ধর্ম-পবিত্র শবে বরাত মুক্তির রজনী by মুহাম্মদ আবদুল মুনিম খান
পবিত্র শবে বরাত অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি বিশেষ তাৎপর্যময় মুক্তির রজনী। মহান আল্লাহর রোষানল থেকে বান্দার তওবার মাধ্যমে মার্জনাপ্রাপ্ত হয়ে নিষ্কৃতি লাভের পরম সৌভাগ্যের রাত। ‘শব’ ফারসি শব্দ, এর অর্থ রজনী বা রাত। আর ‘বরাত’ শব্দের অর্থ ভাগ্য বা সৌভাগ্য। শব্দটির অন্য অর্থও আছে।
শবে বরাতকে আরবিতে ‘লাইলাতুল বারাআত’ নামে অভিহিত করা হয়। আরবি ‘লাইলাতুন’ শব্দের অর্থ রাত বা রজনী আর ‘বারাআত’ শব্দের অর্থ মুক্তি, নাজাত, নিষ্কৃতি প্রভৃতি। লাইলাতুল বারাআত মানে পাপমুক্তির রজনী বা নিষ্কৃতির রাত। এ রাতে আল্লাহর খাঁটি বান্দারা মহান সৃষ্টিকর্তার কাছ থেকে ক্ষমা, রিজিক ও বিপদমুক্তি লাভ করে থাকেন, তাই এ রাতকে লাইলাতুল বারাআত বা শবে বরাত বলা হয়।
হিজরি সালের শাবান মাসের মধ্যবর্তী রাতে পবিত্র শবে বরাত পালিত হয়। নবী করিম (সা.) এ রাতকে ‘লাইলাতুন নিস্ফ মিন শাবান’ অর্থাৎ ‘শাবানের মধ্যবর্তী রজনী’ হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন। হজরত আলী (রা.) বর্ণিত হাদিসে রাসুলুল্লাহ (সা.) ইরশাদ করেছেন, ‘যখন শাবান মাসের মধ্যবর্তী রজনীর আগমন ঘটে, তখন তোমরা সেই রাত্রি জাগরণ করে সালাতে নিমগ্ন হবে এবং দিনের বেলা রোজা পালন করবে। কেননা মহান আল্লাহ এ রাত্রে সূর্যাস্তের পর পৃথিবীর আকাশে অবতরণ করেন এবং বলেন, কোনো ক্ষমাপ্রার্থনাকারী কি আছে? আমি তাকে ক্ষমা করে দিব। কোনো রিজিক অনুসন্ধানকারী ব্যক্তি কি আছে? আমি তাকে রিজিক দিব। কোনো বিপদগ্রস্ত ব্যক্তি আছে কি? আমি তাকে বিপদমুক্ত করে দিব। এভাবে ভোর হওয়া পর্যন্ত মহান আল্লাহর পক্ষ থেকে ঘোষণা অব্যাহত থাকে।’ (ইবনে মাজা)
সাহাবায়ে কিরাম শাবান মাসে আসন্ন রমজান মাসকে নির্দেশনা অনুযায়ী সুষ্ঠুভাবে অতিবাহিত করার পূর্বপ্রস্তুতি গ্রহণ করতেন। শাবান মাসের চাঁদ দেখার সঙ্গে সঙ্গে সাহাবিগণ অধিক পরিমাণে পবিত্র কোরআন তিলাওয়াত শুরু করতেন। ব্যবসায়ীরা হিসাব-নিকাশ চূড়ান্ত করে পাওনা আদায় করে দিতেন, ধনীরা জাকাত প্রদানের প্রস্তুতি নিতেন। প্রশাসকেরা কারাবন্দী লোকদের মুক্তির উদ্যোগ গ্রহণ করতেন। হজরত মুয়াজ ইবনে জাবাল (রা.) বর্ণিত একটি হাদিসে রাসুলুল্লাহ (সা.) ইরশাদ করেছেন, ‘মধ্য শাবানের রাত্রিতে আল্লাহ তাআলা রহমতের ভান্ডার নিয়ে তাঁর সকল সৃষ্টির প্রতি বিশেষ ভূমিকায় আবির্ভূত হন এবং মুশরিক অথবা হিংসুক ব্যক্তি ছাড়া সবাইকে ক্ষমা করে দেন।’ (তাবারানি, ইবনে হাব্বান)
