মিসরে প্রেসিডেন্ট-বিচার বিভাগ মুখোমুখি
মিসরের বিলুপ্ত ঘোষিত পার্লামেন্টকে পুনরুজ্জীবিত করতে প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ মুরসির জারি করা আদেশ বাতিল করে দিয়েছেন সর্বোচ্চ সাংবিধানিক আদালত। ফলে পার্লামেন্ট নিয়ে নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট মুরসি ও বিচার বিভাগ এখন মুখোমুখি অবস্থানে। পাশাপাশি বিষয়টি নিয়ে প্রভাবশালী সেনাবাহিনী ও বেশ কিছু ধর্মনিরপেক্ষ রাজনৈতিক দলের সঙ্গেও তাঁর বিরোধ দেখা দিতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
ভেঙে দেওয়া পার্লামেন্ট পুনরুজ্জীবিত করতে প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ মুরসির আদেশ জারির পর পার্লামেন্টের স্পিকার নিম্নকক্ষের অধিবেশন আহ্বান করেন। বার্তা সংস্থা মিনার খবরে বলা হয়, স্পিকার সা’দ আল কাতানি স্থানীয় সময় আজ মঙ্গলবার বেলা দুইটায় (গ্রিনিচ মান সময় বেলা ১২টা) পার্লামেন্টের অধিবেশন ডাকেন।
তবে রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনের খবরে বলা হয়, ‘প্রেসিডেন্টের এই পদক্ষেপ নিয়ে আলোচনা করতে’ সশস্ত্র বাহিনীর সুপ্রিম পরিষদ (স্কাফ) জরুরি বৈঠক করে। এ ছাড়া মিসরের হাই জুডিশিয়াল কাউন্সিল এবং সর্বোচ্চ সাংবিধানিক আদালত মুরসির সিদ্ধান্তের সাংবিধানিক ভিত্তি নিয়ে গতকাল বৈঠক করেন। বৈঠক শেষে এক বিবৃতিতে প্রেসিডেন্ট মুরসির ওই আদেশ বাতিল করা হয়েছে। বিবৃতিতে বলা হয়, ‘সর্বোচ্চ সাংবিধানিক আদালত যেসব রুলিং ও সিদ্ধান্ত দিয়েছেন, সেগুলো চূড়ান্ত। এগুলোর বিরুদ্ধে কোনো আপিল করা যাবে না।
গণ-আন্দোলনে গত বছরের ফেব্রুয়ারিতে মিসরের দীর্ঘদিনের স্বৈরশাসক হোসনি মোবারকের পতন হয়। এরপর পার্লামেন্ট নির্বাচনে ইসলামপন্থীরা জয়লাভ করে। তবে মিসরের আদালত ওই নির্বাচনসংশ্লিষ্ট আইনের কিছু ধারাকে অবৈধ ঘোষণা করে গত মাসে রায় দেন। দেশটির দ্বিতীয় দফা প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের মাত্র এক দিন আগে ওই বিতর্কিত রায় দেওয়া হয়। ওই রায়ের পরিপ্রেক্ষিতে স্কাফ ওই পার্লামেন্টকে বিলুপ্ত করে।
প্রেসিডেন্ট মুরসির ওই আদেশে দেশের নতুন সংবিধান গণভোটে পাস হওয়ার দুই মাস পর একটি পার্লামেন্ট নির্বাচনেরও ঘোষণা দেওয়া হয়েছে। প্রেসিডেন্টের এই সিদ্ধান্ত স্কাফের সঙ্গে দ্বন্দ্ব বাড়িয়ে দিতে পারে। যদিও সামরিক বাহিনীর ক্যাডেটদের একটি অনুষ্ঠানে গতকাল মুরসি এবং স্কাফের প্রধান ফিল্ড মার্শাল হুসেইন তানতাওয়িকে একসঙ্গে দেখা গেছে।
পার্লামেন্ট পুনর্বহালে মুরসির ঘোষণা নিয়ে মিসরের সংবাদপত্রগুলোতেও বড় বড় শিরোনাম হয়েছে। নিরপেক্ষ দৈনিক আল-ওয়াতান-এর শিরোনাম ছিল ‘স্কাফকে মুরসি: মিত্র যাচাই করো’। আরেক দৈনিক আল-তাহরির-এর শিরোনাম ছিল, ‘স্কাফকে পরাজিত করেছেন মুরসি’।
