নিজস্ব অর্থায়নে নির্মাণে পদ্মা সেতু সারচার্জ আরোপ হতে পারে-০ ১০ শতাংশ কর ও ভ্যাট উভয় ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হবে বলে আভাস-০ পদ্মা সেতু তহবিল নামে পৃথক হিসাব খোলারও পরিকল্পনা by এম শাহজাহান
নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতু প্রকল্প বাস্তবায়নে ‘পদ্মা সেতু সারচার্জ’ আরোপ করার চিন্তা-ভাবনা করা হচ্ছে। একই সঙ্গে ‘পদ্মা সেতু তহবিল’ নামে আরেকটি বিশেষ হিসাব খোলার পরিকল্পনা রয়েছে। জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) ও সংশ্লিষ্ট একটি নির্ভরযোগ্য সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।
ইতোপূর্বে যমুনা সেতু সারচার্জ আরোপ করে দেশের সর্ববৃহৎ যমুনা সেতুতে নিজস্ব অর্থায়নের অভিজ্ঞতা অর্জন করেছে এনবিআর। ১০ শতাংশ পদ্মা সেতু সারচার্জ কর ও ভ্যাট উভয় ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য হতে পারে বলে আভাস পাওয়া গেছে।
এ ছাড়া চলতি ২০১২-১৩ অর্থবছরের বাজেটের প্রাক্কলিত কর রাজস্বের ওপর ১০ শতাংশ সারচার্জ আরোপ করা হলে সরকারের অতিরিক্ত ১১ হাজার ২২৫ কোটি ৯০ লাখ টাকা আয় হবে। নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতু বাস্তবায়নে সরকার এই টাকা ব্যয় করতে পারবে।
এদিকে, সাধারণ মানুষ যারা করের আওতায় নেই কিন্তু দেশের প্রতি ভালবাসা ও আবেগ থেকে এ প্রকল্পে সামর্থ্য অনুসারে অর্থায়ন করতে চান, তাদের জন্য পদ্মা সেতু তহবিল গঠন করার পরিকল্পনা রয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জাতীয় সংসদে জানিয়েছেন, ছাত্রছাত্রীরা তাদের টিফিনের পয়সা পদ্মা সেতু নির্মাণে দিতে চান। প্রতি মুহূর্তে প্রধানমন্ত্রীর মোবাইল ফোনে এ ধরনের অনুরোধ আসছে। এ ছাড়া দুর্নীতির অভিযোগ এনে পদ্মা সেতু প্রকল্প থেকে বিশ্বব্যাংক চলে যাওয়ার পর সরকার বিব্রত হয়েছে, পাশাপাশি সাধারণ মানুষের সেন্টিমেন্টে আঘাত দেয়া হয়েছে।
জানা গেছে, এসব দিক বিবেচনায় নিয়ে দেশের প্রতিটি নাগরিককে এ প্রকল্পে সম্পৃক্ত করতে পদ্মা সেতু তহবিল নামে একটি বিশেষ হিসাব খোলার সম্ভাবনা রয়েছে। এদিকে সরকারী নির্দেশনা পাওয়ার পরই কর ও ভ্যাটের ওপর পদ্মা সেতু সারচার্জ আরোপ করবে এনবিআর। যোগাযোগ মন্ত্রণালয়ের অধীনস্ত সেতু বিভাগ থেকে সুপারিশ পাওয়ার পরই এ বিষয়ে এনবিআর কাজ শুরু করবে।
এ প্রসঙ্গে এনবিআরের আয়কর নীতি বিভাগের প্রথম সচিব একেএম বদিউল আলম জনকণ্ঠকে বলেন, জাতীয় রাজস্ব বোর্ড কর ও ভ্যাট থেকে যা আদায় করছে তা সবই সরকারের টাকা। কর ও ভ্যাট আদায়ের একটি নীতিমালাও রয়েছে। কিন্তু তার পরও সরকার বিশেষ প্রয়োজনে বিশেষ চার্জ আরোপ করতে পারে। এক্ষেত্রে নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতু নির্মাণ করতে হলে অবশ্যই