পদ্মা সেতু নির্মাণ-১৬ হাজার কোটি টাকা নিয়ে প্রস্তুত বীমা খাত by আবুল কাশেম
পদ্মা সেতু নির্মাণে ১৬ হাজার কোটি টাকার লাইফ ফান্ড থেকে সরকারকে অর্থ দিতে আগ্রহী বীমা খাত। সরকারের সম্মতি পেলেই এ তহবিল থেকে যেকোনো পরিমাণ অর্থ দিতে প্রস্তুত আছেন এই খাতের উদ্যোক্তারা। জীবন বীমা কম্পানিগুলোর লাইফ ফান্ডে থাকা অর্থের এই পরিমাণ পদ্মা সেতুর সম্ভাব্য ব্যয়ের প্রায় ৭০ শতাংশ, যেখানে বিশ্বব্যাংকের ঋণ দেওয়ার কথা ছিল ৫২ শতাংশ।
বীমা খাতের উদ্যোক্তারা বলছেন, সরকার চাইলে মুহূর্তের মধ্যেই তাঁদের কাছ থেকে অর্থ নিয়ে সেতু নির্মাণের কাজ শুরু করতে পারে। সরকার বন্ড আকারে এই তহবিল থেকে অর্থ নিতে পারে। এরই মধ্যে সরকারকে এ বিষয়ে একটি প্রস্তাবও দিয়েছে বাংলাদেশ বীমা অ্যাসোসিয়েশন। বর্তমান নকশা অনুযায়ী, পদ্মা সেতু নির্মাণে মোট ২৩ হাজার কোটি টাকার অর্থায়ন প্রয়োজন।
এ বিষয়ে বাংলাদেশ বীমা অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি শেখ কবির হোসেন গতকাল বুধবার কালের কণ্ঠকে বলেন,
'আমাদের জীবন বীমা কম্পানিগুলোর লাইফ ফান্ডে ১৬ হাজার কোটি টাকারও বেশি অর্থ পড়ে আছে। আমরা সেখান থেকে পদ্মা সেতু নির্মাণে বিনিয়োগ করতে চাই। সরকার ইচ্ছা করলেই বন্ড ছেড়ে আমাদের এ অর্থ নিতে পারে। এ ছাড়া বন্ডে প্রবাসীরাও বিনিয়োগ করার সুযোগ পাবে। আর বিশ্বব্যাংক সরে গেলেও অন্যান্য বিদেশি ঋণদাতা সংস্থা বিনিয়োগ করবে।'
শেখ কবির হোসেন বলেন, 'এরই মধ্যে পদ্মা সেতুতে বিনিয়োগের ইচ্ছা আনুষ্ঠানিকভাবে আমরা সরকারকে জানিয়েছি। বিশ্বব্যাংক সরে গেলেও অন্যান্য বিদেশি ঋণদাতা সংস্থার অর্থ, সরকারের নিজস্ব বিনিয়োগ আর জীবন বীমা কম্পানিগুলোর লাইফ ফান্ড থেকে অর্থ নিয়ে সহজেই এ সেতু নির্মাণ করা সম্ভব।' শেখ কবির হোসেন আরো বলেন, 'পদ্মা সেতুতে বিনিয়োগের আগ্রহের কথা সরকারের কাছে আবারও তুলে ধরতে আমরা আজ-কালের মধ্যে সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করব। আমাদের প্রস্তাব হলো- আমরা লাইফ ফান্ডের অংশবিশেষ পদ্মা সেতুতে বিনিয়োগ করতে চাই। সরকার এখান থেকে অর্থ নিয়ে পদ্মা সেতু নির্মাণের কাজ শুরু করুক। পদ্মা সেতুর জন্য আকর্ষণীয় মুনাফায় বিশেষ বন্ড ছাড়লে সেখানে বীমা খাতসহ দেশি ও প্রবাসী বিনিয়োগকারীরাও বিনিয়োগ করতে পারবে।' তবে সংবাদ সম্মেলনের আগে এর চেয়ে বেশি কিছু বলতে রাজি হননি কবির হোসেন। আজ বৃহস্পতিবার সংবাদ সম্মেলন করার কথা ভাবা হলেও শবেবরাতের কারণে আজ সংবাদপত্র অফিস বন্ধ থাকার কারণে এ তারিখ পরিবর্তন হতে পারে বলে জানান তিনি।
