দৌলতপুরের বিস্তীর্ণ ফসলি জমি-বসতভিটা নদীগর্ভে by আব্দুল মোমিন
যমুনা নদীর ভয়াবহ ভাঙনে গত ১৫ দিনে মানিকগঞ্জের দৌলতপুর উপজেলার চারটি ইউনিয়নে অন্তত পাঁচ বর্গকিলোমিটার এলাকার ফসলি জমি নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। বসতভিটা হারিয়েছে দেড় হাজারেরও বেশি পরিবার। তবে ভাঙনরোধে চোখে পড়ার মতো কোনো কার্যকর পদক্ষেপ নেই কর্তৃপক্ষের।
ভাঙনকবলিত এলাকার লোকজন ও জনপ্রতিনিধিরা জানান, এ বছর নদীর পানি বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে দৌলতপুরের বাচামারা, চরকাটারী, জিয়নপুর ও বাঘুটিয়া ইউনিয়নের অন্তত ৪০টি গ্রামে ভাঙন শুরু হয়েছে। এর মধ্যে বাচামারা ইউনিয়নের চুয়াডাঙ্গা, হাজিপাড়া, কাচারীপাড়া ও উত্তরখণ্ড-বাচামারা; চরকাটারী ইউনিয়নের গোবিন্দপুর, নকের আলী মাদবর পাড়া, ওহেল আলীর পাড়া, বাঘপাড়া ও মণ্ডলপাড়া; জিয়নপুর ইউনিয়নের বরটিয়া, আমতলী ও বৈন্যা এবং বাঘুটিয়া ইউনিয়নের বেপারীপাড়া ও ফকিরপাড়া এলাকা সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
দৌলতপুর উপজেলা প্রশাসন সূত্র জানায়, গত ১৫ দিনে যমুনার ভয়াবহ ভাঙনে এসব এলাকার অন্তত পাঁচ বর্গকিলোমিটার ফসলি জমি নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। বসতভিটা হারিয়েছে দেড় হাজারেরও বেশি পরিবার। ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের সংখ্যা ছয় হাজারেরও বেশি। এ ছাড়া বেশ কয়েকটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, হাটবাজার ও মসজিদ-মাদ্রাসাও ভাঙনের হুমকিতে রয়েছে।
গত মঙ্গলবার ভাঙনকবলিত বাচামারা, জিয়নপুর ও চরকাটারী ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা যায়, অনেক ফসলি জমি ও বেশ কয়েকটি বাড়ি নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। বসতভিটা হারিয়ে অনেক পরিবার খোলা আকাশের নিচে বসবাস করছে। অনেকে ভাঙনের হাত থেকে রক্ষায় বাড়িঘর অন্যত্র সরিয়ে নিতে ব্যস্ত হয়ে পড়েছে।
বাচামারা ইউনিয়নের চুয়াডাঙ্গা গ্রামের বৃদ্ধ হামেদ আলী জানান, তিনি গত ২০ বছরে প্রায় ৩০ বিঘা চাষের জমি হারিয়েছেন। শেষ সম্বল বসতভিটাটুকুও গত শুক্রবার নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যাওয়ায় পরিবার-পরিজন নিয়ে তিনি পাশের কোলগ্রাম এলাকায় অন্যের বাড়িতে আশ্রয় নিতে বাধ্য হয়েছেন।
গত ১৫ দিনে বাড়িঘর হারিয়ে নিঃস্ব হয়েছেন বাঘুটিয়া ইউনিয়নের ফকিরপাড়া গ্রামের আক্কাস মোল্লা, করিম শেখ, ওয়াজেদ আলী, বাচামারা ইউনিয়নের কাচারীপাড়া গ্রামের আবুল কালাম, কাজীমুদ্দিন, আবদুল আজিজ এবং চরকাটারী ইউনিয়নের গোবিন্দপুর গ্রামের সমেজ মাদবর, তারা মোল্লা ও আজমত শেখ। তাঁরা জানান, কয়েক মাস আগেও তাঁদের জমিজমা ছিল। ছিল ফসলের আবাদ। কিন্তু যমুনার হিংস্র থাবায় এখন তাঁরা নিঃস্ব।
চরকাটারী ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান আবুল কালাম আজাদ অভিযোগ করেন, গত ৩০ বছরে নয়টি ওয়ার্ডের মধ্যে ছয়টিই নদীতে বিলীন হয়ে গেছে। কিন্তু ভাঙনরোধে কর্তৃপক্ষ এ পর্যন্ত কোনো ব্যবস্থা নেয়নি।
মানিকগঞ্জের জেলা প্রশাসক মুনশী শাহাবুদ্দীন আহমেদ প্রথম আলোকে বলেন, ‘নদী ভাঙনরোধে বড় ধরনের উদ্যোগ নেওয়ার দায়িত্ব পানি উন্নয়ন বোর্ডের। আমরা ক্ষতিগ্রস্তদের সাধ্যমতো সহায়তা ছাড়া আর কিছুই করতে পারি না। তবে এলাকাবাসীর কথা বিবেচনা করে পানি উন্নয়ন বোর্ডকে ভাঙনরোধে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য কার্যকর পদক্ষেপ নিতে বলা হয়েছে।’
