প্রতিপক্ষকে ফাঁসাতে নিজের পুত্রকে অপহরণ, মা খালা খালু আটক
চট্টগ্রাম অফিস ॥ চট্টগ্রামে নিজের পাঁচ বছর বয়সী সন্তানকে অপহরণের নাটক সাজিয়ে প্রতিপক্ষকে ফাঁসাতে গিয়ে নিজেই ফেঁসে গেছেন এক মা। এ নাটক ধরা পড়ে যাওয়ায় পুলিশ আটক করেছে শিশুটির মা, খালা ও খালুকে। রবিবার গভীর রাতে সিএমপির পতেঙ্গা থানা পুলিশের অভিযানে উদ্ধার হয় অপহরণ নাটকের শিকার শিশু রাব্বি।
পতেঙ্গা থানা পুলিশ সূত্রে জানা যায়, নগরীর স্টিল মিল বাজারের হাউজিং কলোনির বাসিন্দা বিলকিস বেগম ৩০ জুন রাতে তাঁর নিজের শিশুপুত্র অপহরণের অভিযোগে ৫ জনের বিরুদ্ধে পতেঙ্গা থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। আসামিদের মধ্যে চারজনই তাঁর পূর্বপরিচিত। তাঁরা হলেন রুবেল, মাহবুব, হারিছ এবং জাকির। মামলার বিবরণে জানা যায়, বিলকিস বেগম ৩০ জুন বিকেলে তাঁর পুত্রকে নিয়ে পতেঙ্গা সমুদ্রসৈকতে বেড়াতে যান। এ সময় তাঁর সঙ্গে অভিযুক্ত ৫ যুবকের দেখা হয়। বিকেল সাড়ে চারটার দিকে রুবেল ও জাকির শিশু রাব্বিকে চিপস কিনে দেয়ার কথা বলে একটি দোকানে নিয়ে যায়। কিন্তু এরপর প্রায় এক ঘণ্টা অতিবাহিত হবার পরও আর ফিরে আসেনি। এ সময় বাকি তিন যুবক উধাও হয়ে যায় দুই বন্ধু ও রাব্বিকে খুঁজতে যাওয়ার কথা বলে। সন্তানকে খুঁজে না পেয়ে বিলকিস স্থানীয় মসজিদের মাই দিয়ে ঘোষণা দেয়ান। অতঃপর থানায় জিডি করেন। কিছুক্ষণের মধ্যে মোবাইল ফোনে রুবেলসহ কয়েকজন এক লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করেন। এতে সন্তান অপহৃত হয়েছে বলে নিশ্চিত হয়ে তিনি পতেঙ্গা থানায় এই ৫ যুবকের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন।
পতেঙ্গা থানার এসআই ও মামলার তদন্ত কর্মকর্তা গোলাম আবছার জানান, আসামিরা পূর্বপরিচিত হওয়ায় প্রথমেই পুলিশের সন্দেহ হয়। মা বিলকিস বেগমকে সন্দেহ হলে তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদের একপর্যায়ে বিলকিস স্বীকার করেন যে, রুবেলসহ ৫ যুবককে ফাঁসাতেই তিনি এবং তার বোন ভুলু বেগম ও ভগ্নিপতি শহিদুল ইসলাম শিশু রাব্বিকে লুকিয়েছেন। জিজ্ঞাসাবাদে নিশ্চিত হওয়ার পর রবিবার রাত সাড়ে ১২টা থেকে শিশু রাব্বিকে পুলিশ উদ্ধার করতে অভিযান চালায় নগরীর পাহাড়তলী থানা ওয়্যারলেস কলোনিতে অবস্থিত ভুলু বেগমের বাসায়। একই অভিযানে পুলিশ শিশুটিকে উদ্ধার এবং খালা-খালু দম্পতিকে আটক করে থানায় নিয়ে আসে।
পতেঙ্গা থানার কর্তব্যরত কর্মকর্তা জানান, অভিযুক্তরা গত এক বছরেও চট্টগ্রামে আসেনি বলে নিশ্চিত হওয়া গেছে। এ ৫ জনের মধ্যে তিনজনের বাড়ি বাগেরহাটের শরণখোলায় এবং দু’জনের বাড়ি ফিরোজপুর জেলার মঠবাড়িয়ায়। বিলকিস বেগমের বাড়িও মঠবাড়িয়ায়। গ্রামের বাড়িতে জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধ থাকায় দুই যুবককে ফাঁসাতে পুত্র অপহরণ নাটকের আশ্রয় নেন মা বিলকিস। এ ঘটনায় রাব্বির বাবা সাইফুদ্দিন পতেঙ্গা থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন। এতে আসামি করা হয়েছে রাব্বির মা বিলকিস বেগম, খালা ভুলু বেগম ও খালু শহিদুল ইসলামকে।
পতেঙ্গা থানার এসআই ও মামলার তদন্ত কর্মকর্তা গোলাম আবছার জানান, আসামিরা পূর্বপরিচিত হওয়ায় প্রথমেই পুলিশের সন্দেহ হয়। মা বিলকিস বেগমকে সন্দেহ হলে তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদের একপর্যায়ে বিলকিস স্বীকার করেন যে, রুবেলসহ ৫ যুবককে ফাঁসাতেই তিনি এবং তার বোন ভুলু বেগম ও ভগ্নিপতি শহিদুল ইসলাম শিশু রাব্বিকে লুকিয়েছেন। জিজ্ঞাসাবাদে নিশ্চিত হওয়ার পর রবিবার রাত সাড়ে ১২টা থেকে শিশু রাব্বিকে পুলিশ উদ্ধার করতে অভিযান চালায় নগরীর পাহাড়তলী থানা ওয়্যারলেস কলোনিতে অবস্থিত ভুলু বেগমের বাসায়। একই অভিযানে পুলিশ শিশুটিকে উদ্ধার এবং খালা-খালু দম্পতিকে আটক করে থানায় নিয়ে আসে।
পতেঙ্গা থানার কর্তব্যরত কর্মকর্তা জানান, অভিযুক্তরা গত এক বছরেও চট্টগ্রামে আসেনি বলে নিশ্চিত হওয়া গেছে। এ ৫ জনের মধ্যে তিনজনের বাড়ি বাগেরহাটের শরণখোলায় এবং দু’জনের বাড়ি ফিরোজপুর জেলার মঠবাড়িয়ায়। বিলকিস বেগমের বাড়িও মঠবাড়িয়ায়। গ্রামের বাড়িতে জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধ থাকায় দুই যুবককে ফাঁসাতে পুত্র অপহরণ নাটকের আশ্রয় নেন মা বিলকিস। এ ঘটনায় রাব্বির বাবা সাইফুদ্দিন পতেঙ্গা থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন। এতে আসামি করা হয়েছে রাব্বির মা বিলকিস বেগম, খালা ভুলু বেগম ও খালু শহিদুল ইসলামকে।
No comments