সরকারের আয় বাড়াতে হবে। তিনি বলেন, ইতোপূর্বে ’৮০র দশকে যমুনা সেতুর জন্য যমুনা সেতু সারচার্জ আরোপ করে তহবিল সৃষ্টি করার নজির দেশে রয়েছে। ওই হিসেবে সরকার পদ্মা সেতু সারচার্জ আরোপ করতেই পারে। বিদ্যুত বিল, টেলিফোন বিল, গ্যাস বিল ও কেনাকাটার ক্ষেত্রে ভ্যাটে ১০ শতাংশ সারচার্জ আরোপ করা যেতে পারে। এ ছাড়া রাজস্ব আদায়ের যে লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে পদ্মা সেতুর অর্থায়নে সে লক্ষ্যমাত্রা আরও ৩ বা ৫ হাজার কোটি টাকা বাড়াতে পারে সরকার।
তিনি বলেন, পদ্মা সেতু সারচার্জ আরোপের বিষয়ে সরকারের পক্ষ থেকে এখনও কোন নির্দেশনা পাওয়া যায়নি। তা ছাড়া এনবিআর চেয়ারম্যান ও মেম্বাররা এখন রাষ্ট্রীয় প্রয়োজনে বিদেশ সফরে রয়েছেন। তাঁরা ফিরে এলে উচ্চপর্যায়ের বৈঠকেই এ ধরনের জনগুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে আলোচনা হতে পারে।
এ ছাড়া চলতি ২০১২-১৩ অর্থবছরে মোট রাজস্ব আয় প্রাক্কলন করা হয়েছে ১ লাখ ৩৯ হাজার ৬৭০ কোটি টাকা। এর মধ্যে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড সূত্রে ১ লাখ ১২ হাজার ২৫৯ কোটি টাকার কর রাজস্ব প্রাক্কলন করা হয়েছে। অর্থাৎ কর রাজস্বের ওপর ১০ শতাংশ পদ্মা সেতু সারচার্জ আরোপ করা হলে অতিরিক্ত ১১ হাজার ২২৫ কোটি ৯০ লাখ টাকা আয় করা সম্ভব।
এদিকে পদ্মা সেতু নির্মাণে তহবিল সংগ্রহে মোবাইল ফোন গ্রাহকদের কাছ থেকে অর্থ সংগ্রহের প্রস্তাব দিয়েছেন স্পীকার আব্দুল হামিদ। পদ্মা সেতু নিয়ে রবিবার সংসদে স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য ফজলুল আজিমের বক্তব্যের প্রেক্ষাপটে স্পীকার বলেন, আমার একটা প্রস্তাব আছে। প্রত্যেক কলে ২৫ পয়সা নিয়ে দেশকে সেতু নির্মাণে সহায়তা করা যায়। এতে অনেক পয়সা আসবে। এ ব্যাপারে জনগণকে উদ্বুদ্ধ করতে সংসদ সদস্যদের নিজ নিজ এলাকায় গিয়ে মানুষের সঙ্গে কথা বলার জন্য আহ্বান জানান স্পীকার।
দুর্নীতির অভিযোগ তুলে গত ২৯ জুন বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় অবকাঠামো প্রকল্পে ১২০ কোটি ডলারের ঋণচুক্তি বাতিল করে বিশ্বব্যাংক। ২৯০ কোটি ডলারের এ প্রকল্পে অর্থায়ন থেকে বিশ্বব্যাংক সরে যাওয়ার পর নিজস্ব অর্থায়নে এ সেতু করার পক্ষে বক্তব্য দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতু করার রূপরেখাও তিনি তুলে ধরেছেন। অবশ্য এই প্রকল্পে বিদেশীদের অংশগ্রহণের পথও খোলা রয়েছে বলে জানান তিনি। পদ্মা সেতু নির্মাণ প্রসঙ্গে আজিম বলেন, পদ্মা সেতুর অর্থায়ন গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। আমরা এর অর্থায়ন করতে পারব।
