বাজারদর-শবে বরাতের আগে বাজার আবার চড়া
মাস খানেক আগেও রাজধানীর কাঁচাবাজারগুলোতে এক কেজি কাঁচা মরিচের দাম ছিল ২৫ থেকে ৩০ টাকা। গতকাল বুধবার তা বিক্রি হয়েছে বাজারভেদে ৭০ থেকে ১০০ টাকা কেজি। কৃষি মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন কৃষি বিপণন অধিদপ্তর বলছে, এক মাসে কাঁচা মরিচের দাম বেড়েছে ১৮৩ শতাংশ! অন্য সব সবজির দামও বেড়েছে।
সংস্থাটির হিসাবে, এক মাসে বেগুনের দাম ৬৩ শতাংশ এবং আলুর দাম ১৭ শতাংশ বেড়েছে।
শুধু সবজি নয়, শবে বরাত সামনে রেখে ছোলাসহ সব ধরনের ডালের দামও বেড়েছে। তবে ব্রয়লার মুরগি ও ডিমের দাম খানিকটা কমলেও এখনো তা অনেকের হাতের নাগালে নেই।
এদিকে শবে বরাত ও রমজান সামনে রেখে শিল্প মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন বাংলাদেশ চিনি ও খাদ্যশিল্প করপোরেশন (বিএসএফআইসি) গতকাল থেকে ন্যায্য মূল্যে ভ্রাম্যমাণ চিনি বিক্রি কর্মসূচি শুরু করেছে। সরকারি এই চিনি বিক্রি হবে ৬০ টাকা কেজি। যদিও বাজারে এখন প্রতি কেজি চিনির দাম ৫২ থেকে ৫৪ টাকা।
উত্তাপ ছড়াচ্ছে কাঁচা মরিচ: সবজির দাম যদিও এখন কিছুটা কম, তবে গত কয়েক দিনে বিভিন্ন ধরনের সবজির দাম বেড়েছে। রাজধানীর কারওয়ান বাজার ও নিউমার্কেট কাঁচাবাজার ঘুরে দেখা গেছে, প্রতি কেজি আলু ২২ থেকে ২৪, বেগুন মানভেদে ৩০ থেকে ৪০ টাকা, পেঁপে ২৮ থেকে ৩২, মিষ্টি কুমড়া ১৫ থেকে ২০, পটোল ২৬ থেকে ৩০, ঝিঙে ২৬ থেকে ৩৪, করলা ৩০ থেকে ৩৬, চিচিঙা ২৬ থেকে ৩২, ধুন্দল ২২ থেকে ৩০, কচুর লতি ২৫ থেকে ৩২, ঢ্যাঁড়স ২৪ থেকে ৩০, শসা ২০ থেকে ৩২, বরবটি ৩০ থেকে ৩২ এবং টমেটো ৬০ থেকে ৭০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
কাঁচাবাজারে এখন আগুন ঝরাচ্ছে কাঁচা মরিচ। কারওয়ান বাজারে প্রতি কেজি কাঁচা মরিচের দাম ৭০ থেকে ৮০ টাকা হলেও নিউমার্কেটে তা বিক্রি হচ্ছে ৯০ থেকে ১০০ টাকায়।
রাজধানীর বড় পাইকারি বাজার শ্যামবাজারে খোঁজ নিয়ে ভারতে কাঁচা মরিচ রপ্তানির তথ্য পাওয়া গেছে। শ্যামবাজার কৃষিপণ্য আড়ত বণিক সমিতির সভাপতি মো. সাঈদ প্রথম আলোকে বলেন, শ্যামবাজার থেকে কাঁচা মরিচ রপ্তানি হচ্ছে। কয়েকজন ব্যবসায়ী ভারতে কাঁচা মরিচ রপ্তানি করছেন।
জানা যায়, রপ্তানি শুরুর পরই শ্যামবাজারে কাঁচা মরিচের দাম বাড়তে শুরু করে। অথচ, শুক্রবারও এক কেজি মরিচ বিক্রি হয় ২৫ থেকে ৩০ টাকায়।
ছোলা-ডালের দামও চড়া: রাজধানীতে ভালো মানের মিয়ানমারের ছোলার কেজি বিক্রি হচ্ছে ৯০ থেকে ৯৫ টাকায়। আর অস্ট্রেলিয়ার ছোলার দাম ৭৮ থেকে ৮৫ টাকা কেজি। সরকারি সংস্থা ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) হিসাবে, এক মাসে ছোলার দাম বেড়েছে সাড়ে ১৮ শতাংশ।
