ডাকাত শহীদের দলে ৫৫ প্রশিক্ষিত শূটার, খুন ৬০-সন্ত্রাসীর সঙ্গে পরিচয় থেকে মাফিয়া ডন by গাফফার খান চৌধুরী
সন্ত্রাসীদের সঙ্গে পরিচয়। পরিচয় থেকে সন্ত্রাসী। চাঁদাবাজির মাধ্যমে অপরাধ জগতে পর্দাপণ। চাঁদাবাজি থেকে চোরাকারবারি। আর চোরাকারবারি থেকে বনে যায় মাফিয়া ডন। ডাকাত শহীদের দলে প্রশিক্ষিত শূটারের সংখ্যাই ৫৫ জন। ডাকাত শহীদ বাহিনীর হাতে অন্তত ৬০টি খুনের ঘটনা ঘটেছে। তবে প্রকৃত সংখ্যা ৬শ’ ওপরে।
মাফিয়া হিসেবে বিদেশে পলাতক জীবনে ডাকাত শহীদের সঙ্গে সখ্য গড়ে উঠেছিল বিগত বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবর, সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার রাজনৈতিক সচিব হারিছ চৌধুরী ও বহুল আলোচিত যুবলীগ নেতা এবং শীর্ষ সন্ত্রাসী বর্তমানে নিখোঁজ লিয়াকত আলীর সঙ্গে। এমনই ঘটনাবহুল ছিল ডাকাত শহীদের জীবন। যা সিনেমার কাহিনীকেও হার মানায়।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, ১৯৬৮ সালে মুন্সীগঞ্জ জেলার শ্রীনগর থানা এলাকায় জন্ম নেয় শহীদুল ইসলাম শহীদ (৪৮)। তার দুই পুত্র সন্তান আগেই মারা গেছে। একমাত্র মেয়ে ভারতে বসবাস করে। ১৯৮৪ সালে শ্রীনগরের একটি ইউনিয়ন পরিষদে নির্বাচন হয়। সেই নির্বাচনে ঢাকা থেকে ওয়ারীর তানজীল, আবুল, বাবুল, খোকন, তপন নামে কয়েক সন্ত্রাসী শ্রীনগরে যায়। উদ্দেশ্য ভোটবাক্স ছিনতাই করে পক্ষের প্রার্থীকে জিতিয়ে দেয়া। সেখানেই তাদের সঙ্গে পরিচয় হয় শহীদের। লেখাপড়া তেমন হয়নি। পরিচয়ের সূত্র ধরেই ১৯৮৬ সালে ঢাকার টিপু সুলতান রোডে আসে শহীদ। ১৯৯০ সালে শহীদ ঢাকা বিক্রমপুর বাস শ্রমিক কমিটির যুগ্ম সম্পাদক পদে নির্বাচিত হয়। শ্রমিক নেতা হওয়ার পরেই সে শুরু করে অস্ত্র, গুলি আদান-প্রদানের কাজ। হাতে অস্ত্র আর সন্ত্রাসীদের সঙ্গে যোগাযোগ গড়ে ওঠে শহীদের। এ সুযোগটিকে কাজে লাগিয়ে টিকাটুলী এলাকায় রাস্তা থেকে চাঁদাবাজি শুরু করে।
চাঁদাবাজির সঙ্গে ডাকাতি শুরু করে শহীদ। বিশেষ করে নৌÑডাকাত দলে ভিড়ে যায়। এ থেকেই শহীদের নাম হয় ডাকাত শহীদ। ১৯৯০ সালে ডাকাতিকালে ধরা পড়ে মুন্সীগঞ্জ জেলে ৩ মস বন্দী ছিল। নব্বইয়ের দশকের শেষ দিকে জামিনে মুক্ত হয়ে ১৯৯১ সালেই কুয়েত চলে যায়।
১৯৯৪ সালে কুয়েত থেকে দেশে ফিরে ডাকাতি মামলায় বেকসুর খালাস পায়। তখন পুরনো ঢাকার জুরাইনের আবুল গ্রুপের সঙ্গে যোগ দিয়ে অস্ত্রবাজি আর টেন্ডারবাজিতে নামে।