এদিকে ব্যবসায়ী সম্প্রদায়ও নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতু নির্মাণে সরকারকে সহযোগিতা দিতে প্রস্তুত রয়েছেন। বেসরকারী খাতের এ তালিকায় রয়েছে ব্যাংক, বীমা, লিজিং কোম্পানি, আর্থিক প্রতিষ্ঠান এবং গ্রুপ অব কোম্পানিজ। এ ছাড়া নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতু নির্মাণে পাবলিক-প্রাইভেট পার্টনারশিপ (পিপিপি) ব্যবস্থার ওপর জোর দেয়ার তাগিদ দিয়েছেন তাঁরা। এ প্রসঙ্গে সার্ক চেম্বারের সহ-সভাপতি আবুল কাশেম আহমেদ জনকণ্ঠকে বলেন, নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতু নির্মাণ করা হলে সেটি দেশের জন্য মঙ্গলজনক হবে। এক্ষেত্রে পিপিপি ব্যবস্থা আরও শক্তিশালী করা প্রয়োজন। পিপিপির অধীনে এখন দেশে সেরকম কোন বিনিয়োগ হয়নি। তবে পদ্মা সেতুর মতো বড় প্রকল্প পিপিপির অধীনে বাস্তবায়ন করা গেলে সেটি হবে বড় অর্জন। তিনি বলেন, পদ্মা সেতু প্রকল্পে কিভাবে বেসরকারী খাতকে সম্পৃক্ত করা যায় তা নিয়ে এফবিসিসিআইয়ের পক্ষ থেকে দ্রুত উদ্যোগ নেয়া প্রয়োজন। এ ছাড়া দেশের প্রতিটি মানুষকে পদ্মা সেতুতে সম্পৃক্ত করতে একটি বিশেষ তহবিল গঠন করা যেতে পারে। এই তহবিলে সামর্থ্য অনুসারে দেশের সকল নাগরিক আর্থিক সহযোগিতা দেবে।
এদিকে বাংলাদেশ ইন্স্যুরেন্স এ্যাসোসিয়েশন (বিআইএ) পদ্মা সেতু প্রকল্পে ১১ হাজার কোটি টাকা বিনিয়োগ করার ঘোষণা দিয়েছে। পদ্মা সেতু নির্মাণের জন্য সরকার বন্ড বা ডিবেঞ্চার ইস্যুর মতো কোন উদ্যোগ গ্রহণ করলে ন্যাশনাল ব্যাংক লিমিটেড তাতে ৫০০ কোটি টাকা বিনিয়োগ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এ ছাড়া নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতু নির্মাণে বিনিয়োগ করার আগ্রহ দেখিয়েছে সিকদার গ্রুপ। এ গ্রুপের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, পদ্মা সেতু নির্মাণের জন্য সরকার বন্ড বা ডিবেঞ্চার ইস্যুর মতো কোন উদ্যোগ গ্রহণ করলে সিকদার গ্রুপ তাতে ২০০ কোটি টাকা অর্থায়ন করবে।
এ ছাড়া চলতি ২০১২-১৩ অর্থবছরের বাজেটের প্রাক্কলিত কর রাজস্বের ওপর ১০ শতাংশ সারচার্জ আরোপ করা হলে সরকারের অতিরিক্ত ১১ হাজার ২২৫ কোটি ৯০ লাখ টাকা আয় হবে। নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতু বাস্তবায়নে সরকার এই টাকা ব্যয় করতে পারবে।
এদিকে, সাধারণ মানুষ যারা করের আওতায় নেই কিন্তু দেশের প্রতি ভালবাসা ও আবেগ থেকে এ প্রকল্পে সামর্থ্য অনুসারে অর্থায়ন করতে চান, তাদের জন্য পদ্মা সেতু তহবিল গঠন করার পরিকল্পনা রয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জাতীয় সংসদে জানিয়েছেন, ছাত্রছাত্রীরা তাদের টিফিনের পয়সা পদ্মা সেতু নির্মাণে দিতে চান। প্রতি মুহূর্তে প্রধানমন্ত্রীর মোবাইল ফোনে এ ধরনের অনুরোধ আসছে। এ ছাড়া দুর্নীতির অভিযোগ এনে পদ্মা সেতু প্রকল্প থেকে বিশ্বব্যাংক চলে যাওয়ার পর সরকার বিব্রত হয়েছে, পাশাপাশি সাধারণ মানুষের সেন্টিমেন্টে আঘাত দেয়া হয়েছে।
