সিলেট এমসি কলেজ বন্ধ ঘোষণা-শিবিরের ১৫ নেতা-কর্মী গ্রেপ্তার
বাংলাদেশ ছাত্রলীগ ও ইসলামী ছাত্রশিবিরের নেতা-কর্মীদের সংঘর্ষ এবং ছাত্রাবাসে আগুন দেওয়ার ঘটনায় সিলেট এমসি কলেজ অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। ঘটনা তদন্তে পাঁচ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেছে কলেজ কর্তৃপক্ষ।
গতকাল সোমবার কলেজের একাডেমিক কাউন্সিলের জরুরি বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। বৈঠকের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী গতকাল সন্ধ্যা ছয়টার মধ্যে ছাত্ররা ছাত্রাবাস ত্যাগ করেন।
এদিকে ছাত্রাবাসে অগ্নিসংযোগের ঘটনায় এমসি কলেজ ও পার্শ্ববর্তী সিলেট সরকারি কলেজ ছাত্রশিবিরের ৫০ নেতা-কর্মীর নাম উল্লেখসহ বেশ কয়েকজনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। সকালে এমসি কলেজ শাখা ছাত্রলীগের কর্মী শওকত হাসান শাহপরান থানায় ওই মামলা করেন। একই ঘটনায় ওই থানায় প্রায় একই সময়ে কারও নাম উল্লেখ না করে সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করে কলেজ কর্তৃপক্ষ।
শাহপরান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এনামুল মনোয়ার বলেন, ওই মামলায় সিলেট সরকারি কলেজ শাখা ছাত্রশিবিরের সভাপতি মামুন হোসাইনসহ ১৫ নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শী সূত্র জানায়, রোববার বিকেলে এমসি কলেজ মাঠে ফুটবল খেলা নিয়ে ছাত্রলীগ-ছাত্রশিবিরের নেতা-কর্মীদের মধ্যে হাতাহাতি ও পাল্টাপাল্টি ধাওয়া হয়। এর জের ধরে কলেজের অর্থনীতি বিভাগের স্নাতক (সম্মান) দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র মোহাম্মদ উজ্জ্বলকে মারধর করেন শিবিরের কর্মীরা। এ খবর পেয়ে কলেজ ছাত্রলীগের দুটি পক্ষ ছাত্রাবাসে প্রবেশ করে। এর মধ্যে এক পক্ষ ছাত্রাবাসের পাঁচটি ব্লকের মধ্যে তিনটি ব্লকে আগুন দেয়।
ছাত্রলীগের একাধিক সূত্র জানায়, অগ্নিসংযোগের পর ছাত্রাবাসের দখল নেওয়ার চেষ্টা করে ছাত্রলীগের দুই পক্ষ। ছাত্রাবাসের সামনে টিলাগড় এলাকায় এক পক্ষের ওপর হামলা চালায় অপর পক্ষ। শুরু হয় দুই পক্ষের সংঘর্ষ। এ সময় বন্দুকের ছররা গুলিতে জেলা ছাত্রলীগের স্কুলছাত্রবিষয়ক সম্পাদক হোসাইন আহমদ, জেলা যুবলীগের সদস্য এম এ মালেক, ছাত্রলীগের কর্মী আদিল, সৌরভ, কানন, মাসুম, মুরাদ আহত হন। সংঘর্ষের ঘটনাকে বিচ্ছিন্ন বলে দাবি করেছেন জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি পঙ্কজ পুরকায়স্থ।
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষা চলবে: এমসি কলেজের অধ্যক্ষ ধীরেশ চন্দ্র সরকার প্রথম আলোকে বলেন, ‘স্টাফ ও একাডেমিক কাউন্সিলের সর্বসম্মত সিদ্ধান্ত অনুযায়ী কলেজ ও ছাত্রাবাস অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ করা হয়েছে। তবে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষা যথারীতি চলবে।’
এদিকে ছাত্রাবাসে অগ্নিসংযোগের ঘটনায় এমসি কলেজ ও পার্শ্ববর্তী সিলেট সরকারি কলেজ ছাত্রশিবিরের ৫০ নেতা-কর্মীর নাম উল্লেখসহ বেশ কয়েকজনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। সকালে এমসি কলেজ শাখা ছাত্রলীগের কর্মী শওকত হাসান শাহপরান থানায় ওই মামলা করেন। একই ঘটনায় ওই থানায় প্রায় একই সময়ে কারও নাম উল্লেখ না করে সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করে কলেজ কর্তৃপক্ষ।
শাহপরান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এনামুল মনোয়ার বলেন, ওই মামলায় সিলেট সরকারি কলেজ শাখা ছাত্রশিবিরের সভাপতি মামুন হোসাইনসহ ১৫ নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শী সূত্র জানায়, রোববার বিকেলে এমসি কলেজ মাঠে ফুটবল খেলা নিয়ে ছাত্রলীগ-ছাত্রশিবিরের নেতা-কর্মীদের মধ্যে হাতাহাতি ও পাল্টাপাল্টি ধাওয়া হয়। এর জের ধরে কলেজের অর্থনীতি বিভাগের স্নাতক (সম্মান) দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র মোহাম্মদ উজ্জ্বলকে মারধর করেন শিবিরের কর্মীরা। এ খবর পেয়ে কলেজ ছাত্রলীগের দুটি পক্ষ ছাত্রাবাসে প্রবেশ করে। এর মধ্যে এক পক্ষ ছাত্রাবাসের পাঁচটি ব্লকের মধ্যে তিনটি ব্লকে আগুন দেয়।
ছাত্রলীগের একাধিক সূত্র জানায়, অগ্নিসংযোগের পর ছাত্রাবাসের দখল নেওয়ার চেষ্টা করে ছাত্রলীগের দুই পক্ষ। ছাত্রাবাসের সামনে টিলাগড় এলাকায় এক পক্ষের ওপর হামলা চালায় অপর পক্ষ। শুরু হয় দুই পক্ষের সংঘর্ষ। এ সময় বন্দুকের ছররা গুলিতে জেলা ছাত্রলীগের স্কুলছাত্রবিষয়ক সম্পাদক হোসাইন আহমদ, জেলা যুবলীগের সদস্য এম এ মালেক, ছাত্রলীগের কর্মী আদিল, সৌরভ, কানন, মাসুম, মুরাদ আহত হন। সংঘর্ষের ঘটনাকে বিচ্ছিন্ন বলে দাবি করেছেন জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি পঙ্কজ পুরকায়স্থ।
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষা চলবে: এমসি কলেজের অধ্যক্ষ ধীরেশ চন্দ্র সরকার প্রথম আলোকে বলেন, ‘স্টাফ ও একাডেমিক কাউন্সিলের সর্বসম্মত সিদ্ধান্ত অনুযায়ী কলেজ ও ছাত্রাবাস অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ করা হয়েছে। তবে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষা যথারীতি চলবে।’
No comments