মিয়ানমারের পার্লামেন্টে সু চির ঐতিহাসিক যাত্রা শুরু
নির্বাচিত হওয়ার পর প্রথমবারের মতো মিয়ানমারের পার্লামেন্টে পা রেখেছেন দেশটির গণতন্ত্রপন্থী নেত্রী অং সান সু চি। গতকাল সোমবার তিনি পার্লামেন্টে যোগ দেন। পার্লামেন্টে প্রবেশের মাধ্যমে সু চি তাঁর সেনানিয়ন্ত্রিত দেশটিতে গণতন্ত্র ফেরাতে প্রায় ২৫ বছরের সংগ্রামে এক নতুন অধ্যায় শুরু করলেন।
দেশটির সেনা কর্মকর্তারাও তাঁকে স্বাগত জানিয়েছেন।
গণতন্ত্রের দাবিতে অবিচল সংগ্রাম সু চিকে একদিকে যেমন দেশটির সামরিক জান্তার রোষানলে পড়ে বছরের পর বছর গৃহবন্দিত্বের শৃঙ্খল পরিয়েছে, অন্যদিকে পুরস্কারস্বরূপ তাঁকে এনে দিয়েছে নোবেল পুরস্কারের মতো বিরল সম্মান। একজন নির্বাচিত রাজনীতিক হিসেবে প্রথমবারের মতো পার্লামেন্টের আসন গ্রহণের উদ্দেশ্যে সু চি গতকাল রাজধানী নেপিডোতে পৌঁছান। এ সময় তাঁকে খুবই শান্ত মনে হয়েছে। নেপিডোতে পৌঁছার পর তিনি বার্তা সংস্থা এএফপিকে বলেন, ‘আমি দেশের জন্য আমার সর্বাত্মক চেষ্টা করব।’
তবে সু চি যে সময়টাতে পার্লামেন্টে প্রবেশ করলেন, সেটা মিয়ানমারের কিছুটা হলেও অনিশ্চিত একটা সময়। দীর্ঘদিনের সামরিক জাঁতাকলে পিষ্ট দেশটির পালে পরিবর্তনের যে হাওয়া লেগেছিল, তার অগ্রযাত্রাকে অনেকটা অনিশ্চয়তায় ফেলে দিয়েছে সাম্প্রতিক সময়ে রাখাইন প্রদেশে জাতিগত সহিংসতা এবং কয়েক দিন আগে ছাত্রদের গণহারে গ্রেপ্তারের ঘটনা। অবশ্য, এই অনিশ্চয়তার পাশাপাশি আশার দিকও রয়েছে। খুব শিগগির দেশটির মন্ত্রিসভায় বড় ধরনের রদবদল করা হতে পারে—এমন এক আশা নিয়ে পার্লামেন্টে প্রবেশ করেছেন সু চি। সম্ভাব্য ওই রদবদলের আওতায় বেশ কিছু জ্যেষ্ঠ কট্টরপন্থী কর্মকর্তাকে সরিয়ে সেই দায়িত্ব দেওয়া হতে পারে সংস্কারবাদীদের। গত বছর দেশটির জান্তা সরকারের কাছ থেকে দায়িত্ব নেওয়া বর্তমান সরকারে সম্ভবত এটাই হবে বড় ধরনের রদবদল।
সু চি ও তাঁর দল ন্যাশনাল লিগ ফর ডেমোক্রেসির (এনএলডি) ৪৩ জন নেতা গত এপ্রিল মাসে অনুষ্ঠিত পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষের উপনির্বাচনে জয়লাভ করেন। ওই নির্বাচনের মাধ্যমেই মূলত তাঁরা দেশটির রাজনীতির মূলধারায় প্রত্যাবর্তন করেন। গত সপ্তাহেই তাঁদের পার্লামেন্টে যাওয়ার কথা ছিল। তবে ইউরোপে দীর্ঘ সফরের ধকল কাটিয়ে উঠতে সু চি তা স্থগিত করেন।
সু চির পার্লামেন্টের আসন গ্রহণ উপলক্ষে তাঁর দল থেকে নির্বাচিত সদস্যদের মধ্যে ব্যাপক উদ্দীপনা দেখা যায়। এনএলডির সাংসদ মি উইন মিন্ত বলেন, ‘আমরা তাঁকে সহায়তা করতে প্রস্তুত।’
