বিষ দিয়েই মারা হয়েছে আরাফাতকে!-* আল-জাজিরার অনুসন্ধানী প্রতিবেদন * কবর থেকে দেহাবশেষ তুলে পরীক্ষার দাবি * আন্তর্জাতিক তদন্ত কমিটি গঠনের আহ্বান
আট বছরেও ফিলিস্তিনের মুক্তি আন্দোলনের নেতা ইয়াসির আরাফাতের মৃত্যুরহস্য কাটেনি। তাঁর মৃত্যুর পর থেকেই সম্ভাব্য যে কয়টি কারণের কথা আলোচনায় আসে, এর মধ্যে অন্যতম বিষ প্রয়োগ। গত মঙ্গলবার কাতারভিত্তিক টেলিভিশন চ্যানেল আল-জাজিরার উপস্থাপন করা নতুন তথ্য-উপাত্ত সে ধারণার পালেই নতুন করে হাওয়া দিল।
সুইজারল্যান্ডের লসান বিশ্ববিদ্যালয়ের ইনস্টিটিউট অব রেডিয়েশন ফিজিকসের সঙ্গে আল-জাজিরার যৌথ এক অনুসন্ধানে আরাফাতের মৃত্যুর সম্ভাব্য কারণ 'পলোনিয়াম' নামের এক ধরনের বিষপ্রয়োগ বলে অনুমান করা হয়েছে। গতকাল বুধবার এ ব্যাপারে আন্তর্জাতিক তদন্ত কমিটি গঠনের আহ্বান জানিয়েছে ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষ। ফিলিস্তিনের মুখ্য মধ্যস্থতাকারী সায়েব এরাকাত জানিয়েছেন, আরাফাতের মৃত্যুর কারণ নিশ্চিত হতে তাঁর দেহাবশেষ কবর থেকে না তোলার কোনো কারণ নেই বলে মনে করেন প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাস। আরাফাতের স্ত্রী সুহা আরাফাতও দেহাবশেষ তুলে পুনরায় পরীক্ষা-নিরীক্ষা করার পক্ষে।
ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের স্বপ্নদ্রষ্টা আরাফাত ২০০৪ সালে পশ্চিম তীরে ইসরায়েলি বাহিনীর হাতে অবরুদ্ধ অবস্থায় অসুস্থ হয়ে পড়েন। তখন চিকিৎসার জন্য সরাসরি ফ্রান্সে নিয়ে যাওয়া হয় তাঁকে। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ১১ নভেম্বর মারা যান আরাফাত। ৭৫ বছর বয়সে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করার আগের প্রায় চার দশক ফিলিস্তিনিদের মুক্তির সংগ্রামে অগ্রণী ভূমিকা রাখেন তিনি। ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষ তাঁর মৃত্যুর জন্য ইসরায়েলকে দায়ী করে। তারা অভিযোগ করে, বিষপ্রয়োগে হত্যা করা হয়েছে আরাফাতকে। শান্তিতে নোবেলজয়ী ফিলিস্তিনি এই নেতার মৃত্যুর কারণ জানায়নি ফরাসি কর্তৃপক্ষ। ব্যক্তিগত গোপনীয়তার আইনে তাঁরা মৃত্যুর কারণ না জানালে রহস্য আরো ঘনীভূত হয়। ২০০৫ সালে ফিলিস্তিনের এক অমীমাংসিত প্রতিবেদনে আরাফাতের মৃত্যুর কারণ ক্যান্সার, এইডস অথবা বিষপ্রয়োগ বলে উল্লেখ করা হয়। এতে গুজব আরো বাড়ে। তবে সর্বশেষ আল-জাজিরার প্রতিবেদনে বিষ প্রয়োগের বিষয়টিকেই প্রাধান্য দেওয়া হয়েছে।
৯ মাসের অনুসন্ধান শেষে আল-জাজিরা মঙ্গলবার জানিয়েছে, ফ্রান্সের যে সামরিক হাসপাতালে আরাফাত কয়েক সপ্তাহ চিকিৎসাধীন ছিলেন, সেখানে তাঁর ব্যবহার্য কিছু জিনিসপত্র পরীক্ষা করা হয়েছে। তাতে মারাত্মক বিষাক্ত পলোনিয়ামের অস্তিত্ব পাওয়া গেছে। পলোনিয়াম একটি তেজস্ক্রিয় উপাদান। রাশিয়ার সাবেক গোয়েন্দা আলেঙ্ান্দার লিতভিনেনকোকেও ২০০৬ সালে এই পলোনিয়াম প্রয়োগে হত্যা করা হয়।
আল-জাজিরার দাবি, আরাফাতের ব্যবহার করা কাপড়চোপড়, দাঁতের ব্রাস এমনকি তাঁর বিখ্যাত স্কার্ফে উচ্চ মাত্রার পলোনিয়াম পাওয়া গেছে। এসব জিনিস সুহা তাদের দিয়েছিলেন।
ইনস্টিটিউট অব রেডিয়েশন ফিজিকসের প্রধান ফঁ্রাসোয়া বচাদ বলেন, 'আফারাতের ব্যবহৃত জিনিসপত্রে উল্লেখযোগ্য মাত্রায় পলোনিয়াম পাওয়া গেছে। যদি সুহা তাঁর স্বামীর মৃত্যুর সঠিক কারণ জানতে চান, তবে আমাদের দেহাবশেষের নমুনা দিতে হবে। যদি আরাফাতের মৃত্যুর কারণ বিষপ্রয়োগ হয়, তবে নমুনায় প্রচুর পরিমাণ পলোনিয়াম পাওয়া যাবে।' এ ব্যাপারে সুহা আল-জাজিরাকে বলেন, 'সব মুসলমান ও আরব বিশ্বের সামনে সত্য তুলে ধরতে আমাদের আরাফাত ইয়াসিরের দেহাবশেষ তুলে পরীক্ষা করা উচিৎ।' আরাফাতকে পশ্চিম তীরের রামাল্লাহ শহরে সমাহিত করা হয়েছে।
ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষের জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা সায়েব এরাকাত গতকাল বলেন, 'লেবাননের প্রধানমন্ত্রী রফিক হারিরির হত্যাকাণ্ড নিয়ে যে ধরনের আন্তর্জাতিক তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছিল, আরাফাতের ক্ষেত্রেও সে ধরনের একটি কমিটি গঠনের আহ্বান জানাই আমরা।' সূত্র : এএফপি, জিনিউজ।
ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের স্বপ্নদ্রষ্টা আরাফাত ২০০৪ সালে পশ্চিম তীরে ইসরায়েলি বাহিনীর হাতে অবরুদ্ধ অবস্থায় অসুস্থ হয়ে পড়েন। তখন চিকিৎসার জন্য সরাসরি ফ্রান্সে নিয়ে যাওয়া হয় তাঁকে। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ১১ নভেম্বর মারা যান আরাফাত। ৭৫ বছর বয়সে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করার আগের প্রায় চার দশক ফিলিস্তিনিদের মুক্তির সংগ্রামে অগ্রণী ভূমিকা রাখেন তিনি। ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষ তাঁর মৃত্যুর জন্য ইসরায়েলকে দায়ী করে। তারা অভিযোগ করে, বিষপ্রয়োগে হত্যা করা হয়েছে আরাফাতকে। শান্তিতে নোবেলজয়ী ফিলিস্তিনি এই নেতার মৃত্যুর কারণ জানায়নি ফরাসি কর্তৃপক্ষ। ব্যক্তিগত গোপনীয়তার আইনে তাঁরা মৃত্যুর কারণ না জানালে রহস্য আরো ঘনীভূত হয়। ২০০৫ সালে ফিলিস্তিনের এক অমীমাংসিত প্রতিবেদনে আরাফাতের মৃত্যুর কারণ ক্যান্সার, এইডস অথবা বিষপ্রয়োগ বলে উল্লেখ করা হয়। এতে গুজব আরো বাড়ে। তবে সর্বশেষ আল-জাজিরার প্রতিবেদনে বিষ প্রয়োগের বিষয়টিকেই প্রাধান্য দেওয়া হয়েছে।
৯ মাসের অনুসন্ধান শেষে আল-জাজিরা মঙ্গলবার জানিয়েছে, ফ্রান্সের যে সামরিক হাসপাতালে আরাফাত কয়েক সপ্তাহ চিকিৎসাধীন ছিলেন, সেখানে তাঁর ব্যবহার্য কিছু জিনিসপত্র পরীক্ষা করা হয়েছে। তাতে মারাত্মক বিষাক্ত পলোনিয়ামের অস্তিত্ব পাওয়া গেছে। পলোনিয়াম একটি তেজস্ক্রিয় উপাদান। রাশিয়ার সাবেক গোয়েন্দা আলেঙ্ান্দার লিতভিনেনকোকেও ২০০৬ সালে এই পলোনিয়াম প্রয়োগে হত্যা করা হয়।
আল-জাজিরার দাবি, আরাফাতের ব্যবহার করা কাপড়চোপড়, দাঁতের ব্রাস এমনকি তাঁর বিখ্যাত স্কার্ফে উচ্চ মাত্রার পলোনিয়াম পাওয়া গেছে। এসব জিনিস সুহা তাদের দিয়েছিলেন।
ইনস্টিটিউট অব রেডিয়েশন ফিজিকসের প্রধান ফঁ্রাসোয়া বচাদ বলেন, 'আফারাতের ব্যবহৃত জিনিসপত্রে উল্লেখযোগ্য মাত্রায় পলোনিয়াম পাওয়া গেছে। যদি সুহা তাঁর স্বামীর মৃত্যুর সঠিক কারণ জানতে চান, তবে আমাদের দেহাবশেষের নমুনা দিতে হবে। যদি আরাফাতের মৃত্যুর কারণ বিষপ্রয়োগ হয়, তবে নমুনায় প্রচুর পরিমাণ পলোনিয়াম পাওয়া যাবে।' এ ব্যাপারে সুহা আল-জাজিরাকে বলেন, 'সব মুসলমান ও আরব বিশ্বের সামনে সত্য তুলে ধরতে আমাদের আরাফাত ইয়াসিরের দেহাবশেষ তুলে পরীক্ষা করা উচিৎ।' আরাফাতকে পশ্চিম তীরের রামাল্লাহ শহরে সমাহিত করা হয়েছে।
ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষের জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা সায়েব এরাকাত গতকাল বলেন, 'লেবাননের প্রধানমন্ত্রী রফিক হারিরির হত্যাকাণ্ড নিয়ে যে ধরনের আন্তর্জাতিক তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছিল, আরাফাতের ক্ষেত্রেও সে ধরনের একটি কমিটি গঠনের আহ্বান জানাই আমরা।' সূত্র : এএফপি, জিনিউজ।
No comments