গোমতী ও মেঘনা সেতুর মেরামত কাজ শুরু
দেশের ব্যস্ততম ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের ঝুঁকিপূর্ণ গোমতী ও মেঘনা সেতুর মেরামতকাজ গতকাল বুধবার শুরু হয়েছে। সেনাবাহিনীর ইঞ্জিনিয়ারিং কোর এই কাজ করছে। মেরামতকাজ শেষ হতে তিন মাস সময় লাগবে। প্রথমে পিলারের কাজ হবে, পরে মূল সেতুর কাজ হবে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে।
এ কাজের জন্য ওই মহাসড়কে যান চলাচল বন্ধ থাকবে না। মূল সেতুর কাজের সময় দৈনিক ছয় ঘণ্টা করে যান চলাচল বন্ধ রাখা হবে। দুই সেতুর কাজ একই সঙ্গে হবে। মেরামতকাজ চলার সময় সেতুর ওপর চাপ কমাতে ময়নামতি-ব্রাহ্মণবাড়িয়া হয়ে বেশি পরিমাণ যানবাহন চলাচলের ওপর গুরুত্ব দেওয়া হবে।
প্রতিদিন ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে ২২ হাজার যান চলাচল করে। সেতু দুটির ধারণক্ষমতা হলো প্রতিদিন ১১ হাজার যানবাহন।
গুরুত্বপূর্ণ সেতু দুটির মেরামতকাজ উদ্বোধন করেন যোগাযোগমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। এ সময় তিনি সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন।
যোগাযোগমন্ত্রী বলেন, পত্র-পত্রিকায় গোমতী ও মেঘনা সেতুর ওপর প্রতিবেদন দেখে তিনি যোগাযোগমন্ত্রীর দায়িত্ব নেওয়ার পর সরেজমিনে কয়েকবার সেতু দুটি পরিদর্শন করেন। সেতু দুটি ঝুঁকিপূর্ণ হওয়ায় সেতু বিভাগকে তিনি দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য বলেন।
এ ছাড়া সেতু রক্ষায় দুটি সেতুর উভয় প্রান্তে অতিরিক্ত মালবোঝাই যানবাহন নিয়ন্ত্রণের জন্য ওভারলোড কন্ট্রোল মেশিন বসানো হয়।
সেনাবাহিনীর ইঞ্জিনিয়ারিং কোর সূত্রে জানা যায়, বিদেশ থেকে মালামাল আসার আগে প্রাথমিকভাবে সেতুর নিচের অংশের যেসব পিলারের গোড়ার মাটি সরে গেছে, সেগুলোর কাজ করা হবে। সেতুকে সচল রাখার জন্য ওপরের অংশের এঙ্পানশন জয়েন্টে কোনো ত্রুটি দেখা দিলে, তা সারানোরও ব্যবস্থা করা হবে।
সড়ক ও জনপথের নারায়ণগঞ্জ বিভাগের উপসহকারী প্রকৌশলী মো. ফরিদ উদ্দিন বলেন, 'সেনাবাহিনী জরুরি মেরামতকাজ করলেও আমাদের লোকজনও সার্বক্ষণিক প্রস্তুত রাখা হয়েছে। যখনই আমাদের সহযোগিতা চাওয়া হবে, তখনই তারা কাজ করবে।'
সেতু দুটির মেরামতকাজ উদ্বোধনের সময় আরো উপস্থিত ছিলেন সেনাবাহিনীর ইঞ্জিনিয়ারিং কোরের প্রধান সমন্বয়কারী ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আবু সাইদ মোহাম্মদ মাসুদ, মেজর আমির হোসেন এবং সেতু দুটির টোল আদায়কারী প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা আরফাত হোসেন প্রমুখ।
যোগাযোগমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের আগামী সাত দিনের মধ্যে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের দুই পাশের অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দিয়েছেন।
আবার শোকজ করা হবে
কাঁচপুরে বেহাল মহাসড়ক দেখে যোগাযোগমন্ত্রী ক্ষোভ প্রকাশ করেন। সড়ক ও জনপথ বিভাগের প্রধান প্রকৌশলী আমিনুল ইসলাম লস্করের উপস্থিতিতে নারায়ণগঞ্জের নির্বাহী প্রকৌশলী হাবিবুর রহমান ও ঢাকা সার্কেলের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী সাহাবুদ্দিনকে মৌখিকভাবে সতর্ক করে দেন মন্ত্রী। তিনি বলেন, 'তোমাদের এর আগেও শোকজ করা হয়েছিল। আবারও কাজে অবহেলা করলে শোকজ করা হবে।' প্রকৌশলী হাবিবুর রহমান মৌখিকভাবে সতর্ক করার বিষয়টি স্বীকার করেছেন।