মিয়ানমারের পার্লামেন্ট এখনো সামরিক বাহিনী ও তাদের মিত্রদের নিয়ন্ত্রণে। তবে যে শাসনতান্ত্রিক বিধানের বলে পার্লামেন্টে সামরিক বাহিনীর জন্য এক-চতুর্থাংশ আসন সংরক্ষিত, সেই বিধানটি বাদ দেওয়ার মাধ্যমে পার্লামেন্ট থেকে তাঁদের হটানোর পরিকল্পনা করছে এনএলডি। তার পরও পার্লামেন্টে সু চির আগমনে দেশটির সেনা কর্মকর্তারা বেশ খুশি বলেই মনে হয়েছে। ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ওয়াই লিন বলেন, ‘এটা ভালো যে আজ তাঁর (সু চির) আগমন ঘটল। আমরা সবাই তাঁকে স্বাগত জানাই।’
অবশ্য, সু চির উপস্থিতি উপলক্ষে বিশেষ কোনো আয়োজন চোখে পড়েনি। গতকাল সকালে তিনি অন্যান্য পার্লামেন্ট সদস্যের বক্তব্য মনযোগ দিয়ে শোনেন। পার্লামেন্টের চলতি অধিবেশন গত বুধবার শুরু হয়েছে। অধিবেশনে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে আলোচনা হবে। গত জুন মাসে রাখাইন প্রদেশে বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বী রাখাইন এবং ইসলাম ধর্মাবলম্বী রোহিঙ্গাদের মধ্যে জাতিগত সহিংসতা নিয়ে চলতি অধিবেশনে আলোচনা হবে। এ ছাড়া দেশের মৃতপ্রায় অর্থনীতি পুনরুজ্জীবিত করার লক্ষ্যে বিদেশি বিনিয়োগের একটি নতুন আইন প্রণনের বিষয়টিও প্রাধান্য পাবে।
সু চি গত মঙ্গলবার প্রতিশ্রুতি দেন, তাঁর দল পার্লামেন্টে যোগ দিয়ে অধিকতর স্বচ্ছতা আনার চেষ্টা করবে। এএফপি।
গণতন্ত্রের দাবিতে অবিচল সংগ্রাম সু চিকে একদিকে যেমন দেশটির সামরিক জান্তার রোষানলে পড়ে বছরের পর বছর গৃহবন্দিত্বের শৃঙ্খল পরিয়েছে, অন্যদিকে পুরস্কারস্বরূপ তাঁকে এনে দিয়েছে নোবেল পুরস্কারের মতো বিরল সম্মান। একজন নির্বাচিত রাজনীতিক হিসেবে প্রথমবারের মতো পার্লামেন্টের আসন গ্রহণের উদ্দেশ্যে সু চি গতকাল রাজধানী নেপিডোতে পৌঁছান। এ সময় তাঁকে খুবই শান্ত মনে হয়েছে। নেপিডোতে পৌঁছার পর তিনি বার্তা সংস্থা এএফপিকে বলেন, ‘আমি দেশের জন্য আমার সর্বাত্মক চেষ্টা করব।’
তবে সু চি যে সময়টাতে পার্লামেন্টে প্রবেশ করলেন, সেটা মিয়ানমারের কিছুটা হলেও অনিশ্চিত একটা সময়। দীর্ঘদিনের সামরিক জাঁতাকলে পিষ্ট দেশটির পালে পরিবর্তনের যে হাওয়া লেগেছিল, তার অগ্রযাত্রাকে অনেকটা অনিশ্চয়তায় ফেলে দিয়েছে সাম্প্রতিক সময়ে রাখাইন প্রদেশে জাতিগত সহিংসতা এবং কয়েক দিন আগে ছাত্রদের গণহারে গ্রেপ্তারের ঘটনা। অবশ্য, এই অনিশ্চয়তার পাশাপাশি আশার দিকও