একইভাবে বেড়েছে বিভিন্ন ধরনের ডালের দামও। প্রতি কেজি মসুর ডাল (ছোট দানা) ১০৫ থেকে ১১০ টাকা, বড় দানার ডাল ৭৬ থেকে ৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এ ছাড়া মুগ ডাল (ছোট দানা) ১১০ থেকে ১১৫ টাকা, বড় দানার ডাল ৮৫ থেকে ৯০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। খেসারির ডালের কেজি এখন ৫৪ থেকে ৫৬ টাকা।
কমেছে মুরগি-ডিমের দাম: বাজারে মুরগি ও ডিমের দাম খানিকটা কমেছে। এক কেজি ওজনের ব্রয়লার মুরগি এখন ১৬০ থেকে ১৭০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এক হালি ফার্মের ডিমের দাম ৩৬ থেকে ৩৮ টাকা। দেশি ডিমের হালি ৩৮ থেকে ৩৯ টাকা। হাঁসের ডিম বিক্রি হচ্ছে ৩৬ থেকে ৩৮ টাকা হালি।
কাঁচাবাজারে প্রতি কেজি গরুর মাংস ২৬০ থেকে ২৭০ টাকা আর খাসির মাংস ৪০০ থেকে সাড়ে ৪০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। তবে ইলিশ ছাড়া অন্য মাছের দাম কিছুটা কম। ৫০০ থেকে ৭০০ গ্রাম ওজনের একটি ইলিশ বিক্রি হচ্ছে ৭০০ থেকে ৮০০ টাকায়। আর প্রতি কেজি দেশি রুই ১৮০ থেকে ২৭০, আমদানি করা রুই ১৭০ থেকে ২৩০, কাতল ১৭০ থেকে ২৮০, পাঙাশ ১১০ থেকে ১৩০, তেলাপিয়া ১২০ থেকে ১৪০ এবং কৈ মাছ ২০০ থেকে ২৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
বেড়েছে পেঁয়াজের দাম: প্রতি কেজি দেশি পেঁয়াজ ২৮ থেকে ৩২ এবং আমদানি করা ভারতীয় পেঁয়াজ ২৩ থেকে ২৪ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এক মাসে পেঁয়াজের দাম বেড়েছে সাড়ে ৭ শতাংশ।
বাজারে দেশি রসুন ৪০ থেকে ৪৫ এবং চীনা রসুন ৮৫ থেকে ৯০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে। তবে দেশি ও চীনা আদা বাজারে একই দামে বিক্রি হচ্ছে, ৬০ থেকে ৬৫ টাকা কেজি।
বেশি দামে চিনি বিক্রির উদ্যোগ সরকারের: ৬০ টাকা কেজি দরে ন্যায্যমূল্যে বিএসএফআইসির ভ্রাম্যমাণ চিনি বিক্রি কর্মসূচি শুরু হয়েছে। কর্মসূচি চলবে রমজান মাস পর্যন্ত। জাতীয় প্রেসক্লাব, ৭৬ মতিঝিলে বিএসএফআইসির নির্মাণাধীন ভবন এবং ৩ দিলকুশায় অবস্থিত চিনিশিল্প ভবন—রাজধানীর এই তিনটি স্থানে চিনি বিক্রি হবে। এক কেজি ও দুই কেজির প্যাকেটজাত চিনি এখানে বিক্রি করা হবে।
বাজারের চলতি দরের চেয়ে বেশি দামে চিনি বিক্রির বিষয়ে করপোরেশনের সচিব ফেরদৌস বেগম প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমাদের চিনির উৎপাদন ব্যয় প্রতি কেজিতে ৮০ টাকা পড়ে। এই চিনি ৬০ টাকাও যদি বিক্রি না করি, তাহলে অনেক লোকসান হয়ে যাবে।’
