মধ্যপ্রাচ্য-যুক্তরাষ্ট্রের নীতি কি বদলাচ্ছে?
মধ্যপ্রাচ্য ও উত্তর আফ্রিকায় পরিবর্তনের ডাক দিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা। এসব দেশে সত্যিকার গণতন্ত্রে উত্তরণে জনপ্রত্যাশার প্রতি খোলাখুলিই সমর্থন জানালেন তিনি। শুধু তাই নয়, যেসব একনায়কত্ববাদী শাসক এখনও ক্ষমতাকে আঁকড়ে থাকতে চাইছেন সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল আসাদের প্রতি চরম সতর্কবাণী
উচ্চারণের মাধ্যমে তাদের ওপরও চাপ সৃষ্টি করলেন। তার এই বক্তব্যের ফলে মিসর ও ইয়েমেনে গণবিস্ফোরণের সময় মার্কিন ভূমিকার দ্ব্যর্থকতা নিয়ে যে সন্দেহ-অবিশ্বাস দেখা দিয়েছিল, তারও অবসান হওয়ার পথ প্রশস্ত হবে। তার এবারের বক্তব্যে ফিলিস্তিন সমস্যা সমাধানে মার্কিন অবস্থানের পরিবর্তন লক্ষণীয়। মার্কিন প্রেসিডেন্ট মধ্যপ্রাচ্য শান্তি প্রতিষ্ঠার ব্যাপারে ফিলিস্তিনি অবস্থানকে সমর্থন করলেন। বৃহস্পতিবার টেলিভিশনে দেওয়া ভাষণে ওবামা ১৯৬৭ সালে আরব-ইসরায়েল যুদ্ধ-পূর্ববর্তী সীমান্ত মেনে নিয়ে শান্তি আলোচনা শুরু হতে পারে বলে মত দিয়েছেন। এ ব্যাপারে জাতিসংঘ প্রস্তাবও সেই কথাই বলে। কিন্তু এতদিন মাার্কিন সরকারগুলো এ ব্যাপারে দ্ব্যর্থক অবস্থান নিয়ে প্রকারান্তরে জায়নবাদী রাষ্ট্রের অবস্থানকেই সমর্থন জুগিয়ে গেছে। এদিক থেকে তার এই অবস্থান যুগান্তকারী বলতে হবে। এর ফলে ফিলিস্তিনিরা এই প্রথম বিশ্বের সবচেয়ে শক্তিশালী রাষ্ট্রটিকে তাদের পক্ষে পেল। এতে শুধু ফিলিস্তিনিরাই নয়, বিশ্বের প্রায় সব মুসলমান এবং গণতান্ত্রিক ও প্রগতিশীল মানুষের মধ্যে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রতি দীর্ঘকালের সন্দেহ-অবিশ্বাস দূর করতে সহায়ক হবে। অবশ্য ওবামার বক্তব্য দেওয়ার পরপরই মানুষের পুরনো নেতিবাচক মনোভাবে পরিবর্তন আসবে না। কারণ এর আগে ওবামা প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ার পর কায়রো বিশ্ববিদ্যালয়ের বক্তৃতায় যেসব প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন তার বাস্তব প্রতিফলন না ঘটায় তিনি বাস্তবে প্রতিশ্রুতি কতটুকু পালন করেন তা মানুষ দেখতে চাইবে।
তবে লাদেন নিহত হওয়া এবং মধ্যপ্রাচ্য ও উত্তর আফ্রিকায় গণঅভ্যুত্থানের মুখে একের পর এক একনায়কত্ববাদী সরকারের পতন ও জনগণের নির্বাচিত সরকার প্রতিষ্ঠার সুদীর্ঘকালের জনআকাঙ্ক্ষা পূরণের আলামত দেখা দেওয়ার মুখে তার এবারের বক্তব্য নতুন তাৎপর্য নিয়ে এসেছে। আশা করা যায়, যুক্তরাষ্ট্র স্থিতিশীলতার নামে এতদিন স্বৈরাচারী সরকারগুলোকে টিকিয়ে রাখার মাধ্যমে তাদের স্বার্থ হাসিলের যে পথ নিয়ে আসছিল, এবার সে নীতি সাধারণভাবে পরিত্যাজ্য হবে। আর ইসরায়েলকে ক্ষমতা ও শক্তি মদমত্ততার রাস্তা পরিহার করে জাতিসংঘ প্রস্তাব অনুযায়ী স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের অস্তিত্বকে স্বীকার করে নিয়েই শান্তি আলোচনায় বসতে হবে। তখন এটা সত্যি সত্যিই হবে বিশ্বে শান্তি ও গণতন্ত্রের অভিযাত্রায় নতুন দিগন্তের উন্মোচন।
তবে লাদেন নিহত হওয়া এবং মধ্যপ্রাচ্য ও উত্তর আফ্রিকায় গণঅভ্যুত্থানের মুখে একের পর এক একনায়কত্ববাদী সরকারের পতন ও জনগণের নির্বাচিত সরকার প্রতিষ্ঠার সুদীর্ঘকালের জনআকাঙ্ক্ষা পূরণের আলামত দেখা দেওয়ার মুখে তার এবারের বক্তব্য নতুন তাৎপর্য নিয়ে এসেছে। আশা করা যায়, যুক্তরাষ্ট্র স্থিতিশীলতার নামে এতদিন স্বৈরাচারী সরকারগুলোকে টিকিয়ে রাখার মাধ্যমে তাদের স্বার্থ হাসিলের যে পথ নিয়ে আসছিল, এবার সে নীতি সাধারণভাবে পরিত্যাজ্য হবে। আর ইসরায়েলকে ক্ষমতা ও শক্তি মদমত্ততার রাস্তা পরিহার করে জাতিসংঘ প্রস্তাব অনুযায়ী স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের অস্তিত্বকে স্বীকার করে নিয়েই শান্তি আলোচনায় বসতে হবে। তখন এটা সত্যি সত্যিই হবে বিশ্বে শান্তি ও গণতন্ত্রের অভিযাত্রায় নতুন দিগন্তের উন্মোচন।
No comments