জানা গেছে, এসব দিক বিবেচনায় নিয়ে দেশের প্রতিটি নাগরিককে এ প্রকল্পে সম্পৃক্ত করতে পদ্মা সেতু তহবিল নামে একটি বিশেষ হিসাব খোলার সম্ভাবনা রয়েছে। এদিকে সরকারী নির্দেশনা পাওয়ার পরই কর ও ভ্যাটের ওপর পদ্মা সেতু সারচার্জ আরোপ করবে এনবিআর। যোগাযোগ মন্ত্রণালয়ের অধীনস্ত সেতু বিভাগ থেকে সুপারিশ পাওয়ার পরই এ বিষয়ে এনবিআর কাজ শুরু করবে।
এ প্রসঙ্গে এনবিআরের আয়কর নীতি বিভাগের প্রথম সচিব একেএম বদিউল আলম জনকণ্ঠকে বলেন, জাতীয় রাজস্ব বোর্ড কর ও ভ্যাট থেকে যা আদায় করছে তা সবই সরকারের টাকা। কর ও ভ্যাট আদায়ের একটি নীতিমালাও রয়েছে। কিন্তু তার পরও সরকার বিশেষ প্রয়োজনে বিশেষ চার্জ আরোপ করতে পারে। এক্ষেত্রে নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতু নির্মাণ করতে হলে অবশ্যই সরকারের আয় বাড়াতে হবে। তিনি বলেন, ইতোপূর্বে ’৮০র দশকে যমুনা সেতুর জন্য যমুনা সেতু সারচার্জ আরোপ করে তহবিল সৃষ্টি করার নজির দেশে রয়েছে। ওই হিসেবে সরকার পদ্মা সেতু সারচার্জ আরোপ করতেই পারে। বিদ্যুত বিল, টেলিফোন বিল, গ্যাস বিল ও কেনাকাটার ক্ষেত্রে ভ্যাটে ১০ শতাংশ সারচার্জ আরোপ করা যেতে পারে। এ ছাড়া রাজস্ব আদায়ের যে লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে পদ্মা সেতুর অর্থায়নে সে লক্ষ্যমাত্রা আরও ৩ বা ৫ হাজার কোটি টাকা বাড়াতে পারে সরকার।
তিনি বলেন, পদ্মা সেতু সারচার্জ আরোপের বিষয়ে সরকারের পক্ষ থেকে এখনও কোন নির্দেশনা পাওয়া যায়নি। তা ছাড়া এনবিআর চেয়ারম্যান ও মেম্বাররা এখন রাষ্ট্রীয় প্রয়োজনে বিদেশ সফরে রয়েছেন। তাঁরা ফিরে এলে উচ্চপর্যায়ের বৈঠকেই এ ধরনের জনগুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে আলোচনা হতে পারে।
এ ছাড়া চলতি ২০১২-১৩ অর্থবছরে মোট রাজস্ব আয় প্রাক্কলন করা হয়েছে ১ লাখ ৩৯ হাজার ৬৭০ কোটি টাকা। এর মধ্যে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড সূত্রে ১ লাখ ১২ হাজার ২৫৯ কোটি টাকার কর রাজস্ব প্রাক্কলন করা হয়েছে। অর্থাৎ কর রাজস্বের ওপর ১০ শতাংশ পদ্মা সেতু সারচার্জ আরোপ করা হলে অতিরিক্ত ১১ হাজার ২২৫ কোটি ৯০ লাখ টাকা আয় করা সম্ভব।
এদিকে পদ্মা সেতু নির্মাণে তহবিল সংগ্রহে মোবাইল ফোন গ্রাহকদের কাছ থেকে অর্থ সংগ্রহের প্রস্তাব দিয়েছেন স্পীকার আব্দুল হামিদ। পদ্মা সেতু নিয়ে রবিবার সংসদে স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য ফজলুল আজিমের বক্তব্যের প্রেক্ষাপটে স্পীকার বলেন, আমার একটা প্রস্তাব আছে। প্রত্যেক কলে ২৫ পয়সা নিয়ে দেশকে সেতু নির্মাণে সহায়তা করা যায়। এতে অনেক পয়সা আসবে। এ ব্যাপারে জনগণকে উদ্বুদ্ধ করতে সংসদ সদস্যদের নিজ নিজ এলাকায় গিয়ে মানুষের সঙ্গে কথা বলার জন্য আহ্বান জানান স্পীকার।