মুরসির এই পদক্ষেপকে ‘রাজনৈতিক ভূমিকম্প’ হিসেবে বর্ণনা করেছে কোনো কোনো পত্রিকা। কেননা, এ কারণে সামরিক বাহিনীর পাশাপাশি দেশের বিচার বিভাগ এবং কিছু ধর্মনিরপেক্ষ দলের সঙ্গেও এখন মুরসিকে সংঘাতে জড়িয়ে পড়তে হচ্ছে। বামপন্থী আল-তাগাম্মু দলের প্রধান রিফাত আল-সাইদ রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনকে বলেন, ‘কোনো গণতান্ত্রিক দেশের প্রেসিডেন্ট দেশের বিচার বিভাগের প্রতি অসম্মান দেখাতে পারেন না। মুরসি এটা পছন্দ করুন বা না করুন, তাঁকে বিচার বিভাগের সিদ্ধান্ত মেনে চলতেই হবে।’ তিনি আরও বলেন, বেশ কিছু দল পার্লামেন্টের অধিবেশন বর্জন করবে। এএফপি ও রয়টার্স।
তবে রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনের খবরে বলা হয়, ‘প্রেসিডেন্টের এই পদক্ষেপ নিয়ে আলোচনা করতে’ সশস্ত্র বাহিনীর সুপ্রিম পরিষদ (স্কাফ) জরুরি বৈঠক করে। এ ছাড়া মিসরের হাই জুডিশিয়াল কাউন্সিল এবং সর্বোচ্চ সাংবিধানিক আদালত মুরসির সিদ্ধান্তের সাংবিধানিক ভিত্তি নিয়ে গতকাল বৈঠক করেন। বৈঠক শেষে এক বিবৃতিতে প্রেসিডেন্ট মুরসির ওই আদেশ বাতিল করা হয়েছে। বিবৃতিতে বলা হয়, ‘সর্বোচ্চ সাংবিধানিক আদালত যেসব রুলিং ও সিদ্ধান্ত দিয়েছেন, সেগুলো চূড়ান্ত। এগুলোর বিরুদ্ধে কোনো আপিল করা যাবে না।
গণ-আন্দোলনে গত বছরের ফেব্রুয়ারিতে মিসরের দীর্ঘদিনের স্বৈরশাসক হোসনি মোবারকের পতন হয়। এরপর পার্লামেন্ট নির্বাচনে ইসলামপন্থীরা জয়লাভ করে। তবে মিসরের আদালত ওই নির্বাচনসংশ্লিষ্ট আইনের কিছু ধারাকে অবৈধ ঘোষণা করে গত মাসে রায় দেন। দেশটির দ্বিতীয় দফা প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের মাত্র এক দিন আগে ওই বিতর্কিত রায় দেওয়া হয়। ওই রায়ের পরিপ্রেক্ষিতে স্কাফ ওই পার্লামেন্টকে বিলুপ্ত করে।
প্রেসিডেন্ট মুরসির ওই আদেশে দেশের নতুন সংবিধান গণভোটে পাস হওয়ার দুই মাস পর একটি পার্লামেন্ট নির্বাচনেরও ঘোষণা দেওয়া হয়েছে। প্রেসিডেন্টের এই সিদ্ধান্ত স্কাফের সঙ্গে দ্বন্দ্ব বাড়িয়ে দিতে পারে। যদিও সামরিক বাহিনীর ক্যাডেটদের একটি অনুষ্ঠানে গতকাল মুরসি এবং স্কাফের প্রধান ফিল্ড মার্শাল হুসেইন তানতাওয়িকে একসঙ্গে দেখা গেছে।
পার্লামেন্ট পুনর্বহালে মুরসির ঘোষণা নিয়ে মিসরের সংবাদপত্রগুলোতেও বড় বড় শিরোনাম হয়েছে। নিরপেক্ষ দৈনিক আল-ওয়াতান-এর শিরোনাম ছিল ‘স্কাফকে মুরসি: মিত্র যাচাই করো’। আরেক দৈনিক আল-তাহরির-এর শিরোনাম ছিল, ‘স্কাফকে পরাজিত করেছেন মুরসি’।
মুরসির এই পদক্ষেপকে ‘রাজনৈতিক ভূমিকম্প’ হিসেবে বর্ণনা করেছে কোনো কোনো পত্রিকা। কেননা, এ কারণে সামরিক বাহিনীর পাশাপাশি দেশের বিচার বিভাগ এবং কিছু ধর্মনিরপেক্ষ দলের সঙ্গেও এখন মুরসিকে সংঘাতে জড়িয়ে পড়তে হচ্ছে। বামপন্থী আল-তাগাম্মু দলের প্রধান রিফাত আল-সাইদ রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনকে বলেন, ‘কোনো গণতান্ত্রিক দেশের প্রেসিডেন্ট দেশের বিচার বিভাগের প্রতি অসম্মান দেখাতে পারেন না। মুরসি এটা পছন্দ করুন বা না করুন, তাঁকে বিচার বিভাগের সিদ্ধান্ত মেনে চলতেই হবে।’ তিনি আরও বলেন, বেশ কিছু দল পার্লামেন্টের অধিবেশন বর্জন করবে। এএফপি ও রয়টার্স।
No comments