আসাদের সঙ্গে 'গঠনমূলক' আলোচনা হয়েছে : আনান
সিরিয়ায় প্রায় ১৬ মাস ধরে চলমান সহিংসতা বন্ধের ব্যাপারে প্রেসিডেন্ট বাশার আল আসাদের সঙ্গে 'গঠনমূলক' আলোচনা হয়েছে বলে জানিয়েছেন জাতিসংঘ ও আরব লিগ মনোনীত সিরিয়াবিষয়ক বিশেষ দূত কফি আনান। গতকাল সোমবার সিরিয়ার রাজধানী দামেস্কে আসাদের সঙ্গে আলোচনার পর তিনি এই তথ্য জানান।
এর আগে গত শনিবার আনান দাবি করেছিলেন, রাজনৈতিক উপায়ে সিরিয়ার সহিংসতা বন্ধে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের পরিকল্পনা ব্যর্থ হয়েছে।
গতকাল প্রেসিডেন্ট আসাদের সঙ্গে বৈঠকের পর ইরানের উদ্দেশে রওনা হন কফি আনান। ইরানের সঙ্গে সিরিয়া বিষয়ে আলোচনার কথা রয়েছে তাঁর। আসাদের সঙ্গে আলোচনার পর আনান বলেন, 'আমরা সহিংসতা বন্ধের প্রয়োজনীয়তা এবং এর উপায় নিয়ে আলোচনা করেছি। আমরা একটি প্রস্তাবে সম্মত হয়েছি এবং সিরিয়ার সশস্ত্র বিরোধীদের সঙ্গে আমি এ ব্যাপারে আলোচনা করব। প্রেসিডেন্ট আসাদের সঙ্গে গঠনমূলক ও মনখোলা আলোচনা হয়েছে আমার।' তবে কোন প্রস্তাবের বিষয়ে তাঁরা একমত হয়েছেন সে ব্যাপারে বিস্তারিত কিছু জানা যায়নি।
জাতিসংঘের সাবেক মহাসচিব কফি আনান গত ফেব্রুয়ারিতে জাতিসংঘ ও আরব লিগের পক্ষ থেকে বিশেষ শান্তি আলোচক মনোনীত হন। ছয় দফা শান্তি পরিকল্পনা নিয়ে সিরীয় কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করছেন তিনি। দায়িত্ব পাওয়ার পর গতকাল তৃতীয়বারের মতো আসাদের সঙ্গে বৈঠক করেন তিনি।
এদিকে আসাদ সরকারও কফি আনানের সঙ্গে গঠনমূলক আলোচনা হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছে। সিরিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী জিহাদ আল-মাকদিসি বলেন, গত মাসের শেষের দিকে বিশ্বনেতারা জেনেভায় সিরিয়া বিষয়ক সম্মেলনে অন্তর্বর্তী সরকার গঠনের যে প্রস্তাব দেন, সে ধরনের পরিবেশ তৈরির ব্যাপারে আলোচনা হয়েছে।
জাতিসংঘের হিসাবে, ২০১১ সালের মার্চে সিরিয়ায় সরকারবিরোধী বিক্ষোভ শুরুর পর থেকে এ পর্যন্ত ১৭ হাজারের বেশি লোক মারা গেছে। গত রবিবারই দেইর আল-জৌর, দেরা, হোমস, আলেপ্পো ও দামেস্কে সরকারি বাহিনীর হামলায় ১০০ জনেরও বেশি লোক মারা গেছে। সিরিয়ায় সরকারবিরোধীদের সংগঠন সিরিয়ান ন্যাশনাল কাউন্সিল (এসএনসি) আসাদের সঙ্গে কফি আনানের বৈঠকের সমালোচনা করেছে। গত এপ্রিলে আসাদ সরকার যুদ্ধবিরতি ঘোষণা করার পরও দেশটিতে হাজারো মানুষের মৃত্যু হয়েছে। যুদ্ধবিরতির বিষয়টি আনানের শান্তি পরিকল্পনার মূল ইস্যু ছিল।
দামেস্কে পেঁৗছানোর আগে ফ্রান্সের লা মঁদ পত্রিকাকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে আনান বলেন, 'সিরিয়ায় রাজনৈতিক উপায়ে শান্তি স্থাপনের পরিকল্পনা কার্যত ব্যর্থ হয়েছে। রাশিয়া ও ইরানকে সিরিয়ায় শান্তি প্রতিষ্ঠার ব্যাপারে প্রতিবন্ধক বিবেচনা করা হয়। তবে অন্যান্য দেশও যে অস্ত্র ও অর্থ সহায়তা দিয়ে সহিংসতায় ভূমিকা রাখতে পারে, সে ব্যাপারে খুব বেশি কিছু বলা হচ্ছে না।'
