কাউন্সিল সামনে রেখে নগরীজুড়ে দেদার টানানো হয়েছে এসব অবৈধ বিলবোর্ড, ফেস্টুন ও ব্যানার।
তবে বিজয় সরণির চিত্র যেন নগরীর অন্য সব এলাকাকে হার মানিয়েছে। কারণটাও অনুমেয়। এই বিজয় সরণি হয়েই আওয়ামী লীগ সভানেত্রী ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রতিদিন যাতায়াত করেন। তাঁর দৃষ্টি আকর্ষণের জন্য এবং নিজেকে প্রধানমন্ত্রীর কাছে পরিচিত করে তুলতে দলীয় নেতা-কর্মীরা এই পয়েন্টে যেন হামলে পড়েছেন।
এতে নগরীর সৌন্দর্যহানির পাশাপাশি দুর্ঘটনার ঝুঁকিও বাড়ছে। অবৈধ এসব বিলবোর্ড-ব্যানার এমনভাবে বসানো হয়েছে যে সামান্য বাতাসেই ভেঙে পড়তে পারে। ঘটতে পারে প্রাণহানির মতো ঘটনা।
কেবল বিমান চত্বর এলাকাই নয়, পুরো রাজধানীই ঢেকে গেছে সরকার সমর্থক সংগঠনগুলোর নেতা-কর্মীদের অবৈধ বিলবোর্ড, ব্যানার আর ফেস্টুনে। সংসদ ভবন এলাকা, ভিআইপি রোড, সোনারগাঁও হোটেল, বাংলা মোটর, রূপসী বাংলা হোটেল, মৎস্য ভবন, কাকরাইল ও গুলিস্তান এলাকায় বৈধ ব্যানার-ফেস্টুন বা নিয়ন সাইনও ঢাকা পড়ে গেছে।
তেজগাঁওয়ে খোদ প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সামনে লিংক রোডের মোড়ে সাঁটানো হয়েছে ২০ ফুট বাই ১০ ফুট আয়তনের বিশাল এক বিলবোর্ড। তাতে লেখা- 'বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের ত্রিবার্ষিক ষষ্ঠ কংগ্রেস সফল হোক'। বিলবোর্ডে শোভা পাচ্ছে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, শেখ ফজলুল হক মনি, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছবি ছাড়াও যুবলীগের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান ওমর ফারুক চৌধুরী, আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর কবির নানক, যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মীর্জা আজম এমপির ছবি। সঙ্গে বেশ বড় করে রয়েছে ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সাংগঠনিক সম্পাদক ইসমাইল চৌধুরী সম্রাটের রঙিন ছবি।
রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা ঘুরে যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ, কৃষক লীগের ব্যানারে বসানো এ ধরনের অসংখ্য বিলবোর্ড চোখে পড়েছে। যুবলীগের বিলবোর্ডের সংখ্যাই বেশি। আর এগুলোর বেশির ভাগেই স্থান পেয়েছে ইসমাইল চৌধুরী সম্রাটের ছবি ও নাম। নিজের বিভিন্ন আঙ্গিকের ছবি ছাড়াও মহানগর যুবলীগের সভাপতি মহিউদ্দিন মহি এবং সাধারণ সম্পাদক নুরুন্নবী চৌধুরী শাওন ও যুবলীগের কেন্দ্রীয় নেতাদের ছবিও আছে।
এ প্রসঙ্গে ইসমাইল চৌধুরী সম্রাট কালের কণ্ঠকে বলেন, 'রাজধানীতে যেসব বিলবোর্ড, ব্যানার, পোস্টার দেখছেন তার একটাও আমি ছাপাইনি। দলীয় কর্মীরা এগুলো করেছে। এ জন্য তারা সিটি করপোরেশনের কোনো অনুমতি নিয়েছে কি না আমি জানি না।'
মহানগর যুবলীগের (দক্ষিণ) সভাপতি মহিউদ্দিন মহি কালের কণ্ঠকে বলেন, 'এসবের সঙ্গে আমার কোনো সম্পৃক্ততা নেই। আমি মহানগর যুবলীগের একটা শীর্ষ পদে থাকায় সংগঠনের কর্মীরা ছোট আঙ্গিকে আমার ছবি ব্যবহার করেছে। কিন্তু আমি কাউকে পোস্টার লাগাতে বলিনি।'
