অবশেষে ‘ঈশ্বর কণার’ সন্ধান মিলল!
মিলনায়তনে ঢুকতেই সারা রাত বাইরে কেটেছে হাজার খানেক বিজ্ঞানীর। ঠিক যেন তুমুল জনপ্রিয় শিল্পীর কনসার্টের বাইরের দৃশ্য। এমনই ছিল সুইজারল্যান্ডের জেনেভায় সার্ন গবেষণাগারের কার্যালয়ের বাইরের চিত্র। বিজ্ঞানীদের এমন অপেক্ষার কারণ একটিই, পদার্থবিজ্ঞানের সেই সোনার হরিণ—হিগস বোসনের অস্তিত্বের প্রমাণ মিলবে কি না,
তা জানা। অবশেষে ঘোষণা এল, নতুন একটি অতিপারমাণবিক কণার অস্তিত্ব সত্যিই পাওয়া গেছে; আর তা হিগস বোসনের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ।
‘ঈশ্বর কণা’ হিসেবে পরিচিত এই হিগস বোসনের খোঁজ চলছে প্রায় ৪৫ বছর ধরে। আর গতকাল বুধবার ইউরোপিয়ান অর্গানাইজেশন ফর নিউক্লিয়ার রিসার্চের (সার্ন) কার্যালয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে তথ্য-উপাত্ত তুলে ধরে নতুন কণাটির অস্তিত্ব নিশ্চিত করেন বিজ্ঞানীরা।
যে হিগস বোসন নিয়ে এত আলোচনা, তা আসলে কী? আর এর অস্তিত্ব মেলার গুরুত্বই বা কী? প্রথম আলোর পক্ষ থেকে যোগাযোগ করা হলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থবিজ্ঞানের শিক্ষক মুহাম্মদ ইব্রাহিম বিষয়টি ব্যাখ্যা করেন। তিনি বলেন, ‘মহাবিশ্বের উৎপত্তির পর সবকিছুই ছিল শক্তি হিসেবে। কোনো কিছুর ভর ছিল না। কণিকাগুলোই একসময় ভর লাভ করে। এটিই হিগসের তত্ত্বের মূল কথা। এখন এই ভরযুক্ত কণিকা যদি না হতো, তাহলে কোনো গ্যালাক্সি, তারা কিংবা আমাদের পৃথিবীর মতো গ্রহ দানা বাঁধত না। ফলে আমাদের বস্তুজগৎও আসত না। আমরাও আসতাম না। হিগস বোসন কণার অস্তিত্ব মেলায় পদার্থবিদ্যার একটি মৌলিক প্রশ্নের সমাধান পাওয়া যাবে।’
বিজ্ঞানীরা বলেন, বস্তুর ভর কীভাবে এল, তা হিগস বোসন কণা ব্যাখ্যা করতে পারে। ব্রিটিশ তাত্ত্বিক পদার্থবিজ্ঞানী পিটার ওয়ার হিগসসহ কয়েকজন বিজ্ঞানী গত শতাব্দীর ষাটের দশক থেকে এ নিয়ে কাজ করছিলেন। এ কণার সঙ্গে আমাদের সত্যেন্দ্রনাথ বসুর নামটিও যুক্ত। কারণ, তাঁর কণা পরিসংখ্যানতত্ত্ব এ গবেষণা এগিয়ে নিয়েছে। পিটার হিগস ও সত্যেন বোসের নাম মিলিয়ে কণাটির নাম দেওয়া হয়েছিল হিগস বোসন।
নতুন কণার অস্তিত্ব মেলার ঘোষণায় উল্লসিত সেই পিটার হিগসও। গতকাল তিনি বলেন, ‘আমি কখনোই প্রত্যাশা করিনি যে আমার জীবদ্দশাতেই এটা ঘটবে।’
বিজ্ঞানীরা মনে করেন, হিগস বোসন কণা ব্রহ্মাণ্ডের সৃষ্টিরহস্যসহ অনেক প্রশ্নের জবাব দিতে পারে। এই আবিষ্কারকে তাই মানবসভ্যতার জন্য ‘মাইলফলক’ হিসেবে আখ্যা দেওয়া হচ্ছে।
সার্ন এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, নতুন এই কণার তত্ত্ব হিগস বোসন কণার সঙ্গে সংগতিপূর্ণ। তবে এটি আসলেই হিগস বোসন কি না, তা নিয়ে নিশ্চিত হতে আরও তথ্য-উপাত্ত দরকার।
সার্নের মহাপরিচালক রল্ফ হওয়ের বলেন, ‘হিগস বোসনের সঙ্গে সংগতিপূর্ণ একটি কণার আবিষ্কার আরও বিশদ গবেষণার দ্বার খুলে দিয়েছে।’
এ আবিষ্কার সম্পর্কে যুক্তরাজ্যের সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি ফ্যাসিলিটিজ কাউন্সিলের প্রধান নির্বাহী অধ্যাপক জন উমার্সলি বলেছেন, ‘মহাবিশ্ব সম্পর্কে আমরা আজ এমন কিছু জানি, যা গতকালও জানা ছিল না।’