এ রাতে নফল ইবাদত করে আল্লাহর কাছে নিজের গুনাহ ও অপরাধের জন্য ক্ষমাপ্রার্থনা করলে তিনি তা কবুল করেন এবং অনুতপ্ত বান্দাকে পাপ থেকে মুক্ত করে দেন। এ বরকতময় রজনীতে কী কী ঘটে, এ প্রসঙ্গে হজরত আয়েশা (রা.) থেকে বর্ণিত ফজিলতময় হাদিসে উল্লেখ আছে যে, নবী করিম (সা.) ইরশাদ করেছেন, ‘হে আয়েশা! শাবান মাসের মধ্য রজনীর মর্যাদা সম্পর্কে তুমি কী জানো?’ তিনি প্রশ্ন করলেন: ‘হে আল্লাহর রাসুল! এতে কী হয়?’ নবী করিম (সা.) বললেন, ‘আগামী এক বছরে কতজন আদমসন্তান মৃত্যুবরণ করবে তা এ রাতে লিপিবদ্ধ করা হয়। এ রাতে তাদের আমল মহান আল্লাহর দরবারে উপস্থাপন করা হয় এবং বান্দার রিজিক নাজিল করা হয়।’ হজরত আয়েশা (রা.) নিবেদন করলেন, ‘আল্লাহর রহমত ছাড়া কারও পক্ষে কি জান্নাতে যাওয়া সম্ভব নয়?’ তিনি উত্তর দিলেন, ‘আল্লাহর রহমত ছাড়া কেউই বেহেশতে প্রবেশ করতে পারবে না।’ কথাটি তিনি তিনবার উচ্চারণ করলেন। হজরত আয়েশা বললেন, ‘হে আল্লাহর রাসুল! আপনিও না?’ তখন নবীজি তাঁর পবিত্র হাত শির মুবারকে স্থাপন করে বললেন, ‘আমিও জান্নাতে যেতে পারব না, যদি আল্লাহর রহমত আমাকে পরিবৃত না করে।’ (বায়হাকি)
যুগ যুগ ধরে শবে বরাতে মুসলিম সম্প্রদায় রাত জেগে মসজিদে ঐচ্ছিক ইবাদত তথা নফল নামাজ, তাহাজ্জুদ, পবিত্র কোরআন তিলাওয়াত, জিকির-আজকার, মিলাদ মাহফিল, তাসবিহ-তাহলিল, তওবা-ইস্তেগফার ও দোয়া-দুরুদে মশগুল থাকেন এবং পরিবার-পরিজন, আত্মীয়স্বজন, বন্ধুবান্ধবের কল্যাণ, দেশ-জাতি তথা মুসলিম উম্মাহর শান্তি, অগ্রগতি ও সমৃদ্ধির জন্য আল্লাহর রহমত কামনায় বিশেষ মোনাজাত করেন। রোজাদার মুসল্লিরা পরলোকগত পিতা-মাতা ও নিকটাত্মীয়দের রুহের মাগফিরাত কামনায় কবরস্থ্থান জিয়ারত করে ফাতেহা পাঠ করেন। তবে শবে বরাতে কোনো ধরাবাঁধা ইবাদত নেই। শাবান মাসের মধ্যবর্তী রজনীতে বিশেষভাবে নবী করিম (সা.)