মাদকাসক্তির মরণ ছোবল চাই না by মোহাম্মদ আল মামুন
মাদক একটি অভিশাপ। সমগ্র বিশ্বের যুব সমাজ আজ এক ভয়াবহ হুমকির সম্মুখীন। মাদকের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানো বা সচেতন হওয়া প্রত্যেকটি নাগরিকের দায়িত্ব ও কর্তব্য। আমাদের দেশে মাদকাসক্ত লোকের সংখ্যা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। বাংলাদেশের দারিদ্র্যপীড়িত বস্তি এলাকায় মাদকদ্রব্যের অবাধ বিচরণ দেখে বিস্ময়ে হতবাক হতে হয়।
হেরোইন একটি ধ্বংসাত্মক নেশা। এটা সেবন করে যুব সমাজ বিভ্রান্ত ও বিপদগ্রস্ত হয়ে পড়ে। এটি নিয়মিত সেবন করলে খাদ্যমন্দা দেখা দেবে। শরীর ক্রমে শুকিয়ে আসবে এবং দুর্বল মনে হবে।
আন্তর্জাতিক মাদকদ্রব্য চোরাচালানকারীরাই এর প্রসারের প্রধান মাধ্যম। চোরাচালানের মধ্যে হেরোইন সর্বাপেক্ষা লাভজনক ব্যবসা। বিভিন্ন কৌশলে এ চোরাচালানকারী দল যুব সমাজকে নেশাগ্রস্ত করে তুলেছে। মাদকের ব্যবহার ও মাদক ব্যবসার বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানো অতীব জরুরি। সংবিধানের ১৮নং অনুচ্ছেদে মাদকের ব্যবহার ও ব্যবসার বিরুদ্ধে বলা হয়েছে, 'জনগণের পুষ্টির স্তর উন্নয়ন ও জনস্বাস্থ্যের উন্নতি রাষ্ট্র অন্যতম কর্তব্য বলিয়া গণ্য করিবেন এবং বিশেষতঃ আরোগ্যের প্রয়োজন কিংবা আইনের দ্বারা নির্দিষ্ট অন্যবিধ প্রয়োজন ব্যতীত মদ্য ও অন্যান্য মাদক পানীয় এবং স্বাস্থ্যহীনকর ভেষজের ব্যবহার নিষিদ্ধকরণের জন্য রাষ্ট্র কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করিবেন।' সংবিধানের এ অনুচ্ছেদটি মেনে চলা উচিত। এ ছাড়া জাতীয়ভাবে সেমিনার-সিম্পোজিয়ামের আয়োজন করতে হবে, যাতে মানুষ এ ব্যাপারে সচেতন হয়ে ওঠে। যুব ও তরুণ সমাজকে মারাত্মক এ নেশা থেকে রক্ষা করতে রেডিও-টেলিভিশনসহ জাতীয় প্রচারমাধ্যমে ব্যাপক কর্মসূচি গ্রহণ করতে হবে। হেরোইনসহ সব জাতীয় মাদক বিক্রেতার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করতে হবে। ধর্মীয় অনুশাসন মেনে চলতে উৎসাহিত করতে হবে। বেকার যুবকদের যোগ্যতা অনুযায়ী কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করতে হবে। এ বিষয়গুলোর বাস্তবায়ন করলে মাদকের ব্যবহার কমিয়ে আনা সম্ভব। মাদক নামক ভয়াবহ অভিশাপ থেকে দেশকে মুক্ত রাখার জন্য সমাজের সর্বস্তরের জনগণ ও সরকারকে সর্বদা সজাগ থাকা উচিত।
হ শিক্ষার্থী, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়
আন্তর্জাতিক মাদকদ্রব্য চোরাচালানকারীরাই এর প্রসারের প্রধান মাধ্যম। চোরাচালানের মধ্যে হেরোইন সর্বাপেক্ষা লাভজনক ব্যবসা। বিভিন্ন কৌশলে এ চোরাচালানকারী দল যুব সমাজকে নেশাগ্রস্ত করে তুলেছে। মাদকের ব্যবহার ও মাদক ব্যবসার বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানো অতীব জরুরি। সংবিধানের ১৮নং অনুচ্ছেদে মাদকের ব্যবহার ও ব্যবসার বিরুদ্ধে বলা হয়েছে, 'জনগণের পুষ্টির স্তর উন্নয়ন ও জনস্বাস্থ্যের উন্নতি রাষ্ট্র অন্যতম কর্তব্য বলিয়া গণ্য করিবেন এবং বিশেষতঃ আরোগ্যের প্রয়োজন কিংবা আইনের দ্বারা নির্দিষ্ট অন্যবিধ প্রয়োজন ব্যতীত মদ্য ও অন্যান্য মাদক পানীয় এবং স্বাস্থ্যহীনকর ভেষজের ব্যবহার নিষিদ্ধকরণের জন্য রাষ্ট্র কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করিবেন।' সংবিধানের এ অনুচ্ছেদটি মেনে চলা উচিত। এ ছাড়া জাতীয়ভাবে সেমিনার-সিম্পোজিয়ামের আয়োজন করতে হবে, যাতে মানুষ এ ব্যাপারে সচেতন হয়ে ওঠে। যুব ও তরুণ সমাজকে মারাত্মক এ নেশা থেকে রক্ষা করতে রেডিও-টেলিভিশনসহ জাতীয় প্রচারমাধ্যমে ব্যাপক কর্মসূচি গ্রহণ করতে হবে। হেরোইনসহ সব জাতীয় মাদক বিক্রেতার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করতে হবে। ধর্মীয় অনুশাসন মেনে চলতে উৎসাহিত করতে হবে। বেকার যুবকদের যোগ্যতা অনুযায়ী কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করতে হবে। এ বিষয়গুলোর বাস্তবায়ন করলে মাদকের ব্যবহার কমিয়ে আনা সম্ভব। মাদক নামক ভয়াবহ অভিশাপ থেকে দেশকে মুক্ত রাখার জন্য সমাজের সর্বস্তরের জনগণ ও সরকারকে সর্বদা সজাগ থাকা উচিত।
হ শিক্ষার্থী, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়
No comments