সার্ন মাটির নিচে অবস্থিত বিশাল একটি গবেষণাগারে হিগস বোসন অনুসন্ধানের পরীক্ষা চালিয়েছে। এখানে সুবিশাল যন্ত্র লার্জ হ্যাড্রন কোলাইডারের (এলএইচসি) মাধ্যমে প্রোটন কণার মধ্যে অতি উচ্চগতিতে সংঘর্ষ ঘটানো হয়। এর ফলেই নতুন অতিপারমাণবিক কণাটির অস্তিত্ব মেলে। পক্ষপাতিত্ব বা একপেশে ভাব এড়াতে সার্নের দুটি গবেষণাগারে স্বতন্ত্রভাবে এ গবেষণা চালানো হয়।
‘ঈশ্বর কণা’ হিসেবে পরিচিত এই হিগস বোসনের খোঁজ চলছে প্রায় ৪৫ বছর ধরে। আর গতকাল বুধবার ইউরোপিয়ান অর্গানাইজেশন ফর নিউক্লিয়ার রিসার্চের (সার্ন) কার্যালয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে তথ্য-উপাত্ত তুলে ধরে নতুন কণাটির অস্তিত্ব নিশ্চিত করেন বিজ্ঞানীরা।
যে হিগস বোসন নিয়ে এত আলোচনা, তা আসলে কী? আর এর অস্তিত্ব মেলার গুরুত্বই বা কী? প্রথম আলোর পক্ষ থেকে যোগাযোগ করা হলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থবিজ্ঞানের শিক্ষক মুহাম্মদ ইব্রাহিম বিষয়টি ব্যাখ্যা করেন। তিনি বলেন, ‘মহাবিশ্বের উৎপত্তির পর সবকিছুই ছিল শক্তি হিসেবে। কোনো কিছুর ভর ছিল না। কণিকাগুলোই একসময় ভর লাভ করে। এটিই হিগসের তত্ত্বের মূল কথা। এখন এই ভরযুক্ত কণিকা যদি না হতো, তাহলে কোনো গ্যালাক্সি, তারা কিংবা আমাদের পৃথিবীর মতো গ্রহ দানা বাঁধত না। ফলে আমাদের বস্তুজগৎও আসত না। আমরাও আসতাম না। হিগস বোসন কণার অস্তিত্ব মেলায় পদার্থবিদ্যার একটি মৌলিক প্রশ্নের সমাধান পাওয়া যাবে।’
বিজ্ঞানীরা বলেন, বস্তুর ভর কীভাবে এল, তা হিগস বোসন কণা ব্যাখ্যা করতে পারে। ব্রিটিশ তাত্ত্বিক পদার্থবিজ্ঞানী পিটার ওয়ার হিগসসহ কয়েকজন বিজ্ঞানী গত শতাব্দীর ষাটের দশক থেকে এ নিয়ে কাজ করছিলেন। এ কণার সঙ্গে আমাদের সত্যেন্দ্রনাথ বসুর নামটিও যুক্ত। কারণ, তাঁর কণা পরিসংখ্যানতত্ত্ব এ গবেষণা এগিয়ে নিয়েছে। পিটার হিগস ও সত্যেন বোসের নাম মিলিয়ে কণাটির নাম দেওয়া হয়েছিল হিগস বোসন।
নতুন কণার অস্তিত্ব মেলার ঘোষণায় উল্লসিত সেই পিটার হিগসও। গতকাল তিনি বলেন, ‘আমি কখনোই প্রত্যাশা করিনি যে আমার জীবদ্দশাতেই এটা ঘটবে।’
বিজ্ঞানীরা মনে করেন, হিগস বোসন কণা ব্রহ্মাণ্ডের সৃষ্টিরহস্যসহ অনেক প্রশ্নের জবাব দিতে পারে। এই আবিষ্কারকে তাই মানবসভ্যতার জন্য ‘মাইলফলক’ হিসেবে আখ্যা দেওয়া হচ্ছে।
সার্ন এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, নতুন এই কণার তত্ত্ব হিগস বোসন কণার সঙ্গে সংগতিপূর্ণ। তবে এটি আসলেই হিগস বোসন কি না, তা নিয়ে নিশ্চিত হতে আরও তথ্য-উপাত্ত দরকার।
সার্নের মহাপরিচালক রল্ফ হওয়ের বলেন, ‘হিগস বোসনের সঙ্গে সংগতিপূর্ণ একটি কণার আবিষ্কার আরও বিশদ গবেষণার দ্বার খুলে দিয়েছে।’
এ আবিষ্কার সম্পর্কে যুক্তরাজ্যের সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি ফ্যাসিলিটিজ কাউন্সিলের প্রধান নির্বাহী অধ্যাপক জন উমার্সলি বলেছেন, ‘মহাবিশ্ব সম্পর্কে আমরা আজ এমন কিছু জানি, যা গতকালও জানা ছিল না।’
সার্ন মাটির নিচে অবস্থিত বিশাল একটি গবেষণাগারে হিগস বোসন অনুসন্ধানের পরীক্ষা চালিয়েছে। এখানে সুবিশাল যন্ত্র লার্জ হ্যাড্রন কোলাইডারের (এলএইচসি) মাধ্যমে প্রোটন কণার মধ্যে অতি উচ্চগতিতে সংঘর্ষ ঘটানো হয়। এর ফলেই নতুন অতিপারমাণবিক কণাটির অস্তিত্ব মেলে। পক্ষপাতিত্ব বা একপেশে ভাব এড়াতে সার্নের দুটি গবেষণাগারে স্বতন্ত্রভাবে এ গবেষণা চালানো হয়।
No comments