৩০ পেরোলেই বুড়ি!
সংযুক্ত আরব আমিরাতের (ইউএই) অবিবাহিত কোনো নারীর বয়স ৩০ পেরোলে তাঁকে বুড়ি বিবেচনা করা হয়। বিয়ের বাজারে তাঁর কদর কমে যায়। সে দেশের কর্তৃপক্ষ বলছে, দেশটিতে ৩০ পেরোনো অবিবাহিত এই নারীর সংখ্যা উদ্বেগজনক হারে বেড়ে যাচ্ছে। সাম্প্রতিক সময়ের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, এ সংখ্যা ৬০ শতাংশ।
বিষয়টি নিয়ে ফেডারেল ন্যাশনাল কাউন্সিল (এফএসি) উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। রাষ্ট্রের নিয়োগপ্রাপ্ত এ কাউন্সিলের সদস্যরা হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছেন, এ সমস্যার শিগগির সমাধান করতে হবে; তা না হলে আরও গুরুতর রূপ ধারণ করবে।
এফএনসির সদস্য আল-কিতাবি এএফপিকে বলেন, বর্তমানে ৩০ বছরের বেশি প্রায় পৌনে দুই লাখ অবিবাহিত আমিরাতি নারী রয়েছেন। সংযুক্ত আরব আমিরাতের লোকসংখ্যা ৮০ লাখের বেশি। এর মধ্যে মাত্র সাড়ে নয় লাখ আমিরাতি নাগরিক। অন্যরা বিদেশি। আমিরাতের পুরুষেরা এখন বিদেশি নারীদের বিয়ের প্রতি বেশি আগ্রহ দেখাচ্ছেন। অনেকের ধারণা, ঐতিহ্যবাহী যৌতুক প্রথার কারণে বিয়ের বাজারে আমিরাতি মেয়েদের এমন মন্দা দেখা দিয়েছে।
ইউএইর সর্বশেষ জরিপ থেকে দেখা যায়, শতকরা ৮৭ ভাগ মানুষ অভিযোগ করেছেন, আমিরাতি নারীদের বিয়ের হার কমে যাওয়ার পেছনে রয়েছে মোটা অঙ্কের যৌতুক প্রদানের বিধান।
সরকার সর্বোচ্চ ১৪ হাজার ডলার যৌতুক নেওয়ার অনুমতি দিয়েছে। কিন্তু অনেক পরিবার বরের কাছ থেকে এক লাখ ৩৫ হাজার ডলার পর্যন্ত যৌতুক আদায় করে থাকে।
এ ছাড়া আমিরাতি নারীদের অনেকে পড়াশোনা করছেন। বিয়ের আগে ক্যারিয়ার গড়ার দিকে মনোযোগ দিচ্ছেন। এ জন্য অনেকের ৩০ বছর পার হয়ে যাচ্ছে। ফলে আর তাঁদের বিয়ে হচ্ছে না।
ইউএই বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০০ মেডিকেল ছাত্রীর ওপর সম্প্রতি এক জরিপ চালানো হয়। জরিপে অংশ নেওয়া ছাত্রীদের মধ্যে ৫৭ শতাংশ বলেছেন, তাঁরা উচ্চতর পড়াশোনা করতে চান। চাকরির জন্য নিজেদের প্রস্তুত করতে চান। এ কারণে তাঁদের পক্ষে ৩০ বছরের আগে বিয়ে করা সম্ভব হয়ে ওঠে না। ৩০ পেরোলেই নারীরা বুড়ি হয়ে যায়, এ যুক্তি তাঁরা হেসে উড়িয়ে দেন। এএফপি।
No comments