বাংলাদেশ বীমা অ্যাসোসিয়েশনের সাবেক সভাপতি ও মেঘনা লাইফ ইনস্যুরেন্স কম্পানির চেয়ারম্যান নিজামউদ্দিন আহমেদ কালের কণ্ঠকে বলেন, 'জীবন বীমা কম্পানিগুলোর লাইফ ফান্ড থেকে আমরা এ সেতুতে বিনিয়োগে আগ্রহী। এ তহবিল থেকে অর্থ নিয়ে সেতু নির্মাণের বিষয়ে আমরা সরকারকে উৎসাহ দিতে চাই।' তিনি বলেন, 'সরকার চাইলে তহবিলের অর্থের একটি অংশ সহজেই নিতে পারে। আমরা তাতে পুরোপুরি রাজি আছি।'
নিজামউদ্দিন আহমেদ আরো বলেন, বীমা কম্পানিগুলোর অর্থ মূলত বিনিয়োগকারী জনগণের অর্থ। সরকার বিদেশ থেকে ঋণ নিলে ওই ঋণের সুদ পরিশোধ করতে হবে। সেখানে জীবন বীমা লাইফ ফান্ড থেকে অর্থ নিয়ে সুদের অর্থ সরকার দেশের গরিব মানুষকেও দিতে পারে। তিনি বলেন, 'সরকার পদ্মা সেতু নির্মাণে বীমা খাত থেকে অর্থায়ন করতে আগ্রহী হলে আমরা লাইফ ফান্ডের বাইরেও প্রত্যেক বীমা কম্পানি একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ অর্থ বিনিয়োগে ইচ্ছুক।'
দেশে মোট ১৮টি জীবন বীমা কম্পানি ব্যবসা করছে। এর মধ্যে রাষ্ট্রায়ত্ত জীবন বীমা করপোরেশন ও বিদেশি মেটলাইফ আলিকো ছাড়া অন্যগুলো বেসরকারি খাতের। বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোর লাইফ ফান্ডে অর্থের পরিমাণ ২০১৩ সালের মধ্যেই বেড়ে ২০ হাজার কোটি টাকায় দাঁড়াবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা।
পদ্মা সেতু নির্মাণে মোট ২৯০ কোটি ডলার বা ২৩ হাজার কোটি টাকার প্রয়োজন। এর মধ্যে বিশ্বব্যাংকের ৫২ শতাংশ অর্থ বা ১২০ কোটি ডলার দেওয়ার কথা ছিল। বাকি অর্থ এডিবি, জাইকা, আইডিবি ও বাংলাদেশ সরকার বিনিয়োগ করার কথা ছিল।
এ বিষয়ে বাংলাদেশ বীমা অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি শেখ কবির হোসেন গতকাল বুধবার কালের কণ্ঠকে বলেন,
'আমাদের জীবন বীমা কম্পানিগুলোর লাইফ ফান্ডে ১৬ হাজার কোটি টাকারও বেশি অর্থ পড়ে আছে। আমরা সেখান থেকে পদ্মা সেতু নির্মাণে বিনিয়োগ করতে চাই। সরকার ইচ্ছা করলেই বন্ড ছেড়ে আমাদের এ অর্থ নিতে পারে। এ ছাড়া বন্ডে প্রবাসীরাও বিনিয়োগ করার সুযোগ পাবে। আর বিশ্বব্যাংক সরে গেলেও অন্যান্য বিদেশি ঋণদাতা সংস্থা বিনিয়োগ করবে।'