দাউদকান্দি যাওয়ার সময় গতকাল সকাল সাড়ে ১০টার দিকে কাঁচপুর সেতুর পূর্ব প্রান্তে মহাসড়কে বড় গর্ত দেখে সেখানে নামেন যোগাযোগমন্ত্রী। তখন প্রকৌশলীদের কাজের ব্যাপারে এভাবে ক্ষোভ প্রকাশ করেন তিনি।
প্রতিদিন ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে ২২ হাজার যান চলাচল করে। সেতু দুটির ধারণক্ষমতা হলো প্রতিদিন ১১ হাজার যানবাহন।
গুরুত্বপূর্ণ সেতু দুটির মেরামতকাজ উদ্বোধন করেন যোগাযোগমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। এ সময় তিনি সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন।
যোগাযোগমন্ত্রী বলেন, পত্র-পত্রিকায় গোমতী ও মেঘনা সেতুর ওপর প্রতিবেদন দেখে তিনি যোগাযোগমন্ত্রীর দায়িত্ব নেওয়ার পর সরেজমিনে কয়েকবার সেতু দুটি পরিদর্শন করেন। সেতু দুটি ঝুঁকিপূর্ণ হওয়ায় সেতু বিভাগকে তিনি দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য বলেন।
এ ছাড়া সেতু রক্ষায় দুটি সেতুর উভয় প্রান্তে অতিরিক্ত মালবোঝাই যানবাহন নিয়ন্ত্রণের জন্য ওভারলোড কন্ট্রোল মেশিন বসানো হয়।
সেনাবাহিনীর ইঞ্জিনিয়ারিং কোর সূত্রে জানা যায়, বিদেশ থেকে মালামাল আসার আগে প্রাথমিকভাবে সেতুর নিচের অংশের যেসব পিলারের গোড়ার মাটি সরে গেছে, সেগুলোর কাজ করা হবে। সেতুকে সচল রাখার জন্য ওপরের অংশের এঙ্পানশন জয়েন্টে কোনো ত্রুটি দেখা দিলে, তা সারানোরও ব্যবস্থা করা হবে।
সড়ক ও জনপথের নারায়ণগঞ্জ বিভাগের উপসহকারী প্রকৌশলী মো. ফরিদ উদ্দিন বলেন, 'সেনাবাহিনী জরুরি মেরামতকাজ করলেও আমাদের লোকজনও সার্বক্ষণিক প্রস্তুত রাখা হয়েছে। যখনই আমাদের সহযোগিতা চাওয়া হবে, তখনই তারা কাজ করবে।'
সেতু দুটির মেরামতকাজ উদ্বোধনের সময় আরো উপস্থিত ছিলেন সেনাবাহিনীর ইঞ্জিনিয়ারিং কোরের প্রধান সমন্বয়কারী ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আবু সাইদ মোহাম্মদ মাসুদ, মেজর আমির হোসেন এবং সেতু দুটির টোল আদায়কারী প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা আরফাত হোসেন প্রমুখ।
যোগাযোগমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের আগামী সাত দিনের মধ্যে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের দুই পাশের অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দিয়েছেন।
আবার শোকজ করা হবে
কাঁচপুরে বেহাল মহাসড়ক দেখে যোগাযোগমন্ত্রী ক্ষোভ প্রকাশ করেন। সড়ক ও জনপথ বিভাগের প্রধান প্রকৌশলী আমিনুল ইসলাম লস্করের উপস্থিতিতে নারায়ণগঞ্জের নির্বাহী প্রকৌশলী হাবিবুর রহমান ও ঢাকা সার্কেলের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী সাহাবুদ্দিনকে মৌখিকভাবে সতর্ক করে দেন মন্ত্রী। তিনি বলেন, 'তোমাদের এর আগেও শোকজ করা হয়েছিল। আবারও কাজে অবহেলা করলে শোকজ করা হবে।' প্রকৌশলী হাবিবুর রহমান মৌখিকভাবে সতর্ক করার বিষয়টি স্বীকার করেছেন।
দাউদকান্দি যাওয়ার সময় গতকাল সকাল সাড়ে ১০টার দিকে কাঁচপুর সেতুর পূর্ব প্রান্তে মহাসড়কে বড় গর্ত দেখে সেখানে নামেন যোগাযোগমন্ত্রী। তখন প্রকৌশলীদের কাজের ব্যাপারে এভাবে ক্ষোভ প্রকাশ করেন তিনি।
No comments