ভোজ্যতেল: প্রতি লিটার খোলা সয়াবিন তেল ১২০ থেকে ১২১ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। আর বোতলজাত তেল বিক্রি হচ্ছে ১৩৫ টাকায়। পাঁচ লিটারের বোতল বিক্রি হচ্ছে ৬৭০ টাকায়। প্রতি লিটার খোলা পাম তেল বিক্রি হচ্ছে ৯৮ থেকে ১০০ টাকায়।
শুধু সবজি নয়, শবে বরাত সামনে রেখে ছোলাসহ সব ধরনের ডালের দামও বেড়েছে। তবে ব্রয়লার মুরগি ও ডিমের দাম খানিকটা কমলেও এখনো তা অনেকের হাতের নাগালে নেই।
এদিকে শবে বরাত ও রমজান সামনে রেখে শিল্প মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন বাংলাদেশ চিনি ও খাদ্যশিল্প করপোরেশন (বিএসএফআইসি) গতকাল থেকে ন্যায্য মূল্যে ভ্রাম্যমাণ চিনি বিক্রি কর্মসূচি শুরু করেছে। সরকারি এই চিনি বিক্রি হবে ৬০ টাকা কেজি। যদিও বাজারে এখন প্রতি কেজি চিনির দাম ৫২ থেকে ৫৪ টাকা।
উত্তাপ ছড়াচ্ছে কাঁচা মরিচ: সবজির দাম যদিও এখন কিছুটা কম, তবে গত কয়েক দিনে বিভিন্ন ধরনের সবজির দাম বেড়েছে। রাজধানীর কারওয়ান বাজার ও নিউমার্কেট কাঁচাবাজার ঘুরে দেখা গেছে, প্রতি কেজি আলু ২২ থেকে ২৪, বেগুন মানভেদে ৩০ থেকে ৪০ টাকা, পেঁপে ২৮ থেকে ৩২, মিষ্টি কুমড়া ১৫ থেকে ২০, পটোল ২৬ থেকে ৩০, ঝিঙে ২৬ থেকে ৩৪, করলা ৩০ থেকে ৩৬, চিচিঙা ২৬ থেকে ৩২, ধুন্দল ২২ থেকে ৩০, কচুর লতি ২৫ থেকে ৩২, ঢ্যাঁড়স ২৪ থেকে ৩০, শসা ২০ থেকে ৩২, বরবটি ৩০ থেকে ৩২ এবং টমেটো ৬০ থেকে ৭০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
কাঁচাবাজারে এখন আগুন ঝরাচ্ছে কাঁচা মরিচ। কারওয়ান বাজারে প্রতি কেজি কাঁচা মরিচের দাম ৭০ থেকে ৮০ টাকা হলেও নিউমার্কেটে তা বিক্রি হচ্ছে ৯০ থেকে ১০০ টাকায়।
রাজধানীর বড় পাইকারি বাজার শ্যামবাজারে খোঁজ নিয়ে ভারতে কাঁচা মরিচ রপ্তানির তথ্য পাওয়া গেছে। শ্যামবাজার কৃষিপণ্য আড়ত বণিক সমিতির সভাপতি মো. সাঈদ প্রথম আলোকে বলেন, শ্যামবাজার থেকে কাঁচা মরিচ রপ্তানি হচ্ছে। কয়েকজন ব্যবসায়ী ভারতে কাঁচা মরিচ রপ্তানি করছেন।
জানা যায়, রপ্তানি শুরুর পরই শ্যামবাজারে কাঁচা মরিচের দাম বাড়তে শুরু করে। অথচ, শুক্রবারও এক কেজি মরিচ বিক্রি হয় ২৫ থেকে ৩০ টাকায়।
ছোলা-ডালের দামও চড়া: রাজধানীতে ভালো মানের মিয়ানমারের ছোলার কেজি বিক্রি হচ্ছে ৯০ থেকে ৯৫ টাকায়। আর অস্ট্রেলিয়ার ছোলার দাম ৭৮ থেকে ৮৫ টাকা কেজি। সরকারি সংস্থা ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) হিসাবে, এক মাসে ছোলার দাম বেড়েছে সাড়ে ১৮ শতাংশ।