-এর তিনটি আমলের কথা জানা যায়, যা অনুসরণ করা অশেষ বরকত লাভের উপায়। ১. কবরস্থানে গমন এবং মৃত ব্যক্তিদের জন্য বিশেষভাবে দোয়া ও দান-সাদকার মাধ্যমে ইসালে সওয়াব। ২. যথাসাধ্য রাত জাগরণ করে নফল নামাজ আদায়, পবিত্র কোরআন তিলাওয়াত এবং সবার জন্য ক্ষমা ও কল্যাণ প্রার্থনা ইত্যাদি। ৩. শবে বরাতে সেহির খেয়ে পরবর্তী দিনটিতে রোজা পালন প্রভৃতি। এ সম্পর্কে হজরত উসামা বিন জায়েদ (রা.) বর্ণনা করেন, ‘আমি নবী করিম (সা.)-কে জিজ্ঞেস করলাম, আপনাকে শাবান মাসে অন্যান্য মাস অপেক্ষা বেশি নফল রোজা রাখতে দেখি।’ এ কথা শুনে তিনি বললেন, ‘রজব ও রমজানের মধ্যবর্তী শাবান মাস অনেকেই খেয়াল করে না। অথচ এ মাসে বান্দার আমলসমূহ আল্লাহর সমীপে পেশ করা হয়। তাই আমি চাই যে আমার আমলসমূহ আল্লাহর দরবারে এমতাবস্থায় উপস্থাপন করা হোক, যখন আমি রোজা অবস্থায় রয়েছি।’ (বায়হাকি)
শবে বরাতের বৈশিষ্ট্য অনুষ্ঠানের আড়ম্বরতার মধ্যে নয়, বরং নৈতিক চরিত্রবলের সাধনার মাধ্যমে দয়াময়ের করুণা লাভের আন্তরিক প্রয়াসই এর অন্তর্নিহিত তাৎপর্য। এ রাতে অহেতুক আলোকসজ্জা করা, তারাবাতি জ্বালানো, আতশবাজি পোড়ানো, পটকা ফোটানো, আড্ডাবাজি বা মেলা বসানো প্রভৃতি শরিয়ত-গর্হিত কাজ। পাড়া-মহল্লায় শিশু-কিশোর ও তরুণ-তরুণীদের এ বিষয়ে সতর্ক করা অবশ্যকর্তব্য। পুণ্যময় এ রজনীর আলোকমালায় মুসলমানদের অন্তর হোক উদ্ভাসিত, দূর হোক কালিমা, সমৃদ্ধি আসুক সবার ঘরে, এ রাত দেশ-জাতি ও বিশ্বমানবতার জন্য সর্বজনীন কল্যাণ বয়ে আনুক—এটাই কায়মনোবাক্যে প্রার্থনা!
ড. মুহাম্মদ আবদুল মুনিম খান: বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, গবেষক ও কলাম লেখক।
dr.munimkhan@yahoo.com
হিজরি সালের শাবান মাসের মধ্যবর্তী রাতে পবিত্র শবে বরাত পালিত হয়। নবী করিম (সা.) এ রাতকে ‘লাইলাতুন নিস্ফ মিন শাবান’ অর্থাৎ ‘শাবানের মধ্যবর্তী রজনী’ হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন। হজরত আলী (রা.) বর্ণিত হাদিসে রাসুলুল্লাহ (সা.) ইরশাদ করেছেন, ‘যখন শাবান মাসের মধ্যবর্তী রজনীর আগমন ঘটে, তখন তোমরা সেই রাত্রি জাগরণ করে সালাতে নিমগ্ন হবে এবং দিনের বেলা রোজা পালন করবে। কেননা মহান আল্লাহ এ রাত্রে সূর্যাস্তের পর পৃথিবীর আকাশে অবতরণ করেন এবং বলেন, কোনো ক্ষমাপ্রার্থনাকারী কি আছে? আমি তাকে ক্ষমা করে দিব। কোনো রিজিক অনুসন্ধানকারী ব্যক্তি কি আছে? আমি তাকে রিজিক দিব। কোনো বিপদগ্রস্ত ব্যক্তি আছে কি? আমি তাকে বিপদমুক্ত করে দিব। এভাবে ভোর হওয়া পর্যন্ত মহান আল্লাহর পক্ষ থেকে ঘোষণা অব্যাহত থাকে।’ (ইবনে মাজা)