দুর্নীতির অভিযোগ তুলে গত ২৯ জুন বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় অবকাঠামো প্রকল্পে ১২০ কোটি ডলারের ঋণচুক্তি বাতিল করে বিশ্বব্যাংক। ২৯০ কোটি ডলারের এ প্রকল্পে অর্থায়ন থেকে বিশ্বব্যাংক সরে যাওয়ার পর নিজস্ব অর্থায়নে এ সেতু করার পক্ষে বক্তব্য দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতু করার রূপরেখাও তিনি তুলে ধরেছেন। অবশ্য এই প্রকল্পে বিদেশীদের অংশগ্রহণের পথও খোলা রয়েছে বলে জানান তিনি। পদ্মা সেতু নির্মাণ প্রসঙ্গে আজিম বলেন, পদ্মা সেতুর অর্থায়ন গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। আমরা এর অর্থায়ন করতে পারব।
এদিকে ব্যবসায়ী সম্প্রদায়ও নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতু নির্মাণে সরকারকে সহযোগিতা দিতে প্রস্তুত রয়েছেন। বেসরকারী খাতের এ তালিকায় রয়েছে ব্যাংক, বীমা, লিজিং কোম্পানি, আর্থিক প্রতিষ্ঠান এবং গ্রুপ অব কোম্পানিজ। এ ছাড়া নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতু নির্মাণে পাবলিক-প্রাইভেট পার্টনারশিপ (পিপিপি) ব্যবস্থার ওপর জোর দেয়ার তাগিদ দিয়েছেন তাঁরা। এ প্রসঙ্গে সার্ক চেম্বারের সহ-সভাপতি আবুল কাশেম আহমেদ জনকণ্ঠকে বলেন, নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতু নির্মাণ করা হলে সেটি দেশের জন্য মঙ্গলজনক হবে। এক্ষেত্রে পিপিপি ব্যবস্থা আরও শক্তিশালী করা প্রয়োজন। পিপিপির অধীনে এখন দেশে সেরকম কোন বিনিয়োগ হয়নি। তবে পদ্মা সেতুর মতো বড় প্রকল্প পিপিপির অধীনে বাস্তবায়ন করা গেলে সেটি হবে বড় অর্জন। তিনি বলেন, পদ্মা সেতু প্রকল্পে কিভাবে বেসরকারী খাতকে সম্পৃক্ত করা যায় তা নিয়ে এফবিসিসিআইয়ের পক্ষ থেকে দ্রুত উদ্যোগ নেয়া প্রয়োজন। এ ছাড়া দেশের প্রতিটি মানুষকে পদ্মা সেতুতে সম্পৃক্ত করতে একটি বিশেষ তহবিল গঠন করা যেতে পারে। এই তহবিলে সামর্থ্য অনুসারে দেশের সকল নাগরিক আর্থিক সহযোগিতা দেবে।
এদিকে বাংলাদেশ ইন্স্যুরেন্স এ্যাসোসিয়েশন (বিআইএ) পদ্মা সেতু প্রকল্পে ১১ হাজার কোটি টাকা বিনিয়োগ করার ঘোষণা দিয়েছে। পদ্মা সেতু নির্মাণের জন্য সরকার বন্ড বা ডিবেঞ্চার ইস্যুর মতো কোন উদ্যোগ গ্রহণ করলে ন্যাশনাল ব্যাংক লিমিটেড তাতে ৫০০ কোটি টাকা বিনিয়োগ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এ ছাড়া নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতু নির্মাণে বিনিয়োগ করার আগ্রহ দেখিয়েছে সিকদার গ্রুপ। এ গ্রুপের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, পদ্মা সেতু নির্মাণের জন্য সরকার বন্ড বা ডিবেঞ্চার ইস্যুর মতো কোন উদ্যোগ গ্রহণ করলে সিকদার গ্রুপ তাতে ২০০ কোটি টাকা অর্থায়ন করবে।
No comments