বাজেটে বেশি বরাদ্দ বেতন-ভাতায়, কম শিক্ষা আনুষঙ্গিকে by সুজন ঘোষ
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের বাজেটে শিক্ষা খাতে বরাদ্দ প্রতিবছর কমছে। কর্তৃপক্ষের দাবি, বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) কাছ থেকে চাহিদা অনুযায়ী বরাদ্দ না পাওয়ায় এ অবস্থা সৃষ্টি হয়েছে। বাজেট বইয়ের তথ্যানুযায়ী, বাজেটে প্রতিবছর মোট ছয়টি খাতে বরাদ্দ দেওয়া হয়।
বরাবরের মতো চলতি ২০১২-১৩ অর্থবছরের সবচেয়ে বেশি বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে বেতন-ভাতাদি খাতে। অন্যদিকে টাকার অঙ্কে শিক্ষা আনুষঙ্গিক খাতে প্রতিবছর বরাদ্দ বাড়লেও শতাংশের হিসেবে তা কমছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের বাজেট বরাদ্দ সম্পর্কে উপাচার্য অধ্যাপক আনোয়ারুল আজিম আরিফ সাংবাদিকদের বলেন, ‘বাজেটে প্রয়োজনীয় চাহিদা ও প্রাপ্তির মধ্যে ফারাক রয়েছে। সরকারের দেওয়া বরাদ্দ আমরা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন খাতে সর্বোচ্চভাবে বণ্টন করার চেষ্টা করি।’
বিশ্ববিদ্যালয়ের চলতি অর্থবছরের বাজেটে বিভিন্ন খাতে মোট বরাদ্দ রাখা হয়েছে ১২২ কোটি ৫০ লাখ টাকা। এর মধ্যে ইউজিসির কাছ থেকে প্রাপ্ত ১০৮ কোটি ৫০ লাখ টাকা এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের নিজস্ব আয় থেকে ১৪ কোটি টাকা ধরা হয়েছে। গত ৩০ জুন বিশ্ববিদ্যালয়ের ২৪তম বার্ষিক সিনেট অধিবেশনে এ বাজেট পেশ করা হয়। নতুন অর্থবছরে শিক্ষা আনুষঙ্গিক খাতে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে নয় কোটি ৬৪ লাখ টাকা, যা মোট বাজেটের মাত্র ৭ দশমিক ৮৭ শতাংশ। এ খাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের চাহিদা ছিল ১৩ কোটি ৭৮ লাখ টাকা। গত বছর এ খাতে বরাদ্দ ছিল মোট বাজেটের ৭ দশমিক ৮৬ শতাংশ। ২০০৮-০৯ অর্থবছরে ৭৮ কোটি ৯৪ লাখ টাকার মোট বাজেটে শিক্ষা আনুষঙ্গিক খাতে বরাদ্দ ছিল পাঁচ কোটি ৭৮ লাখ ৯৫ হাজার টাকা, যা মোট বাজেটের ৭ দশমিক ৩৩ শতাংশ। ২০০৯-১০ অর্থবছরে ৯৫ কোটি ৮৫ লাখ ৯০ হাজার টাকার মোট বাজেটে শিক্ষা খাতে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছিল আট কোটি ৫৫ লাখ ১৬ হাজার টাকা, যা মোট বরাদ্দের ৮ দশমিক ৯২ শতাংশ। গত ছয় অর্থবছরের মধ্যে ওই বছরই শিক্ষা আনুষঙ্গিক খাতে সবচেয়ে বেশি বরাদ্দ দেওয়া হয়েছিল।
২০১০-১১ অর্থবছরের ১১৫ কোটি ২২ লাখ টাকার মোট বাজেটে শিক্ষা আনুষঙ্গিক খাতে বরাদ্দ দেওয়া হয় মোট বরাদ্দের ৭ দশমিক ৫৪ শতাংশ। গত অর্থবছরে দেওয়া হয় ৭ দশমিক ৮৬ শতাংশ।
এদিকে, ইউজিসির কাছ থেকে চাহিদামতো বরাদ্দ না পাওয়ায় বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন খাতে প্রয়োজনীয় বরাদ্দ দিতে পারছে না কর্তৃপক্ষ। এবারের বাজেটে ইউজিসির কাছে বিশ্ববিদ্যালয়ের চাহিদা ছিল ১৪০ কোটি ৭৫ লাখ টাকা। কিন্তু বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ১০৮ কোটি ৫০ লাখ টাকা, যা চাহিদার তুলনায় প্রায় ২৩ শতাংশ কম।