রয়েছে। খুব শিগগির দেশটির মন্ত্রিসভায় বড় ধরনের রদবদল করা হতে পারে—এমন এক আশা নিয়ে পার্লামেন্টে প্রবেশ করেছেন সু চি। সম্ভাব্য ওই রদবদলের আওতায় বেশ কিছু জ্যেষ্ঠ কট্টরপন্থী কর্মকর্তাকে সরিয়ে সেই দায়িত্ব দেওয়া হতে পারে সংস্কারবাদীদের। গত বছর দেশটির জান্তা সরকারের কাছ থেকে দায়িত্ব নেওয়া বর্তমান সরকারে সম্ভবত এটাই হবে বড় ধরনের রদবদল।
সু চি ও তাঁর দল ন্যাশনাল লিগ ফর ডেমোক্রেসির (এনএলডি) ৪৩ জন নেতা গত এপ্রিল মাসে অনুষ্ঠিত পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষের উপনির্বাচনে জয়লাভ করেন। ওই নির্বাচনের মাধ্যমেই মূলত তাঁরা দেশটির রাজনীতির মূলধারায় প্রত্যাবর্তন করেন। গত সপ্তাহেই তাঁদের পার্লামেন্টে যাওয়ার কথা ছিল। তবে ইউরোপে দীর্ঘ সফরের ধকল কাটিয়ে উঠতে সু চি তা স্থগিত করেন।
সু চির পার্লামেন্টের আসন গ্রহণ উপলক্ষে তাঁর দল থেকে নির্বাচিত সদস্যদের মধ্যে ব্যাপক উদ্দীপনা দেখা যায়। এনএলডির সাংসদ মি উইন মিন্ত বলেন, ‘আমরা তাঁকে সহায়তা করতে প্রস্তুত।’
মিয়ানমারের পার্লামেন্ট এখনো সামরিক বাহিনী ও তাদের মিত্রদের নিয়ন্ত্রণে। তবে যে শাসনতান্ত্রিক বিধানের বলে পার্লামেন্টে সামরিক বাহিনীর জন্য এক-চতুর্থাংশ আসন সংরক্ষিত, সেই বিধানটি বাদ দেওয়ার মাধ্যমে পার্লামেন্ট থেকে তাঁদের হটানোর পরিকল্পনা করছে এনএলডি। তার পরও পার্লামেন্টে সু চির আগমনে দেশটির সেনা কর্মকর্তারা বেশ খুশি বলেই মনে হয়েছে। ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ওয়াই লিন বলেন, ‘এটা ভালো যে আজ তাঁর (সু চির) আগমন ঘটল। আমরা সবাই তাঁকে স্বাগত জানাই।’
অবশ্য, সু চির উপস্থিতি উপলক্ষে বিশেষ কোনো আয়োজন চোখে পড়েনি। গতকাল সকালে তিনি অন্যান্য পার্লামেন্ট সদস্যের বক্তব্য মনযোগ দিয়ে শোনেন। পার্লামেন্টের চলতি অধিবেশন গত বুধবার শুরু হয়েছে। অধিবেশনে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে আলোচনা হবে। গত জুন মাসে রাখাইন প্রদেশে বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বী রাখাইন এবং ইসলাম ধর্মাবলম্বী রোহিঙ্গাদের মধ্যে জাতিগত সহিংসতা নিয়ে চলতি অধিবেশনে আলোচনা হবে। এ ছাড়া দেশের মৃতপ্রায় অর্থনীতি পুনরুজ্জীবিত করার লক্ষ্যে বিদেশি বিনিয়োগের একটি নতুন আইন প্রণনের বিষয়টিও প্রাধান্য পাবে।
সু চি গত মঙ্গলবার প্রতিশ্রুতি দেন, তাঁর দল পার্লামেন্টে যোগ দিয়ে অধিকতর স্বচ্ছতা আনার চেষ্টা করবে। এএফপি।
No comments