একইভাবে বেড়েছে বিভিন্ন ধরনের ডালের দামও। প্রতি কেজি মসুর ডাল (ছোট দানা) ১০৫ থেকে ১১০ টাকা, বড় দানার ডাল ৭৬ থেকে ৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এ ছাড়া মুগ ডাল (ছোট দানা) ১১০ থেকে ১১৫ টাকা, বড় দানার ডাল ৮৫ থেকে ৯০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। খেসারির ডালের কেজি এখন ৫৪ থেকে ৫৬ টাকা।
কমেছে মুরগি-ডিমের দাম: বাজারে মুরগি ও ডিমের দাম খানিকটা কমেছে। এক কেজি ওজনের ব্রয়লার মুরগি এখন ১৬০ থেকে ১৭০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এক হালি ফার্মের ডিমের দাম ৩৬ থেকে ৩৮ টাকা। দেশি ডিমের হালি ৩৮ থেকে ৩৯ টাকা। হাঁসের ডিম বিক্রি হচ্ছে ৩৬ থেকে ৩৮ টাকা হালি।
কাঁচাবাজারে প্রতি কেজি গরুর মাংস ২৬০ থেকে ২৭০ টাকা আর খাসির মাংস ৪০০ থেকে সাড়ে ৪০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। তবে ইলিশ ছাড়া অন্য মাছের দাম কিছুটা কম। ৫০০ থেকে ৭০০ গ্রাম ওজনের একটি ইলিশ বিক্রি হচ্ছে ৭০০ থেকে ৮০০ টাকায়। আর প্রতি কেজি দেশি রুই ১৮০ থেকে ২৭০, আমদানি করা রুই ১৭০ থেকে ২৩০, কাতল ১৭০ থেকে ২৮০, পাঙাশ ১১০ থেকে ১৩০, তেলাপিয়া ১২০ থেকে ১৪০ এবং কৈ মাছ ২০০ থেকে ২৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
বেড়েছে পেঁয়াজের দাম: প্রতি কেজি দেশি পেঁয়াজ ২৮ থেকে ৩২ এবং আমদানি করা ভারতীয় পেঁয়াজ ২৩ থেকে ২৪ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এক মাসে পেঁয়াজের দাম বেড়েছে সাড়ে ৭ শতাংশ।
বাজারে দেশি রসুন ৪০ থেকে ৪৫ এবং চীনা রসুন ৮৫ থেকে ৯০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে। তবে দেশি ও চীনা আদা বাজারে একই দামে বিক্রি হচ্ছে, ৬০ থেকে ৬৫ টাকা কেজি।
বেশি দামে চিনি বিক্রির উদ্যোগ সরকারের: ৬০ টাকা কেজি দরে ন্যায্যমূল্যে বিএসএফআইসির ভ্রাম্যমাণ চিনি বিক্রি কর্মসূচি শুরু হয়েছে। কর্মসূচি চলবে রমজান মাস পর্যন্ত। জাতীয় প্রেসক্লাব, ৭৬ মতিঝিলে বিএসএফআইসির নির্মাণাধীন ভবন এবং ৩ দিলকুশায় অবস্থিত চিনিশিল্প ভবন—রাজধানীর এই তিনটি স্থানে চিনি বিক্রি হবে। এক কেজি ও দুই কেজির প্যাকেটজাত চিনি এখানে বিক্রি করা হবে।
বাজারের চলতি দরের চেয়ে বেশি দামে চিনি বিক্রির বিষয়ে করপোরেশনের সচিব ফেরদৌস বেগম প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমাদের চিনির উৎপাদন ব্যয় প্রতি কেজিতে ৮০ টাকা পড়ে। এই চিনি ৬০ টাকাও যদি বিক্রি না করি, তাহলে অনেক লোকসান হয়ে যাবে।’
ভোজ্যতেল: প্রতি লিটার খোলা সয়াবিন তেল ১২০ থেকে ১২১ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। আর বোতলজাত তেল বিক্রি হচ্ছে ১৩৫ টাকায়। পাঁচ লিটারের বোতল বিক্রি হচ্ছে ৬৭০ টাকায়। প্রতি লিটার খোলা পাম তেল বিক্রি হচ্ছে ৯৮ থেকে ১০০ টাকায়।
No comments