বাজেটের বইয়ে পাওয়া তথ্যানুযায়ী, বেতন-ভাতাদি খাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের চাহিদা ছিল ৯৯ কোটি ৭৮ লাখ টাকা। কিন্তু পাওয়া গেছে ৮১ কোটি ১০ লাখ টাকা। পেনশন খাতে ১৭ কোটি ৬৩ লাখ টাকার চাহিদার বিপরীতে ১৭ কোটি টাকা এবং সাধারণ আনুষঙ্গিক খাতে ১৭ কোটি ৫৬ লাখ টাকার বিপরীতে ১২ কোটি ৫৭ লাখ টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। মেরামত, সংরক্ষণ ও পুনর্বাসন খাতে দেওয়া হয়েছে এক কোটি ২৮ লাখ টাকা। এ খাতে চাহিদা ছিল দুই কোটি ৭৯ লাখ টাকা। মূলধন মঞ্জুরি খাতে দুই কোটি ২১ লাখ টাকার বিপরীতে ৯১ লাখ টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের বাজেট বরাদ্দ সম্পর্কে উপাচার্য অধ্যাপক আনোয়ারুল আজিম আরিফ সাংবাদিকদের বলেন, ‘বাজেটে প্রয়োজনীয় চাহিদা ও প্রাপ্তির মধ্যে ফারাক রয়েছে। সরকারের দেওয়া বরাদ্দ আমরা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন খাতে সর্বোচ্চভাবে বণ্টন করার চেষ্টা করি।’
বিশ্ববিদ্যালয়ের চলতি অর্থবছরের বাজেটে বিভিন্ন খাতে মোট বরাদ্দ রাখা হয়েছে ১২২ কোটি ৫০ লাখ টাকা। এর মধ্যে ইউজিসির কাছ থেকে প্রাপ্ত ১০৮ কোটি ৫০ লাখ টাকা এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের নিজস্ব আয় থেকে ১৪ কোটি টাকা ধরা হয়েছে। গত ৩০ জুন বিশ্ববিদ্যালয়ের ২৪তম বার্ষিক সিনেট অধিবেশনে এ বাজেট পেশ করা হয়। নতুন অর্থবছরে শিক্ষা আনুষঙ্গিক খাতে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে নয় কোটি ৬৪ লাখ টাকা, যা মোট বাজেটের মাত্র ৭ দশমিক ৮৭ শতাংশ। এ খাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের চাহিদা ছিল ১৩ কোটি ৭৮ লাখ টাকা। গত বছর এ খাতে বরাদ্দ ছিল মোট বাজেটের ৭ দশমিক ৮৬ শতাংশ। ২০০৮-০৯ অর্থবছরে ৭৮ কোটি ৯৪ লাখ টাকার মোট বাজেটে শিক্ষা আনুষঙ্গিক খাতে বরাদ্দ ছিল পাঁচ কোটি ৭৮ লাখ ৯৫ হাজার টাকা, যা মোট বাজেটের ৭ দশমিক ৩৩ শতাংশ। ২০০৯-১০ অর্থবছরে ৯৫ কোটি ৮৫ লাখ ৯০ হাজার টাকার মোট বাজেটে শিক্ষা খাতে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছিল আট কোটি ৫৫ লাখ ১৬ হাজার টাকা, যা মোট বরাদ্দের ৮ দশমিক ৯২ শতাংশ। গত ছয় অর্থবছরের মধ্যে ওই বছরই শিক্ষা আনুষঙ্গিক খাতে সবচেয়ে বেশি বরাদ্দ দেওয়া হয়েছিল।
২০১০-১১ অর্থবছরের ১১৫ কোটি ২২ লাখ টাকার মোট বাজেটে শিক্ষা আনুষঙ্গিক খাতে বরাদ্দ দেওয়া হয় মোট বরাদ্দের ৭ দশমিক ৫৪ শতাংশ। গত অর্থবছরে দেওয়া হয় ৭ দশমিক ৮৬ শতাংশ।
এদিকে, ইউজিসির কাছ থেকে চাহিদামতো বরাদ্দ না পাওয়ায় বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন খাতে প্রয়োজনীয় বরাদ্দ দিতে পারছে না কর্তৃপক্ষ। এবারের বাজেটে ইউজিসির কাছে বিশ্ববিদ্যালয়ের চাহিদা ছিল ১৪০ কোটি ৭৫ লাখ টাকা। কিন্তু বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ১০৮ কোটি ৫০ লাখ টাকা, যা চাহিদার তুলনায় প্রায় ২৩ শতাংশ কম।
বাজেটের বইয়ে পাওয়া তথ্যানুযায়ী, বেতন-ভাতাদি খাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের চাহিদা ছিল ৯৯ কোটি ৭৮ লাখ টাকা। কিন্তু পাওয়া গেছে ৮১ কোটি ১০ লাখ টাকা। পেনশন খাতে ১৭ কোটি ৬৩ লাখ টাকার চাহিদার বিপরীতে ১৭ কোটি টাকা এবং সাধারণ আনুষঙ্গিক খাতে ১৭ কোটি ৫৬ লাখ টাকার বিপরীতে ১২ কোটি ৫৭ লাখ টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। মেরামত, সংরক্ষণ ও পুনর্বাসন খাতে দেওয়া হয়েছে এক কোটি ২৮ লাখ টাকা। এ খাতে চাহিদা ছিল দুই কোটি ৭৯ লাখ টাকা। মূলধন মঞ্জুরি খাতে দুই কোটি ২১ লাখ টাকার বিপরীতে ৯১ লাখ টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।
No comments