রোজার পণ্যের সরবরাহ বাড়ল by মাসুদ মিলাদ
গত বছর পবিত্র রমজানের আগের তিন মাসে চট্টগ্রাম বন্দর দিয়ে পরিশোধিত ও অপরিশোধিত চিনি আমদানি হয় দুই লাখ ৭৬ হাজার টন। এবার একই সময়ে (এপ্রিল-জুন) আমদানি হয়েছে তিন লাখ ৭৬ হাজার টন। অর্থাৎ গত বছরের একই সময়ের তুলনায় রোজায় সরবরাহ বেড়েছে প্রায় এক লাখ টন।
রোজার সময় চিনির চাহিদা ধরা হয় দেড় লাখ টনের বেশি। সে হিসেবে এবার রোজায় স্বাভাবিকের চেয়ে সরবরাহ বেশি হয়েছে।
চট্টগ্রাম কাস্টম হাউস সূত্রে জানা গেছে, চিনির মতো সয়াবিন ও পামতেল, মসুর ডাল, মটর ডালের সরবরাহ গত বছরের চেয়ে বেড়েছে। অস্ট্রেলিয়া থেকে ছোলা আমদানি কমে যাওয়ায় যে শঙ্কা ছিল, তা কিছুটা হলেও কেটেছে। কারণ, গত মাসে অস্ট্রেলিয়ার পাশাপাশি মিয়ানমার থেকেও ছোলা আমদানি হয়েছে প্রায় ১২ হাজার টন।
জানতে চাইলে চট্টগ্রাম চেম্বারের জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি ও খাতুনগঞ্জ ট্রেড অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির সভাপতি মাহবুব আলম গত মঙ্গলবার প্রথম আলোকে বলেন, ‘চট্টগ্রাম চেম্বারের পক্ষ থেকে রোজার পণ্যের সরবরাহ ও দাম নিয়মিত পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে। এখন পর্যন্ত সরবরাহ ভালো বলে তথ্য আছে। তবে ছোলার দাম বেশি হওয়ায় সরকারিভাবে রোজার আগে অন্তত কয়েক হাজার টন আমদানি করে ভর্তুকি দিয়ে সরবরাহ করা উচিত। এতে নিম্ন আয়ের মানুষ উপকৃত হবে।’
কাস্টম হাউসের হিসাবে দেখা যায়, বেসরকারি খাতের পাশাপাশি সরকারি খাতে চিনি আমদানি বাড়ায় বাজারে সরবরাহ বেড়েছে। চিনির আমদানি মূল্যও কমেছে। যেমন, গত এপিল মাসে অপরিশোধিত চিনির আমদানি মূল্য ছিল কেজিপ্রতি ৫২ টাকা ৩২ পয়সা। গত মাসে দাম কমে দাঁড়ায় ৫০ টাকা। বিশ্ববাজারে দাম কমায় এবং আমদানি বাড়ায় এবার এই পণ্যটির দাম স্থিতিশীল রয়েছে। এমনকি পাইকারি বাজারে আমদানি মূল্যের চেয়ে কম দামেই অর্থাৎ কেজিপ্রতি ৪৮-৪৯ টাকা দামে চিনি বিক্রি হচ্ছে।
চিনির পাশাপাশি গত বছরের একই সময়ের চেয়ে ভোজ্যতেল সয়াবিন ও পামতেলের সরবরাহ বেড়েছে ২৬ হাজার টন।
গত বছর এপ্রিল থেকে জুন পর্যন্ত তিন মাসে চট্টগ্রাম বন্দর দিয়ে ভোজ্যতেল আমদানি হয় তিন লাখ ৭২ হাজার টন। এবার একই সময়ে এসেছে তিন লাখ ৯৬ হাজার টন। এই পণ্যটির সরবরাহ বৃদ্ধি এবং আন্তর্জাতিক বাজারে দাম কমার পরও খুচরা বাজারে দাম কমছে না।
গত মঙ্গলবার রেয়াজউদ্দিন বাজারে খোলা সয়াবিন তেল কেজিপ্রতি বিক্রি হয় ১৩৩ টাকা। লিটার হিসাবে দাম পড়ে ১২০ টাকা।
রোজায় বেশি ব্যবহূত মটর ডালের সরবরাহ বেড়েছে ৬০ হাজার টনেরও বেশি। গত বছর রোজার আগের তিন মাসে আমদানি হয় ৭২ হাজার ৩৭৮ টন। এবার একই সময়ে আমদানি হয় এক লাখ ৩২ হাজার টন। এপ্রিল থেকে জুন পর্যন্ত মটর ডালের আমদানি মূল্যও স্থিতিশীল রয়েছে। খালাসের খরচ ছাড়া দাম পড়েছে কেজিপ্রতি ৩৭ টাকা। খুচরায় মটর ডাল বিক্রি হচ্ছে ৪৪ থেকে ৪৬ টাকায়।
ছোলা আমদানির উৎস অস্ট্রেলিয়াতে সরবরাহ সীমাবদ্ধ হয়ে যাওয়ায় এবার ছোলার সরবরাহে কিছুটা শঙ্কা ছিল। তবে গত মাসে মিয়ানমার থেকে বন্দর দিয়ে ছোলা আমদানি শুরু হওয়ায় শঙ্কা কাটতে শুরু করেছে। গত তিন মাসে ছোলা আমদানি হয়েছে প্রায় ৫৮ হাজার টন। গত বছর একই সময়ে আমদানি হয়েছিল প্রায় ৩৯ হাজার টন।
মসুর ডালের সরবরাহও এবার বেশি। গত বছর এপ্রিল থেকে জুন পর্যন্ত মসুর ডাল আমদানি হয় প্রায় ১১ হাজার টন। এবার একই সময়ে আমদানি হয়েছে ৩৭ হাজার টন।