১৯৯৮ সাল থেকে যুবলীগ নেতা নিখোঁজ শীর্ষ সন্ত্রাসী লিয়াকত আলীর সঙ্গে যোগ দিয়ে ওয়ারীতে টেন্ডারবাজি করতে থাকে। এর পর সে জুরাইনে অফিস খুলে নিজেই টেন্ডারের কাজ করতে থাকে।
তার সঙ্গে যোগ দেয় নারায়ণগঞ্জের নুরুল ইসলাম, সবুজবাগের শিবু, লাল, জুরাইনের রিপন, শাহীন, বেলায়েত ও শহিদ। টেন্ডারবাজির সুবিধার্থে ১৯৯৮ ও ১৯৯৯ সালে ৩টি অস্ত্র কেনে। অস্ত্র কেনার পরেই সানাউল্লাহ গ্রুপের সুলতান ও কালু নামে দু’জনকে খুন করে। এর পর ডাকাত শহীদের গ্রুপের শুরু হয় বেপরোয়া খুন। ২০০২ সালে শহিদ কমিশনারের নেতৃত্বে পিচ্চি কামাল, শীর্ষ সন্ত্রাসী কালা জাহাঙ্গীর, মিরপুরের কচি, বিপ্লব, দ্বীন ইসলাম, তনাই মোল্লা, সেন্টু, জাকির হোসেনসহ আরও সন্ত্রাসীদের সহযোগিতায় এ্যাডভোকেট হাবিব মোল্লার মাথায় গুলি করে।
এ মামলায় শহিদ কমিশনারকে আদালত মৃত্যুদ- দেয়। বর্তমানে তিনি জেলহাজতে। আর ডাকাত শহীদকে এ মামলায় যাবজ্জীবন কারাদ- প্রদান করে আদালত। ২০০৩ সালে ডাকাত শহীদ পুরোদমে চাঁদাবাজি, টেন্ডারবাজি, ট্রাক ও বাসস্ট্যান্ড দখল করা শুরু করে। এ সময় সহযোগী ছিল পিন্টু, টুলু, আলমগীর, টিটু, হানিফ ও বাবুসহ কয়েকজন।
২০০৪ সালে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের সদস্য ফর্সা জাহাঙ্গীরের সঙ্গে ডাকাত শহীদের ঝগড়া হয়। এর প্রেক্ষিতে বহুল আলোচিত বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র রুবেল হত্যা মামলার অন্যতম আসামি ডিবির সহকারী কমিশনার আকরাম ৫টি অস্ত্রসহ ডাকাত শহীদকে আটক করে। এক বছর জেল খেটে বের হয়ে আবার চাঁদাবাজি শুরু করে।
গোয়েন্দা সূত্রে জানা গেছে, সন্ত্রাস দমনে বিগত বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের আমলে ২০০৪ সালের ২৬ মার্চ র্যাব গঠন করা হয়। র্যাব ডাকাত শহীদের পিছু নিলে সে যশোর গিয়ে আরমান নাম ধারণ করে বসবাস শুরু করে। ২০০৫ সালে ভারত সীমান্তের পাশে বাসা ভাড়া করে অবস্থান নেয়। এ সময় ডাকাত শহীদের সহযোগী কালু ওরফে পাঞ্জি কালু প্রতিমাসে ডাকাত শহীদকে দেড় থেকে দুই লাখ টাকা হুন্ডির মাধ্যমে পাঠাত।
এর পর ডাকাত শহীদ কলকাতার নাগরিক হয়ে সেখানেই বসবাস শুরু করে। বিভিন্ন সময়ে সে নদীয়া, কলকাতা, উড়িষ্যায় অবস্থান করতে থাকে। ২০১০ সালে সে নদীয়া থেকে নেপালে চলে যায়। ভারতে ও নেপালে অবস্থানকালে ওই সময় ভারতে পালিয়ে থাকা শীর্ষ সন্ত্রাসী ইমন, ইসহাক, তানভীরুল ইসলাম জয়ের (পরে বাংলাদেশে ফেরত আনা হয়েছে) সঙ্গে সখ্য হয়। সাবেক বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার