আবেগের পদ্মা সেতু-সিদ্ধান্ত নিন বাস্তবতার নিরিখে
সরকার ও বিরোধী দল- উভয় পক্ষের কাছেই প্রধান ইস্যু পদ্মা সেতু প্রকল্প এখন দেশের সবচেয়ে আলোচিত বিষয়। বিশ্বব্যাংকের মতো বড় উন্নয়ন সহযোগী এই প্রকল্পের ঋণচুক্তি বাতিলের পর সরকারের জন্য এটি এখন একটি বড় চ্যালেঞ্জ হিসেবে দেখা দিয়েছে। বিশ্বব্যাংক এই প্রকল্পে অর্থায়ন বন্ধ করার পর সহযোগী অন্য সংস্থাগুলোর অর্থায়নও
অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে। বিশ্বব্যাংকের ঋণচুক্তি প্রত্যাহার এই প্রকল্পকে যেমন অনিশ্চয়তার দিকে ঠেলে দিয়েছে, তেমনি হতাশ করেছে দেশের মানুষকে। কারণ দেশের মানুষের আবেগের সঙ্গে জড়িয়ে গেছে পদ্মা সেতু। স্বাভাবিকভাবেই পদ্মা সেতু নির্মাণের বিকল্প নিয়ে সরকারকে ভাবতে হচ্ছে।
পদ্মা সেতুতে বিকল্প অর্থায়ন নিয়েই এখন আলোচনা হচ্ছে বেশি। এই সেতু নির্মাণের মাধ্যমে বর্তমান সরকারের একটি নির্বাচনী অঙ্গীকার বাস্তবায়িত হবে। কিন্তু তার চেয়েও বড় কথা, দেশের দক্ষিণ-দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের উন্নয়নে এই সেতুর কোনো বিকল্প নেই। এ অঞ্চলের সঙ্গে যোগাযোগব্যবস্থার উন্নয়নে এই সেতু অপরিহার্য। স্বাভাবিক কারণেই এই সেতুতে অর্থায়নের ঋণচুক্তি বাতিল করে শীর্ষ দাতা সংস্থার সরে যাওয়ায় সরকারযন্ত্র কিছুটা হলেও বিব্রত ও চিন্তিত। জাতীয় সংসদের ১৩তম অধিবেশনের সমাপনী অধিবেশনে বিষয়টি নিয়ে কথা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী দীর্ঘ বক্তৃতায় বলেছেন, বাজেটে বরাদ্দকৃত অর্থ দিয়ে অতিদ্রুত সেতুর কাজ শুরু করা হবে। সময় নষ্ট না করার ব্যাপারে তিনি গুরুত্বারোপ করেছেন। এই সেতুর জন্য প্রয়োজনে অন্য উন্নয়ন ব্যয় কমিয়ে আনার প্রস্তাবও রেখেছেন তিনি। পিপিপির তিন হাজার কোটি টাকার পাশাপাশি ৭৫০ বিলিয়ন ডলারের সভরেন বন্ড ছাড়ার কথাও এসেছে প্রধানমন্ত্রীর বক্তৃতায়। পদ্মা সেতু প্রকল্প বাস্তবায়নে সম্ভাব্য খরচের একটি হিসাবও প্রধানমন্ত্রী সংসদে দিয়েছেন। তাঁর দেওয়া হিসাব অনুযায়ী মূল সেতু করতে খরচ হবে ১৫ হাজার কোটি টাকা। নদীশাসনে দরকার হবে সাত হাজার ২০০ কোটি টাকা। জাজিরা সংযোগ সড়ক তৈরিতে এক হাজার ৩৫০ কোটি এবং মাওয়া সংযোগ সড়ক করতে লাগবে ৩১০ কোটি টাকা। ২০১২-১৩ অর্থবছরে তিন হাজার ১৯৮ কোটি টাকা, ২০১৩-১৪ সময়ে সাত হাজার ৮৬৮ কোটি টাকা, ২০১৪-১৫ অর্থবছরে সাত হাজার ৭৮৬ কোটি ও ২০১৫-১৬ সময়ে লাগবে তিন হাজার ৭৮৫ কোটি টাকা। বাংলাদেশ ব্যাংকের পাশাপাশি বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদরাও নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতু বাস্তবায়নের ব্যাপারে জোর দিয়েছেন। এখন অর্থ সংস্থানের বিকল্প খুঁজছে সরকার। এদিকে গতকাল মন্ত্রিসভার বৈঠকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, সরকার বিশ্বব্যাংককে আর অনুরোধ করবে না।
বিশ্বব্যাংকের মতো একটি বৃহৎ দাতা সংস্থা ঋণচুক্তি প্রত্যাহারের পর সরকারকে কয়েকটি বিষয় ভাবতে হবে। প্রথমত, বিশ্বব্যাংকের প্রভাব বলয় কতটা এড়িয়ে চলা যাবে সেটা বিবেচনা করতে হবে। বিশ্বব্যাংকের ঋণচুক্তি প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত অন্য দাতা সংস্থাকে কতটা প্রভাবিত করবে- সেটাও ভাবনার বিষয়। বিদেশি ঋণ না নিয়ে নিজেদের অর্থায়নে এই সেতু নির্মাণের সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে ভাবতে হবে, এই বরাদ্দের চাপ আমাদের অর্থনীতিতে কতখানি পড়বে।