শেখ কবির হোসেন বলেন, 'এরই মধ্যে পদ্মা সেতুতে বিনিয়োগের ইচ্ছা আনুষ্ঠানিকভাবে আমরা সরকারকে জানিয়েছি। বিশ্বব্যাংক সরে গেলেও অন্যান্য বিদেশি ঋণদাতা সংস্থার অর্থ, সরকারের নিজস্ব বিনিয়োগ আর জীবন বীমা কম্পানিগুলোর লাইফ ফান্ড থেকে অর্থ নিয়ে সহজেই এ সেতু নির্মাণ করা সম্ভব।' শেখ কবির হোসেন আরো বলেন, 'পদ্মা সেতুতে বিনিয়োগের আগ্রহের কথা সরকারের কাছে আবারও তুলে ধরতে আমরা আজ-কালের মধ্যে সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করব। আমাদের প্রস্তাব হলো- আমরা লাইফ ফান্ডের অংশবিশেষ পদ্মা সেতুতে বিনিয়োগ করতে চাই। সরকার এখান থেকে অর্থ নিয়ে পদ্মা সেতু নির্মাণের কাজ শুরু করুক। পদ্মা সেতুর জন্য আকর্ষণীয় মুনাফায় বিশেষ বন্ড ছাড়লে সেখানে বীমা খাতসহ দেশি ও প্রবাসী বিনিয়োগকারীরাও বিনিয়োগ করতে পারবে।' তবে সংবাদ সম্মেলনের আগে এর চেয়ে বেশি কিছু বলতে রাজি হননি কবির হোসেন। আজ বৃহস্পতিবার সংবাদ সম্মেলন করার কথা ভাবা হলেও শবেবরাতের কারণে আজ সংবাদপত্র অফিস বন্ধ থাকার কারণে এ তারিখ পরিবর্তন হতে পারে বলে জানান তিনি।
বাংলাদেশ বীমা অ্যাসোসিয়েশনের সাবেক সভাপতি ও মেঘনা লাইফ ইনস্যুরেন্স কম্পানির চেয়ারম্যান নিজামউদ্দিন আহমেদ কালের কণ্ঠকে বলেন, 'জীবন বীমা কম্পানিগুলোর লাইফ ফান্ড থেকে আমরা এ সেতুতে বিনিয়োগে আগ্রহী। এ তহবিল থেকে অর্থ নিয়ে সেতু নির্মাণের বিষয়ে আমরা সরকারকে উৎসাহ দিতে চাই।' তিনি বলেন, 'সরকার চাইলে তহবিলের অর্থের একটি অংশ সহজেই নিতে পারে। আমরা তাতে পুরোপুরি রাজি আছি।'
নিজামউদ্দিন আহমেদ আরো বলেন, বীমা কম্পানিগুলোর অর্থ মূলত বিনিয়োগকারী জনগণের অর্থ। সরকার বিদেশ থেকে ঋণ নিলে ওই ঋণের সুদ পরিশোধ করতে হবে। সেখানে জীবন বীমা লাইফ ফান্ড থেকে অর্থ নিয়ে সুদের অর্থ সরকার দেশের গরিব মানুষকেও দিতে পারে। তিনি বলেন, 'সরকার পদ্মা সেতু নির্মাণে বীমা খাত থেকে অর্থায়ন করতে আগ্রহী হলে আমরা লাইফ ফান্ডের বাইরেও প্রত্যেক বীমা কম্পানি একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ অর্থ বিনিয়োগে ইচ্ছুক।'
দেশে মোট ১৮টি জীবন বীমা কম্পানি ব্যবসা করছে। এর মধ্যে রাষ্ট্রায়ত্ত জীবন বীমা করপোরেশন ও বিদেশি মেটলাইফ আলিকো ছাড়া অন্যগুলো বেসরকারি খাতের। বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোর লাইফ ফান্ডে অর্থের পরিমাণ ২০১৩ সালের মধ্যেই বেড়ে ২০ হাজার কোটি টাকায় দাঁড়াবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা।
পদ্মা সেতু নির্মাণে মোট ২৯০ কোটি ডলার বা ২৩ হাজার কোটি টাকার প্রয়োজন। এর মধ্যে বিশ্বব্যাংকের ৫২ শতাংশ অর্থ বা ১২০ কোটি ডলার দেওয়ার কথা ছিল। বাকি অর্থ এডিবি, জাইকা, আইডিবি ও বাংলাদেশ সরকার বিনিয়োগ করার কথা ছিল।
No comments