রাজনৈতিক সচিব হারিস চৌধুরী, সুব্রত বাইন, মোল্লা মাসুদসহ অনেকের সঙ্গে সখ্য গড়ে ওঠে ডাকাত শহীদের। ২০১২ সালের জুন মাসে আবারও সক্রিয় হয়ে উঠে ডাকাত শহীদ। বিদেশে অবস্থান করেই সে পাঞ্জি কালু, মিহির, গুড্ডুসহ তার অনুসারীদের মাধ্যমে চাঁদাবাজি করতে থাকে। দাবিকৃত চাঁদা না দিলেই গুলি করত ডাকাত শহীদের সহযোগীরা।
র্যাবের লিগ্যাল এ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক কমান্ডার এম সোহায়েল জনকণ্ঠকে জানান, চলতি বছর ডাকাত শহীদ ছদ্মবেশে ভারত থেকে সীমান্ত পথে ঢাকায় আসা শুরু করে। সর্বশেষ গত ৩ জুন রাতে ডাকাত শহীদ পুরনো ঢাকায় প্রবেশ করছে এমন গোপন সংবাদের ভিত্তিতে র্যাব সাদা পোশাকে ওই এলাকায় অবস্থান নেয়। ৩টি মোটর সাইকেলযোগে ডাকাত শহীদ পুরনো ঢাকায় প্রবেশ করে। এ সময় র্যাব ডাকাত শহীদকে ধরার চেষ্টা করলে সে গুলি ছুড়তে থাকে। র্যাবও পাল্টা গুলি চালায়। এতে তুমুল বন্দুকযুদ্ধ হয়। বন্দুকযুদ্ধে মারা যায় ডাকাত শহীদ ও তার সেকেন্ড ইন কমান্ড কালু ওরফে পাঞ্জি কালু।
ডাকাত শহীদের বিরুদ্ধে ১৮টি মামলা রয়েছে। তার মধ্যে ৬টি খুনের। ডাকাত শহীদ বাহিনীর হাতে হিসাব অনুযায়ী অন্তত ৬০টি খুনের ঘটনা ঘটেছে।
আর পাঞ্জি কালুর পিতার নাম হাকিম হাওলাদার (মৃত)। কালু ঢাকার স্বামীবাগে জন্মগ্রহণ করেছিল। কালু ডাকাত শহীদের পক্ষ হয়ে পুরনো ঢাকা নিয়ন্ত্রণ করত। ডাকাত শহীদের বাহিনীতে ৫৫ সন্ত্রাসী রয়েছে। এর মধ্যে অনেকেই গ্রেফতার হয়ে জেলে। আবার অনেকেই পলাতক। ডাকাত শহীদ বাহিনী দেশের বিভিন্ন জায়গায় ভাড়ায় খুন করত। ধারণা করা হচ্ছে, ডাকাত শহীদ বাহিনীর হাতে সারাদেশে অন্তত ৬শ’টি খুনের ঘটনা ঘটেছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, ১৯৬৮ সালে মুন্সীগঞ্জ জেলার শ্রীনগর থানা এলাকায় জন্ম নেয় শহীদুল ইসলাম শহীদ (৪৮)। তার দুই পুত্র সন্তান আগেই মারা গেছে। একমাত্র মেয়ে ভারতে বসবাস করে। ১৯৮৪ সালে শ্রীনগরের একটি ইউনিয়ন পরিষদে নির্বাচন হয়। সেই নির্বাচনে ঢাকা থেকে ওয়ারীর তানজীল, আবুল, বাবুল, খোকন, তপন নামে কয়েক সন্ত্রাসী শ্রীনগরে যায়। উদ্দেশ্য ভোটবাক্স ছিনতাই করে পক্ষের প্রার্থীকে জিতিয়ে দেয়া। সেখানেই তাদের সঙ্গে পরিচয় হয় শহীদের। লেখাপড়া তেমন হয়নি। পরিচয়ের সূত্র ধরেই ১৯৮৬ সালে ঢাকার টিপু সুলতান রোডে আসে শহীদ। ১৯৯০ সালে শহীদ ঢাকা বিক্রমপুর বাস শ্রমিক কমিটির যুগ্ম সম্পাদক পদে নির্বাচিত হয়। শ্রমিক নেতা হওয়ার পরেই সে শুরু করে অস্ত্র, গুলি আদান-প্রদানের কাজ। হাতে অস্ত্র আর সন্ত্রাসীদের সঙ্গে যোগাযোগ গড়ে ওঠে শহীদের। এ সুযোগটিকে কাজে লাগিয়ে টিকাটুলী এলাকায় রাস্তা থেকে চাঁদাবাজি শুরু করে।