তবে এখন দেশের মানুষের আবেগের সঙ্গে জড়িয়ে গেছে পদ্মা সেতু। কাজেই সেতু নির্মাণের বিকল্প নেই। এ ব্যাপারে জনমত গড়ে তুলতে হবে। এ কাজে বিরোধী দলকেও সরকারের সহযোগী হতে হবে। আমরা আশা করব, পদ্মা সেতু নির্মাণের ব্যাপারে সরকার ও বিরোধী দল জাতীয় ঐকমত্য গড়ে তুলতে একত্রে কাজ করবে। পদ্মা সেতুর অর্থায়ন কিভাবে হবে, তার সিদ্ধান্ত বাস্তবতার নিরিখেই নিতে হবে। এ ব্যাপারে নিছক আবেগাশ্রয়ী হওয়ার কোনো সুযোগ নেই।
পদ্মা সেতুতে বিকল্প অর্থায়ন নিয়েই এখন আলোচনা হচ্ছে বেশি। এই সেতু নির্মাণের মাধ্যমে বর্তমান সরকারের একটি নির্বাচনী অঙ্গীকার বাস্তবায়িত হবে। কিন্তু তার চেয়েও বড় কথা, দেশের দক্ষিণ-দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের উন্নয়নে এই সেতুর কোনো বিকল্প নেই। এ অঞ্চলের সঙ্গে যোগাযোগব্যবস্থার উন্নয়নে এই সেতু অপরিহার্য। স্বাভাবিক কারণেই এই সেতুতে অর্থায়নের ঋণচুক্তি বাতিল করে শীর্ষ দাতা সংস্থার সরে যাওয়ায় সরকারযন্ত্র কিছুটা হলেও বিব্রত ও চিন্তিত। জাতীয় সংসদের ১৩তম অধিবেশনের সমাপনী অধিবেশনে বিষয়টি নিয়ে কথা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী দীর্ঘ বক্তৃতায় বলেছেন, বাজেটে বরাদ্দকৃত অর্থ দিয়ে অতিদ্রুত সেতুর কাজ শুরু করা হবে। সময় নষ্ট না করার ব্যাপারে তিনি গুরুত্বারোপ করেছেন। এই সেতুর জন্য প্রয়োজনে অন্য উন্নয়ন ব্যয় কমিয়ে আনার প্রস্তাবও রেখেছেন তিনি। পিপিপির তিন হাজার কোটি টাকার পাশাপাশি ৭৫০ বিলিয়ন ডলারের সভরেন বন্ড ছাড়ার কথাও এসেছে প্রধানমন্ত্রীর বক্তৃতায়। পদ্মা সেতু প্রকল্প বাস্তবায়নে সম্ভাব্য খরচের একটি হিসাবও প্রধানমন্ত্রী সংসদে দিয়েছেন। তাঁর দেওয়া হিসাব অনুযায়ী মূল সেতু করতে খরচ হবে ১৫ হাজার কোটি টাকা। নদীশাসনে দরকার হবে সাত হাজার ২০০ কোটি টাকা। জাজিরা সংযোগ সড়ক তৈরিতে এক হাজার ৩৫০ কোটি এবং মাওয়া সংযোগ সড়ক করতে লাগবে ৩১০ কোটি টাকা। ২০১২-১৩ অর্থবছরে তিন হাজার ১৯৮ কোটি টাকা, ২০১৩-১৪ সময়ে সাত হাজার ৮৬৮ কোটি টাকা, ২০১৪-১৫ অর্থবছরে সাত হাজার ৭৮৬ কোটি ও ২০১৫-১৬ সময়ে লাগবে তিন হাজার ৭৮৫ কোটি টাকা। বাংলাদেশ ব্যাংকের পাশাপাশি বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদরাও নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতু বাস্তবায়নের ব্যাপারে জোর দিয়েছেন। এখন অর্থ সংস্থানের বিকল্প খুঁজছে সরকার। এদিকে গতকাল মন্ত্রিসভার বৈঠকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, সরকার বিশ্বব্যাংককে আর অনুরোধ করবে না।
বিশ্বব্যাংকের মতো একটি বৃহৎ দাতা সংস্থা ঋণচুক্তি প্রত্যাহারের পর সরকারকে কয়েকটি বিষয় ভাবতে হবে। প্রথমত, বিশ্বব্যাংকের প্রভাব বলয় কতটা এড়িয়ে চলা যাবে সেটা বিবেচনা করতে হবে। বিশ্বব্যাংকের ঋণচুক্তি প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত অন্য দাতা সংস্থাকে কতটা প্রভাবিত করবে- সেটাও ভাবনার বিষয়। বিদেশি ঋণ না নিয়ে নিজেদের অর্থায়নে এই সেতু নির্মাণের সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে ভাবতে হবে, এই বরাদ্দের চাপ আমাদের অর্থনীতিতে কতখানি পড়বে।
তবে এখন দেশের মানুষের আবেগের সঙ্গে জড়িয়ে গেছে পদ্মা সেতু। কাজেই সেতু নির্মাণের বিকল্প নেই। এ ব্যাপারে জনমত গড়ে তুলতে হবে। এ কাজে বিরোধী দলকেও সরকারের সহযোগী হতে হবে। আমরা আশা করব, পদ্মা সেতু নির্মাণের ব্যাপারে সরকার ও বিরোধী দল জাতীয় ঐকমত্য গড়ে তুলতে একত্রে কাজ করবে। পদ্মা সেতুর অর্থায়ন কিভাবে হবে, তার সিদ্ধান্ত বাস্তবতার নিরিখেই নিতে হবে। এ ব্যাপারে নিছক আবেগাশ্রয়ী হওয়ার কোনো সুযোগ নেই।
No comments