এদিকে গত রবিবার জার্মান সরকারি সম্প্রচার সংস্থা এআরডিকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে প্রেসিডেন্ট আসাদ অভিযোগ করেন, অনেক দেশ আছে যারা কফি আনানের শান্তি প্রচেষ্টাকে দুর্বল করে দিচ্ছে। তিনি বলেন, 'যুক্তরাষ্ট্র এই সংঘাতে ভূমিকা রাখছে। সিরিয়াকে যারা অস্থিতিশীল করে তুলছে, যুক্তরাষ্ট্র তাদের সাহায্য ও রাজনৈতিকভাবে সমর্থন দিচ্ছে। অনেক দেশের না চাওয়ার কারণেই আনানের শান্তি পরিকল্পনা ব্যর্থ হয়েছে।' সূত্র : এএফপি, বিবিসি।
গতকাল প্রেসিডেন্ট আসাদের সঙ্গে বৈঠকের পর ইরানের উদ্দেশে রওনা হন কফি আনান। ইরানের সঙ্গে সিরিয়া বিষয়ে আলোচনার কথা রয়েছে তাঁর। আসাদের সঙ্গে আলোচনার পর আনান বলেন, 'আমরা সহিংসতা বন্ধের প্রয়োজনীয়তা এবং এর উপায় নিয়ে আলোচনা করেছি। আমরা একটি প্রস্তাবে সম্মত হয়েছি এবং সিরিয়ার সশস্ত্র বিরোধীদের সঙ্গে আমি এ ব্যাপারে আলোচনা করব। প্রেসিডেন্ট আসাদের সঙ্গে গঠনমূলক ও মনখোলা আলোচনা হয়েছে আমার।' তবে কোন প্রস্তাবের বিষয়ে তাঁরা একমত হয়েছেন সে ব্যাপারে বিস্তারিত কিছু জানা যায়নি।
জাতিসংঘের সাবেক মহাসচিব কফি আনান গত ফেব্রুয়ারিতে জাতিসংঘ ও আরব লিগের পক্ষ থেকে বিশেষ শান্তি আলোচক মনোনীত হন। ছয় দফা শান্তি পরিকল্পনা নিয়ে সিরীয় কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করছেন তিনি। দায়িত্ব পাওয়ার পর গতকাল তৃতীয়বারের মতো আসাদের সঙ্গে বৈঠক করেন তিনি।
এদিকে আসাদ সরকারও কফি আনানের সঙ্গে গঠনমূলক আলোচনা হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছে। সিরিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী জিহাদ আল-মাকদিসি বলেন, গত মাসের শেষের দিকে বিশ্বনেতারা জেনেভায় সিরিয়া বিষয়ক সম্মেলনে অন্তর্বর্তী সরকার গঠনের যে প্রস্তাব দেন, সে ধরনের পরিবেশ তৈরির ব্যাপারে আলোচনা হয়েছে।
জাতিসংঘের হিসাবে, ২০১১ সালের মার্চে সিরিয়ায় সরকারবিরোধী বিক্ষোভ শুরুর পর থেকে এ পর্যন্ত ১৭ হাজারের বেশি লোক মারা গেছে। গত রবিবারই দেইর আল-জৌর, দেরা, হোমস, আলেপ্পো ও দামেস্কে সরকারি বাহিনীর হামলায় ১০০ জনেরও বেশি লোক মারা গেছে। সিরিয়ায় সরকারবিরোধীদের সংগঠন সিরিয়ান ন্যাশনাল কাউন্সিল (এসএনসি) আসাদের সঙ্গে কফি আনানের বৈঠকের সমালোচনা করেছে। গত এপ্রিলে আসাদ সরকার যুদ্ধবিরতি ঘোষণা করার পরও দেশটিতে হাজারো মানুষের মৃত্যু হয়েছে। যুদ্ধবিরতির বিষয়টি আনানের শান্তি পরিকল্পনার মূল ইস্যু ছিল।
দামেস্কে পেঁৗছানোর আগে ফ্রান্সের লা মঁদ পত্রিকাকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে আনান বলেন, 'সিরিয়ায় রাজনৈতিক উপায়ে শান্তি স্থাপনের পরিকল্পনা কার্যত ব্যর্থ হয়েছে। রাশিয়া ও ইরানকে সিরিয়ায় শান্তি প্রতিষ্ঠার ব্যাপারে প্রতিবন্ধক বিবেচনা করা হয়। তবে অন্যান্য দেশও যে অস্ত্র ও অর্থ সহায়তা দিয়ে সহিংসতায় ভূমিকা রাখতে পারে, সে ব্যাপারে খুব বেশি কিছু বলা হচ্ছে না।'
এদিকে গত রবিবার জার্মান সরকারি সম্প্রচার সংস্থা এআরডিকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে প্রেসিডেন্ট আসাদ অভিযোগ করেন, অনেক দেশ আছে যারা কফি আনানের শান্তি প্রচেষ্টাকে দুর্বল করে দিচ্ছে। তিনি বলেন, 'যুক্তরাষ্ট্র এই সংঘাতে ভূমিকা রাখছে। সিরিয়াকে যারা অস্থিতিশীল করে তুলছে, যুক্তরাষ্ট্র তাদের সাহায্য ও রাজনৈতিকভাবে সমর্থন দিচ্ছে। অনেক দেশের না চাওয়ার কারণেই আনানের শান্তি পরিকল্পনা ব্যর্থ হয়েছে।' সূত্র : এএফপি, বিবিসি।
No comments