সাহাবায়ে কিরাম শাবান মাসে আসন্ন রমজান মাসকে নির্দেশনা অনুযায়ী সুষ্ঠুভাবে অতিবাহিত করার পূর্বপ্রস্তুতি গ্রহণ করতেন। শাবান মাসের চাঁদ দেখার সঙ্গে সঙ্গে সাহাবিগণ অধিক পরিমাণে পবিত্র কোরআন তিলাওয়াত শুরু করতেন। ব্যবসায়ীরা হিসাব-নিকাশ চূড়ান্ত করে পাওনা আদায় করে দিতেন, ধনীরা জাকাত প্রদানের প্রস্তুতি নিতেন। প্রশাসকেরা কারাবন্দী লোকদের মুক্তির উদ্যোগ গ্রহণ করতেন। হজরত মুয়াজ ইবনে জাবাল (রা.) বর্ণিত একটি হাদিসে রাসুলুল্লাহ (সা.) ইরশাদ করেছেন, ‘মধ্য শাবানের রাত্রিতে আল্লাহ তাআলা রহমতের ভান্ডার নিয়ে তাঁর সকল সৃষ্টির প্রতি বিশেষ ভূমিকায় আবির্ভূত হন এবং মুশরিক অথবা হিংসুক ব্যক্তি ছাড়া সবাইকে ক্ষমা করে দেন।’ (তাবারানি, ইবনে হাব্বান)
এ রাতে নফল ইবাদত করে আল্লাহর কাছে নিজের গুনাহ ও অপরাধের জন্য ক্ষমাপ্রার্থনা করলে তিনি তা কবুল করেন এবং অনুতপ্ত বান্দাকে পাপ থেকে মুক্ত করে দেন। এ বরকতময় রজনীতে কী কী ঘটে, এ প্রসঙ্গে হজরত আয়েশা (রা.) থেকে বর্ণিত ফজিলতময় হাদিসে উল্লেখ আছে যে, নবী করিম (সা.) ইরশাদ করেছেন, ‘হে আয়েশা! শাবান মাসের মধ্য রজনীর মর্যাদা সম্পর্কে তুমি কী জানো?’ তিনি প্রশ্ন করলেন: ‘হে আল্লাহর রাসুল! এতে কী হয়?’ নবী করিম (সা.) বললেন, ‘আগামী এক বছরে কতজন আদমসন্তান মৃত্যুবরণ করবে তা এ রাতে লিপিবদ্ধ করা হয়। এ রাতে তাদের আমল মহান আল্লাহর দরবারে উপস্থাপন করা হয় এবং বান্দার রিজিক নাজিল করা হয়।’ হজরত আয়েশা (রা.) নিবেদন করলেন, ‘আল্লাহর রহমত ছাড়া কারও পক্ষে কি জান্নাতে যাওয়া সম্ভব নয়?’ তিনি উত্তর দিলেন, ‘আল্লাহর রহমত ছাড়া কেউই বেহেশতে প্রবেশ করতে পারবে না।’ কথাটি তিনি তিনবার উচ্চারণ করলেন। হজরত আয়েশা বললেন, ‘হে আল্লাহর রাসুল! আপনিও না?’ তখন নবীজি তাঁর পবিত্র হাত শির মুবারকে স্থাপন করে বললেন, ‘আমিও জান্নাতে যেতে পারব না, যদি আল্লাহর রহমত আমাকে পরিবৃত না করে।’ (বায়হাকি)