খাতুনগঞ্জের ব্যবসায়ীরা জানান, নেপাল থেকে আমদানি কমে যাওয়ায় এখন বন্দর দিয়ে অস্ট্রেলিয়া ও কানাডা থেকে মসুর ডাল আমদানি বেড়েছে।
চট্টগ্রাম কাস্টম হাউস সূত্রে জানা গেছে, চিনির মতো সয়াবিন ও পামতেল, মসুর ডাল, মটর ডালের সরবরাহ গত বছরের চেয়ে বেড়েছে। অস্ট্রেলিয়া থেকে ছোলা আমদানি কমে যাওয়ায় যে শঙ্কা ছিল, তা কিছুটা হলেও কেটেছে। কারণ, গত মাসে অস্ট্রেলিয়ার পাশাপাশি মিয়ানমার থেকেও ছোলা আমদানি হয়েছে প্রায় ১২ হাজার টন।
জানতে চাইলে চট্টগ্রাম চেম্বারের জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি ও খাতুনগঞ্জ ট্রেড অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির সভাপতি মাহবুব আলম গত মঙ্গলবার প্রথম আলোকে বলেন, ‘চট্টগ্রাম চেম্বারের পক্ষ থেকে রোজার পণ্যের সরবরাহ ও দাম নিয়মিত পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে। এখন পর্যন্ত সরবরাহ ভালো বলে তথ্য আছে। তবে ছোলার দাম বেশি হওয়ায় সরকারিভাবে রোজার আগে অন্তত কয়েক হাজার টন আমদানি করে ভর্তুকি দিয়ে সরবরাহ করা উচিত। এতে নিম্ন আয়ের মানুষ উপকৃত হবে।’
কাস্টম হাউসের হিসাবে দেখা যায়, বেসরকারি খাতের পাশাপাশি সরকারি খাতে চিনি আমদানি বাড়ায় বাজারে সরবরাহ বেড়েছে। চিনির আমদানি মূল্যও কমেছে। যেমন, গত এপিল মাসে অপরিশোধিত চিনির আমদানি মূল্য ছিল কেজিপ্রতি ৫২ টাকা ৩২ পয়সা। গত মাসে দাম কমে দাঁড়ায় ৫০ টাকা। বিশ্ববাজারে দাম কমায় এবং আমদানি বাড়ায় এবার এই পণ্যটির দাম স্থিতিশীল রয়েছে। এমনকি পাইকারি বাজারে আমদানি মূল্যের চেয়ে কম দামেই অর্থাৎ কেজিপ্রতি ৪৮-৪৯ টাকা দামে চিনি বিক্রি হচ্ছে।
চিনির পাশাপাশি গত বছরের একই সময়ের চেয়ে ভোজ্যতেল সয়াবিন ও পামতেলের সরবরাহ বেড়েছে ২৬ হাজার টন।
গত বছর এপ্রিল থেকে জুন পর্যন্ত তিন মাসে চট্টগ্রাম বন্দর দিয়ে ভোজ্যতেল আমদানি হয় তিন লাখ ৭২ হাজার টন। এবার একই সময়ে এসেছে তিন লাখ ৯৬ হাজার টন। এই পণ্যটির সরবরাহ বৃদ্ধি এবং আন্তর্জাতিক বাজারে দাম কমার পরও খুচরা বাজারে দাম কমছে না।
গত মঙ্গলবার রেয়াজউদ্দিন বাজারে খোলা সয়াবিন তেল কেজিপ্রতি বিক্রি হয় ১৩৩ টাকা। লিটার হিসাবে দাম পড়ে ১২০ টাকা।
রোজায় বেশি ব্যবহূত মটর ডালের সরবরাহ বেড়েছে ৬০ হাজার টনেরও বেশি। গত বছর রোজার আগের তিন মাসে আমদানি হয় ৭২ হাজার ৩৭৮ টন। এবার একই সময়ে আমদানি হয় এক লাখ ৩২ হাজার টন। এপ্রিল থেকে জুন পর্যন্ত মটর ডালের আমদানি মূল্যও স্থিতিশীল রয়েছে। খালাসের খরচ ছাড়া দাম পড়েছে কেজিপ্রতি ৩৭ টাকা। খুচরায় মটর ডাল বিক্রি হচ্ছে ৪৪ থেকে ৪৬ টাকায়।
ছোলা আমদানির উৎস অস্ট্রেলিয়াতে সরবরাহ সীমাবদ্ধ হয়ে যাওয়ায় এবার ছোলার সরবরাহে কিছুটা শঙ্কা ছিল। তবে গত মাসে মিয়ানমার থেকে বন্দর দিয়ে ছোলা আমদানি শুরু হওয়ায় শঙ্কা কাটতে শুরু করেছে। গত তিন মাসে ছোলা আমদানি হয়েছে প্রায় ৫৮ হাজার টন। গত বছর একই সময়ে আমদানি হয়েছিল প্রায় ৩৯ হাজার টন।
মসুর ডালের সরবরাহও এবার বেশি। গত বছর এপ্রিল থেকে জুন পর্যন্ত মসুর ডাল আমদানি হয় প্রায় ১১ হাজার টন। এবার একই সময়ে আমদানি হয়েছে ৩৭ হাজার টন।
খাতুনগঞ্জের ব্যবসায়ীরা জানান, নেপাল থেকে আমদানি কমে যাওয়ায় এখন বন্দর দিয়ে অস্ট্রেলিয়া ও কানাডা থেকে মসুর ডাল আমদানি বেড়েছে।
No comments