ইরানের হয়ে গোয়েন্দাগিরি!-সাংবাদিকের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহের অভিযোগ আজারবাইজানের

ইরানের হয়ে গোয়েন্দাগিরির অভিযোগে এক সাংবাদিক ও মানবাধিকারকর্মীর বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহের অভিযোগ এনেছে আজারবাইজান। সরকারি কর্মকর্তারা গতকাল বুধবার এ কথা জানান। এ ঘটনা আজারবাইজান ও ইরানের মধ্যে সম্পর্কে আবারও উত্তেজনা ছড়িয়েছে।


স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় গতকাল জানায়, আজারবাইজানের তালিশ সংখ্যালঘু নৃ-গোষ্ঠীর পত্রিকা 'তালিশি সাদো'র সম্পাদক হিলাল মামেদোভ সাংবাদিকতার আড়ালে 'ইরানের গোয়েন্দা সংস্থার জন্য কাজ করছেন।' এর জন্য ইরানি কর্তৃপক্ষ তাঁকে নিয়মিত পারিশ্রমিকও দিচ্ছে। এক বিবৃতিতে মন্ত্রণালয় জানায়, 'তিনি (মামেদোভ) দেশের সার্বভৌমত্ব, জাতীয় নিরাপত্তা এবং আঞ্চলিক অখণ্ডতার বিরুদ্ধে কাজ করছেন।'
মন্ত্রণালয় জানায়, ১৯৯২ সাল থেকেই ইরানের গোয়েন্দা সংস্থার জন্য কাজ করছেন মামেদোভ। নির্দেশ পেলে 'আজারবাইজানের ক্ষতি হয় এমন তথ্যও' সরবরাহ করেছেন তিনি। এসব অভিযোগে দোষী সাব্যস্ত হলে তাঁর যাবজ্জীবন কারাদণ্ড হতে পারে।
মামেদোভের আইনজীবী আনার গাসিমলি জানান, হেরোইন বহনের অভিযোগে মামেদোভকে গত মাসে গ্রেপ্তার করা হয়। এরপর গতকাল তাঁর বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহের অভিযোগ আনা হলো। তবে তাঁর মক্কেল সব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন বলে জানান তিনি। গ্রেপ্তার হওয়ার পর মামেদোভ বলেন, তাঁর বিশ্বাস 'সামাজিক, রাজনৈতিক ও মানবাধিকারবিষয়ক কাজকর্মের সঙ্গে' এ মামলার সংযোগ রয়েছে। গত মে মাসে রাজধানী বাকুতে অনুষ্ঠিত ইউরোভিশন সংগীত প্রতিযোগিতা নিয়ে কর্তৃপক্ষের প্রবল সমালোচনার কারণে গ্রেপ্তার করা হয় তাঁকে।
এর আগেও ২০০৮ সালে তালিশি সাদোর সাবেক সম্পাদক নোভরুজালি মামেদোভকেও একই অভিযোগে আটক করা হয়। এক বছর পর কারাগারেই তাঁর মৃত্যু হয়।
ইরানের সঙ্গে আজারবাইজানের সম্পর্কে বহুদিন ধরেই তিক্ততা চলছে। সম্প্রতি সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদনে জানা গেছে, আজারবাইজানের বিমান ঘাঁটিগুলো ব্যবহারের পরিকল্পনা করেছে ইসরায়েল। যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে তাদের সম্পর্ক ভালো। এরই মধ্যে বাকুর ইউরোভিশন আয়োজন ইরানকে ক্ষুব্ধ করে। ইরানি নেতারা এর তীব্র সমালোচনা করেন। বিষয়টিকে ভালোভাবে নেয়নি বাকু। সূত্র : এএফপি।

No comments

Powered by Blogger.