পদ্মা সেতু প্রকল্প-অর্থায়নের তিন বিকল্প নিয়ে এগোচ্ছে সরকার by আনোয়ার হোসেন
পদ্মা সেতু প্রকল্পে বিশ্বব্যাংকের ঋণ বাতিলের পর সরকার এখন তিনটি বিকল্প নিয়ে এগোচ্ছে। এগুলো হচ্ছে: দেশীয় অর্থায়নে কাজ শুরু করা, জাপানি সংস্থা জাইকা ও ইসলামিক উন্নয়ন ব্যাংকের (আইডিবি) ইতিবাচক অবস্থা ধরে রেখে তাদের কাছ থেকে আরও বেশি ঋণ পাওয়া এবং মালয়েশিয়ার প্রস্তাবটি খতিয়ে দেখা। তবে কোনো বিকল্পই চূড়ান্ত বা নিশ্চিত মনে করতে পারছেন না সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা।
গতকাল বুধবার সংসদে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, প্রয়োজনে নিজেদের অর্থে পদ্মা সেতুর কাজ শুরু করা হবে। বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ থেকেও পদ্মা সেতুর জন্য ব্যয়ের কথা বলেছেন তিনি।
এদিকে, মালয়েশিয়া গত ২৮ জুন পদ্মা সেতু প্রকল্পে অর্থায়নে চূড়ান্ত চুক্তির একটি খসড়া দিয়েছে যোগাযোগ মন্ত্রণালয়ে। এই খসড়া নিয়ে যোগাযোগ মন্ত্রণালয় কিংবা প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর কেউ পুরোপুরি আশ্বস্ত হতে পারছে না। তাই আলোচনার জন্য ৬ জুলাই সেতু বিভাগের একটি প্রতিনিধিদল মালয়েশিয়া যাচ্ছে।
পদ্মা সেতুর বিষয়ে সরকারের কোনো মন্ত্রী বা দায়িত্বশীল ব্যক্তি এখন আর মুখ খুলছেন না। এ বিষয়ে যত্রতত্র বক্তৃতা-বিবৃতি না দেওয়ার জন্য নির্দেশনা রয়েছে বলে জানা গেছে।
গত মঙ্গলবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাঁর দপ্তরে উচ্চপর্যায়ের কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। ওই বৈঠকে জাইকা ও আইডিবির সঙ্গে আলোচনা চালিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দেন প্রধানমন্ত্রী। একই সঙ্গে তিনি দেশীয় অর্থ দিয়ে পদ্মা সেতুর কাজ শুরু করার ইচ্ছার কথাও জানান। অবশ্য অর্থ মন্ত্রণালয় ও ইআরডি এখনো বিশ্বব্যাংকের সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষা করার পক্ষে। গত মঙ্গলবার অর্থমন্ত্রী বিবিসিকে বলেছেন, বিশ্বব্যাংকের নতুন প্রেসিডেন্টকে তিনি চিঠি লিখবেন।
জানতে চাইলে সেতু বিভাগের সচিব খোন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম গতকাল প্রথম আলোকে বলেন, ‘অনেক বিষয়েই আলোচনা হচ্ছে। তবে এখনই কিছু বলা যাবে না। এখনো কোনো আকার আসেনি। এলে জানতে পারবেন।’
জাইকার ঢাকা কার্যালয়ের একটি সূত্র জানিয়েছে, পুরো বিষয়টি এখন বাংলাদেশ-জাপান সরকারের উচ্চপর্যায়ের মধ্যে সীমাবদ্ধ। আলোচনা ও সিদ্ধান্ত যা আসবে, তা ওপর থেকেই আসবে।
সূত্রমতে, চলতি বাজেটে রাখা থোক বরাদ্দ থেকে পদ্মা সেতুর জন্য বরাদ্দের ইঙ্গিত দেন প্রধানমন্ত্রী। নিজেদের অর্থে কাজ শুরু করে এরপর আন্তর্জাতিক বাজারে বন্ড ছেড়ে অর্থ সংগ্রহ করা যায় কি না, সে বিষয়েও তাগিদ দেন তিনি। চলতি বাজেটে প্রায় চার হাজার ৭০০ কোটি টাকা থোক বরাদ্দ রাখা হয়েছে।
সেতু বিভাগ সূত্র জানিয়েছে, ইতিমধ্যে সেতু বিভাগকে পদ্মা সেতু প্রকল্পে কাজ শুরু করতে হলে চলতি অর্থবছরে কী পরিমাণ অর্থ লাগতে পারে, সেই হিসাব তৈরি করার জন্য প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর থেকে বলা হয়েছে। তিন বা পাঁচ বছরের মধ্যে পদ্মা সেতু করতে হলে কোন অর্থবছরে কী পরিমাণ অর্থ বরাদ্দ দরকার, এর একটি আর্থিক বিশ্লেষণ তৈরি করছে সেতু বিভাগ।
মালয়েশিয়া সরকারের সঙ্গে গত ১০ এপ্রিল পদ্মা সেতুর অর্থায়ন নিয়ে সমঝোতা স্মারকে সই হয়েছিল। পদ্মা সেতু প্রকল্পের কয়েকজন কর্মকর্তা জানান, মালয়েশিয়ার দেওয়া খসড়া অনুযায়ী চুক্তিতে সে দেশের সরকারের সম্পৃক্ততা কম। সে জন্য খসড়ার ওপর আস্থা রাখতে পারছে না সরকার। মালয়েশিয়া সরকার সেতু নির্মাণে পুরো দায়িত্ব না নিয়ে বিভিন্ন ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ও আর্থ লগ্নিকারী প্রতিষ্ঠানের ওপর দায়িত্ব ছেড়ে দেওয়ার কথা বলেছে।