মহানগর যুবলীগের (দক্ষিণ) সাধারণ সম্পাদক নুরুন্নবী চৌধুরী শাওন বলেন, 'দীর্ঘদিন পর সংগঠনের কাউন্সিল হচ্ছে। যেকোনো কাউন্সিল উপলক্ষেই দলীয় নেতা-কর্মীদের মধ্যে একটা উৎসবমুখর পরিবেশ বিরাজ করে। কয়েকটা দিনের জন্য কর্মীরা ব্যানার-পোস্টার লাগিয়েছে। আমাদের পক্ষেও এগুলো চেষ্টা করে ঠেকানো কঠিন।'
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, শেরে বাংলানগরে বঙ্গবন্ধু সম্মেলন কেন্দ্রের সামনের রাস্তার দুই পাশ ব্যানার-পোস্টারে সয়লাব। মূল সড়কে নির্মাণ করা হয়েছে একটি তোরণ। আর পুরো রোকেয়া সরণির প্রতিটি লাইটপোস্টে সাঁটানো হয়েছে ফেস্টুন। সোনারগাঁও হোটেলের ঠিক সামনেই লাগানো হয়েছে বিশাল বিলবোর্ড। একই অবস্থা শাহবাগে হোটেল রূপসী বাংলার সামনে। বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের ফটকের পাশে রয়েছে আরো দুটি বিশাল আকৃতির বিলবোর্ড। আশপাশে রমনা পার্কের দিকটার পুরো অংশ ভরে গেছে। কাকরাইলে আর্চবিশপের সামনে ভাস্কর্যটি ঢাকা পড়েছে বিলবোর্ড-ব্যানারে। একই অবস্থা তেজগাঁও সাতরাস্তা মোড়ে বর্ষারানী ময়ূর ভাস্কর্যের। মহাখালী ফ্লাইওভারের প্রতিটি লাইটপোস্টে সাঁটানো রয়েছে ফেস্টুন। বনানী ফুটওভার ব্রিজে সাঁটানো ব্যানারটি ওভারব্রিজ ঢেকে ফেলেছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক যুবলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির এক নেতা বলেন, 'ইসমাইল চৌধুরী সম্রাট নামের যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদকের চেহারা ঢাকার সবাই চিনে গেছে। শেখ হাসিনার সমুদ্র বিজয়ের পর তিনি পুরো ঢাকা শহর ব্যানার-পোস্টারে ছেয়ে ফেলেছিলেন। তখন যাঁরা তাঁকে চিনতে পারেননি তাঁরাও এবার চিনেছেন।'
আরেকজন যুবলীগ নেতা বলেন, 'বর্তমানে ১০০ মিটারের মধ্যে এক হাজার বিলবোর্ড, ব্যানার ও ফেস্টুন চোখে পড়ে। তিনটি সহযোগী সংগঠনের এই সম্মেলনকে কেন্দ্র করে অন্তত তিন কোটি টাকা এ খাতে খরচ করা হয়েছে। ওয়ার্ড পর্যায় থেকে শুরু করে কেন্দ্রীয় নেতা পর্যন্ত এই কাজে শামিল হয়েছেন। এখন বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে দলীয় কার্যালয়ের সামনে ও আশপাশে তো ভুঁইফোড় নেতাদের পোস্টার-ব্যানারের শেষ নেই। এসব ব্যানার-ফেস্টুনের কারণে ট্রাফিক সিগন্যাল বাতিও চালকরা দেখতে পারছেন না।'
অথচ এসব বিলবোর্ড, ব্যানার আর ফেস্টুন সাঁটাতে সিটি করপোরেশনের অনুমোদন নেওয়া হয়নি। অনুমোদন নিয়ে এগুলো করলে সিটি করপোরেশনের বড় একটা আয় হতো। এ প্রসঙ্গে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা কমান্ডার এম এনামুল হক কালের কণ্ঠকে বলেন, 'আমারও মনে হয় তারা অনুমতি নেয়নি। বিষয়টি খোঁজ নিয়ে দেখব। আর অবৈধ বিলবোর্ড, ব্যানার ও ফেস্টুন আমরা নিয়মিত উচ্ছেদ করে যাচ্ছি।'
ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা ক্যাপ্টেন বিপন কুমার সাহা কালের কণ্ঠকে বলেন, এ ধরনের অবৈধ বিলবোর্ড-ব্যানার উচ্ছেদ করা আমাদের রুটিন ওয়ার্ক। তা ছাড়া স্থানীয় সরকার প্রতিমন্ত্রী জাহাঙ্গীর কবির নানকের নির্দেশে আমরা এখন বিশেষ অভিযান চালাচ্ছি। ইতিমধ্যে মোহাম্মদপুর ও সংসদ ভবনের আশপাশের এলাকায় অভিযান চালানো হয়েছে।
No comments