চাঁদাবাজির সঙ্গে ডাকাতি শুরু করে শহীদ। বিশেষ করে নৌÑডাকাত দলে ভিড়ে যায়। এ থেকেই শহীদের নাম হয় ডাকাত শহীদ। ১৯৯০ সালে ডাকাতিকালে ধরা পড়ে মুন্সীগঞ্জ জেলে ৩ মস বন্দী ছিল। নব্বইয়ের দশকের শেষ দিকে জামিনে মুক্ত হয়ে ১৯৯১ সালেই কুয়েত চলে যায়।
১৯৯৪ সালে কুয়েত থেকে দেশে ফিরে ডাকাতি মামলায় বেকসুর খালাস পায়। তখন পুরনো ঢাকার জুরাইনের আবুল গ্রুপের সঙ্গে যোগ দিয়ে অস্ত্রবাজি আর টেন্ডারবাজিতে নামে।
১৯৯৮ সাল থেকে যুবলীগ নেতা নিখোঁজ শীর্ষ সন্ত্রাসী লিয়াকত আলীর সঙ্গে যোগ দিয়ে ওয়ারীতে টেন্ডারবাজি করতে থাকে। এর পর সে জুরাইনে অফিস খুলে নিজেই টেন্ডারের কাজ করতে থাকে।
তার সঙ্গে যোগ দেয় নারায়ণগঞ্জের নুরুল ইসলাম, সবুজবাগের শিবু, লাল, জুরাইনের রিপন, শাহীন, বেলায়েত ও শহিদ। টেন্ডারবাজির সুবিধার্থে ১৯৯৮ ও ১৯৯৯ সালে ৩টি অস্ত্র কেনে। অস্ত্র কেনার পরেই সানাউল্লাহ গ্রুপের সুলতান ও কালু নামে দু’জনকে খুন করে। এর পর ডাকাত শহীদের গ্রুপের শুরু হয় বেপরোয়া খুন। ২০০২ সালে শহিদ কমিশনারের নেতৃত্বে পিচ্চি কামাল, শীর্ষ সন্ত্রাসী কালা জাহাঙ্গীর, মিরপুরের কচি, বিপ্লব, দ্বীন ইসলাম, তনাই মোল্লা, সেন্টু, জাকির হোসেনসহ আরও সন্ত্রাসীদের সহযোগিতায় এ্যাডভোকেট হাবিব মোল্লার মাথায় গুলি করে।
এ মামলায় শহিদ কমিশনারকে আদালত মৃত্যুদ- দেয়। বর্তমানে তিনি জেলহাজতে। আর ডাকাত শহীদকে এ মামলায় যাবজ্জীবন কারাদ- প্রদান করে আদালত। ২০০৩ সালে ডাকাত শহীদ পুরোদমে চাঁদাবাজি, টেন্ডারবাজি, ট্রাক ও বাসস্ট্যান্ড দখল করা শুরু করে। এ সময় সহযোগী ছিল পিন্টু, টুলু, আলমগীর, টিটু, হানিফ ও বাবুসহ কয়েকজন।
২০০৪ সালে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের সদস্য ফর্সা জাহাঙ্গীরের সঙ্গে ডাকাত শহীদের ঝগড়া হয়। এর প্রেক্ষিতে বহুল আলোচিত বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র রুবেল হত্যা মামলার অন্যতম আসামি ডিবির সহকারী কমিশনার আকরাম ৫টি অস্ত্রসহ ডাকাত শহীদকে আটক করে। এক বছর জেল খেটে বের হয়ে আবার চাঁদাবাজি শুরু করে।