মানিকগঞ্জ পাউবোর উপবিভাগীয় প্রকৌশলী গোলাম মোস্তফা সরকার বলেন, ভাঙনরোধে বাচামারা ইউনিয়নে ১১ লাখ টাকা ব্যয়ে বাঁশের তৈরি পারকুপাইন দেওয়া হয়। কিন্তু যমুনার তীব্র স্রোতে তা ভেঙে যায়। ভাঙন ঠেকাতে প্রচুর অর্থের প্রয়োজন। অর্থের স্বল্পতার কারণে ব্যবস্থা নেওয়া যাচ্ছে না।
দৌলতপুর উপজেলা প্রশাসন সূত্র জানায়, গত ১৫ দিনে যমুনার ভয়াবহ ভাঙনে এসব এলাকার অন্তত পাঁচ বর্গকিলোমিটার ফসলি জমি নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। বসতভিটা হারিয়েছে দেড় হাজারেরও বেশি পরিবার। ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের সংখ্যা ছয় হাজারেরও বেশি। এ ছাড়া বেশ কয়েকটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, হাটবাজার ও মসজিদ-মাদ্রাসাও ভাঙনের হুমকিতে রয়েছে।
গত মঙ্গলবার ভাঙনকবলিত বাচামারা, জিয়নপুর ও চরকাটারী ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা যায়, অনেক ফসলি জমি ও বেশ কয়েকটি বাড়ি নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। বসতভিটা হারিয়ে অনেক পরিবার খোলা আকাশের নিচে বসবাস করছে। অনেকে ভাঙনের হাত থেকে রক্ষায় বাড়িঘর অন্যত্র সরিয়ে নিতে ব্যস্ত হয়ে পড়েছে।
বাচামারা ইউনিয়নের চুয়াডাঙ্গা গ্রামের বৃদ্ধ হামেদ আলী জানান, তিনি গত ২০ বছরে প্রায় ৩০ বিঘা চাষের জমি হারিয়েছেন। শেষ সম্বল বসতভিটাটুকুও গত শুক্রবার নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যাওয়ায় পরিবার-পরিজন নিয়ে তিনি পাশের কোলগ্রাম এলাকায় অন্যের বাড়িতে আশ্রয় নিতে বাধ্য হয়েছেন।
গত ১৫ দিনে বাড়িঘর হারিয়ে নিঃস্ব হয়েছেন বাঘুটিয়া ইউনিয়নের ফকিরপাড়া গ্রামের আক্কাস মোল্লা, করিম শেখ, ওয়াজেদ আলী, বাচামারা ইউনিয়নের কাচারীপাড়া গ্রামের আবুল কালাম, কাজীমুদ্দিন, আবদুল আজিজ এবং চরকাটারী ইউনিয়নের গোবিন্দপুর গ্রামের সমেজ মাদবর, তারা মোল্লা ও আজমত শেখ। তাঁরা জানান, কয়েক মাস আগেও তাঁদের জমিজমা ছিল। ছিল ফসলের আবাদ। কিন্তু যমুনার হিংস্র থাবায় এখন তাঁরা নিঃস্ব।
চরকাটারী ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান আবুল কালাম আজাদ অভিযোগ করেন, গত ৩০ বছরে নয়টি ওয়ার্ডের মধ্যে ছয়টিই নদীতে বিলীন হয়ে গেছে। কিন্তু ভাঙনরোধে কর্তৃপক্ষ এ পর্যন্ত কোনো ব্যবস্থা নেয়নি।
মানিকগঞ্জের জেলা প্রশাসক মুনশী শাহাবুদ্দীন আহমেদ প্রথম আলোকে বলেন, ‘নদী ভাঙনরোধে বড় ধরনের উদ্যোগ নেওয়ার দায়িত্ব পানি উন্নয়ন বোর্ডের। আমরা ক্ষতিগ্রস্তদের সাধ্যমতো সহায়তা ছাড়া আর কিছুই করতে পারি না। তবে এলাকাবাসীর কথা বিবেচনা করে পানি উন্নয়ন বোর্ডকে ভাঙনরোধে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য কার্যকর পদক্ষেপ নিতে বলা হয়েছে।’
মানিকগঞ্জ পাউবোর উপবিভাগীয় প্রকৌশলী গোলাম মোস্তফা সরকার বলেন, ভাঙনরোধে বাচামারা ইউনিয়নে ১১ লাখ টাকা ব্যয়ে বাঁশের তৈরি পারকুপাইন দেওয়া হয়। কিন্তু যমুনার তীব্র স্রোতে তা ভেঙে যায়। ভাঙন ঠেকাতে প্রচুর অর্থের প্রয়োজন। অর্থের স্বল্পতার কারণে ব্যবস্থা নেওয়া যাচ্ছে না।
No comments