এ ছাড়া মালয়েশিয়া প্রকল্পের জন্য কোন কোন উৎস থেকে অর্থ সংগ্রহ করবে, তা নিশ্চিত করেনি এবং যেসব উৎস থেকে অর্থ আসবে, তার অনুমতিপত্রও দেয়নি। সূত্র জানায়, মালয়েশিয়া সেতু নির্মাণের পর ৪০ বছর নিজের মালিকানায় নিয়ে টোল আদায় করার প্রস্তাব দিয়েছে।
এদিকে, মালয়েশিয়া গত ২৮ জুন পদ্মা সেতু প্রকল্পে অর্থায়নে চূড়ান্ত চুক্তির একটি খসড়া দিয়েছে যোগাযোগ মন্ত্রণালয়ে। এই খসড়া নিয়ে যোগাযোগ মন্ত্রণালয় কিংবা প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর কেউ পুরোপুরি আশ্বস্ত হতে পারছে না। তাই আলোচনার জন্য ৬ জুলাই সেতু বিভাগের একটি প্রতিনিধিদল মালয়েশিয়া যাচ্ছে।
পদ্মা সেতুর বিষয়ে সরকারের কোনো মন্ত্রী বা দায়িত্বশীল ব্যক্তি এখন আর মুখ খুলছেন না। এ বিষয়ে যত্রতত্র বক্তৃতা-বিবৃতি না দেওয়ার জন্য নির্দেশনা রয়েছে বলে জানা গেছে।
গত মঙ্গলবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাঁর দপ্তরে উচ্চপর্যায়ের কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। ওই বৈঠকে জাইকা ও আইডিবির সঙ্গে আলোচনা চালিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দেন প্রধানমন্ত্রী। একই সঙ্গে তিনি দেশীয় অর্থ দিয়ে পদ্মা সেতুর কাজ শুরু করার ইচ্ছার কথাও জানান। অবশ্য অর্থ মন্ত্রণালয় ও ইআরডি এখনো বিশ্বব্যাংকের সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষা করার পক্ষে। গত মঙ্গলবার অর্থমন্ত্রী বিবিসিকে বলেছেন, বিশ্বব্যাংকের নতুন প্রেসিডেন্টকে তিনি চিঠি লিখবেন।
জানতে চাইলে সেতু বিভাগের সচিব খোন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম গতকাল প্রথম আলোকে বলেন, ‘অনেক বিষয়েই আলোচনা হচ্ছে। তবে এখনই কিছু বলা যাবে না। এখনো কোনো আকার আসেনি। এলে জানতে পারবেন।’
জাইকার ঢাকা কার্যালয়ের একটি সূত্র জানিয়েছে, পুরো বিষয়টি এখন বাংলাদেশ-জাপান সরকারের উচ্চপর্যায়ের মধ্যে সীমাবদ্ধ। আলোচনা ও সিদ্ধান্ত যা আসবে, তা ওপর থেকেই আসবে।
সূত্রমতে, চলতি বাজেটে রাখা থোক বরাদ্দ থেকে পদ্মা সেতুর জন্য বরাদ্দের ইঙ্গিত দেন প্রধানমন্ত্রী। নিজেদের অর্থে কাজ শুরু করে এরপর আন্তর্জাতিক বাজারে বন্ড ছেড়ে অর্থ সংগ্রহ করা যায় কি না, সে বিষয়েও তাগিদ দেন তিনি। চলতি বাজেটে প্রায় চার হাজার ৭০০ কোটি টাকা থোক বরাদ্দ রাখা হয়েছে।
সেতু বিভাগ সূত্র জানিয়েছে, ইতিমধ্যে সেতু বিভাগকে পদ্মা সেতু প্রকল্পে কাজ শুরু করতে হলে চলতি অর্থবছরে কী পরিমাণ অর্থ লাগতে পারে, সেই হিসাব তৈরি করার জন্য প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর থেকে বলা হয়েছে। তিন বা পাঁচ বছরের মধ্যে পদ্মা সেতু করতে হলে কোন অর্থবছরে কী পরিমাণ অর্থ বরাদ্দ দরকার, এর একটি আর্থিক বিশ্লেষণ তৈরি করছে সেতু বিভাগ।
মালয়েশিয়া সরকারের সঙ্গে গত ১০ এপ্রিল পদ্মা সেতুর অর্থায়ন নিয়ে সমঝোতা স্মারকে সই হয়েছিল। পদ্মা সেতু প্রকল্পের কয়েকজন কর্মকর্তা জানান, মালয়েশিয়ার দেওয়া খসড়া অনুযায়ী চুক্তিতে সে দেশের সরকারের সম্পৃক্ততা কম। সে জন্য খসড়ার ওপর আস্থা রাখতে পারছে না সরকার। মালয়েশিয়া সরকার সেতু নির্মাণে পুরো দায়িত্ব না নিয়ে বিভিন্ন ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ও আর্থ লগ্নিকারী প্রতিষ্ঠানের ওপর দায়িত্ব ছেড়ে দেওয়ার কথা বলেছে।
এ ছাড়া মালয়েশিয়া প্রকল্পের জন্য কোন কোন উৎস থেকে অর্থ সংগ্রহ করবে, তা নিশ্চিত করেনি এবং যেসব উৎস থেকে অর্থ আসবে, তার অনুমতিপত্রও দেয়নি। সূত্র জানায়, মালয়েশিয়া সেতু নির্মাণের পর ৪০ বছর নিজের মালিকানায় নিয়ে টোল আদায় করার প্রস্তাব দিয়েছে।
No comments