গোয়েন্দা সূত্রে জানা গেছে, সন্ত্রাস দমনে বিগত বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের আমলে ২০০৪ সালের ২৬ মার্চ র্যাব গঠন করা হয়। র্যাব ডাকাত শহীদের পিছু নিলে সে যশোর গিয়ে আরমান নাম ধারণ করে বসবাস শুরু করে। ২০০৫ সালে ভারত সীমান্তের পাশে বাসা ভাড়া করে অবস্থান নেয়। এ সময় ডাকাত শহীদের সহযোগী কালু ওরফে পাঞ্জি কালু প্রতিমাসে ডাকাত শহীদকে দেড় থেকে দুই লাখ টাকা হুন্ডির মাধ্যমে পাঠাত।
এর পর ডাকাত শহীদ কলকাতার নাগরিক হয়ে সেখানেই বসবাস শুরু করে। বিভিন্ন সময়ে সে নদীয়া, কলকাতা, উড়িষ্যায় অবস্থান করতে থাকে। ২০১০ সালে সে নদীয়া থেকে নেপালে চলে যায়। ভারতে ও নেপালে অবস্থানকালে ওই সময় ভারতে পালিয়ে থাকা শীর্ষ সন্ত্রাসী ইমন, ইসহাক, তানভীরুল ইসলাম জয়ের (পরে বাংলাদেশে ফেরত আনা হয়েছে) সঙ্গে সখ্য হয়। সাবেক বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার রাজনৈতিক সচিব হারিস চৌধুরী, সুব্রত বাইন, মোল্লা মাসুদসহ অনেকের সঙ্গে সখ্য গড়ে ওঠে ডাকাত শহীদের। ২০১২ সালের জুন মাসে আবারও সক্রিয় হয়ে উঠে ডাকাত শহীদ। বিদেশে অবস্থান করেই সে পাঞ্জি কালু, মিহির, গুড্ডুসহ তার অনুসারীদের মাধ্যমে চাঁদাবাজি করতে থাকে। দাবিকৃত চাঁদা না দিলেই গুলি করত ডাকাত শহীদের সহযোগীরা।
র্যাবের লিগ্যাল এ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক কমান্ডার এম সোহায়েল জনকণ্ঠকে জানান, চলতি বছর ডাকাত শহীদ ছদ্মবেশে ভারত থেকে সীমান্ত পথে ঢাকায় আসা শুরু করে। সর্বশেষ গত ৩ জুন রাতে ডাকাত শহীদ পুরনো ঢাকায় প্রবেশ করছে এমন গোপন সংবাদের ভিত্তিতে র্যাব সাদা পোশাকে ওই এলাকায় অবস্থান নেয়। ৩টি মোটর সাইকেলযোগে ডাকাত শহীদ পুরনো ঢাকায় প্রবেশ করে। এ সময় র্যাব ডাকাত শহীদকে ধরার চেষ্টা করলে সে গুলি ছুড়তে থাকে। র্যাবও পাল্টা গুলি চালায়। এতে তুমুল বন্দুকযুদ্ধ হয়। বন্দুকযুদ্ধে মারা যায় ডাকাত শহীদ ও তার সেকেন্ড ইন কমান্ড কালু ওরফে পাঞ্জি কালু।
ডাকাত শহীদের বিরুদ্ধে ১৮টি মামলা রয়েছে। তার মধ্যে ৬টি খুনের। ডাকাত শহীদ বাহিনীর হাতে হিসাব অনুযায়ী অন্তত ৬০টি খুনের ঘটনা ঘটেছে।
আর পাঞ্জি কালুর পিতার নাম হাকিম হাওলাদার (মৃত)। কালু ঢাকার স্বামীবাগে জন্মগ্রহণ করেছিল। কালু ডাকাত শহীদের পক্ষ হয়ে পুরনো ঢাকা নিয়ন্ত্রণ করত। ডাকাত শহীদের বাহিনীতে ৫৫ সন্ত্রাসী রয়েছে। এর মধ্যে অনেকেই গ্রেফতার হয়ে জেলে। আবার অনেকেই পলাতক। ডাকাত শহীদ বাহিনী দেশের বিভিন্ন জায়গায় ভাড়ায় খুন করত। ধারণা করা হচ্ছে, ডাকাত শহীদ বাহিনীর হাতে সারাদেশে অন্তত ৬শ’টি খুনের ঘটনা ঘটেছে।
No comments