যুগ যুগ ধরে শবে বরাতে মুসলিম সম্প্রদায় রাত জেগে মসজিদে ঐচ্ছিক ইবাদত তথা নফল নামাজ, তাহাজ্জুদ, পবিত্র কোরআন তিলাওয়াত, জিকির-আজকার, মিলাদ মাহফিল, তাসবিহ-তাহলিল, তওবা-ইস্তেগফার ও দোয়া-দুরুদে মশগুল থাকেন এবং পরিবার-পরিজন, আত্মীয়স্বজন, বন্ধুবান্ধবের কল্যাণ, দেশ-জাতি তথা মুসলিম উম্মাহর শান্তি, অগ্রগতি ও সমৃদ্ধির জন্য আল্লাহর রহমত কামনায় বিশেষ মোনাজাত করেন। রোজাদার মুসল্লিরা পরলোকগত পিতা-মাতা ও নিকটাত্মীয়দের রুহের মাগফিরাত কামনায় কবরস্থ্থান জিয়ারত করে ফাতেহা পাঠ করেন। তবে শবে বরাতে কোনো ধরাবাঁধা ইবাদত নেই। শাবান মাসের মধ্যবর্তী রজনীতে বিশেষভাবে নবী করিম (সা.)-এর তিনটি আমলের কথা জানা যায়, যা অনুসরণ করা অশেষ বরকত লাভের উপায়। ১. কবরস্থানে গমন এবং মৃত ব্যক্তিদের জন্য বিশেষভাবে দোয়া ও দান-সাদকার মাধ্যমে ইসালে সওয়াব। ২. যথাসাধ্য রাত জাগরণ করে নফল নামাজ আদায়, পবিত্র কোরআন তিলাওয়াত এবং সবার জন্য ক্ষমা ও কল্যাণ প্রার্থনা ইত্যাদি। ৩. শবে বরাতে সেহির খেয়ে পরবর্তী দিনটিতে রোজা পালন প্রভৃতি। এ সম্পর্কে হজরত উসামা বিন জায়েদ (রা.) বর্ণনা করেন, ‘আমি নবী করিম (সা.)-কে জিজ্ঞেস করলাম, আপনাকে শাবান মাসে অন্যান্য মাস অপেক্ষা বেশি নফল রোজা রাখতে দেখি।’ এ কথা শুনে তিনি বললেন, ‘রজব ও রমজানের মধ্যবর্তী শাবান মাস অনেকেই খেয়াল করে না। অথচ এ মাসে বান্দার আমলসমূহ আল্লাহর সমীপে পেশ করা হয়। তাই আমি চাই যে আমার আমলসমূহ আল্লাহর দরবারে এমতাবস্থায় উপস্থাপন করা হোক, যখন আমি রোজা অবস্থায় রয়েছি।’ (বায়হাকি)
শবে বরাতের বৈশিষ্ট্য অনুষ্ঠানের আড়ম্বরতার মধ্যে নয়, বরং নৈতিক চরিত্রবলের সাধনার মাধ্যমে দয়াময়ের করুণা লাভের আন্তরিক প্রয়াসই এর অন্তর্নিহিত তাৎপর্য। এ রাতে অহেতুক আলোকসজ্জা করা, তারাবাতি জ্বালানো, আতশবাজি পোড়ানো, পটকা ফোটানো, আড্ডাবাজি বা মেলা বসানো প্রভৃতি শরিয়ত-গর্হিত কাজ। পাড়া-মহল্লায় শিশু-কিশোর ও তরুণ-তরুণীদের এ বিষয়ে সতর্ক করা অবশ্যকর্তব্য। পুণ্যময় এ রজনীর আলোকমালায় মুসলমানদের অন্তর হোক উদ্ভাসিত, দূর হোক কালিমা, সমৃদ্ধি আসুক সবার ঘরে, এ রাত দেশ-জাতি ও বিশ্বমানবতার জন্য সর্বজনীন কল্যাণ বয়ে আনুক—এটাই কায়মনোবাক্যে প্রার্থনা!
ড. মুহাম্মদ আবদুল মুনিম খান: বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, গবেষক ও কলাম লেখক।
dr.munimkhan@yahoo.com
No comments